নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুলের শিক্ষা সিলেবাস কেমন হওয়া উচিত?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

একটা কথায় সকলেই একমত। কথাটা হলো আমাদের দেশের একাডেমীক শিক্ষার সিলেবাস কর্মমূখী বা জীবনমূখী নয়।

আমাদের একজন এসএসসি পাশ করা ছাত্র অথবা ডিগ্রি পাশ করা ছাত্রের আইন সম্পর্কে কোনো ধারণাই নাই। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়েও তার কোনো ধারণা থাকে না। বেশিরভাগেরই কোনো ধরণের বিশ্লেষণাত্মক জ্ঞান নেই। এমনকি তাদের যথাযথ ধর্মীয় জ্ঞান এবং কোনো ধরণের বিনিয়োগ জ্ঞান থাকেই না।

এখানে যে পাঁচটি বিষয় আমি উল্লেখ করলাম, আইন, ভূমি, ধর্ম, বিনিয়োগ ও বিশ্লেষণী দক্ষতা। স্বাভাবিক জীবন চলার পথে এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না।

এইসব বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার দরুন একটা মানুষ পদে পদে দূর্ণীতির সম্মুখীন হচ্ছে। সে আপাদমস্তক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
সঠিক বিনিয়োগ জ্ঞান না থাকার দরুন সে বিভিন্ন স্ক্যামের সম্মুখীন হয়। নিজের পৈতৃক জমিটুকুর দেখভাল করতে গিয়ে তাকে যে পরিমাণ হ্যারাস হতে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।

একটু চিন্তা করেন, সদ্য গ্রাজুয়েট করা একটা ছাত্র আইন বুঝে না, বিনিয়োগ বুঝে না, খতিয়ান বুঝে না, রাজনীতি বুঝে না, প্রপার ধর্ম বুঝে না (ধর্ম সম্পর্কে তার জ্ঞান হলো শুনে শুনে। বেশিরভাগই মূল ধর্মগ্রন্থ পড়ে না), তার কোনো বিশ্লেষণী জ্ঞান নেই। এরকম একটা মানুষ একটা সমাজের কী কাজে আসবে?

এই সব অদক্ষ লোকজন খুব সহজেই দালালের খপ্পরে পড়ে যায়। সমাজ চলে যায় অন্ধকারে! মুক্তি আসে না। মরীচিকার লোভ দেখিয়ে চেরাবালি গ্রাস করে আমাদেরকে।

এখন প্রশ্ন হলো, স্কুল কলেজ আমাদেরকে কী শেখায়?

যা-ই শেখাক না কেনো, তবে উল্লিখিত বিষয় শেখায় না। এসব বিষয়ে কোনো ধরণের ধারণাই দেওয়া হয় না।

তাই আমার প্রস্তাবনা হলো- আমাদের স্কুলের সিলেবাস নতুন করে সাজানো দরকার। সেখানে যে বিষয়গুলো যেভাবে পড়ানো যেতে পারে-

১। বাংলা- ১০০
২। ইংরেজী- ১০০
৩। বিজ্ঞান- ২০০
৪। পৌরনীতি- ১০০
৫। মূল ধর্মগ্রন্থ- ৫০
৬। ফৌজদারী আইন- ১০০
৭। দেওয়ানী আইন- ১০০
৮। গনিত- ১০০
৯। কম্পিউটার- ১০০
১০। বিনিয়োগ শিক্ষা- ১০০
১১। বিশ্ব সাহিত্য- ৫০
১২। গ্রামার (বাংলা+ইংরেজী)- ১০০
১৩। এ্যানালিটিক্স- ৫০
১৪। স্পোর্টস- ৫০

এখানে,
১। বাংলা এবং ইংরেজীতে থাকবে ভাষার ৪ টি দক্ষতা। রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং, লিসেনিং।

২। বিজ্ঞান: তাত্তিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক জ্ঞান। ইনোভেশন ইত্যাদি।

৩। পৌরনীতি: ব্যক্তিক আচার আচরণ থেকে শুরু করে নগর, নাগরিক ইত্যাদি।

৪। প্রত্যেকেই নিজ নিজ মূল ধর্মগ্রন্থ পড়বে।

৫। বিনিয়োগ শিক্ষা: সঞ্চয়, বিনিয়োগ, এ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ব্যবসা ইত্যাদি।

৬। গ্রামার: বাংলা ভাষা এবং ইংরেজীর গ্রামার পড়বে, ৫০ + ৫০। ১০০ করে পড়ানোর দরকার নেই।

৭। এ্যানালিটিক্স- ৫০: বিভিন্ন ধরণের কেস স্টাডি পড়ানো হবে।

৮। স্পোর্টস- ৫০: একটা ইনডোর গেইম এবং একটা আউটডোর গেইম, ১০ করে ২০ মার্কস। বাকী ৩০ হলো- তাত্তিক এবং শারীরিক শিক্ষা।

৯। বিশ্ব সাহিত্য: এখানে যে যার মতো সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা পড়বে। যে যেটা পড়ছে সে সেটার উপর লেকচার দিবে।

এই বিষয়গুলো যদি এভাবে পড়ানো হয় তবে আমাদের সমাজ পরিবর্তন হতে সময় লাগবে না। প্রত্যেকেই স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আইডিয়া খারাপ না ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

শাম্মী আক্তার বলেছেন: ভালো লিখেসেন

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

শাওন আহমাদ বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে কবে?

