নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের ভেতর জমতে থাকা বিক্ষিপ্ত ভাবনাগুলো জট পাকিয়ে যাবার হাত থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হচ্ছে কোথাও তা গুছিয়ে লিখে ফেলা

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্নোগ্রাফি মুক্ত বাংলাদেশ চাই

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

# কেস স্টাডি ১
পাড়ার অবস্থাসম্পন্ন প্রভাবশালী রহিম শেখের ছেলে বদরুলকে পড়াশোনা বেশিদুর করান গেল না। তার বাউন্ডুলে স্বভাব আর চায়ের দোকানে আড্ডাবাজির কারনে এসএসসিতেও পাশ হলনা। তাই তাকে বিভিন্ন কারিগরি ভোকেশনাল ট্রেনিং করিয়ে দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হল। সেখানেও দু বছরের বেশি টিকলো না সে। বাঙ্গালী জাত বলে কথা, তাই সভ্য দেশে গিয়ে যে নিজের স্বভাব একটু পাল্টাতে হয় সেটাও তার কমন সেন্সে আসে নি। তাই দুই বছর নানা ঝামেলায় জড়িয়ে বাঙ্গালী জাতির গুষ্টি সহ বদনাম করে দিয়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হল। আর উপায়ন্তর না দেখে সে পাড়ার এক কোনে একটি মোবাইল মেরামত কাম ফ্লেক্সি লোডের দোকান খুলে বসলো। দুবাই ফেরত কোমোরের নিচে রংচঙে জিন্সের প্যান্ট, লাল শার্ট, গলায় চেইন, হাতে ব্রেসলেট, মূরগী স্টাইলের হেয়ারকাট, কানে দুল বদরুল এখন দোকানে বসে। এই দোকানে ফ্লেক্সিলোড হয়, মোবাইল মেরামত হয়, মোবাইল ফ্লাস করা হয়, লক খোলা হয়, সফটওয়ার ইন্সটল হয়, সিম কার্ড, ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন সহ বিভিন্ন একসেসরিজ পাওয়া যায়। সেই সাথে গান রিং টোন ইত্যাদি লোড করা যায়। লাস্ট বাট নট দা লিস্ট আরও একটি গোপন জিনিস লোড দেওয়া হয় যা পাড়ার একমাত্র স্কুল কলেজগামী উঠতি কিশোররাই জানে। লেটেস্ট বিভিন্ন দেশি সেক্স স্ক্যান্ডেলের ভিডিও এখানে পাওয়া যায়।
দোকানে পাড়ার ছেলে মেয়ে সবাই মোবাইল রিচার্জ করতে আসে। স্কুল কলেজের অনেক ছাত্র আসে, গান লোড করে আর ইশারায় বলে দেয় লেটেস্ট কিছু থাকলে দিয়েন। বন্ধুরা আসে আড্ডা দিতে। বদরুলের ঘনিষ্ট বন্ধু পারভেজ প্রায়ই দোকানের ভেতর বদরুলের পাশের চেয়ারটিতে বসে থাকে । বদরুল দোকান খোলা রেখে কোথাও গেলে পারভেজ মাঝে মাঝে প্রক্সি দেয়। পারভেজ আবার দেখতে শুনতে ভালো। পাড়ার প্লেবয় হিসেবে নামডাক আছে পারভেজের। পড়াশোনায় ভালো না হলেও খাড়া সোনা নিয়ে মেয়েদের পেছনে ঘুরে বেড়াতে সে বেশ পারদর্শী। তার দোকানে আসার মুল উদ্যেশ্য হচ্ছে ফ্লেক্সিলোড করতে আসা মেয়েদের নাম্বার কালেক্ট করা।
-- দোস্ত তোর কাছে তো মেয়েদের নাম্বারের গোডাউন। আমারে একটা নাম্বার দে না, লাইন মারি
- নাম্বার লাগব তোর? আছে ঝাক্কাস একটা মাইয়া আছে। আগে বল কি খাওয়াবি।
এভাবে পাড়ার সুন্দরী মেয়েটির মোবাইল নাম্বার বদরুলের বন্ধু পারভেজের হাতে চলে যায়। বাকিটা ইতিহাস। মধুর বচনে সিডাকশনে অতিপটু পারভেজ মেয়েটিকে হিপনোটাইজ করে ফেলে। দুজনের মোবাইলে আলাপচারিতায় জল অনেক দূর গড়ানোর পর সেই মেয়েটি এখন বদরুলের দোকানে আসে IMO ইন্সটল করার জন্য। মেয়েটির সাথে পারভেজের এখন IMO তে ভিডিও চ্যাট হয়, সেক্স চ্যাট। বখাটে পারভেজ তাদের সেক্স চ্যাট রেকর্ড করে রাখে। সেই ভিডিও এখন লেটেস্ট স্ক্যান্ডেল হিসেবে বদরুলের দোকান থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে পাড়ার কিশোরদের মোবাইলে। কয়দিন পর সেটি এক পর্ন সাইটেও স্থান পায়।


