নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর পাহাড় পেড়িয়ে আমি... অচীন দূর দেশে। পাহার কূলে বেঁধেছি বাসা... সাগর জলে গিয়েছি ভেসে।

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।

নাঈম আহমেদ

কবিতা লিখতে ভালবাসি.।ঘুরতে ভালো লাগে.।.।আছি মহাপ্রাচীর এর দেশে.।

নাঈম আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ঈদে তিনশ’ নাটক-টেলিফিল্ম এর তালিকা ও প্রচার সময়B-):D

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৭

ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বিশেষ নাটক ও টেলিফিল্ম। বছর জুড়ে টিভি মিডিয়ায় থাকে সিরিয়াল আর মেগাসিরিয়ালের দাপট। ঈদে পাল্টে যায় সেই ধারা। একপর্বের বিশেষ নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচারের ধুম লেগে যায়। বিটিভিসহ দেশের ১২টি নিয়মিত টিভি চ্যানেলে এবার সব মিলিয়ে থাকছে প্রায় তিনশ নাটক ও টেলিফিল্ম। এতো সব নাটক-টেলিফিল্ম থেকে দর্শকেরা কোনটি রেখে কোনটি দেখবেন, এই নিয়ে পড়তে হয় বিভ্রান্তিতে।



সব দর্শকের পছন্দের কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন। ঈদে সবাই চান প্রিয় তারকা অভিনীত নাটক-টেলিফিল্ম দেখতে। কিন্তু তা পুরোপুরি সম্ভব হয় না। কারণ একই সময়ে পছন্দের তারকার একাধিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হতে দেখা যায়। অনেক দর্শকেরই আজকাল কোনো নাটকের সবটুকু দেখার ধৈর্য্য থাকে না। এতে নাটকের মান যতোটা না দায়ী, তারচেয়ে বেশি দায়ী করা যায় বিজ্ঞাপন বিরতিকে। লম্বা বিজ্ঞাপন বিরতি প্রায় দর্শককে কোনো নাটকে ধরে রাখতে পারে না। বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়ে দর্শক চলে যান অন্য চ্যানেলে। তারপরও টিভির ঈদ অনুষ্ঠানমালায় এখনও দর্শকের আকর্ষণ নাটক ও টেলিফিল্মকে কেন্দ্র করেই। দর্শকের সুবিধার জন্য কোন চ্যানেলে কি নাটক



টেলিফিল্ম : :অচল ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের দিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট ॥

বৃন্দাবন দাসের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন সালাহুদ্দিন লাভলু। অভিনয় করেছেন আমিরুল হক চৌধুরী, ডলি জহুর, এস এম মহসিন, সালাউদ্দিন লাভলু, জ্যোতিকা জ্যোতি, আ খ ম হাসান প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ: ছোট গুয়াখড়া গ্রামের বিবাহিত যুবক মনছের আজগুবি সব গল্প অবলীলায় বলে মানুষকে মোহবিষ্ট করে ফেলতে ওস্তাদ। এলাকার সবাই জানে মনছের চাপা মারছে, কিন্তু তার উপস্থাপনের কুশলতায় সবাই বশীভুত হয়। আর এই সুযোগে মনছের মানুষের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়ে নেয়। মিথ্যা বলায় তার জুড়ি নাই। মনছেরের সংসারে রয়েছে তার স্ত্রী মহিমা আর একমাত্র ছেলে যে জন্ম থেকে পঙ্গু এবং বাক প্রতিবন্ধি। সে ক্ষীণ কণ্ঠে মা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। এ নিয়ে মহিমার দুঃখের শেষ নেই। তার উপর মনছেরের চতুরতা তাকে ব্যথিত করে। মনছের তার ছেলের পঙ্গুত্ব পুজি করেও চাটু মেরে কাজ হাসিল করে। ছেলের এই পঙ্গুত্ব নিয়েও শেষ পর্যন্ত সে চাতুরী করে।



নাটক : দেহরক্ষী ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের দিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে।

মাহফুজ আহমেদ পরিচালিত এ নাটকটি রচনা করেছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, শিরিন আলম, আশনা হাবীব ভাবনা, মিশু সাব্বির, মাজনুন মিজান, দিলু, ডিকন নূর, ভাবনা, সাইদ বাবু এবং মাহফুজ আহমেদ।

কাহিনী সংক্ষেপ : প্রতিদিন কে যেন একটি করে গোলাপ রেখে যায় নবনীদের বাসার দরজায়। নবনী সমেমাত্র কলেজে উঠেছে। কলেজে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্যক্ত করে এলাকার বখাটে ছেলেরা। এ জন্য তার বাবা-মা দুজনেই আতঙ্কে থাকে। এর মধ্যে গ্রামের বাড়ী থেকে তাদের বাসায় আসেন হারিজ চাচা। বয়স পঞ্চাসের বেশি। নবনীকে কলেজে আনা নেয়ার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় হারিজ চাচাকে।



নাটক : কর্মফলের মর্মকথা ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের দিন রাত ৮টা ৫০ মিনিট ॥

হানিফ সংকেতের রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনঢ করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, ফেরদৌসী মজুমদার, তানিয়া আহমেদ, মীর সাব্বির, সাজু খাদেম, আরফান, মম আফজাল শরীফ, মহিউদ্দিন বাহার, সুভাশিষ ভৌমিক প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : একজন অসৎ ব্যক্তি অর্থ আয়ের জন্য নানান পন্থা অবলম্বন করেন। এই অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এবং ভবিষ্যতে আরও ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করেন। এই কাজে তিনি তার পরিবারের সদস্যদেরও নিয়োজিত করেন কিন্তু বাদ সাধেন তার স্ত্রী। এই নিয়ে অসৎ এই গৃহকর্তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ঘটতে থাকে নানান ঘটনা। নাটকের শেষে তার কর্মফলের মধ্য দিয়ে একটি চমৎকার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।



নাটক : ফড়িং ধরা দিন॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের দিন রাত ১২টা ॥

মুজতবা আহমেদ মুরশেদের চিত্র্যনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান লাবু। অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, নাদিয়া, আল মনসুর, চিত্রলেখা গুহ প্রমুখ।



কাহিনী সংক্ষেপ : আবু গাফফার নামে এক বিশাল ধনী আত্নগরিমা আর ধন সম্পদের প্রকাশ করতে রাজা বাদশাদের মতো পোষাক পরতে শুরু করে। তরোয়ার হাতে সৈন্য তাকে পাহারা দেয়। একমাত্র মেয়ে পুটুসকেও সে রাজকুমারীর মতো পোষাক পরিয়ে রাখে। মেয়ের বিয়ের কথা ওঠে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল সবাই আসে। কিন্তু কাউকে তাদের মনে ধরে না। ভাবে এসব লোক কেমন জানি কাটঠোট্টা। শুধু ধন চিনে। সৃজনশীল মানুষ দরকার।



নাটক : ডাইনোসর ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের পরদিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিট ॥

বিপাশা হায়াতের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ। অভিনয়ে রয়েছেন সুমাইয়া শিমু, তৌকীর আহমেদ, আল মনসুর, শিরীন আলম ও ফারহানা মিঠু।

কাহিনী সংক্ষেপ : বকপুর গ্রামের কদম আলী মোল্লা কোন এক বিস্ময়কর ভাবে অসীম টাকার অধিকারী হয়ে পড়ল। স্ত্রী আর কন্যাকে নিয়ে চলে এলো ঢাকা শহরে। বিরাট বাড়ীতে উঠল। তার প্রাইভেট সেক্রেটারী রাখা হল। কদম আলীর পুরো জীবন ধারা পাল্টে গেল। অতি শহরে হয়ে উঠবার জন্য পরিবারের সবাই যেন ক্লাউন হয়ে উঠল। তার পরই একের পর এক বন্ধন যেন ভেঙ্গে যেতে লাগল। সুখ যেন ভয়ংকার রুপ ধারণ করল। কদম আলী ফিরে যেতে লাগল পুরনো গ্রামে। হাতে লাঙ্গল তুলে নিয়ে শান্তির জন্য চোখের জলে ভাসতে থাকে সে।



টেলিফিল্ম : : হাসপাতাল ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ॥

ড. নিহার রঞ্জন গুপ্তের হসপিটাল উপন্যাস অবলম্বনে টেলিফিল্মটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ ও জয়া আহসান।



নাটক : ভালোবাসার রেসিপি ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ॥

মাসুম রেজার রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সৈয়দ আওলাদ। অভিনয়ে রয়েছেন তৌকীর আহমেদ, তারিন, মীর সাব্বির, মৌসুমী, আবুল হায়াত প্রমূখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : ফারুকের হঠাৎ একদিন অনুভব করে তার আর শায়লার মধ্যে ভালোবাসা বলে আর কিছু নেই। অনুভবের গভীরতা আরো সত্য হয়ে সামনে আসে। এক সময় প্রতি নিশ্বাসে ভালোবাসা ছিলো আর এখন নিশ্বাস দীর্ঘশ্বাসে পরিনত হয়েছে। এমনি এক সময় লন্ডন থেকে ফারুকদের বাসায় বেড়াতে আসে শায়লার খালাতো ভাই বাবলু। শায়লার একঘেয়ে জীবন আনন্দে ভরে ওঠে। ফারুকের মনে ঘনিভুত হয় সন্দেহ। এই বাবলুদা কে কৈশোরে পাগলের মতো ভালোবাসতো শায়লা। দীর্ঘশ্বাসের মাত্রা বেড়েই চলে ফারুকের।



