![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পশ্চিমের দাদা দিদিরা যতই ২০০% শুদ্ধ বাংলায় বলুক "খেয়ে এসেছেন নাকি যেয়ে খাবেন?" কিম্বা " পুরো মিষ্টিটাই খেয়ে যেতে হবে কিন্তু বউদি" এদের বাংলায় আমি কখনই মুগ্ধ হইনা। বরং এদের পাছায় বাঁশবাগানের পুরোটাই ভরে দেওয়ার ইচ্ছা কোনোভাবেই দমাতে পারিনা। যখন টকশোতে দুই বুদ্ধিজীবি প্রমিত বাংলায় একই সাথে ভগর ভগর করতে থাকে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তর্কে জয়ী হয় উপস্থাপিকা তখন মুঞ্চায় তিনোডারে একলগে পানিত চুবাই। ভালো লাগে ময়মনসিংহ গীতিকার ভাষা। মজা লাগে হুমায়ুন আহমেদ কিম্বা জাফর ইকবাল স্যারের আঞ্চলিক টানের কথাবার্তা। শুনতে ভালো লাগে যখন দিল খোলা ঢাকাইয়া কুট্টিরা বলে "আব্বে হালায় কচ কি" অথবা "আব্বে ও হমুন্দির পো"। র বিহীন রংপুরের ভাষাও ভালো লাগে। ভালো লাগে তালব্য শ যুক্ত রাজশাহীর ভাষা, যেমন" শার কেমুন আশেন" ,"কি বুইলশেন", "পাইশতে পারশি না যে", "যবের ব্যাপার"," ফাপর লিচ্ছেন?"। কিশোরগঞ্জের কেউ যখন বলে "খাচ্চর ব্যাডাঈন! কইছিলেন দু# টিপবাইন, অহন আবার মু#নের জায়গায় হাত দিছুইন" সেটাও শ্রুতিমধুর। নোয়াখাইল্লা ভাষা একসময় কৌতুকের বিষয়বস্তু ছিল কিন্তু এখন বিরক্তিকর, কারন মাটির দুই হাত খুড়লেই এদের ফসিল সর্বত্র পাওয়া যায়। সিলেটী পুরিদের মুখের ভাষাও দারুন। চিটাগাইঙ্গা লোকজন যখন হোটেলে গিয়ে বলে " উগগো ফরোটা ওদ্দে উগগো চা দ" শুনতে বেশ লাগে। আর এরা যখন স্বাভাবিক কথাবার্তার মধ্যেও অবলীলায় "চো#নির ফোয়া" কথাটা ইউজ করে শুনতে খারাপ লাগে না। চিটাগাইঙ্গা লোকজন যতক্ষন খাটি চিটাগাইঙ্গা ভাষায় কথা বলে ততক্ষন ঠিক আছে কিন্তু যখন এরা খাঁটি চুদ্দ বাঁষায় কতা বুলার ছেস্টা গরে তকন মুঞ্চায় থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে থাপড়াইতে............পুরো স্ট্যাটাসে থাপড়ানো শেষ হবে না।
যখন এই লেখা লেখতেছি তখন আমি চট্টগ্রামে, তাই হেলমেট আর সেইফগার্ড পইরা লেখাটা লিখতে হল।
©somewhere in net ltd.