# কেস স্টাডি২
ক্লাসে একদিন ম্যডাম এসে বললেন, দেখ আজ আমি পড়াতে পারব না, আমি প্রেগন্যাণ্ট তাই অসুস্থ, তোমরা দুষ্টামি কোরোনা। এবং ছাত্রদের একটি বিষয়ে রচনা লিখতে দিয়ে বললেন চুপচাপ বসে লেখ। ম্যাডামের কথা মত সব ছাত্রকেই অপাত দৃষ্টিতে মনে হলো যেন সবাই ম্যাডামের প্রতি সহানুভুতিতে সুবোধ বালকের মত শান্ত হয়ে রইল। কিন্তু ম্যাডাম জানতেও পারলেন না পেছনের বেঞ্চের কতিপয় ছাত্রদের মধ্যে কি কানাঘুষা চলছিল।
--এই দেখ তো ম্যাডামের কয় মাস চলে রে?
-দেখে মনে হচ্ছে ছয় মাস তো হবেই
--তার মানে বুঝছস তো, আজ থেকে ছয় মাস আগে এক রাতে ম্যাডামকে তার জামাই সেই রকম ঠেলা দিছে।
তারপর ক্লাসের পেছনের সারিতে চাপা একটা হাসির তরংগ বয়ে গেল।
সেদিন ক্লাসের অধিকাংশ ছাত্রই ম্যাডাম এবং তার হাজবেন্ডের সংগমের দৃশ্য কল্পনায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিল।

# কেস স্টাডি ৩
সেদিন স্কুলের পেছনের বেঞ্চে বসা যে ছেলেগুলো ম্যাডামকে নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করছিল তাদের একজন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যার হবি হচ্ছে হলের প্যাপার রুমে গিয়ে সমস্ত পত্রিকা হতে খুজে খুজে ধর্ষনের খবর গুলো পড়া। কারন তার মনে ধর্ষনের খবরগুলো এক অন্য ধরনের সুড়সুড়ি দেয়। মেগাজিন পেজের সুন্দরী মডেলদের পাশাপাশি সে ধর্ষনের খবরের অংশগুলো কেটে নিয়ে নিজের কাছে জমিয়ে রাখে। সেগুলো পরবর্তীতে তার কি কাজে লাগে তা আর ডিটেল নাই বা বললাম।

কেন কি এমন ছিল এই ধর্ষনের খবরগুলোতে? কেন এই খবরগুলো তাকে উত্তেজিত করে? তাহলে চলুন পত্রিকায় ধর্ষনের খবরের শৈল্পিক বর্ননার এক নমুনা দেখাই

" শিরোনামঃ বখাটে তরুনদের হাতে কিশোরী ধর্ষিত
অমুক জেলার অমুক থানার তমুক গ্রামের সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া সখিনা বেগমের সাথে এলাকার প্রভাবশালী মতলুব মিয়ার বখাটে ছেলে বদরুলের দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সেদিন ভোরে সখিনা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ীর বাইরে গেলে বদরুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে উপস্থিত বদরুলের আরো চার জন সহযোগী মিলে কিশোরীকে উপুর্যুপরি ধর্ষন করে। কিশোরীর আর্ত চিৎকারে সেখানে এলাকা বাসীরা উপস্থিত হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। তাকে অচেতন অবস্থায় অমুক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিশোরির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং ধর্ষনের আলামত নিশ্চিত হয়।"