নাটক : চারুলতার পূর্বাপর ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত রাত ১২টায় ॥

রচনা ও পরিচালনা মানিক মানবিক। অভিনয়ে জাকিয়া বারী মম, রওনক হাসান , নাদিয়া, স্বাধীন খসরু, আহসান কবির, শ্যামলী প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : শাজাহান ও সরলা দম্পতির জীবনে বিত্ত বৈভবের অভাব নেই। কিন্তু সব কিছুই খুব ট্রিপিক্যাল। শাহজাহান ও সরলার প্রায়ই মনে হয় টাকা-পয়সা, ধন-দৌলতের বাইরেও একটা জীবন আছে। যেখানে বিচরন করতে হলে টাকা পয়সার দরকার নাই। দরকার সে রকম মন মানসিকতা। কিন্তু ঠিক কিভাবে সেই জগৎটাতে প্রবেশ করা যায় বুঝে পায়না ওরা। এই রকম একটা টানা পোড়েনের মধ্যে ওদের বাসায় আসে শাজাহানের চাচাতো ভাই সাদিক। শিক্ষিত বেকার এই তরুন টুকটাক লেখা লেখি করে। শাজাহান সরলা দম্পতি সাদিকের কথা বার্তা চালচলনে সেই সব কালচারাল মানুষের সন্ধান পায়।



নাটক : চিঠি ॥ প্রচার : এটিএনবাংলায় ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ॥

প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় এর গল্পে নাট্যরুপ রচনা ও পরিচালনা করেছেন আবুল হায়াত। অভিনয় করেছেন শাহেদ শরীফ খান, সুমাইয়া শিমু, শর্মিলী আহমেদ, আবুল হায়াত, শফিক খান দিলু।

কাহিনী সংক্ষেপ : শরীফ একজন বিএ পাশ যুবক। সে ঘর জামাই। এর জন্যে তার কোনো প্রকার লজ্জা বা বিকার নেই। শ্বশুরের একমাত্র কণ্যাকে বিবাহকরার পূর্বেই সে কথা দিয়েছিল সারাজীবন ঘরজামাই থাকবে। সে সময় কাটায় শুধু ডিটেকটিভ বই পড়ে আরাম আয়েশে।



নাটক : মিথ্যা তুমি প্রেম ॥ এটিএনবাংলায় ঈদের ৫ম দিন রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ॥

সুমন আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় নাটকে অভিনয় করেছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি, রওনক হাসান, ফারহানা মিলি, হাসান ইমাম, সাবিহা জামান ও তাসমিয়া হোসেন।



কাহিনী সংক্ষেপ : কাজল ও পলাশ নামে দুই তরুণ তরুণীর একটি নির্মল প্রেমের সমাপ্তীর কাহিনী এটি। কাজল মফস্বল শহরে বড় হওয়া একটা আধুনিক মেয়ে। পারিবারের একমাত্র মেয়ে কাজল। টেলিফোনে পরিচয় পলাশের সাথে। পরিচয় থেকে প্রেম। কখনও দেখা হয়নি কাজল ও পলাশের। বৃদ্ধ বাবা হজ্জে যাবে তাই কাজল বাবার হজ্জের টাকা জমা দিতে ঢাকায় আসছে, পথে কাজলের মাথায় একটা দুষ্টামি চাপে, কাজল প্ল্যান করে পলাশকে তার বাসায় যেয়ে চমকে দিবে, দরকার হলে কাজলের চাচীর বাসায় না উঠে পলাশের বাড়ীতেই উঠবে। যেই কথা সেই কাজ, ট্রেন থেকে নেমে সোজা পলাশের বাসায় কাজল।



চ্যানেল আই



নাটক : ভালো হইতে পয়সা লাগে না॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের আগের দিন ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

রচনা ও পরিচালনা রেজানুর রহমান। অভিনয়ে আনিসুর রহমান মিলন, নাদিয়া আহমেদ, সুমনা সোমা, মাহবুবা রেজানুর, মোহাম্মদ বারী, কাফী খান, সুকর্ণ আহমেদ, আবীর খান প্রমুখ।



কাহিনী সংক্ষেপ : মেহজাবিন নামে একজন গৃহবধু ঈদের বাজার করার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন। রাস্তায় যানজটে আটকে পড়েছে তার গাড়ি। হঠাৎ এক তরুণ তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তার জীবনের বিশেষ কিছু সত্য ঘটনা প্রকাশের পর মন্তব্য করেÑ ভালো হইয়া যান। ভালো হইতে পয়সা লাগে না। মেহজাবিন শুধু অবাক নয় বিস্ময়ে হতবাক হন এই তরুণকে একই দিনে বাড়ির আঙিনায় দেখে। পরিবারের যাকেই পাচ্ছে তাকেই তরুণ তার কথায় অবাক করে দিচ্ছে। দুই সতীনের সংসার মেহজাবিনের। তরুণের আবির্ভাবে দুই সংসারেই দেখা দেয় হৈ চৈ। তারপর তরুণকে ঘিরেই ঘটতে থাকে একের পর এক অবাক করা ঘটনা। অবশেষে একদিন দুই পরিবারই অবিস্মরণীয় আনন্দের মুখোমুখি দাঁড়ায়।



নাটক : কী সুন্দর স্পর্শ ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের দিন বেলা ১২টা॥

রচনা ও পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। অভিনয়ে কুসুম শিকদার, ইমন, আল মামুন, নাজনিন নাজ, কল্যাণ প্রমুখ। বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আরাশ এর ‘পিউর লাভ’ গানটির থিম নিয়ে এ নাটকের কাহিনী রচিত।

কাহিনী সংক্ষেপ : ইমন ও কুসুম হানিমুন করতে যায় সুদৃশ্য এক রিসোর্টে। রিসোর্টের মালিক ইমনের বড় ভাই আল মামুন। হানিমুন পিরিয়ডে ওদের ভালোবাসায় জটিলতা তৈরি হয়। ওরা এক সপ্তাহ পর ঢাকায় ফিরে আসতে গেলে রাস্তায় ঘটে এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা। তারপর কাহিনী মোড় নেয় নতুন দিকে।



নাটক : নিশিকাব্য ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের দিন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন নিনিতি হুমায়ূন, মেহের আফরোজ শাওন, আহমেদ রুবেল, শাহরিয়ার নাজিম জয়, আসিফ, আম্রিন, তরু মোস্তফা, আমীরুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : আনিস শহরে থাকে। বড় চাকরি করে। অফিসের কাজে তাকে আসতে হয় ময়মনসিংহে। প্রায় দু’বছর পর মধ্য রাতে বাড়িতে হাজির আনিস। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে মা-বাবা, বউ পরি (শাওন) মহা আনন্দে ভাসছে। ছেলে আসার পর রাতেই আনিস ও পরিকে পুকুরে গোসল করায় তার মা-বাবা। ছেলের জন্য পিঠাসহ নানান জিনিস তৈরি করে। সকালে আনিস চলে যায় কর্মস্থলে। সবার মন ভেঙ্গে যায়...।



নাটক : আমাদের ছোট নদী॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে বিকাল ৫টা ০৫ মিনিটে ॥

ফারুক হোসেনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন তাহের শিপন। এ নাটকে অভিনয় করেছেন নোবেল, ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল হাসিন হাসিন রওশন জাহান সহ অনেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ : মধ্যবিত্ত নিজের গন্ডির মধ্যে থাকতে চায়। সবসময় নিরাপদ জীবনযাপন করতে চায়, কখনও রিস্ক নেয় না। তার জীবন বয়ে চলে ছোট্ট একটা নদীর মত। নাটকের নায়ক মধ্যবিত্ত আসাদের (নোবেল) জীবও বয়ে চলচিল একটি ছোট নদীর মত। হঠাৎ সেখানে ঝড়ের মত হাজির হয় এক তরুণী জবা (হাসিন)। আসাদের প্রচলিত সব ধ্যান ধারণা আর বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় জবা। তাকে নিয়ে ফেলে সাগরের প্রবল স্রোতে। নিজেকে হারিয়ে যেতে বসে আসাদ।



নাটক : আই হেইট মাই মাদার ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ২য় দিন রাত ৭টা ৫০মিনিটে ॥

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর রচনায় নাটক ‘আই হেইট মাই মাদার’ এবং গোলাম কিবরিয়া ফারুকীর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, সুমাইয়া শিমু, শিশুশিল্পী কল্পসহ অনেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ : ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে জেরিনকে (সুমাইয়া শিমু) ভালোবাসতেন মারজুক রাসেল। হঠাৎ জেরিনের বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু মারজুক ভুলতে পারেননি তাকে। পরে তার বাসার ফোন নম্বর জোগাড় করে যোগাযোগও করেছিলেন মারজুক। কিন্তু এরপর আর কিছু ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে দেখানো হয়নি। ‘ব্যাচেলর’ ছবির এরকম পাঁচটি চরিত্র নিয়ে ‘আই হেইট মাই মাদার’র কাহিনী।



নাটক : চৌধুরী খালেকুজ্জামানের বিশ্বরেকর্ড ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ২য় দিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ॥

