নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু শেখার, ভালো কিছু করার, আর নিজে যা জানি তা অন্যকে উদারভাবে শেখানোর যদি কেউ শিখতে চায়।

নয়া পাঠক

আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!

নয়া পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিড়াল বিষয়ক অভিজ্ঞতা, বিড়াল কি মানুষের কথা বুঝতে পারে?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

আমার সীমাহীন একাকীত্ব ঘোচাতে সম্প্রতি বাসায় একটি দেশি জাতের বিড়াল পুষি। তাও প্রায় বেশ কিছুদিন হলো, বিড়ালটিকে এনেছিলাম একদম পিচ্ছি অবস্থায় রাস্তা থেকে কুড়িয়ে। প্রথম প্রথম কয়েকদিন তাকে দুধ কিনে খাওয়াতাম। এর পর ধীরে ধীরে সে সবধরণের খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যেহেতু ঢাকা শহরে থাকি, সারাদিন বদ্ধ ঘরে থাকা আর বেড়ালটির পটি করার ব্যবস্থা না থাকায় প্রথম প্রথম কয়েকদিন সে যেখানে সেখানে তার ঐ প্রাকৃতিক কর্মটি করে ফেলত। এই যন্ত্রণার হাত হতে রক্ষা পেতে একটি কাগজের কার্টুনের মধ্যে রাস্তা থেকে বালু/মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে ঘরের এক কোনায় রেখে দিয়ে তাকে বলে দিলাম, যখন তার ঐ বিশেষ কর্মটি করার সময় হবে সে যেন পরিবেশ নষ্ট না করে এই বিশেষ যায়গায় কাজটি সমাধা করে। প্রথম প্রথম দুয়েকবার ভুল করে ফেললেও তারপর থেকে আর কখনই তার সে ভুলটি হয়নি। সে নিয়মিত ঐ স্থানে প্রাকৃতিক কর্মটি সমাপ্ত করে আবার সুন্দর করে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখে। ঢেকে রাখার প্রক্রিয়াটাও বেশ মজার, একবার ঢাকার পর গন্ধ শুকে নিশ্চিত হয় ঠিকমতো ঢাকা হলো নাকি, না হলে পুনরায় আরও মাটি/বালু দিয়ে একেবারে পুরোপুরি মাটিচাপা দিয়ে তার চারটি পা, শরীর সব চেটেপুটে পরিচ্ছন্ন হয়। আর তার মজার মজার ঘটনাগুলির কথা লিখলে দীর্ঘ একটি উপন্যাস রচিত হয়ে যাবে তাই সংক্ষেপে কিছু উল্লেখযোগ্য হাস্যকর মুহুর্তগুলি কেবল শেয়ার করলাম।


ছবি: গুগল, কিন্তু যখন প্রথম আনি তখন এতটুকুই ছিল আর দেখতেও অনেকটাই এমন।

বিড়ালটি ছোট থাকাবস্থায় সারাদিন পরে যখন আমি বাসায় যাই, যেখানেই থাকুক সে দৌড়ে এসে আমার পা শুকবে এরপর পা বেয়ে গাছে উঠার মত করে কোমর পর্যন্ত উঠে পড়বে, আবার নামবে, আবার উঠবে যতক্ষণ না তাকে নিষেধ করি এই যথেষ্ট হয়েছে এবার থাম, কাপড় পাল্টাই তারপর তোকে আদর করব। আশ্চর্য অমনি সে পা বেয়ে উঠা বন্ধ করে দিয়ে শান্ত হয়ে একস্থানে বসে আমার কাপড় চেঞ্জ করা পর্যন্ত সময় দিত। এরপর যখন কোথাও বসতাম সে দৌড়ে এসে লাফিয়ে কোলের মধ্যে ঢুকে ম্যাও ম্যাও করত, আর মাথাটা আমার হাত/শরীরের সঙ্গে ঘষাঘষি করতে থাকত। তার মাথায় আঙ্গুল চালিয়ে দিতে হত আমার বেশ অনেকটা সময় নিয়ে।