এখানে সংবাদ মাধ্যম ধর্ষনের দুর্ধর্ষ রগরগে বর্ননা দিয়ে ভিকটিমকে আরেকবার ধর্ষন করা হল। বাংলা সাহিত্যে এই "প্রলোভন", "ফুসলানো ", "উপুর্যুপরি" খুবই বাজে কতগুলো শব্দ। মাঝে মাঝে আমার বাংলা ভাষার প্রতি প্রচন্ড রাগ হয়। প্রলোভন মানে কি? বিয়ে কি এতই লোভনীয় বিষয়? বিয়ের লোভ দেখানো কি বাচ্চাদের ললিপপ খাওয়ার লোভ দেখানোর মতই? ফুসলানো শব্দের অর্থ কি? ভিকটটিম কি বিয়ের লোভে লোভাতুর হয়ে উত্তেজনায় ফোঁস ফোস করতেছিল?
একজন সাইকো যে কিনা চটি বই পড়ে সেক্স সম্প্ররকে জ্ঞান লাভ করে এবং ধর্ষনের খবর পড়ে যৌন সুড়সুড়ি অনুভব করে সে এই সমস্ত শব্দ থেকেই বিকারগ্রস্ত হয়।

শুনতে কি আজিব লাগছে? এবং এইটাই সত্য। এতক্ষন যেসব কেস বললাম সবই হচ্ছে পর্নোগ্রাফির ইফেক্ট। যে ছেলে চটি বই এবং পর্ন ভিডিও দেখে দেখে সাইকো হয়ে গেছে সে সেক্সুয়াল যে কোনো শব্দ থেকেই উত্তেজিত হয়। যোনী, বীর্য এই জাতীয় শব্দগুলো, জীববিজ্ঞান বই এর সেক্স ক্রোমোজম এবং শুক্রানু ডিম্বানু ইত্যাদির নিষেক সম্পর্কিত বর্ননা তার কল্পনায় শেষ পর্যন্ত রগরগে অশ্লীল চিন্তাতেই পর্যবসিত হয়। তারা মেয়েদের সম্মানের চোখে দেখার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে ফেলে। পোশাকের ভেতর দিয়ে সে মানুষকে নগ্ন দেখে। নাটক সিনেমা দেখে যেমন এখনকার তরুনদের শর্ট ফিল্ম নির্মানের প্রবনতা বাড়ছে তেমনই পর্ন ভিডিও দেখে প্রেমিক প্রেমিকা তাদের দৈহিক সীমা লংঘনের মুহুর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার প্রবনতা ইদানিং প্রকট আকার ধারন করছে। তাদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়, জ্ঞ্যাতে বা অজ্ঞাতে তাদের ভিডিওগুলোও পর্নসাইটে স্থান করে নিচ্ছে।

পাঠ্যবই এ যৌন শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রন না করে যৌন শিক্ষার এই অন্তর্ভুক্তি শিশু কিশোরদের নৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে কতটুকু ফলপ্রসু। যৌনতা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। বয়সন্ধির বিপজ্জনক সময়ে যৌনতা সম্পর্কিত প্রাথমিক জ্ঞান এবং শারিরিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা যে কারো দেহ মনে পুলক জাগ্রত করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এই সময়ে একাডেমিকালি যৌন শিক্ষা এমনভাবে দিতে হবে যেন সেই সাথে বিপরীত লিংগের প্রতি সম্মান, সংযম এবং নৈতিকতার শিক্ষাও জোরালোভাবে স্থান পায়। এটা খুবই কঠিন ব্যাপার। এ জন্য শিক্ষকদেরও কার্যকর প্রশিক্ষন নেওয়া জরুরি।
ভুলভাবে প্রাপ্ত যৌন শিক্ষা এবং পর্নোগ্রাফি কিশোরদের হস্তমৈথুনের অভ্যাসের দিকে ঠেলে দেয়। পর্নগ্রাফিক সাইট বন্ধ না করে যতই যৌন শিক্ষা দেওয়া হোক না কেন, যৌন অপরাধ, নারী ও শিশু নির্যাতন, এবং হস্তমৈথুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা তরুন সমাজের বড় একটি অংশকে সাস্থ্যহানী এবং ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটা একটা ড্রাগের মত জটিল অভ্যাসে পরিনত হয়। ডিপ্রেশন কাটাতে অনেকেই হস্তমৈথুনের আশ্রয় নেয়, এবং এই অভ্যাস এক দীর্ঘমেয়াদী ডেপ্রেশনের দিকেই ঠেলে দেয়। এক সময় পর্ন ভিডিও এক অপরিহার্য বদ অভ্যাসে পরিনত হয়। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, আমেরিকা পাড়ি দিয়ে এশিয়া মহাদেশ হয়ে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে আরেকটি ভয়ানক কালো বিষবাষ্প তা হচ্ছে Incest এ সম্পর্কে আর বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছা হচ্ছে না। এই incest এবং শিশু পর্নগ্রাফির থাবা যখন বাংলাদেশের উপর পড়বে তখন সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না।