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও মেহের আফরোজ শাওন নির্মিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন প্রাণ রায়, শামীম শাহেদ, জুয়েল রানা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফারুক আহমেদ, স্বর্ণা, জে এইচ সামির, মাসুদ আখন্দ, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার উর্মিলা প্রমুখ। কাহিনী সংক্ষেপ : চৌধুরী খালেকুজ্জামান (প্রাণ রায়) বিশ্বরেকর্ড করতে চায় নানাভাবে। এ কাজে তাকে উৎসাহ দেন তার বন্ধু। মাইক লাগিয়ে মঞ্চ তৈরী করে এলাকায় একাকার। বিশ্ব রেকর্ড দেখতে যোগ দেন এলাকার নানা বয়সের মানুষ। এক পর্যায়ে শুরু হয় চৌধুরী খালেকুজ্জামানের বিশ্বরেকর্ড কার্যক্রম। কখনো হা... করে, কখনো গাছে ঝুলে, কখনো ট্যারা চোখ হয়ে...। কিন্তু সে কোনোভাবেই রেকর্ডের ধারপ্রান্তে যেতে পারে না। অবশেষে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তার বিশ্বরেকর্ড কার্যক্রম...।



টেলিফিল্ম : : উত্তেজিত শ্বশুর আব্বা॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ৩য় দিন বেলা ১২টা ০৫ মিনিটে॥

মাহবুবা শাহরীনের রচনায় ও সোহেল আরমানের পরিচালনায় টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন ডি এ তায়েব, বন্যা মির্জা, মৌসুমী, মিমো, লারা লোটাস, সোহেল খান, আব্দুল কাদের, খায়রুন কাদের প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : অল্প শিক্ষিত পুরান ঢাকার ফলের আড়তদার। তার খালারখুব ইচ্ছে ছিলো মেয়ের জামাই করবে। খালাতো বোন বলে বিয়ে করে না আড়তদার। এ দুঃখে তার খালা মারা যান। অবশেষে মেয়েটির বিয়ে হয় বিদেশী এক ছেলের সাথে। এদিকে আড়তদার একটি সন্তানের আশায় পরপর চারটি বিয়ে করে। যার ফলে তার সংসারেই ঝগড়ার আড়ত বসে সবসময়। খালাতো বোন এই সুযোগে কবিরাজ-ওজাদের কাছ থেকে তাবিজ-তুরমান এনে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু কোনো ফল আসে না। এদিকে ঝগড়ার আড়তের সাথে যুক্ত হয় চার বউর বাবা-মামারা। যার ফলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।



টেলিফিল্ম : :কী কথা তাহার সাথে ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ৩য় দিন বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ॥

ইশরাত জাহান কাদেরের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মাহফুজ আহমেদ। এ টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, আরেফিন শুভ, সানজিদা প্রীতি এবং অতিথি চরিত্রে মাহফুজ আহমেদ।

‘কী কথা তাহার সাথে’ একটি অদ্ভুত প্রেমের গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভোর্সী শিক্ষিকা শিমু প্রেমে পড়ে শুভ নামের একটি ছেলের। ঘটনাচক্রে একই ছেলের প্রেমে পড়ে ঐ শিক্ষিকার মেয়ে প্রীতি।



নাটক : রেলগাড়ি ঝমাঝম ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে হাস্যরসাতœক নাটকটি পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ ও জুয়েল রানা। অভিনয়ে রয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফারুক আহমেদ, শামীমা নাজনিন, মীর সাব্বির প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : বৃদ্ধার এক মেয়ে, বউ ও মেয়ে জামাতাকে নিয়ে সংসার জীবন ভালোই কাটাচ্ছিলেন। একদিন তার মেয়েজামাইর বিপরিত দিক লক্ষ্য করা গেল। তিনি আচরণ করছেন রেলগাড়ির। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে কয়লা খাওয়া শুরু করলেন। মাথায় আগুনের সরা নিয়ে বাঁশ দিয়ে রেল লাইন তৈরী করে হেঁটে বেড়ান। কিন্তু কেন ? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নাটকটি দেখার মাধ্যমে।



টেলিফিল্ম : : দ্য মাস্টার প্ল্যান ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ॥

মোহাম্মদ নজরুল রচনায় এটি পরিচালনা করেছে নাদের চৌধুরী। এ টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, শাহানা পারভীন, নাকিব হৃদ চৌধুরী, আমিকা তুবা প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : মঞ্জুর রহমান তার পাটনারদের সাথে বিদেশের মাটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোই করছিলেন। এক পর্যায়ে শুরু হয় বিবাদ। এ অবস্থা যখন চলছিল ঠিক তখনই মঞ্জুর রহমানের বাসায় দেশ আসে তাদের এক আতœীয়। তিনি এ বাসায় থেকে এমবিএ পড়বেন। একসময় তিনি নিজেকে মঞ্জুর রহমানের ব্যবসায়িক বিবাদের সাথে জড়িয়ে নেন। অন্যদিকে জড়িয়ে নেন সেই বাসার কর্তার মেয়ের সাথে হৃদতার।



নাটক : ভালবাসার প্লাবনকাল ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের চতুর্থ দিন দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে ॥

এটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন আলভী আহমেদ। এতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, কুসুম, এস এম মোহসীন, রাহুল আনন্দ ও আরো অনেকে।



কাহিনী সংক্ষেপ : মফিজ একজন খেটেখাওয়া মানুষ। নিজের জমিজমা না থাকলেও সরকারী প্রজেক্টে মাটি কেটে কোনোরকমে দিনযাপন করছে। স্ত্রী কুসুমের ভালোবাসায় তার মনে অগাধ শান্তি। কুসুম’র মোহে সে ভুলে যায় তার জাগতিক যত অপ্রাপ্তি- যত দুঃখবেদনা, যাতনা। একদিন মফিজের সুখের সামনে দালান হয়ে দাঁড়ালেন পাশের গ্রামের এক আনকোড়া গায়ক দলের নেতা সনাতন। ফলে মফিজের সর্বসুখ কাঁচের টুকরো। অভাব অনটন থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় মফিজের সব ভালোবাসা ত্যাগ করে দলনেতা সনাতনের সাথে কুসুম চলে যায়। এ দিকে গ্রামের মোড়ল কাদরীর নিরব সড়যন্ত্রে মফিজ আঁটকে যায়। কুসুম একদিন তার ভুল বুঝে আবার ফেরত আসে মফিজের কাছে।





টেলিফিল্ম : :এখানো ভালোবাসি ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের চতুর্থ দিন বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে ॥

গোলাম রাব্বানীর গল্প অবলম্বনে টেলিফিল্মটিন চিত্রনাট্য ও পরিচালনার পাশাপাশি মাহবুবা ইসলাম সুমি এর একটি মূল চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। এতে আরো অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ ও পূর্ণিমা প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : শুভ ও ঐশি সুখি দম্পতি। কিন্তু পাঁচ বছরের সংসার জীবনে কোনো সন্তান আসে নি তাদের ঘরে। এ দম্পতি সিন্ধান্ত নেয় ভুটান গিয়ে টেস্ট টিউব বেবি নেবেন। সিন্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ভুটান যাত্রা। বিপত্তি সেখানেই শুভর পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে স্ত্রীর সাথে সেখানে তার দেখা। অসহায় জীবন নিয়ে তিনি ঘরে বেড়াচ্ছেন সেখানে। এ দৃশ্য দেখে শুভর স্বভাবিক মনটা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এরকম একটা ত্রিভূজ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এখানো ভালোবাসির গল্প এগিয়ে যায়।



নাটক : অরণ্য মঞ্জুরী ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের চতুর্থ দিন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বণে নাটকটি নির্মাণ করেছেন আবুল হায়াত। এ নাটকে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, অর্ষা, শিরিন আলম, আবুল হায়াত প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : মঞ্জুরী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে বাঁচার আশ্রয় নেয় অরণ্যের ঔষধের দোকানে। সন্ত্রাসীদের সাথে সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়ে মঞ্জুরীকে বাড়ি নিয়ে যায় অরণ্য। এতে অরণ্যের মা সন্দেহ করে। মেয়েটিকে বাড়ি দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু, মেয়েটি যেতে রাজি নন। কারণ, সে মামার বাসায় থাকে। আর তার এই পরিনতির জন্য তার মামাই দায়ি। এক পর্যায়ে ঐ বসায় মেয়েটিকে নিয়ে চরম হট্টোগোল ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।



নাটক : সিকিউরিটি ফোর্স ০০৭ ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের চতুর্থ দিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে॥

নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ফেরদৌস হাসান। হাস্যরসের গল্পে নির্মিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, সজল, ডাক্তার এজাজ, আবুল হায়াত, ডলি জহুর প্রমুখ।



কাহিনী সংক্ষেপ : সদ্য বিদেশ থেকে এসেছে শিমু। বাবা-মার কাছে দাবি কোনো মশা-মাছি আক্রমণ করলে সে আবার বিদেশ চলে যাবে। দাবি পুরণার্থে দায়িত্ব পায় সিকিউরিটি ফোর্স ০০৭। এ ফোর্সের দলনেতা ডা. এজাজ এবং তার সৈনিক সজল। তাদের কাজ হলো শিমুর বাড়ির সব মশা-মাছি নিধন করা। শুরু হয় শ্বাসরুদ্ধকর এক পরিস্থিতি।





নাটক : সবাই তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের পঞ্চম দিন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

ফারিয়া হোসেনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আরিফ খান। অভিনয়ে রয়েছেন মাহফুজ আহমেদ, রোমানা রশিদ ঈশিতা, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : সুখী দম্পতি মাহফুজ ও ঈশিতা। সৌখিন ফটোগ্রাফার মাহফুজ প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার পর যখন বাসায় ফিরে তখন সে অনুভব করে তার ঘাড়ে কোনো কিছু ভর করেছে। একদিন রাতে মাহফুজ যখন ঘুমাচ্ছে। হঠাৎ অন্ধকার ঘরে তার মাথায় একটি মেয়ের স্পর্শ। ফটোগ্রাফার অভাক ! দরজা বন্ধ, অথচ এ মেয়েটি কিভাবে এলো ? মাহফুজকে তার ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যায় মেয়েটি। তাহলে মেয়েটি কে ? ফটোগ্রাফারের পূর্ব পরিচিত কেউ, না কি কোনো অদৃশ্য আতœা !



