নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের ভেতর জমতে থাকা বিক্ষিপ্ত ভাবনাগুলো জট পাকিয়ে যাবার হাত থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হচ্ছে কোথাও তা গুছিয়ে লিখে ফেলা

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথচলা

১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

রাস্তায় চলাফেরা করা হচ্ছে একটা আর্ট। সবাই রাস্তায় গর্ব ভরে কনফিডেন্টলি চলাফেরা করতে পারে না। কিছু মানুষের জন্য রাস্তায় চলা বিরাট চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তার মদ্ধ্যে আমি অন্যতম। আমার রাস্তায় চলাই হচ্ছে কুফা। পথ চলতে চলতে প্রতিটি পদক্ষেপে ওত পেতে থাকে নানা এমবেরেসিং ইলিমেন্ট। যেমনঃ

আমার হয়ত কোথাও তাড়াতাড়ি পৌছানোর তাড়া তাই দ্রুত হাটা প্রয়োজন তখনই হটাত সামনে এমন একজন হাটতে থাকবে যার সাথে দেখা হয়ে যাওয়াটা আমি এড়াতে চাচ্ছি তাই দুরত্ব বজায় রেখে পিছন পিছন চলতে হচ্ছে কিন্তু সেই লোকটা কচ্ছপের চেয়েও আস্তে হাটছে। তখন আমি পারতেছিনা শালার পাছায় আগুন দিয়ে রকেট বানাতে। কিছু মানুষ অতি আস্তে হাটার বিরল প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহন করে।

রাস্তার ডিভাইডারের সংকীর্ন ফাক দিয়ে যখন রাস্তা পার হতে যাই তখন পিছনে কুমিল্লার বংশোদ্ভুত এক লোক পাছায় খোচাতে থাকবে, “ অই মিয়া তারাতারি দৌড় দেন না, কইলজা এত ছোট কেন, হাত দেখান, গাড়ী থাইমা যাইব”। তখন মন চায় হলারে ধইরা গাড়ির চাকার নিচে ফিক্কা মারি।

রাস্তায় চলছি, সামনে পাশ দিয়ে হয়ত কিছু মেয়ে ক্রস করছে, আমি যথাসম্ভব ভদ্র ইমেজ নিয়ে চলতে চাচ্ছি, তখনই কোথেকে একটা মাছি এসে আমার চোখে পরে একটা চোখ বন্ধ করে দেয়। মেয়েগুলো হয়ত মনেই করে বসে আমি তাদের চোখ মারছি।

কোনো মেয়ের উপর হয়ত আমার ক্রাশ আছে, তার সামনে দিয়ে যথাসম্ভব স্মার্টনেস এবং ভাব বজায় রেখে হাটা শূরু করলাম তখন ভগবান উপর থেকে নেমে এসে নিজ হাতে আমার পায়ের সামনে একটা ইটের টুকরা রেখে দেন যার উপর আমি উস্টা খাই। তখন প্রানপনে পতন ঠেকাতেই ব্যাস্ত হয়ে পড়তে হয়।

গুরুত্বপুর্ন লোকেদের সাথে রাস্তায় তখনই দেখা হয় যখন গা থেকে পাঁঠার মত ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে। গুরুত্বপুর্ন লোকদের সাথে কথা বলার সময়ই একটা মাছি এসে বার বার আমার নাকে বসে।

কিছু মুরুব্বি লোক কি খবর বাবা বলে রাস্তার এমন এক জায়গায় থামায় তখন কোনো এক গরু তার রিকশা কিম্বা সি এন জি ব্যাক এ দিতে দিতে আমার পাছায় ঠেকয়া দেয়। তখন মুরুব্বি লোকটি বলে বাবা তুমি এত চিন্তিত কেন?

শুভ কজে শুভ দিন দেখে বের হয়েছি, অভিজাত এলাকার রাস্তা দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে হেটে চলছি তখনি ইয়া মোটা ডায়াবেটীস, ব্লাড প্রেশার এবং হাইপারটেনশনের রোগী তার কালো টাকায় কেনা দুহাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ সহ দড়াম করে আমার সামনেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

পৃথীবির সর্বাপেক্ষা বিরক্তিকর লোকটি আমাকে তখনি ফোন করবে যখন আমি রাস্তা পার হচ্ছি, কিম্বা বাস থেকে নামছি অথবা ভিড়ের মধ্যে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছি কিম্বা আমার দু হাত কোনোটিই ফাকা নেই।

নির্জন রাস্তা দিয়ে হাটছি আর হয়ত পুরোনো কোনও স্মৃতি মনে পড়ায় মুচকি হেসেছি। পরদিন অফিসের ফাজিল, তেলবাজ, ধুরন্ধর লোকটি বলবে, “স্যার আপনি গতকাল রাস্তায় একা একা হাসছিলেন কেন?” কিম্বা হয়ত একদিন রাস্তার পাশের সস্তা দামের বিরিয়ানি খেয়েছি, এই ছাগলটাই কোথেকে এসে বিল দিয়ে দেবে এবং বলবে আমার বাসায় আপনার বিরানি খাওয়ার দাওয়াত। এর পর অফিসে আমার গম্ভীর ইমেজ তো রাখা যায়ই না বসিং করতে গেলেও কমেডি হয়ে যায়। শালার কিছু লোকের মনে হয় বাড়ীত কোনো কাম নাই খালি রাস্তায় রাস্তায় থাকে তামাশা দেখতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.