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সিলেবাস রিভিউ ও নতুন সিলেবাস তৈরি করা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এটা একদিনে বা একজনের সুপারিশে হয় না। এর জন্য বোর্ড বা কমিশন থাকে। এসএসসি লেভেলের প্রথম পরিবর্তন আনা হয়েছিল ১৯৮০ বা ৮১ সালে। আমরা ১৯৮৪ সালে সর্বশেষ পুরোনো সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। প্রাইমারি লেভেলের পরিবর্তন শুরু হয়েছিল আরো অনেক আগে থেকেই। তারপর শুরু হয় মাধ্যমিক লেভেলের পরিবর্তন। প্রতিবছর একটা করে ক্লাসের সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়। তবে, পরিবর্তিত সিলেবাসের ভলিয়্যুম অনেক বড়ো ছিল।

এস এস সি লেভেলে ৫০০ প্রশ্নের প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি শুরু হয় ১৯৯২ সালে সম্ভবত। প্রশ্নব্যাংক বাতিল করা হয় পরে, তবে, এমসিকিউ বলবৎ থাকে, তাতে যোগ হয় সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি।

যতবার যত পরিবর্তন আনা হয়েছে, প্রতিটা পরিবর্তনের মূল লক্ষ ছিল বাস্তবমুখী ও কার্যকর শিক্ষা প্রদান করা। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে আমরা তার কোনো প্রমাণ দেখতে পাই না। নকলের হিড়িক দেখি আর দেখি জিপিএ-৫ এর বন্যা।

ব্যবহারিক জীবনে পৌরনীতি, খতিয়ান দেখার চাইতে আমার মতে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাস্থ্যজ্ঞান। আমাদের সিলেবাসে সেটা নাই। আপনি ১০ জনকে জিজ্ঞাসা করলে প্রত্যেকেই তার মতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টার প্রাধান্য দিবেন। একটা ক্লাসের সিলেবাসে এত বিষয় ঢোকানোর সুযোগ খুবই সীমিত।

সিলেবাস পরিবর্তনের চাইতে বেশি প্রয়োজন শিক্ষাঙ্গন থেকে দুর্নীতি দূর করা, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করা, নকল মুক্ত করা, এবং সিলেবাসে যাই থাকুক না কেন, সেটির সঠিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষিত করে তোলা। এসব করা না হলে শতাব্দীর সেরা সিলেবাস বানিয়েও মূলত কোনো লাভ হবে না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
স্বাস্থজ্ঞান খুবই দরকারী। ঠিকই বলেছেন। সেটা স্পোর্টস বিষয়ে থাকবে।
আমাদের শিক্ষার ধরণটাই ভুল। আগে ছিলো মুখস্থ করার হিড়িক। তাতে কিছুই হলো না। বাদ গেলো। এলো সৃজনশীল। এটাও ফ্লপ! এর পরে হালে যা এলো( এ বছর থেকে) তা যে কী সেটা শিক্ষকরা নিজেরাই বুঝতে পারছে না।
স্কুলে কী পড়েছে তা কয়জনের মনে আছে বলে মনে করেন? নেই। কারণ শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য মুখস্থ করেছে। বুঝার জন্য নয়।
আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী শিখি?

মালায়লাম ভাষায় একটা মুভি আছে, নাম হ্যাপি ডেইজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষে সবাই যখন সনদ নিয়ে চলে যাচ্ছে তখন একজন ডিগ্রিধারীর মনে একটা প্রশ্ন উদয় হয়। সে তার প্রফেসরকে প্রশ্ন করে-

স্যার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি কী শিখলাম আর কী-ই বা অর্জন করলাম?

তখন স্যার তাকে বলেন,‘তুমি ভালো এবং খারাপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে, তুমি অসহায়কে সাহায্য করতে পারবে। তুমি শিখেছ আত্মত্যাগ এবং ভালো বন্ধুত্বের মাধ্যমে। বিদ্যায়তনে কেউ কিছু অর্জন করতে আসে না কিন্তু অর্জন করার সক্ষমতা আয়ত্ত¡ করতে পারে। তুমি যদি জীবনের কোনো এক সময়ে কিছু একটা করতে চাও তবে তুমি কিছুতেই পিছু হটবেনা।’


এখন বলেন, আমাদের শিক্ষা সিলেবাসে এরকম কোনো উপলব্ধি আছে?

( বি.দ্র.: বোল্ড অংশটুকু আমার পরবর্তী বই রিসেট ইউর মাইন্ড থেকে নেওয়া)

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: @শাম্মী আক্তার

আপনি কিছু মনে করবেন না। কয়েকটা পোস্টে আপনার কমেন্টের সাথে একটা লিংক দিচ্ছেন। ধরে নিয়েছিলাম লিংকের পোস্টটা পোস্টের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনো পোস্ট হবে। লিংক গিয়ে ধাক্কা খেয়েছি। এটা করা আপনার ঠিক হচ্ছে না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৩

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আপনার সতর্কতা শুনে আমি আর ক্লিক করিনি। এসব লিংকগুলো ঝামেলার হতে পারে!

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এ বিষয়ে আমার কোনো ধারনা নেই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: যার ধারণা যত কম সে তত সুখী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.