নাটক : সুদূরতমা ॥ প্রচার: চ্যানেল আইতে ঈদের পঞ্চম দিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ॥

আনিসুল হক রচনায় ও রবিন খানের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তিশা, শাহেদ শরীফ খান, লায়লা হাসান প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : সততা (তিশা) প্রাইভেট পড়ে মামুনের (শাহেদ) কাছে। মামুন বুয়েট পাস বেকার, টিউশনি করে বেড়ায়, সততা ভর্তি হবে বুয়েটে তাই পড়াচ্ছে মামুন। একসময় সততা প্রেমে পড়ে মামুনের। কিন্তু মামুন সাড়া দেয় না। সে ছাত্রী এবং শিক্ষকের পবিত্র সম্পর্কে বিশ্বাস করে। কিন্তু সততার জেদের সঙ্গে পেড়ে ওঠে না। সততার আহবানে সাড়া দিতে হয়। পরে একসময় সততা জানতে পারে মামুন অনেক আগেই তার প্রেমে পড়েছিল।



টেলিফিল্ম : : ফু ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ৫ম দিন বেলা ১২টা ০৫ মিনিটে ॥

রচনা ও পরিচালনা করেছেন ইফতেখার আহমেদ ফাহমী। অভিনয়ে রাখি, মারজুক রাসেল, নোমিরা, সোহেল খান প্রমুখ।



টেলিফিল্ম : : হাতটান ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ৫ম দিন বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ॥

রচনায় রুহুল আমিন, পরিচালনায় শাহনেওয়াজ কাকলী। অভিনয়ে প্রাণ রায়, সুমাইয়া শিমু, মিলন ভট্ট, পাপিয়া প্রমুখ।



নাটক : নিশিথের চখাচখি ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ষষ্ঠ দিন রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ॥

গীতালি হাসানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আশরাফুর রহমান। অভিনয়ে করেছেন সানজিদা ইসলাম তাহা, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার নাফা, নীরব, সুমন পটোয়ারী, দিপালী, রাজ, আমিন আজাদ, রোকেয়া খান, আরিফ প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : অয়ন, নীলা, অন্তন, দিপালী, রাজ ক্যাম্পাসের সহপাঠি এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অয়ন দিপালীকে পছন্দ করে নীলের মাধ্যমে। এদিকে ক্যাম্পাসের পুরনো বন্ধু অয়কে হারানোর কষ্ট অনুভব করে নীলা। যা কেউই কাউকে তাদের অনুভবের কথা কখনো প্রকাশ করেনি, মনে হয়েছে কেবলি বন্ধু দুজন। দুঃখভারাকান্ত হৃদয় নিয়ে নীলা উচ্চু শিক্ষার জন্য চলে যায় লন্ডনে। শিক্ষা জীবন শেষ করে এসে নীলা চাকরি নেয় একটি প্রাইভে ইউনির্ভাসিটিতে। আর অয়ন চাকরি পায় একটি প্রাইভে ব্যাংকে। পুরনো বন্ধুরা সবাই একদিন আড্ডায় বসে অন্তনের বাসায়। ফিরে পায় ক্যাম্পাসের সেই হৈ চৈ একটি রাত। এক সময় নীলাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে এক সঙ্গে বের হয় অয়ন...।



নাটক : ঠাট্টা ॥ প্রচার : চ্যানেল আইতে ঈদের ষষ্ঠ দিন রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ॥

রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় রয়েছেন শামীমা আক্তার বেবী। অভিনয়ে আছেন অপূর্ব, তারিন, আলভি, ওবিদ রেহান, ওয়ালিউল হক রুমি।

কাহিনী সংক্ষেপ : তমাল ও জেরিন পাশাপাশি ফ্যাটে থাকে। তারা একই ভার্সিটিতে পড়ে। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্ক হচ্ছে সাপে নেউলের মতো। তাই পরিচিত জনরা তাদের ডাকে টম এন্ড জেরি বলে। জেরিন একটু বদমেজাজি। সারান পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে তমাল হাসিখুশি স্বভাবের ছেলে। যেকোন বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পছন্দ করে। তমাল সব সময় জেরিনকে রাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। একসময় তমাল সিরিয়াসলি জেরিনকে ভালোবাসে। তমাল বুঝতে পারে তার স্বভাবজাত প্রিয় বিষয় ঠাট্টাই তার জীবনের জরুরি মুহূর্তে যেন শক্র হয়ে দেখা দিয়েছে। এ যেন জীবনের সাথে নির্মম এক ঠাট্টা।



এনটিভি





টেলিফিল্ম : সাদাকালো ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ॥

ফেরদৌস হাসানের রচনা ও পরিচালনায় এ টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন সজল, মোনালিসা, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, কে এস ফিরোজ, বিথী প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : একজন বিখ্যাত লেখক তিনি। তার একজন উচ্চমান সহকারী হিসেবে কাজ করে একটি তরুণ। লেখকের লেখাগুলো যত্ন করে কপি করা, প্র“ফ দেখা ইত্যাদি নানা ধরনের কাজে জড়িয়ে তরুণটি বুঝতে পারে লেখকের লেখার বিষয় বস্তু একঘেঁয়ে হয়ে যাচ্ছে। সে লেখককে তার নিজের একটি জীবনের ঘটনা বলে। যে ঘটনাটি তরুণ এর জীবনকে পাল্টে দিয়েছিল।



নাটক : উল্টোধনুক ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের দিন রাত ৮ টা ১০ মিনিটে ॥

নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু ও পরিচালনা করেছেন শামীমা আক্তার বেবী। অভিনয় করেছেন হুমায়ূন ফরিদী, পূর্ণিমা, অপূর্ব, সুমনা সোমা।

কাহিনী সংক্ষেপ : কাজল একটি বাংলো বাড়ির ম্যানেজার কাম কেয়ারটেকার। এবাড়ির মালিক আবিদ সাহেব অনেক বছর ধরে দেশের বাইরে থাকেন। তার ছেলে মেয়েরাও বাইরে সেটলড। কাজল ধরেই নিয়েছে আবিদ সাহেব আর দেশে ফিরবে না তাই সে গোপনে বাড়ির বিভিন্ন রুম বিভিন্ন লোকের কাছে ভাড়া দিচ্ছে। এসময় হুট করে খবর আসে আবিদ সাহেব দেশে আসছেন। কাজল মহা ফাপরে পড়ে । কোনমতে যারা ভাড়া নিয়েছে তাদের তিন দিনের নোটিশে বিদায় করে।



তিন পর্বের নাটক : দেনমোহর (পর্ব-১) ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ॥

মোশাররফ করিমের গল্প ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, মিথিলা, হাসান মাসুদ, জয়রাজ, ডাঃ এজাজ, শামীমা নাজনীন, মিশু সাব্বির, নাফিজা জাহান, মৌসুমী, সাজু মুনতাসির। একটি মেয়ের ব্যাক্তিগত জীবনের সংকট নিয়ে নাটকের গল্প আবর্তিত।



টেলিফিল্ম : : আকাশজোড়া মেঘ ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের ২য় দিন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ॥

অরুণ চৌধুরীর রচনা ও চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন আলী যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহিদুজ্জামান সেলিম, আফসানা মিমি, আলমগীর, আল মনসুর, শম্পা রেজা, সারিকা প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : প্রিয় শিক্ষক মি জামশেদ। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চপদে আসীন জামশেদ স্যারের সব ছাত্র-ছাত্রী। জামশেদ স্যার অসুস্থ শুনে সবাই যার যার গন্তব্য থেকে এসে পৌঁছে তাঁর বাড়িতে। প্রিয় শিক্ষকের সাথে অসাধারণ কয়েকটি দিন কাটে ওদের। এমনি ভাবে একদিন দিন পেরিয়ে রাত পেরিয়ে নতুন এক সকাল আসে। যার যার মতো গন্তব্যে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে স্যারের কাছে বিদায় নিতে যাবার সময়ই ঘটলো আরেক ঘটনা।



নাটক : শুকতারা ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত আটটা ১০ মিনিটে॥

নাটকটি রচনা করেছেন জাকারিয়া সৌখিন ও পরিচালনা করেছেন কৌশিক শংকর দাস। অভিনয়ে রয়েছেন তারিন, নোবেল ও আনিসুর রহমান মিলন।