সরকার পর্ন সাইট বন্ধ করার জন্য যে উদ্যেগ নিয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। হয়ত পুরো পুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না কারন এ সাইট গুলোর পরিমান অনেক বেশি। যেসব দেশে কোটি কোটি ডলারের পর্ন ব্যাবসা হয় সেখানেও কিছু নিয়ম কানুন এবং আইন আছে। ইন্টারপোল এবং এফবি আই এর কড়া নিয়ন্ত্রনের কারনেই এখনো পর্যন্ত ইন্টারনেটে শিশু পর্নগ্রাফি দেখা যায় না। কিন্তু এমন একসময় আসবে যখন শিশু পর্নগ্রাফিও অবাধে সাইটে পাওয়া যাবে। এ থেকে বোঝা যায় চাইলেই কিন্তু ১০০ শতাংশ ফিল্টার করা সম্ভব। কিন্তু অন্তত পক্ষে ৭০ শাতাংশও যদি নিয়ন্ত্রনে আনা যায় সেটিও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।
আমি জানি দেশের তরুন সমাজের বড় একটা অংশ এতে অসন্তুষ্ট হবে, কারন দির্ঘদিনের অভ্যাস এমন একটা জিনিস যা পরিবর্তন করতে প্রথমে একটু কষ্ট হবে কিন্তু যা নেই তার প্রয়োজনীয়তাও এক সময় অনুভব হবে না। দেশে হিন্দি সিনেমা, হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা আছে কারন এর অবাধ অনুপ্রবেশ। আমাদের চার পাশে ভারতের পরিবর্তে যদি চিন দিয়ে ঘেরা থাকত তাহলে আমার হিন্দি গানের পরিবর্তে চৈনিক সংগীতেই আসক্ত হতাম। আউট অব সাইট আউট অব মাইন্ড বলতে একটা ব্যাপার আছে। কিছু কিছু জিনিস না হলেও মানুষের চলে যায়।
আমাদের বাসায় টিভি ছিল না কোনোদিন, কারন আমার বাবা ধার্মিক মানুষ ছিলেন। এ জন্য ছোটকালে মনে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও পরে বুঝেছি, টিভি ছিল না বলেই আমি আমার শৈশব একজন প্রকৃত শিশুর মত করেই কাটিয়েছি। টিভির কন্ডমের বিজ্ঞাপন আমার মনকে কলুষিত করতে পারে নি।
তাই দেশে পর্নগ্রাফি বন্ধ হয়ে গেলে সুস্থ বিনোদনের অনেক পন্থা অবশ্যই বের হবে। এ জন্য মন খারাপ করার কিছু নেই। শুধু দাতে দাত চেপে কিছুদিন সহ্য করে গেলেই হবে।

এ জন্য সবাইকে ইতিবাচক দৃষ্টিভংগি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
হ্যা তারানা আপা, আমরা আছি আপনার পাশে। পর্নগ্রাফি বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে দিন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: পত্রপত্রিকায় ভাষার অপব্যবহার!
তাদের নিউজ লিখার ধরণ সত্যি এক বিধ্বংসী ধরণ!!

তারানা আপুর দীর্ঘায়ু কামনা করি।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: অভিভাবকদের দোষ সবচেয়ে বেশি। ক্লাস ফাইভে পড়া বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া কোন সুস্থ মানুষের কাজ না। অথচ এই অসুস্থ কাজটিই বাবা-মায়েরা করে যাচ্ছেন। আউটবই পড়ে, রাস্তার ছেলেদের সাথে খেলা করে যেন সন্তান 'নষ্ট' হয়ে না যায় সেজন্য সযত্নে তাদেরকে খেলাধুলা, গল্প-উপন্যাস থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। আগামী বিশ বছর পর আমরা একটা প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি যে প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এডাল্ট সাইট ঘাটতে গিয়ে নিজেদের বাবা মায়ের ভিডিও পেয়ে যাবে।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার বলেছেন । খারাপকে খারাপ বলা শিখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে । পর্ণ সাইট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ যুক্তিক । এতে তরুণ সমাজ তাদের নিজেদের ফিরে পাবে এবং মন মানসিকতায় ভাবনার সুযোগ আসবে ভালো কিছু করার ।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

