নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চেষ্টা করি নতুন কিছু শেখার, ভালো কিছু করার, আর নিজে যা জানি তা অন্যকে উদারভাবে শেখানোর যদি কেউ শিখতে চায়।

নয়া পাঠক

আমি এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবন, যে সর্বদা কিছু শিখতে উদগ্রীব, চষে বেড়াই চারপাশে, নতুন কি কি আছে!

নয়া পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিশনঃ ২০২৫-২০৩০: একটি সম্ভাবনার প্রত্যাশা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭



স্বপ্ন ১ঃ এমনটা কি শুধু স্বপ্নই হবে, বাস্তব হতে পারে যদি আমরা সবাই এমনটা চাই।


২০২৪ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার দেশের ছাত্র-জনতার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। রাজপথে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, এবং হরতাল যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচার বিভাগের উপর রাজনৈতিক প্রভাব দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছে।


২০২৫ সালে (অনুমিত) এক যুব আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। শিক্ষিত তরুণ সমাজ রাজপথে নেমে আসে, দাবি তোলে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুশাসন এবং স্বচ্ছ নির্বাচন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সাহসী এক তরুণী, যার নাম .......। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।


আন্দোলনের চাপের মুখে ২০২৫ সালে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। নুতন গণজাগরণের হিরো এবং তার সহযোদ্ধারা নির্বাচনে অংশ নেয় এবং বিপুল জনসমর্থন পেয়ে বিজয়ী হয়। নতুন সরকার গঠিত হয় এবং দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেয়।


নতুন সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়, এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। শিক্ষাব্যবস্থায় আসে সংস্কার, যেখানে নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা দেওয়া হয়।


রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ফলে দেশে আসে বিদেশী বিনিয়োগ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় দ্রুতগতিতে। কৃষি, শিল্প, এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আসে বিপ্লব। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগী মনোভাবের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (SME) বিকাশ হয়। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্যের হার কমে যায়।


২০৪০ সালে বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, এবং সুশাসনের ফলে মানুষের জীবনমান উন্নত হয়। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে দেশপ্রেম ও একতা বৃদ্ধি পায়। গণজাগরণের উদ্যোগীগণ এবং তাদের সহযোদ্ধাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলে।

এই গল্পটি বাস্তবতায় পরিণত করার জন্য আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে এবং গণতন্ত্র ও সুশাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। একসাথে আমরা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি

স্বপ্ন ২ঃ এমনটা কি শুধু স্বপ্নই হবে, বাস্তব হতে পারে যদি আমরা সবাই এমনটা চাই।

২০৩০ সালের বাংলাদেশ: এক সুন্দর আগামীর গল্প

২০৩০ সালের একটি উজ্জ্বল সকাল। ঢাকার আকাশে সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের অগ্রগতির ফলে শহরটি পুরোপুরি বদলে গেছে। বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিস্টেম এবং সবুজ ছাদের আধিক্য শহরটিকে পরিবেশবান্ধব করেছে।


বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে বিপ্লব। শিক্ষার্থীরা এখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এবং এআই-চালিত শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিখছে। প্রত্যন্ত এলাকায়ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে, ফলে সব ধরনের শিক্ষাসেবা পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের গবেষকরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছে।


কৃষিতে এসেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। ড্রোন এবং আইওটি-চালিত সিস্টেম ব্যবহার করে কৃষকরা জমির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছে, ফসলের যত্ন নিচ্ছে। জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফসলের সাহায্যে উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ। খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসেছে বহুমুখী পরিবর্তন। গার্মেন্টস শিল্পের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি, জ্বালানি, এবং সেবা খাতেও এসেছে ব্যাপক বিনিয়োগ। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগের (SME) বিকাশের ফলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশের মানুষ এখন বৈশ্বিক বাজারের সাথে সংযুক্ত।


বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে সফলভাবে মোকাবিলা করছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচ্ছে। বন্যা প্রতিরোধের জন্য উঁচু রাস্তা এবং জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।


২০৩০ সালে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ, প্রযুক্তি নির্ভর, এবং পরিবেশ বান্ধব দেশ। মানুষের জীবনমান বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, এবং পরিবেশের সমন্বয়ে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

এই গল্পটি বাস্তবতায় পরিণত হওয়ার জন্য, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, দৃষ্টিভঙ্গি, এবং উদ্ভাবনী মানসিকতা প্রয়োজন। একসাথে আমরা বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি।


ছবিসূত্র: Click This Link

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



অনেক অনেক দুরে ১টি দেশ ছিলো, সেখানে ১ জন লোক বাস করেন; আমরা সেই দেশে চলে যাবো

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

নয়া পাঠক বলেছেন: শ্রদ্ধেয় সোনাগাজী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম সাহেব! আপনি তো অলরেডি অনেক অনেক দূরের একটি দেশে চলে গিয়েছেন। তা সে সোনার দেশ ছেড়ে আর কোথায় যেতে চাচ্ছেন জনাব?

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: কল্পনা করতে ভালই লাগে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১২

নয়া পাঠক বলেছেন: কল্পনা করতে পারি বলেই তো আমরা মানুষ, নইলে কাউয়া (কাক) আর মানুষের মধ্যে তফাৎ কি থাকত?