কাহিনী সংক্ষেপ : পৃথিবীর সবকিছুতেই শুভ্র’র একেবারেই কোন আকর্ষণ নেই। কেবল পিয়ানোটা ছাড়া। রাত যত গভীর হয় ওর পিয়ানোর সুর দূর থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। অমন সুরের টানেই ওই বাউন্ডুলে শুভ্রকেই ভালবেসেছে প্রার্থনা। অবশেষে বিয়েও করেছে ওরা। বিয়ের পরেই শুভ্র প্লে-ব্যাক গানের অফার পেল। শুভ্র ভীষণ খুশি হয়ে বলে সবই নাকি প্রার্থনার ভাগ্যেই হয়েছে। ওদের বিয়ের পর প্রার্থনা’র শুধু একটা স্কুলের অস্থায়ী চাকরী আর টিউশনি ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। পাঁচ হাজার টাকার ভাড়া বাসাটায় ছিল ভ্যাপসা গরম ও অন্ধকার। কিন্ত প্রেম এলে বোধহয় অন্ধগলিকেও মনে হয় জোৎস্না মাখানো পথ।



তিন পর্বের নাটক : দেনমোহর (পর্ব-২) ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ॥

মোশাররফ করিমের গল্প ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, মিথিলা, হাসান মাসুদ, জয়রাজ, ডাঃ এজাজ, শামীমা নাজনীন, মিশু সাব্বির, নাফিজা জাহান, মৌসুমী, সাজু মুনতাসির। একটি মেয়ের ব্যাক্তিগত জীবনের সংকট নিয়ে নাটকের গল্প আবর্তিত।

Click This Link

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫১

নাঈম আহমেদ বলেছেন: টেলিফিল্ম : : আড়াল ॥ ঈদের ৩য় দিন দুপুর এনটিভিতে দুইটা ৩৫ মিনিটে ॥
অনিমেষ আইচের রচনা ও চিত্রনাট্য এবং অঞ্জন আইচের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, আরমান পারভেজ মুরাদ, শাহরিয়ার নাজিম জয়, স্বাধীন খসরু, লাক্স তারকা নিসা প্রমুখ। কাহিনী সংক্ষেপ : মোর্শেদ কবির একজন উদীয়মান কবি। সে যত খানি কবি তার চেয়েও ভন্ড। নিজের নাম বদলে রেখেছে সন্তু কবির। সে নিজেকে প্রগতিশীল দাবি করলেও গ্রামের একটি তরুনীকে বিয়ে করেছে যৌতুক নিয়ে। যৌতুকের টাকা দিয়ে আবার ফ্যাশন হাউস ও দিয়েছে। তার নিজের স্ত্রীকে নানা ভাবে অবজ্ঞা অবহেলা ও করে এই কবি। কিন্তু তার স্ত্রী কোন একদিন এই কবির বাড়িতে কিছু লেখকের লেখা বই পেয়ে সেগুলো পড়ে ফেলে। বইগুলো পড়ার পর এই নারী নিজস্ব কিছু বোধের সমন্বয়ে ছদ্মনামে তিনটি কবিতা রচনা করে। ঘটনা চক্রে কবিতা গুলো ছাপা হয়ে যায়। এই কবি রাতারাতি খ্যাতি পেয়ে যায়। আর মোর্শেদ কবির ওরফে সন্তু কবিরও এই মহিলা কবির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। একদিন দু’জনের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাবে যোগাযোগ ও ঘটে যায়। আর তখনই ঘটে আরেটি চমকপ্রদ ঘটনা।

নাটক : ঐখানে যেও নাকো তুমি ॥ প্রচার : ঈদের ৩য় দিন এনটিভিতে রাত আটটা ১০ মিনিটে॥
নাটকটি রচনা করেছেন পান্থ শাহরিয়ার ও পরিচালনা করেছেন আরিফ খান। অভিনয়ে রয়েছেন তৌকির আহমেদ, পূর্ণিমা, মাহফুজ আহমেদ।
কাহিনী সংক্ষেপ : দুটি ব্যাচেলর ছেলে একটি ফ্ল্যাটে জীবন যাপন করে। তাদের বিয়ে করার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই। যদিও বয়স বেড়ে যাচ্ছে বয়সের নিয়মে। দু’জনই দুটো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ক্যারিয়ার ও তাদের বেশ তর তর করে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু বিয়ে কেন করছে না। এই প্রশ্নটি তাদের বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের। তারা এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর তো দেয়ই না উল্টো ঝামেলা থেকে বাঁচতে পরিবারের গন্ডী থেকে মুক্ত জীবনে একা একা অন্য বাসায় ব্যাচেলর সংসার সাজিয়েছে। তবে হঠাৎ একটি নারী এসে তাদের এই ব্যাচেলর জীবনে ঢুকে পড়ে। কিন্তু হিসেবে তো মহা গন্ডগোল। ব্যাচেলর তো দুজন। আর নারী তো একজন। শুরু হয় নতুন সমস্যা।

তিন পর্বের নাটক : দেনমোহর (পর্ব-৩) ॥ প্রচার : এনটিভিতে ঈদের দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ॥
মোশাররফ করিমের গল্প ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, মিথিলা, হাসান মাসুদ, জয়রাজ, ডাঃ এজাজ, শামীমা নাজনীন, মিশু সাব্বির, নাফিজা জাহান, মৌসুমী, সাজু মুনতাসির। একটি মেয়ের ব্যাক্তিগত জীবনের সংকট নিয়ে নাটকের গল্প আবর্তিত।

টেলিফিল্ম : : ঘাসফুলের কবি ॥ ঈদের ৪র্থ দিন এনটিভিতে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ॥
কবি জয় গোস্বামীর গল্প অবলম্বনে ও হাবিবের চিত্রনাট্য-পরিচালনায় টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, কান্তা মাসউদ, শাহানা সুমি, শিরিন বকুল, অশোক বসাক, রোদ, শৈতী প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : এক রবিবার কবি ওমর শরীফ বিরক্ত হয়ে একটা ফোন রিসিভ করেন। ওপারের নারী কণ্ঠ বলে আমি আপনার সব বই পড়েছি, সব। সে কবির সঙ্গে দেখা করতে চায়। মূহুর্তেই কবি অনেকদিন আগে এক চায়ের স্টলে দেখা একজন নারীর অবাক চেয়ে থাকা চোখ দুটো যেন দেখতে পান, যখন শোনেন এই নারী কণ্ঠ চা স্টলের সেই মেয়েটির যার নাম ঘাসফুল। এই ফোনের সূত্রেই এক বিকেলে রেস্টুরেন্টে ঘাসফুল কবি’র সঙ্গে দেখা করতে আসে। এরপর কবি’র সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তির দিনে কবি’র বাড়িতে এবং শেষবারের মত কবি’র অফিসে। অনেক কথা বললেও ঘাসফুল কবিকে তার জরুরী কথাটা বলে না।

নাটক : দালিয়া ॥ প্রচার : ঈদের ৪র্থ দিন এনটিভিতে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নুরুল আলম আতিকের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, স্বাগতা, অশোক ব্যাপারী, এস এম মহসীন, সজীব, শাহনেওয়াজ পুলক প্রমূখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : পরাজিত বাদশাহ শাহ সুজার ভাগ্যাহত কন্যা আমিনা বেড়ে ওঠেন দরিদ্র জেলের ঘরে। বৃদ্ধ জেলে নিজের মতো করে আমিনার নাম দেন তিন্নি। ঘটনাক্রমে সেই তিন্নি প্রণয়ে জড়িয়ে পড়ে দালিয়া নামে গ্রামেরই এক দরিদ্র যুবকের সাথে। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয় যখন তিন্নির হারিয়ে যাওয়া বড় বোন জুলেখা তাকে খুঁজে পায় বৃদ্ধ জেলের বাড়িতে। জুলেখা ছোটো বোনটিকে জানায়- সে তিন্নি নয়, তার নাম আমিনা। তাদের শরীরে রাজরক্ত বহমান। সবকিছু ভুলে আমিনাকে রাজার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে তৈরী হতে বলে।

টেলিফিল্ম : : ভালবাসি তাই ভালবেসে যাই ॥ প্রচার : ঈদের ৪র্থ দিন এনটিভিতে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ॥
শিহাব শাহীনের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, তিশা, ইরেশ যাকের, আরেফিন শুভ, সানজিদা প্রীতি, ওমর আয়াজ অনি, খালেকুজ্জামান, জিয়ায়ুল হাসান কিসলু, রিতু সাত্তার, আতিফ প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : ঘটনা অথবা চরিত্রের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত তিনটি গল্প নিয়ে ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই নির্মিত...নাটকে তিনটি গল্প একই সময়ে পাশাপশি চলতে থাকে...পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া কিছু সত্য ভালোবাসার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে গল্প তিনটি নির্মিত...জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভালোবাসার জন্য মানুষের আত্মত্যাগ, স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারার ক্ষমতা অথবা যোজন যোজন দূরত্ব অতিক্রমের স্পৃহা এই সবই এই

নাটক : হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার ॥ প্রচার : ঈদের ৫ম দিন এনটিভিতে ৮টা ১৫ মিনিটে ॥
আলী ফিদা একরাম তোজোর রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ফারহানা মিলি, সাইদ বাবু, মারজুক রাসেল, মনির হোসেন, নাবিল চৌধুরী এবং জাহিদ হাসান।