আহলান বলেছেন: বাস্তবিকই লিখেছেন ... কিন্তু এই নাগপাশ থেকে মুক্তি মিলবে তখনই যখন আইনের সঠিক প্রয়োগ হবে। উপরে যে চরিত্রগুলো একেছেন তারা যদি দ্রুত তাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করত, তবে অপরাধ এতো বিস্তার করত না ... আইনের শাসন না থাকলে, সঠিক প্রয়োগ না থাকলে সমাজ পরিবার রাষ্ট্র সবই উচ্ছন্নে যায় ....

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। পর্ন সাইট বন্ধ করতে সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: হতাশার কথা হচ্ছে আমাদের সবার প্রানের প্রিয় সাইট যে youtube সেখানেও ইদানিং চটি বই এর ভিডিও ভার্সনগুলো আপ্লোড হচ্ছে। পুরোপুরি নগ্নতা না থাকায় এগুলো ব্যান করা হচ্ছে না। কিন্তু এগুলো যে মেসেজ দিচ্ছে তা ভয়ানক

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেছেন: যৌক্তিক বলেছেন।।পর্ণ সাইট গুলো চিরতরে মুছে দিতে হবে,,তবেই সুস্থ মানবিক বিকাশ সম্ভব।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

শোভন১ বলেছেন: পর্ণ দেখার প্রথম কারন হলো কৌতুহল, আমরা এগুলো দেখে কৌতুহল মিটিয়ে ফেলেছি, এখন আমরা পর্ণ সাইট বন্ধ করতে হবে বলে দাবি করতে পারি। পর্ণ দেখার আগে থেকেই কিন্তু জানতাম ব্যাপারটা খুবই খারাপ, তবে তাই বলে সেটা দেখবোনা এমন সিদ্ধান্ত কিন্তু আমরা কেউই নেইনি। আবার এখন আমাদের ছোট ভাই-বোন কিংবা সন্তানেরা পর্ণ দেখুক সেটাও কিন্তু আমরা কেউই চাইনা। বিষয়টা একটা সাইকেলের মধ্যে পড়ে গেছে। আমার কাছে মনে হয় একটা ছেলে বা মেয়ের ভালো থাকা না থাকা কিংবা মেয়েদের সম্মান করতে শেখার বিষয়টা খুব একটা পর্ণ দেখার উপর নির্ভর করেনা। এখানে অন্য কিছু আছে। বিকৃতি শুধু পর্ণ দেখা থেকেই আসেনা। দ্বিতীয়ত ধর্ষন, মাদক, সিগারেট, অশ্লিল বই, কোন কিছুই কিন্তু পৃথিবী থেকে বিদায় করা যায়নি; ধরে নেয়া যেতে পারে পর্ণ সাইটও আসলে বন্ধ করা সম্ভব না কোন ভাবেই। কাজেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে এগুলোর মাঝেই ভালো থাকার উপায়গুলো জানানোর চেস্টা করা দরকার।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: পর্ণোগ্রাফীর মতো মানোবতা বিনষ্টকারি সাইট যত ধ্রুত সম্ভব বন্ধ করা প্রোয়জন। অপরাধ বিস্তারে এর ভূমিকা অনস্বিকার্য। যে কোন অশ্লিল জিনিষই মানুষের মনুষত্বকে খর্ব করে। অবশ্যই বাংলাদেশে পর্ন সাইট বন্ধ করতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। কৌতুহল আর আসক্তি এক জিনিষ নয়। কৌতুহল মিটানো দিয়ে কোটি কোটি ডলারের বানিজ্য হয় না, হাজার হাজার মেয়ে অভিনয়ের জন্য পশুর মত ব্যাবহারিত হয় না। মাএ বারো তেরো বছরের একটা বালক শুধুমাএ পর্ণোদেখার কারনেই তারই সহপাঠিকে ধর্ষন করার কথা কল্পনায় আনতে পারে। পর্ণোগ্রাফীর মত জঘন্য একটা বিষয়কে কোন যুক্তি দিয়েই যায়েয করে ফেলার চেষ্টা করা উচিত নয়,যদি তার মধ্যে মনুষত্য বলে কিছু থেকে থাকে।

