নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজাউন নাঈম

রেজাউন নাঈম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্র্যাজুয়েট স্কুলে আত্মহত্যা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩


প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদের জের ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেকগুলো আত্মহত্যা দেখেছি । পড়াশোনার ভালো ফলাফল না করতে পারায় আত্মহত্যা করার ব্যাপারটা তেমন ঘটেনি। এখানে এসে প্রথম শুনেছি আমেরিকার নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট পড়ার চাপ সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যা করে। ইমোরি, এমআইটি, হার্ভাড, ওহাইয়ো স্টেট, সব গুলো ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোনিয়া, ইউনির্ভার্সিটি অব পেনসেলভেনিয়া সহ অসংখ্য আরো নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল সেমিষ্টারে হর হামেশাই গ্র্যাড স্টুডেন্টের আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা হয়ে থাকে। পার্ডু ইউনিভার্সিটিতে শেষ ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় সেমিষ্টারে ২-১ জন করে হতো । এর পর থেকে ছাত্রদের ডিপ্রেশন কমাতে center for Healthy Living নামক একটি হতাশা নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতি সেমিষ্টারের মাঝামাঝিতে যখন মিড সেমিষ্টার পরীক্ষার গ্রেড হাতে আসে, ঠিক তখনই হতাশা কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু হয়। এই বছর নভেম্বরে ফাইনালের আগে ৪ জন আর মিড-সেমিষ্টারের দিকে আত্ম হত্যার চেষ্টা করে ১১ জন। তবে কেউ সফল হয় নি। আত্মহত্যার লক্ষণগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করে এই লক্ষন গুলো কারো মধ্যে পরিলক্ষিত হলে সহপাঠী, বা যে কেউ নিজেই হতাশা কাটাতে তাদের কাছে যেতে পারে। নভেম্বরের শুরুর দিকে পড়ার চাপ, পরীক্ষার চাপ, রিসার্চের চাপ, কোয়ালিটেটিভ পরীক্ষা সব নিয়ে যখন চোখে সষ্যা ফুল দেখছিলাম. তখন আমি ও গিয়েছিলাম হতাশা কাটাতে কাউকে না বলে , দেখি কেমনে এরা হতাশা কাটায়। ন্যান্সি কুক ছিলেন আমার কাউন্সিলর। ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা, ঘন্টা খানেকের গল্পে অসংখ্য প্রশ্ন করেছি।এত প্রশ্ন শুনে আমাকে বললেন তোমাকে তো হতাশ মনে হয় না। বললাম হতাশা নেই তবে সব নিয়ে খুব প্রেসারে আছি। আমাকে দিলেন তার ১০ টা টিপস:
পজিটিভ লোকের সাথে চলাফেরা করো, পরিবার, বন্ধুজনের সাথে যোগাযোগ রাখো, টিভিতে মজার শো গুলি দেখ, নিজের সমস্যা সম্পর্কে প্রফেসরের সাথে খোলাখোলি ভাবে কথা বলো, আমাদের থেকে যে কোন সাহায্য নাও। দুইদিন পর রিপোর্ট দিতে বললেন। আর রিপোর্ট করা হয় নি।
সব মিলে ৪-৫ বার আমাকেই ফোন দিলেন, বললাম চাপ এখনো কাটেনি, মজা করেই বললাম এখন আমি হতাশ, আমার হতাশ শুনে মনো হলো খুব চিন্তিত হয়ে গেলেন, তারপর ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে ডিনারের ইনভাইট করলেন, গিয়ে দেখি ২৮ জন হতাশদের আশার বাণী শুনাচ্ছেন। এই তামাশা দেখে আমার হতাশা শেষ। এই ভাবে ২৮ জনকে সপ্তাহ খানেকের ফলোআপে রেখেছেন প্রায় ৮ জন অভিজ্ঞ লোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.