কাহিনী সংক্ষেপ : ফারহানা মিলি একজন চিত্রনায়িকা। মিলির সিনেমার ডিরেক্টর যে যখন থাকে, সে-ই প্রেমে অবনত হয়ে পড়ে। যদিও মিলির স্বভাব বরাবরই নির্বিকার টাইপের। সে একটা নির্লিপ্ত মেয়ে। কিন্তু পর্দার মিলি সত্যিই বেপরোয়া। ওদিকে মিলির ড্রাইভার সাইদ বাবুর কথা তো বলাই হয় নাই। সে এক মহানায়ক। যদিও বাস্তবে সে প্রেম করে মিলির কাজের মেয়ে রুবির সাথে। কিন্তু তার কল্পনা থাকে সবসময়ই মিলি। ড্রাইভার বাবু কল্পনায় খুবই উচ্চাভিলাষী, সুযোগ পেলে সে বলিউডের প্রিয়াংকা চোপড়ার ড্রাইভারও হতে চায়।


নাটক : লেখক নারায়ন চন্দ্র দাস ॥ প্রচার : ঈদের ৫ম দিন এনটিভিতে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ॥
বৃন্দাবন দাসের রচনা ও সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আমিরুল হক চৌধুরী, মিশু সাব্বির, আখম হাসান, শামীম জামান, নোভা, হোমায়রা হিমু।
কাহিনী সংক্ষেপ : গ্রামের একটি ছোট্ট দর্জি দোকানের কর্মচারী নারায়ন চন্দ্র দাস। নারায়ন চন্দ্র দাস খুব সুন্দর ভাষায় চিঠি লিখতে পারে। বিশেষ করে প্রেমপত্র। তার লেখা চিঠি পাঠ করে যে কোন মেয়েই প্রেমে পড়ে যাবে। গ্রামের নব্য প্রেম প্রত্যাশী এবং প্রেমে ব্যর্থ যুবকরা নিয়মিত নারায়ন দাসের শরণাপন্ন হতে থাকে। নারায়ন চন্দ্র শর্ত হিসেবে প্রতিটি চিঠির নিচে ছোট করে লিখে দেয় ‘লেখক শ্রী নারায়ন চন্দ্র দাস’। ঘটনাক্রমে এক প্রভাবশালীর মেয়েকে একটি ছেলে প্রেম পত্র দেয়। যথারীতি লেখক শ্রী নারায়ন চন্দ্র দাস। চিঠি নিয়ে হঠাৎ করেই একটি অভাবনীয় কান্ড ঘটে যায়। চিঠি লেখা এবং প্রেরণ করার সকল দায় এসে পড়ে নারায়ন দাসের কাঁধে। সৃষ্টি হয় এক জটিল পরিস্থিতির।

টেলিফিল্ম : : পুতুলের ঘর, ঘর পুতুল ॥ ঈদের ৬ষ্ঠ দিন এনটিভিতে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ॥
সুবোধ ঘোষের গল্প অবলম্বনে তুহিন অবন্ত’র নাট্যরূপ ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, তারিন, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : জীবনকে মস্ত বড় করে পাওয়ার তৃষ্ণা ছিল সাদ এর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন পার করার পরে সে ঠিক করে ফেলে তার জীবনের লক্ষ্য। চলে যায় গ্রামে, পাড়াগাঁর এক স্কুলমাস্টারের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে স্কুলমাস্টারের রূপবতী কন্যাকে। আর বিয়ের পরে এসে ওঠে ঢাকা মহানগরের এক অভিজাত হোটেলে। নিজের নাই কোন অর্থ, বিত্ত, ঐশ্বর্য। কিন্তু তারপরেও বিলাসিতা থেকে পিছু হটে না সাদ। বিলাসিতার মধ্যেই সে খুজে পায় জীবনের সুখ-শান্তি। আর বিলাসী এই জীবনের সিড়ি পার হতে সে ব্যবহার করতে শুরু করে তার রূপবতী বউ পুতুলীকে।

নাটক : খাতার ভেতর চেপ্টা গোলাপ ফুল ॥ প্রচার : ঈদের ৬ষ্ঠ দিন এনটিভিতে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে॥
সুমন আনোয়ারের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, সৈয়দ হাসান ইমাম, শামসুল আলম বকুল, রনি, শাহাদাৎ।
কাহিনী সংক্ষেপ : একটা মধ্যবিত্ত মেস টাইপের সিঙ্গেল রূম। হঠাৎ রুমটার দরজা লাথি দিয়ে ভেঙ্গে তিনজন সিআইডি পুলিশ অফিসার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ওরা পুরো ঘরটা মুহুর্তের মধ্যে তছনছ করে কাউকে খুঁজে পায় না জওয়ানেরা। একটু পরে ঘরটাতে প্রবেশ করেন দুজন সিআইডি অফিসার একজন পুরুষ অন্যজন মহিলা। অফিসার তমাল ও লতা ঘরটা তন্নতন্ন করে আসামীর রেখে যাওয়া ক্লু খুঁজতে থাকে। লতা একটা পুরোনো খাতা খুঁজে পায়। ধুলোমাখা খাতাটার ভেতর থেকে একটা পুরোনো পাসপোর্ট সাইজের ছবি পড়ে মাটিতে। লতা ছবিটা হাতে তুলে ভালো করে দেখে। সে ভীষণ অবাক হয়। এটা তার কলেজে ভর্তি হওয়ার ছবি। খাতাটা খুলেই লতা দেখতে পায় খাতার ভাঁজে একটা শুকনো পুরোনো ফাঙাস পড়া গোলাপ ফুল।

নাটক : ধরা ॥ প্রচার : ঈদের ৬ষ্ঠ দিন এনটিভিতে রাত এগারোটা ৩৫ মিনিটে॥
আনিসুল হকের রচনা ও আশরাফি মিঠুর পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, ফজলুর রহমান বাবু, সারিকা, রাণী সরকার প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : মোনা লাবুকে বলেছে সে আজ তার সাথে দেখা করবেই। মোনা বলেছে সে তার অফিসে যাবে না। অফিসে সবাই কেমন তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।তাই তারা ঠিক করেছে আশুলিয়ার যে কোন একটা রেষ্টুরেন্টে বসে কথা বলবে। অফিসে লোকজনের জন্যে মোনার সাথে একটু ঠিকমতো কথা বলাও সম্ভব হয়ে ওঠে না।সেজন্যেই সে বন্ধের দিনমোনাকে অফিসে আসতে বলে ।বন্ধের দিনে অফিসে এসে বাবু লিফট বন্ধ দেখে।লিফট অপারেটর কিছুতেই লিফটের তালা খুলতে রাজি না।সে বেশ চোট পাট দেখায় । অপারেটর তালা খুলে দিয়ে বাবু লিফটে ওঠা মাত্রই আবার চাবি বন্ধ করে দেয়।বেচারা আর লিফট থেকে বের হতে পারে না। এদিকে অফিসে মোনা এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে।মাসুদ ভাইয়ের সাথে গল্প করে। একসাথে বাইরে খেতে যায়। বাবু অবশ্য একবার মাসুদকে ফোন কনে বলেছিলো সে লিফটে আটকা পড়েছে।মাসুদ কথাটা বিশ্বাস করে নি।বাবুর মোবাইলের চার্জ গেছে শেষ হয়ে ! আর লিফট অপারেটরেরতো আজ ডেটিং ডেট তাই সে রোজিনাকে নিয়ে গেছে সিনেমা দেখতে! বেচারা বাবুর কি দশা!

বাংলাভিশন


টেলিফিল্ম : : পাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে ॥ প্রচার: বাংলভিশনে ঈদের দিন বেলা ২টা ১০ মিনিটে ॥
মোহন খানের রচনা ও পরিচালনায় এ টেলিফিল্মটিতে সজলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ছয় নায়িকা। ছয় নায়িকা হলেন নওশীন, মুনমুন, সুজানা, মেহজাবিন, ফারিয়া ও সাবাবা মোহনা। গত ঈদে বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘পাত্র চাই না’ নামের টেলিফিল্মটির সিক্যুয়াল এটি।
কাহিনী সংক্ষেপ : সজল পুরান ঢাকার একজন ব্যবসায়ী। চলচ্চিত্র দেখে নিজেকে শিল্প ও সংস্কৃতিমনা যুবক ভাবতে থাকে। সংসারমুখী করার জন্য তাঁর মা-বাবা তাকে বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সজলের কথা, সংস্কৃতিমনা কোনো মেয়েকে বিয়ে করবেন তিনি। শুরু হয় কনে দেখা। মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে নাটকে।

৬ পর্বের নাটক : হিরো ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের দিন থেকে ৬ষ্ঠ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ॥
মাসুম রেজার রচনা ও সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় ৬ পর্বের এ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন মোশারফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আখম, হাসান, বন্যা মির্জা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : সুলতান মিয়া আমোদপুর গ্রামের বিশিষ্ট একজন মানুষ এবং সুলতান খাঁ বিপত্মনিক। সে দুই মেয়ে এক ছেলের বাবা। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলে হিরো অত্র অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীর। হিরো ভালোবাসে একই গ্রামের মেয়ে চমনয়ারাকে। কিন্তু হিরোর ওস্তাদ কালাবাসেত হিরোকে প্রেম ভালোবাসা করতে নিষেধ করার কারণে চমনয়ারাকে সে তার ভালোবাসার কথা বলতে পারে না। গ্রামের অন্য যুবক জাকাত আলী জ্যাকও ভালোবাসে চমনয়ারাকে। আবার জাকাত আলীকে ভালোবাসে গ্রামের অন্য এক মেয়ে গোলাপজান। ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এভাবেই বিভিন্ন মজার মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় হিরো নাটকের কাহিনী।

