নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু শেখার, ভালো কিছু করার, আর নিজে যা জানি তা অন্যকে উদারভাবে শেখানোর যদি কেউ শিখতে চায়।

নয়া পাঠক

আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!

নয়া পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তির উন্নয়ন কি ভবিষ্যতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি / ধ্বংস ডেকে আনছে? প্রতিদিন উন্নয়নের ছোয়ায় কোথায় চলেছি আমরা?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬


ছবি গুগল থেকে-আমরা কোথা হতে কোথা চলছি, এর পর কি?

আজকের দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর অনলাইন নিউজে একটি খবর দেখে চমকে উঠি। খবরটি হল 'ফাইভ-জি' নেটওয়ার্ক চালুর ফলে শতাধিক পাখির মৃত্যু'। বিস্তারিত দেখে অনেক কষ্ট পেলাম। খবরের বিস্তারিত বলতে নেদারল্যান্ডসএ একটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই উক্ত এলাকার আশেপাশে প্রায় ৩০০ স্টার্লিং পাখির মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহগুলি পরিক্ষা করে পাওয়া গেছে তাদের দেহের ভিতরে রক্তক্ষরণের ফলেই মারা যায় ওগুলো। এর আগেও বেশ কয়েকটি স্থানেও ৫জি নেটওয়ার্কিং পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরে তার আশে-পাশের বেশ কিছু গরু মারা যায়।

৫জি পরিষেবার তরঙ্গদৈর্ঘ ছিল ৭.৪০ গিগাহার্জ, যা পশু-পাখির জন্য অনেক বিপদজনক।


ছবি: গুগল থেকে- মিঃ স্মার্টি এর বিবিধ সমস্যা যার কারণ প্রযুক্তি পণ্য।

ঠিক কোন ক্লাশে পড়েছিলাম মনে নেই, একটি রচনা বা প্যারাগ্রাফ ছিল সেটি, 'বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ'। জীবনকে সহজ ও সাবলীল করার জন্য আমরা যে সকল বৈজ্ঞানিক গ্যাজেট/প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। তার বিভিন্ন ক্ষতিকারক বিষয়গুলো এতে উল্লেখ করা ছিল। যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি ততই উন্নতির শিখরে পৌছে যাচ্ছে, যার নানাবিধ কুফল আমরা দৈহিক, সামাজিক, মানষিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশের উপর উপলব্ধি করতে পারছি। কিন্তু এখানেই কি শেষ, না বিজ্ঞান এখানেই থেমে থাকবে। নাকি উন্নয়ন হতে হতে একসময় তার ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেড়ে যাবে যা মানবজাতি তথা এই পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের বিলুপ্তি না করে ফেলে। কারণ মানুষ বা প্রকৃতিতে সৃষ্টিকর্তা একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সহ্যশক্তি/সহনশীলতার মাঝে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। যদিও তা এমনভাবে বিন্যাস্ত করা যে যে কোন প্রতিকূলতাকেই আমরা/প্রকৃতি জয় করতে /মানিয়ে নিতে/ অতিক্রম করতে পারি। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরে হয়ত সে মাত্রা সহ্যসীমার বাইরে চলে যাবে। তখন কি হবে আমাদের? আর তাছাড়া সকলের সহ্যশক্তি/মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও তো এক নয়। যার ফলে আমরা নিত্য নতুন সব রোগ-ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছি, বা পরিবেশের অনেক পরিবর্তন লক্ষ করছি।


ছবি: গুগল থেকে: ৫জি নেটওয়ার্ক তরঙ্গের প্রভাবে পাতাগুলোর এমন অবস্থা।

আমার মনে হয়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো ব্যবহারের একটা লিমিট রাখা উচিত। অথবা প্রতিটি গ্যাজেট ব্যবহারের পূর্বেই তার সকল প্রকার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে তা মানুষ অথবা পরিবেশের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়। অথবা এসকল প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করার পূর্বে তার ক্ষতিকর বিষয়গুলো আটকানো / ফিল্টারিং করার মত নতুন কোন পদ্ধতিও আবিষ্কার করে তার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। নইলে অদূর ভবিষ্যতে না অনেক বড় ক্ষতি/অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে না পড়ে।