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এই ২০২৪ এই এসপার-ওসপার হয়ে যাবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৪

নয়া পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ ভুম ভাইয়া! ২০২৪ সালে হবে কি না জানি না, কারণ ক্ষমতাসীনদের কিছু দোসর এত অন্যায় অপকর্ম সত্বেও তাদের সাপোর্টে গান গেয়ে যাচ্ছে দেখছেন না।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

আদিত্য ০১ বলেছেন: আমি বলে দিলাম দেইখেন, যে নতুন আসবে সেও ২/৩ বছর পর নিজের আখের গুছাবে, সেও দূর্নীতিগ্রস্ত হবে।

কারন পুরু সিস্টেমটাই দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। আন্দোলনের স্লোগানে যে এত সুন্দর কথা শুনছি, এগুলা এত রাতারাতি হবে না, আস্তে করতে হবে সেইজন্য দুর্নীতি নির্মুল করার দরকার আস্তে আস্তে। রাতারাতি সরকার চেঞ্জ করা যায় কিন্তু দুর্নীতি একটা ব্যাধি এটাকে আস্তে আস্তে নির্মুল করতে হবে, না করলে নতুন সরকারও ২/৩ বছর পর এমনই হবে, কিছুই হবে না

আমি চাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ, আমি সরকারের কাছে কোন টাকা চাইনা, আমি আমার নিজের ঘামে যা করবো সেটা যেন দূর্নীতির বেড়াজালে আটকে জিম্মি না থাকি

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১০

নয়া পাঠক বলেছেন: সবার আগে বিচার বিভাগ স্বাধীন করে দিতে হবে, যেন কেউ অন্যায় করলে, বার দূর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারে। আর আমাদের সাধারণ জনগণকে একজোট থাকতে হবে। নতুন কেউ যদি আসে তবে অবশ্যই বিএনপি-জামাত বা এদের দোসরগণ নয়। এদের সবাইকে পরিহার করতে হবে। নতুন কোন বিকল্প খুঁজতে হবে আমাদের।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

আদিত্য ০১ বলেছেন: আমি আইটি প্রফেশনাল, আমি রেমিটেন্স দিয়ে এই দেশে অর্থনীতিতে অবদান রাখছি, কিন্তু দুর্নীতির অন্ধকারের আমার নিজের সৎ পরিশ্রমে অর্জিত টাকা যে কত উপায়ে অপচয় হচ্ছে। আমার এমনকি নানা সমস্যা তো আছেই, বাইরে দেশে যে পেমেন্ট গেইটওয়ে আছে, যেইগুলা ফিসিবল যেমন পেপাল, এইটা এই দেশে আনার জন্য সেই অনুকুল পরিবেশ নাই দুর্নীতির কারনে, আর ইন্টারনেট সমস্যা তো আছেই, এই যে কয় দিন বন্ধ থাকলো এই ক্ষতি যে কত যার কাধে পরিবারের দায়ীত্ব সে বুঝে

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৪

নয়া পাঠক বলেছেন: ভাইয়া এই দায়িত্বই তো আমাদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। এই দায়িত্ববোধের জন্যই তো আমরা অনেকেই সরাসরি আন্দোলনে নামতে ভয় পাচ্ছি। আর এই ভয় দেখিয়েই এতদিন স্বৈরাচাররা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে, দেশে অন্যায়ের বাজার বসিয়েছে। আর সবচে বড় কথা হল, তারা অন্যায় করতে করতে এমন একটা স্থানে পৌছে গেছে যে, তাদের কাছে অন্যায়কে আর অন্যায় বলে মনেই হয় না। তাদের ধারণা তারা যা করছে, তাই ঠিক। কেউ তাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে সত্য কথা বললেই সে বিরোধী বা রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে। আর নিশ্চয় অহংকার পতনের মূল।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: চিন্তা করবেন না, জামাত শিবির হেফাজত কে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

নয়া পাঠক বলেছেন: রানার ব্লগ ভাইয়া, অবশ্যই জামাত-শিবির, হেফাজত বা বিএনপি বর্জন করতে হবে।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: বাস্তবকে বাদ দিয়ে আকাশ কুসুম কল্পনা করতে থাকুন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩৬

নয়া পাঠক বলেছেন: জনাব ১৯৭১ সালে নিশ্চই কল্পনা থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। আর আজ দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচারের জন্য তরুণ প্রজন্ম আবার লড়াই করতে চাচ্ছে, তাতে আপনার ক্ষতি কি? যা পাচার করার তা তো নিয়েই গেছেন, আছেন তো মহাভালো, এবার এদেশের আপামর জনগণকে একটু ভাল থাকতে দিলে তো আপনার হাজার কোটির কোন কমতি হবে না।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

আদিত্য ০১ বলেছেন: @রানার ব্লগ বাহ! ভাই কি কালা ম্যাজিক বা পীর আউলিয়া, জামাত শিবির হেফাজত ক্ষমতা আসতে চাইলে ফু দিয়ে উডায়ে দিবেন। তা বিম্পির জন্য কি ফু দিবেন ক্ষমতায় বসার জন্য ?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৭

নয়া পাঠক বলেছেন: আদিত্য ০১ ভাইয়া, সকল পরিবার ভিত্তিক রাজনীতি পরিহার করতে হবে। দেশে এবার সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিতে হবে। যেন যেকোন অন্যায় বা দূর্নীতি ঘটলে তারা বিনা বাধায় ব্যবস্থা নিতে পারে।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: এরকম একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন আমারও ছিল। আমিও একটা গল্প লিখেছিলাম এরকম।

অনেক তো মার খেলাম, আশা করি এবার নতুন দিনের সূচনা হবে। আমাদের স্বপ্ন বাস্তব হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.