নাটক : মামা মহব্বত জান ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের দিন রাত রাত ৮টা॥
রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন ফেরদৌস হাসান। এতে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, সজল প্রমুখ।

টেলিফিল্ম : : ফাঁদ ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ২য় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিট ॥
রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন ইফতেখার আহমেদ ফাহমি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, নওশীন, পার্থ বড়ুয়া, সোহেল খান প্রমুখ।

নাটক : জুতার বাক্স ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ২য় দিন রাত ৮টায় ॥
হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, মাজনুন মিজান, শিমন, দীপালী, নমিতা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: একজন লোক শুধু কথা বলে। তাকে দেখে একজন বলে, ‘আমি একটা জুতার বাক্স তার সামনে খুললে তার কথা বন্ধ হয়ে যাবে।’ তারপর লোকটি তার সামনে একটি জুতার বাক্স খুললে সাথে সাথে কথা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মজার ঘটনার সাথে সাথে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।

টেলিফিল্ম : : মুদ্রাদোষ ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের তৃতীয় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ॥
মাসুদ সেজানের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মোশারফ করিম, তাহসীন, মিশু সাব্বির, আইরিন তানি, তারিক স্বপন প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : শফিক করিমের একটি বড় মুদ্রাদোষ হলো সে মানুষের গায়ে হাত না লাগিয়ে কিংবা তাকে ধাক্কা না দিয়ে কথা বলতে পারে না। তিন বছর আগে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় ৫ হাজার টাকা বেতনে সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে জয়েন করেছিলেন, যা বেড়ে এখন ১১ হাজারে উন্নীত হয়েছে। তিন বছর আগে মেস ভাড়া, খাবারের বিল, বুয়ার বেতন, ট্রান্সপোর্ট আর গ্রামের বাড়িতে নির্দিষ্ট পরিমানের সাপোর্ট দিতে গিয়ে তার হাজার তিনেকের ঘাটতি ছিল। এখন ১১ হাজারেও ঘাটতির পরিমাণ কমেনি, বরং কিছুটা বেড়ে গিয়ে সেটা ৫ হাজার হয়েছে। এগিয়ে যায় কাহিনী।

টেলিফিল্ম :: আরমান ভাই বিরাট টেনশনে ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ৩য় দিন রাত ৮টায় ॥

আরমান ভাই সিক্যুয়ালের টেলিফিল্ম ‘আরমান ভাই বিরাট টেনশনে’। বাংলাভিশনে পূর্বে প্রচারিত হয়েছে ‘আরমান ভাই কয়া পারছে’, ‘আরমান ভাই ফাইস্যা গেছে’, ‘আরমান ভাইয়ের গদি সাইত’। এই ধারাবাহিকতায় সাগর জাহানের রচনা ও পরিচালনায় এই সিক্যুয়াল টেলিফিল্ম। টেলিফিল্মে আরমান ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। আর তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরফান, শানু প্রমুখ।


টেলিফিল্ম : আরশীর পড়শী ॥ প্রচার: বাংলাভিশনে ঈদের ৪র্থ দিন বেলা ২টা ১০ মিনিটে ॥
শারমিন হায়াত দিপা’র নাট্যরুপ ও তানভীর হোসেন প্রবালের পরিচালনায় এই টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, আজাদ আবুল কালাম, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, পুতুল ও তানভীর হোসেন প্রবাল প্রমুখ। এতে নিজেই তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয় আহসান।
কাহিনী সংক্ষেপ : একটি নব বিবাহিতা মেয়ের জীবনের ঘটনা নিয়ে গল্পটি। জয়া এবং একটি আয়না একাধারে জন্ম দেয় কয়েকটি ঘটনার। সেই থেকে শুরু হয় রোমাঞ্চের। এক চরিত্রের বিভিন্ন রূপ দেখা যাবে এই টেলিফিল্মে জয়া আহসান প্রায়ই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করে। এই গল্পে কিছুটা রহস্য পাওয়া যাবে। ফুটে উঠবে মানুষের বিভিন্ন মানবিক দিক।

নাটক : আমি ভুলে যাই.. তুমি আমার নও ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৮টায় ॥
ইফফাত আরেফিন তন্বী’র রচনা ও ফাহ্মিদা ইরফানের পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন পার্থ বড়ুয়া, তারিন, সাজ্জাদ রেজা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : তিতলী বিষন্ন মনে এক সকালে ইউনির্ভাসিটি যাচ্ছিলো। যাবার পথে হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি। একটা যাত্রী ছাওনীর নীচে এসে দাঁড়িয়ে তার মন খুব ভালো হয়ে যায়। যখন ঠিক করে আজ দিনটা তার ইচ্ছে মতো কাঁটাবে, তখনই বড় কচুর পাতা মাথায় দিয়ে একটা ছেলে হাজির। ছেলেটার নাম টগর। হাতে প্লাস্টিকের ফাইলে কিছু কাগজ। প্রথমে দুজনে কিছুক্ষন চুপচাপ। তারপর অনেক কথা।

টেলিফিল্ম :: দরজা বন্ধ জানালাটা খোলা ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ৫ম দিন বেলা ২টা ১০ মিনিটে ॥
সাইফ আহমেদের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন কৌশিক শংকর দাশ। এতে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ, মম এবং আদনান ফারুক হিল্লোল। এতে শুভ একজন জনপ্রিয় অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হিল্লোল আর মম স্বামী-স্ত্রী। ঘটনাক্রমে মম অসুস্থ হয়ে পড়ে। মমকে তখন হিল্লোল নিয়মিত শুভর অভিনীত নাটক দেখান। এতে মমর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরে জানা যায়, মমর সঙ্গে শুভর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিনয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য মমকে বিয়ে করেননি শুভ। ক্যারিয়ার নিয়েই মনোযোগী ছিলেন। অন্যদিকে হিল্লোলকে বিয়ে করলেও স্বামী হিসেবে মেনে নেয়নি মম। একদিন তিনজন মুখোমুখি হয়। তারপর নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে টেলিফিল্মটি।

নাটক : মধ্যরাত ও ঝরাপাতার গল্প ॥ প্রচার: বাংলাভিশনে দেখবেন ঈদের ৫ম দিন রাত ৮টায় ॥
বিপাশা হায়াতের রচনা ও তৌকির আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ নাটক ‘মধ্যরাত ও ঝরাপাতার গল্প’ । নাটকে অভিনয় করেছেন মিথিলা, নাদিয়া, তৌকির আহমেদ প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : একজন স্কুল মাস্টারের গল্পকে নিয়ে। যিনি শুধু ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা নিয়েই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন না পাশাপাশি যে গ্রামে তিনি চাকরী করেন সেই গ্রামের উন্নয়নের জন্যও ভাবেন। সবার জীবনের জন্য ভাবলেও একসময় তার জীবনেই নেমে আসে অন্ধকার। আর এই অন্ধকার থেকেই বেরিয়ে আসার প্রানান্ত চেষ্টা করে স্কুল মাস্টার।

নাটক : ভালোবাসা ভালোবাসি ॥ বাংলাভিশনে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮টায় ॥

এস এ হক অলিকের রচনা ও পরিচালনায় বিশেষ নাটক ‘ভালোবাসা ভালোবাসি’ নাটকে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সারিকা প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : অর্ক ও কনার সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত এগিয়ে যায়। বিয়ের জন্য দুই পক্ষ বিভিন্ন রকম আয়োজন করে। অর্ক ও কনাও তাদের বিয়ে নিয়ে খুব উচ্ছসিত। বিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম মজার মজার ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যায়ে এসে কনা খুব অসুস্থ হয়ে যায়। কনাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় কনার ব্রেন ক্যান্সার। অর্ক কনার রিপোর্ট নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ডাক্তারের সাথে কথা বলে কিন্তু তারা অর্কর মন মতো কোন উত্তর দিতে পারেনি। হঠাৎ গল্পে নাটকীয় মোড় নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।


নাটক :জেনারেশন পালস ॥ প্রচার : বাংলাভিশনে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ১১টা ১৫ মিনিট॥
নাটকটি রচনা করেছেন রিংকন শিকদার, পরিচালনায় রয়েছেন রেদওয়ান রনি। এতে অভিনয়ে রয়েছেন মিথিলা, শুভ, মিশু, নিলয়, মিম প্রমুখ।

আরটিভি


নাটক : মেয়েটি কে ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের আগের দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ॥
রচনা করেছেন রশীদ নিউটন, পরিচালনায় রয়েছেন জি এম সৈকত। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে আছেন ডি এ তায়েব, জ্যোতিকা জ্যোতি, সোহেল খান, রশীদ নিউটন, সামিয়া ইসলাম প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : অরন্য নাটক লেখার জন্য বান্দরবান নীলাচলের এক বাংলোয় ওঠে। সে যেমন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে তেমনি সেই বাংলোর ম্যানেজারের ছোট বোন আদৃতাও একজন প্রকৃতি প্রেমি। একটা সময় তাদের পরিচয় হয়। আদৃতা অরন্যের লেখার একজন গুনমুগ্ধ। সে তার প্রিয় লেখক অরন্যকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে। অরন্য আদৃতিকে বলে, ‘আমার পরবর্তী গল্পের নায়িকা আপনি।’ এবং সে গল্প লেখতে শুরু করে। এদিকে আদৃতা নিজেকে গল্পের নায়িকা না ভেবে অরন্যের বাস্তব জীবনের নায়িকা ভাবতে শুরু করে। একদিন আদৃতা ফুল হাতে অরন্যকে ভালোবাসার কথা জানাতে যায়। কিন্তু আদৃতা অরন্যকে মিতালী নামে এক মেয়ের সঙ্গে দেখতে পায়।