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

গোফরান চ.বি বলেছেন: আমাদের বাসায় টিভি ছিল না কোনোদিন, কারন আমার বাবা ধার্মিক মানুষ ছিলেন। এ জন্য ছোটকালে মনে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও পরে বুঝেছি, টিভি ছিল না বলেই আমি আমার শৈশব একজন প্রকৃত শিশুর মত করেই কাটিয়েছি। টিভির কন্ডমের বিজ্ঞাপন আমার মনকে কলুষিত করতে পারে নি।
তাই দেশে পর্নগ্রাফি বন্ধ হয়ে গেলে সুস্থ বিনোদনের অনেক পন্থা অবশ্যই বের হবে। এ জন্য মন খারাপ করার কিছু নেই। শুধু দাতে দাত চেপে কিছুদিন সহ্য করে গেলেই হবে।

এ জন্য সবাইকে ইতিবাচক দৃষ্টিভংগি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
হ্যা তারানা আপা, আমরা আছি আপনার পাশে। পর্নগ্রাফি বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে দিন।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

নতুন বলেছেন: পণ`গ্রাফী অবশ্যই নিয়ন্ত্রন করা উচিত। পাপ্ত বয়স্ক ছাড়া যেন কেউই এতে এক্সেস না পায়।

কিন্তু উপরে যত গুলি বিষয় আলোচনা হয়েছে তা কিন্তু পণ`গ্রাফীর জন্য হয়নি বরং হয়েছে আমাদের নিজেদের মাঝে নৈতিকতা কমে যাওয়া এবং ভন্ডামী বেড়ে যাওয়ার ফলে।

বাজারে ১০টাকা দিয়ে যেই মানুষটি এক্স রেটেট ভিডিও বিক্রি করে তিনি কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তিনি নীতিহীন। বাচ্চারা কৌতুহলের বসে এই সব কিছু দেখতে চাইবে কিন্তু আমরা বড়রা টাকারর জন্য সবকিছু বাচ্চাদের কাছে বিক্রি করতে পারিনা।

অনেকেই জানেন কি্তু সমাজ এটা প্রতিরোধ করেনা সেটাও একরকমের ভন্ডামী....

আরেকটা জিনিস হলো আসলে নিষেধ করে কোন কিছুই আটকে রাখা যায়না। এইভাবে বন্ধ করলে ভিপিএন দিয়ে সবাই দেখবে।

দরকার শিক্ষা যাতে সবাই ভালো এবং মন্দটা বুঝতে পারে।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: "নতুন" ভাই আপনি আমতা আমতা করে কি বলতে চাচ্ছেন? এডাল্ট সাইট আপনার চাইই। প্রাপ্ত বয়স্করা পর্নো কেন দেখবে? আপনি কি জানেন শিশু ধর্ষনের ঘটনাগুলোর মুল কারন হচ্ছে পর্নোগ্রাফি?

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

নতুন বলেছেন: পাপ্ত বয়স্ক ছাড়া যেন কেউই এতে এক্সেস না পায়।


আমিতো আমতা আমতা করে বলিনাই। সরাসরিই বলেছি ।

ভাই এটা বন্ধ হবেনা এবং সম্পূ`ন বন্ধ করা সম্ভবনা। বিশ্বের কোন দেশই এখনো করতে পারেনাই। কারন যৌনতা মানুষের একটা চাহিদা তাই এটা থাকবেই।

কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন প্রাপ্ত বয়স্করা পর্নো কেন দেখবে? তবে কি উত্তর দেব বুঝতে পারছিনা। :|

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: "নতুন" ভাই এগুলো পুরোপুরি বন্ধ হবে না তা সবাই জানে। আমরা চাচ্ছি এটাকে just let it go as it is হতে না দিয়ে continuous seek and ban process এর মাধ্যমে সংখ্যায় কমিয়ে আনা সেই সাথে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দমন।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালো লেখা। এমন লেখা পড়তে ভালো লাগে।

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

কালীদাস বলেছেন: ব্লগার নতুনের সাথে সহমত। আপনি আইন করে মানুষের মানসিকতা, রিপুকে কন্ট্রোল করতে পারবেন না। মানব মনের ইন্টারেস্টিং একটা জিনিষ হল, নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি তার আকর্ষণ আরও বেশি। সেটা সেই আদম-হাওয়া থেকেই। আপনাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে যে কিভাবে আগালে একজনকে এটার ফিজিকাল/মেন্টাল/সোশ্যাল ডিমেরিট বোঝান যায়।

সেকেন্ড পয়েন্ট হল টেকনোলজির কুব্যবহার। প্রোপার ইউটিলাইজেশন হচ্ছে না টেলিকম্যুনিকেশনের এবং ইন্টারনেটের, প্রায় পুরোটা ব্যান্ডইউডথ যায় ফেসবুকের পেছনে। প্রোডাক্টিভিটি কই?