এ বিষয়ে সকলের সর্বাত্মক মন্তব্য প্রত্যাশা করছি, আর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাদের যারা এ সকল প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা/বিপণনকারী। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে নিউজটা ভুয়া ছিলো! এখন পর্যন্ত হুজুগে মাতাল যা শুনে তাই বিশ্বাস করা টাইপ লোকজনের মুখেই এমন কথা শোনা গেছে। পাখি নিয়ে যারা কাজ করছে এমন সংস্থা গুলিও এমন কোন তথ্য জানে না!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

নয়া পাঠক বলেছেন: হতে পারে নিউজটা ভুয়া ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিন এর মত একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে এমন ভুয়া খবর ছাপায়, বিষয়টা মাথাতেই আসেনি। তবে এ বিষয়টি সত্যি না হলেও কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক/ মোবাইল ডিভাইস ইত্যাদি গেজেটগুলির কিন্তু একটা রেডিয়েশন অবশ্যই রয়েছে।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত মিডিয়া। তবু মিথ্যা সংবাদের জোর বেশি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী, ভাই হতে পারে, আসলে খবরটি দেখে এতটাই হতবাক হয়েছিলাম যে, যাচাই করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আর এমন একটা মিডিয়া এরকম মিথ্যা সংবাদ ছাপায় কে জানতো। ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রেডিয়েন্স মানব দেহেরও চরম ক্ষতি করে। :-/


১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

নয়া পাঠক বলেছেন: আমি এমন ভেবেই পোষ্টটি শেয়ার করি। ভেবেছিলাম হতে পারে ৫জি নেটওয়ার্কের তরঙ্গে এমনটা হতেও পারে। কারণ গ্রাম এলাকায় দেখেছি প্রথম যখন মোবাইল টাওয়ার বসানো হলে তার আশেপাশের গাছের ফল অকালে নষ্ট হয়ে যেত।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

গরল বলেছেন: শেষের ছবিটা নেওয়া হয়েছে WALLPAPERS HD সাইট থেকে Frosty Autumn Leaves সেকশন থেকে নেওয়া হয়েছে।

WALLPAPERS HD

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

নয়া পাঠক বলেছেন: আপনার কথা ঠিকও হতে পারে বাট আমি গুগলে ৫জি সাইড ইফেক্ট লিখে সার্চ দিয়েছিলাম। এই ইমেজটা বড় বলে শেয়ার করেছি, আসলে ভুল করেছি।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

লিংকন১১৫ বলেছেন: সব কিছুর ভালো ও খারাপ দিক আছে , radiation মানব দেহের জন্য আসলেই খারাপ , এটা স্লো পইসনের মতো কাজ করে থাকে।
অবশ্য এখনো বিশ্বাস যোগ্য সোর্স থেকে কোন খবর প্রকাশ করা হয়নি ।
নিচের লিঙ্ক গুলো দেখতে পারেন
Did 297 Birds Die Because of a 5G Experiment in Netherlands?
Hundreds of Birds Drop Dead During 5G Experiment in The Hague, The Netherlands
Do cellular phone towers cause cancer?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

নয়া পাঠক বলেছেন: এই প্রযুক্তি বিভিন্ন পন্যগুলির বিভিন্ন সাইড ইফেক্ট সম্বন্ধে কিঞ্চিত শোনা ও দেখা ছিল বলে ভেবেছিলাম হতেও পারে এমনটা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভূয়া খবর

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

নয়া পাঠক বলেছেন: সবাই তাই বলছে, কিন্তু আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

আমি রোবট বলেছেন: ভালো সোর্স এর রেফারেন্স দেন.।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

নয়া পাঠক বলেছেন: আমি রোবট' তেমন কোন রেফারেন্স আসলে এই মুহুর্তে আমার জানা নেই। তবে 'লিংকন ১১৫' এর মন্তব্যের লিংকগুলি দেখতে পারেন, যদিও সেখানেও শিওর নয় ব্যাপারটা।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