ছবি: গুগল।

এইরকম অম্লমধুর সময় অতিক্রান্তের মাঝে সে বেশ হৃষ্টপুষ্ট একটি পরিপূর্ণ যুবতীতে পরিণত হলো, ওফ্ ওটা যে একটা মেয়ে বেড়াল তাতো বলিনি। যাহোক কিছুদিন পূর্বে তার দুটি বাচ্চা হলো। তো আমি কি করি কি করি ভেবে চিন্তে আমার পুরোনো একটি জ্যাকেট দিয়ে অন্য আরএকটা একটু বড় কার্টনে তার একটি অস্থায়ী আঁতুড়ঘর বানিয়ে দিলাম। সে প্রথমে বাচ্চা নিয়ে আমার লেপের ওপর ওঠার চেষ্টা করছিল কিন্তু আমি তাকে প্রতিহত করে ঐ কার্টনটি দেখিয়ে বলি, যা ওখানে নিয়ে যা, আশ্চর্য সে ওখানে গিয়ে বাচ্চাটাকে নিচে রেখে নিজে প্রথমে উঠে গেল কার্টনটির মধ্যে এরপর বিভিন্নভাবে ঘুরে ফিরে কার্টনটির মধ্যে শুয়ে দেখল যায়গাটি তার মাপমত হচ্ছে কিনা এরপর সন্তষ্ট হয়ে কার্টন থেকে নেমে বাচ্চাটিকে নিয়ে আবার কার্টনের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

পোষ্টটি অনেক লম্বা হয়ে যাওয়ায় পরের অংশ অন্য একটি পোষ্টে অন্য কোন দিন শেয়ার করব।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

হাবিব বলেছেন: সব প্রানীই মানুষের কথা বুঝতে পারে........

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী স্যার, এখন বিষয়টা বুঝতে পারছি, সবচেয়ে মজা লাগে যখন দেখি কেউ কেউ প্রতিউত্তরও প্রদান করে।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

দেবদাস বাবু বলেছেন: আমি প্রতিদিন কাজ শেষে রাতে বাসায় ফিরে যাওয়া পর্যন্ত আমার বাড়িতে দুটি বিড়াল আমার জন্য অপেক্ষা করে। তারপর আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রান্নাঘরে রাতের খাবারের জন্য গেলে যতক্ষণ না আমার খাওয়া শেষ হয় ততক্ষণ তারা আমার পাশে বসে থাকে। পরবর্তীতে আমার ভাগের খাবার এবং (মাছের অর্ধেকটা) তারা প্রতিদিন খায় । হঠাতৎ যদি কোনদিন রাতে আমি বাসায় না ফিরি তারা নিশ্চয় অনাহারে থাকে যেটি আমাকে প্রচন্ড পীড়া দেয়। পরের দিন আমি ফিরলে আমাকে দেখে এমন ভঙ্গিমা করে মনে হয় তারা আমাকে একযুগ পরে দেখছে, (বুঝতে পারি মলিন মুখ নিয়ে তারা যেন বলতে চাইছে কাল থেকে অনাহারে আছি তাড়াতাড়ি খেতে যাও?) প্রতিদিন দুটি প্রাণীর সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়া যে কি সুখ তা আমি ভীষণ উপলব্ধি করতে পারি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ দেবদাস বাবু, আপনার মজার এবং সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই মাঝে মাঝে এদের মায়াভরা মুখ আর প্রভুভক্তিতার নমুনা দেখলে অবাক হয়ে যাই। আর এমন খাবার শেয়ারিংয়ের ঘটনা তো আমার নিত্যদিনের ঘটনা। এমনও হয়েছে নিজে খাবার কিনে না খেয়ে ওদের জন্য দুধ অথবা রুটি অথবা মাছ কিংবা মাংস কিনে খাওয়াই।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!
হ্যাপি মিউ টাইম।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

নয়া পাঠক বলেছেন: ওয়েল সুলতানা ডাকু থুরি আপু, হ্যাপি মিউ টাইম। আপনার জন্য হ্যাপি ম্যান টাইম।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এরা খুবই মায়াবী হয়। আমারও একটা ছিল ছোট বেলায় এখন আর নেই।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

নয়া পাঠক বলেছেন: সুন্দর মায়াবী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী। মায়াবী মানে- রাতে ঘুমুতে যাওয়ার সময় পাশে শুয়ে হাতের ওপর মাথা দিয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ে, ওফ্ আর বাচ্চাটা আরও একধাপ ওপরে, পাশে শুয়ে তার পোষায় না সে সোজা বুকের/পেটের ওপর উঠে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ওখান থেকে নামিয়ে দিলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, তখন আবারও ওপরে এসে শুয়ে পড়ে!