এই ত্যাড়া ইয়াং জেনারেশন ভবিষ্যতে দেশের মহা সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াবে। এখনই পারিবারিক মূল্যবোধ, শাসন নতুনভাবে চালু করার দরকার সেই সাথে নৈতিকতার শিক্ষা এবং সুস্হ/স্বাভাবিক যৌন শিক্ষা।

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার উপরের কেস স্টাডি গুলা পর্নোগ্রাফি দায়ি না।
সামাজিক,মানবিক এবং নৈতিকতার অভাব ।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন করা জরুরী ।বন্ধ করা জুরুরী নয় ।আমাদের সবার
সামাজিক মূল্যবোধ,সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জাতি কে বোঝাতে হবে পর্নোগ্রাফি মানুষ কে ধংস করে দেয় ।

১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ;) ভালো লিখছেন এ বিষয় সকলকে এগিয়ে আছতে হবে ।

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২২

বুড়া মকবুল বলেছেন: একদমি একমত নই । মাইনাস দাগাইলাম ।
প্রশ্ন ১- আপনার বর্ণিত ঘটনাগুলার উৎস কি ?

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: মানুষের মেন্টাল চেঞ্জ দরকার আগে।

লেখায় +++++

অবশ্যই এটি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

শোভন১ বলেছেন: @নীল_অপরাজিতা এবং পোস্ট লেখকের জন্য একটি লিঙ্ক:
http://bangla.bdnews24.com/probash/article1257376.bdnews

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

বুড়া মকবুল বলেছেন: "আমাদের বাসায় টিভি ছিল না কোনোদিন, কারন আমার বাবা ধার্মিক মানুষ ছিলেন। এ জন্য ছোটকালে মনে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও পরে বুঝেছি, টিভি ছিল না বলেই আমি আমার শৈশব একজন প্রকৃত শিশুর মত করেই কাটিয়েছি। টিভির কন্ডমের বিজ্ঞাপন আমার মনকে কলুষিত করতে পারে নি।
তাই দেশে পর্নগ্রাফি বন্ধ হয়ে গেলে সুস্থ বিনোদনের অনেক পন্থা অবশ্যই বের হবে। এ জন্য মন খারাপ করার কিছু নেই। শুধু দাতে দাত চেপে কিছুদিন সহ্য করে গেলেই হবে"

টিভির কনডমের বিজ্ঞাপন কে যিনি কলুষতা বলে ভাবেন তার সাথে যুক্তি প্রদর্শনের মানে হয় না ।
পোষ্ট সয়াসরি রিপোর্ট করা হল ।

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: বুড়া মকবুল ভাই, আমি শিশু বয়সে মন কলুষিত করার কথা বলছিলাম। আপনার ছয় বছর বয়েসি বাচ্চা যখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে কন্ডম কি তখন তাকে পারলে প্রাকটিক্যালি বুঝায় দিয়েন যত্তসব। আপনি যে হার্ডকোর পর্ন এডিক্টেড তা স্পষ্ট। যদি দাতে দাত চেপে সহ্য করে যেতে না পারেন আপনার জন্য ভিপিএন আছে চিন্তা কইরেন না।

২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: যারা পোষ্টটির ব্যাপারে দ্বিমত প্রকাশ করছেন তাদের বলছি। চোর, ছিনতাইকারী, পকেটমারদের জন্য তাদের এই পেশাটাও স্বাধীন দেশের গনতান্ত্রিক অধিকারের মতই মনে হয়। আমি যদি এখন পকেটমারদের বিরুদ্ধে কোনো পোষ্ট লিখি তাহলে তারা কমেন্ট বক্সে এসে অবশ্যই বলবে, "পকেটমারির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে লাভ নেই, নিজের পকেট নিজে সাবধানে রাখতে হবে"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.