আরোগ্য বলেছেন: মানব জাতির ধ্বংসের কারণ মানব জাতি নিজেই। খবরটা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয় নি। টেকনোলজির ব্যবহারে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী ভাই আরোগ্য, আপনার কথা একদম সত্যি। কিন্তু এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা বা অনুসন্ধান করা হয় না, অথবা হলেও তা প্রকাশ করা হয় না, প্রকাশ হলেও প্রচার একদম ই হয় না। কারণ বুর্জোয়া ক্ষমতাশালীদের রক্তচোষায় ব্যাঘাত ঘটবে। হতে পারে এ নিউজটা মিথ্যা, কিন্তু আমরা চারপাশে তাকালে বা নিজেদের দিকে তাকালে কি একটুও অনুভব করতে পারি না, প্রযুক্তি দিন দিন কিভাবে আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ করার কোন পথ নেই। আমি নিজেও এর বিপক্ষে, প্রযুক্তির সুবিধা অবশ্যই নিতে হবে কিন্তু এর ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে তা রহিত করার সুরক্ষা ব্যবস্থাও থাকা উচিত।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

হাঙ্গামা বলেছেন: খবরটা ফেসবুকে কোন এক চুদুরবুদুর টাইপের সাইট থেকে পড়ার মহাসৌভাগ্য আমার ও হইছিলো।
এইটা নিয়ে ব্লগে একটা পোষ্ট পয়দা হবে ভাবি নাই। এডা হাইস্যকর, হাহাইস্যকর.....

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

নয়া পাঠক বলেছেন: জনাব হাঙ্গামা, এইটা নিয়ে ব্লগে একটা পোষ্ট পয়দা না হলে আপনার এই 'সুন্দর মন্তব্যটা' কোথায় পয়দা করতেন? আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন এই যে, আপনি আমাকে চিনেন না বা আমিও আপনাকে চিনেন না অথচ দুজন কী সুন্দর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অযথাই কোন বিষয় নিয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করছি। এটা কি একটা ক্ষতিকর বিষয় নয়। এডা হাইস্যকর নয়, হাহাইস্যকর...... নয়?

১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর সচেতনতামূলক পোস্ট। খবর সত্য হোক বা মিথ্যা হোক বিষয় সেটা নয় তবে সম্ভব্যতাকে অস্বীকার করা যাবেনা। মোবাইল ফোনের ফ্রিকোয়েন্সি অবশ্যই মানব দেহের ক্ষতি করে। প্রথম যখন মোবাইল ফোন বের হয় আমি ব্যবহার করার পর মাথা ব্যাথা করতো, এক সপ্তাহ পর আর মাথা ব্যাথা করতো না, শরীর সয়ে নিয়েছে ভ্যাকসিনের মত। এখন ফিকোয়েন্সি যতই বাড়ুক শরীর সয়ে নেবে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ফল কি হবে আমরা জানিনা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন একটা বাজে পত্রিকা । পাখীর এমন গনহারে মৃত্যু হলে পরিবেশবাদীরা হইচই করে পৃথিবী গরম করে ফেলতো।
ভাল থাকুন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১০

নয়া পাঠক বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত। হতে পারে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিউজটি ভুয়া ছিল, জাষ্ট পাবলিসিটি। বাট প্রযুক্তি যে দিন দিন আমাদের কোন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে তা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না, অনেকটা বাতাশের মত।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পোস্টটি সুন্দর। তবে, আরও কিছু তথ্য সূত্র যোগ করে দিতে পারলে ভালো হত।

অনেক বিষয় সম্মন্ধে আমাদের ধারণা না থাকায় সহজেই তা বিশ্বাস করতে চাই না। এটা স্বাভাবিক মানবিক প্রবৃত্তিরই অংশ।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এই তো সেদিনের কথা। তিন চার দশক আগেও মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথা উঠলে অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিতেন। তখন যারা বলতেন, মোবাইলের মত এমন একটি ছোট ডিভাইস দিয়ে পথে-ঘাটে, জলে-স্থলে এমনকি সকল স্থান থেকে কথা বলা থেকে শুরু করে সর্ব প্রকারের যোগাযোগ করা যাবে, তাদের পাগল বলে উপহাস করতেও দেখেছি।

এখন তো দেখে, ব্যবহার করে বিশ্বাস না করে উপায় নেই।

অনেক ভালো থাকুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী আপনার কথা মনে হয় এক্কেবারে ঠিক। আসলে নিউজ দেখে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে যা বিশ্বাস করি তা-ই পোষ্টে লিখতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আসলেই আরও কিছু তথ্য এবং রেফারেন্সসহ লিখলে পোষ্টটি ঠিকই গুরুত্ব পেত।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.