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিড়াল অবশ্যই মানূষের মন মানসিকতা এবং কথা বুজতে পারে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

নয়া পাঠক বলেছেন: একদম সাচ্চা কথা ফটোগ্রাফার ভাই। শুধু যে তারা কথা বুঝতেই পারে তাই নয় অবাক হয়ে যাই যখন দেখি দু-একটি কথায় মাথা নাড়িয়ে বা উম... না... বলে উত্তরও দেয়।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ছোট্ট ছোট্ট বিড়াল অনেক কিউট হয় :)

আর প্রাণীদের মায়া অনেক বেশি....

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

নয়া পাঠক বলেছেন: কিউট বলে কিউট.... মায়াবী চোখের চাউনীতে মাঝে মাঝে আমি হারিয়ে যাই। সত্যি সৃষ্টি জগতের এক বোধহীন প্রাণী হলেও তারা কিছু কিছু প্রাণীর প্রভুভক্তি, ভালোবাসা দেখলে বিস্মিত হতে হয়।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

ফয়সাল রকি বলেছেন: বিড়াল বিষয়ক পোষ্টে ভাললাগা!
তবে আপনার নিজের ক্যামেরা/ফোনে তোলা একটা ছবি হলে মন্দ হতো না।
ভাল থাকবেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

নয়া পাঠক বলেছেন: ভালোলাগায় ভালোবাসা ফয়সাল। বিলিভ ইট অর নট আমার কোন ভাল মানের ক্যামেরা/ফোন নেই। তবে কিছু কিছু ভিডিও করা আছে, যা পরে একসময় শেয়ার করব বলে তুলে রাখা। ও হ্যাঁ ইউটিউবে কয়েকটি পোষ্ট দেওয়া আছে: https://youtu.be/nDfp13xBBXg

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঠিকই বলেছেন...

একেকটা কিউটের ডিব্বা :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

নয়া পাঠক বলেছেন: ডিব্বা? একেকটা কিউটের ড্রাম https://youtu.be/nDfp13xBBXg

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রাণী মাত্রেই মানুষের কথা বা আচরণ বুঝতে পারে। সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে সেই সব প্রাণী, যারা মানুষের সংস্পর্শে থাকে। যেমন- বিড়াল, কুকুর, ছাগল, গরু, হাঁস মুরগি ইত্যাদি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী ভাই একদম ঠিক। তবে ব্যপারটা অতটা গভীরভাবে জানা ছিল না, কিন্তু এখন বুঝি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

নজসু বলেছেন:



আমি একটি ভেড়াকেও পোষ মানতে দেখেছি ভাই।
ওকে মেরী বলে ডাকলে ছুটে আসতো।
চা, পান খেতো। মানুষকে সালাম দিতো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

নয়া পাঠক বলেছেন: জ্বী সুজন ভাই, ভেড়া, ছাগল, গরু, কুকুর, বেড়াল, এমনকি হাঁস মুরগীও মানুষের ভাষা বোঝে এবং এদের পোষ মানিয়ে নেওয়াও অনেক সহজ। ছোটবেলায় ছাগল পুষতাম, বেটা আমাদের সঙ্গে যে পরিমাণ ফাজলামো করত।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

আখেনাটেন বলেছেন: বিড়াল আদুরে প্রাণী।

ভূমধ্যসাগরের পাড়ের দেশগুলোতে প্রচুর বিড়াল দেখা যায় রাস্তা ঘাটে। যেমনটা আমাদের দেশে নেড়ি কুকুর দেখা যায়।

ভালো লাগল লেখা ব্লগার নয়া পাঠক।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

নয়া পাঠক বলেছেন: ভালো লাগল জেনে আমারও অনেক ভালো লাগল জনাব আখেনাটেন। আপনার মিশরে তো বেড়াল একটা শুভ ও ঐতিহাসিক প্রাণী। এটা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে মনে হয়। মাঝে মাঝে বেড়ালের বাচ্চার আদরে অতিষ্ট হয়ে যাই, আমার সারা দেহে তার আদরের ছাপ স্পষ্ট বা অস্পষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.