নাটক : পাঙ্খা ॥ প্রচার: আরটিভিতে ঈদের দিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ॥

অনুরূপ আইচের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন নোমান রবিন।

টেলিফিল্ম : এক যে ছিলেন কৃপন বৃদ্ধা ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে॥
ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জিত সরকার। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, শাহেদ, আলভী প্রমুখ।

ধারাবাহিক নাটক : শুরুতেই গোলমাল ॥ আরটিভিতে ঈদের দিন থেকে ৭ম দিন সন্ধ্যা ৬টা ০৩ মিনিটে ॥
সৈয়দ আশিক রহমানের মূল ভাবনায় চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহম্মদ জাকারিয়া ও সৈয়দ সাবাব আলী আরজু এবং পরিচালনায় রয়েছেন সৈয়দ সাবাব আলী আরজু। অভিনয়ে: ফজলুর রহমান বাবু, রাইমা ইসলাম সিমু, সুমনা সোমা, মুনিরা ইউসুফ মেমী, মাহমুদ সাজ্জাদ, ঝুনা চৌধুরী, দৃপ্ত, নিদিয়া প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : ঢাকার কোন এক এলাকায় একটি তিন-তলা বিল্ডিংয়ের সবটা জুড়ে বসবাসকারী তিনটি উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবার অর্থাৎ বড়ভাই, ছোটভাই এবং ভগ্নিপতির পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় এবার তারা ঈদ খুলনায় বাড়িতে বাবা-মার সাথে উদযাপন করবে। যথাসময়ে কোচের টিকেট না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের দুটি ও একটি ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরমধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বড় ভাইয়ের ১০/১১ বছরের ছেলে বিল্টু গাড়িতে না উঠে অভিমান করে সবার অলক্ষ্যে বাসায় ফিরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরে ঢোকার সুযোগ পেলেও তার বেরুনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ধারাবাহিক নাটক : কতা দিল্যেম তো ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের দিন থেকে ৭ম দিন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে॥
বৃন্দাবন দাসের রচনা ও সাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় এই নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শামীম জামান, আ খ ম হাসান, বৃন্দাবন দাস, বন্যা মির্জা, শাহনাজ খুশি, জোতিকা জ্যোতি।
কাহিনী সংক্ষেপ :বাটুল চেয়ারম্যান এলাকার জন প্রতিনিধি। সে সবাইকে শুধু কথা দেয়। কোন কিছুতেই সে না করে না। ভাদু গায়েন এলাকার অনুষ্ঠানে গান করতে আগ্রহী, বাটুল চেয়ারম্যান তাকেও কথা দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারী জগার সাথে তার দ্বন্দ। সরকারী কর্মকর্তা আর জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ বেশ জমে ওঠে। আর একজন দীর্ঘদিন একালার মেম্বার, সে সব সময় সিস্টেম বদল করতে চায়। তার কথার ফুলঝুরি ফোটে ঠিকই কিন্তু সিস্টেম আর বদলায় না। নাটকের শুরুতে হাস্যরসে ভরপুর থাকলেও শেষ হয় ট্রাজেডি দিয়ে।

নাটক : অনুকরণ ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে॥
রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন মাসুদ সেজান। এতে অভিনয় করেছেন আদনান ফারুক হিল্লোল, নওশীন, মিশু সাব্বির, সুজানা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : আসিফ ও রনি বয়সে কিছুটা ছোট বড় হলেও বন্ধুর মতোই। একই মেসে থাকে। এদের দু’জনের সবচেয়ে বড় মিল হলো, এরা একই পরিবারে দুই বোনের সাথে প্রেম করে। আসিফ প্রেম করে কনার সাথে, মিশু কনার ছোট বোন দীপার সাথে। আসিফ আর রনির সবচেয়ে বড় অমিলটি হচ্ছে এদের কারো মতের সাথে কারোটা মিলে না। আসিফ যখন মহল্লাকেন্দ্রিক একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নামে, আশেপাশের মানুষকে বড়বেলায় আদর্শলিপি পাঠ করতে উদ্বুদ্ধ করে - তখন রনি এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদের সন্ধান করে।

ধারাবাহিক নাটক : সিটি বাস রিটার্ন ॥ প্রচার: আরটিভিতে ঈদের দিন থেকে ৬ষ্ঠ দিন পর্যন্ত রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ॥
সৈয়দ আশিক রহমানের পরিকল্পনা এ নাটকের চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন নোমান রবিন। অভিনয়ে রয়েছেন হাসান মাসুদ, সোহেল খান, ফারুক আহমেদ, রাশেদ মামুন অপু, পলাশ, নাফিজা, লাবণ্য লিজা, মুক্তি, কাজীরাজু, আর জে নীরব, ইমরান প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : শহরে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে মানুষ। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রাইভেট কার। প্রাইভেট কারের দৌড়াত্যে বাড়ছেনা পাবলিক বাস সার্ভিস। মানুষের চাপে বাস গুলোর বেহাল অবস্থা। প্রতিদিন পাবলিক বাসে যাতায়াত করে নানান ধরনের মানুষ। চলে ধান্ধাবাজদের আধুনিক সব ফন্দি ফিকির। বাসের ড্রাইভারও কম জাননা। তারও রয়েছে নানান অজুহাত। নাটকে দেখোনো হবে বাসেব মধ্যে ঘটে যাওয়া নানা মানবিক ঘটনাও।

নাটক : আমি ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে।
রচনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : ইফতেখার আহমেদ ফাহমি। অভিনয় করেছেন : মিশু সাব্বির, শখ, মিথিলা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : মিশু সাব্বির একই সাথে ভালোবাসে শখ ও মিথিলাকে। কিন্তু একসাথে দু’জনের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। আবার সে কাউকেই কষ্ট দিতে পারেনা।এ নিয়ে সে চিন্তিত। অবশেষে সে অদ্ভুত এক আইডিয়া তার মাথায় আসে। তারই মতো দেখতে আরের জন মানুষের খোঁজে বের হয় সে। সম্ভাব্য সকল জায়গা খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পেয়েও যায় একজনকে। খুঁজে মানুষটাকে সে অনুরোধ করে মিথিলা এবং শখ যে কারো সাথে প্রেম করতে। সেও রাজি হয়। কিন্ত এর পরই ঘটতে থাকে নানা জামেলার। এই ভাবে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।


টেলিফিল্ম : সং অব লাভ ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ২য় দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ॥
রচনা ও পরিচালনা করেছেন শফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপি করিম, অপুর্ব, বিন্দু প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। অপুর্ব এবং বিন্দু দুজন বন্ধু। বিন্দু মনে মনে ভালোবাসে অপুর্বকে। কিন্তু বলি বলি করে ভালোবাসার কথা বলা হয়না বিন্দুর। এদিকে অপি করিমের দীর্ঘদিনের শখ সিনেমা বানানো। তবে বানিজ্যিক ধারার ছবি নয়। একটু ভিন্ন ধারার সিনেমা বানাতে চান তিনি। ঘটনা ক্রমে অপি করিমের সঙ্গে পরিচয় হয় অপুর্ব’র। অপি করিমের সঙ্গে কাজ করতে করতে একদিন অপি করিমকে ভালোলাগে অপুর্ব’র। নানা আয়োজন করেও অপুর্ব তার ভালোবাসার কথা বলতে পারেনা। শেষ মেষ বুকে সাহস নিয়ে যেদিন বলতে যায় ঠিক সেদিনই অপি করিম চলে যায় না ফেরার দেশে। অবশেষে বিন্দুর ভালোবাসা পূর্ণতায় রুপ নেয়।

টেলিফিল্ম : শহরে এসেছি ভালোবাসতে ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে॥
মোহন খানের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন শাহেদ, শোয়েব, মীম, সাবাবা মোহন, তরু মোস্তাফা ও মিরন মহিউদ্দীন প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : সকালে জগিং করতে পার্কে এসে মিরন সাহেব দেখলেন দুটি ছেলে পার্কের বেঞ্চিতে ঘুমাচ্ছে। ওদের সাথে পরিচয় হয় মিরন সাহেবের। শাহেদ ও শোয়েব মফস্বল শহর থেকে এসেছে। দু’জনের বাবারই প্রচুর টাকা। ওদের ধারনা টাকা হলেই এই শহরে প্রেম ভালোবাসা খুব সহজে পাওয়া যায়। মিরন সাহেব বুঝতে পারলেন ছেলে দুটি খুবই সহজ সরল। শাহেদ ও শোয়েবকে তিনি একটি বাসা ঠিক করে দেন। বাড়িওয়ালির দুই মেয়ে রায়না ও স্বর্ণা। রায়না খুব কঠিন প্রকৃতির আর স্বর্ণা মিথ্যা কথা বলার ওস্তাদ। ওদের সাথে পরিচয়ের শুরুতেই শাহেদ ও শোয়েব ওদের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু স্বর্ণার মিথ্যা কথার কারণে ওদের প্রেম সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না।

নাটক : প্রুফরিডার ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৩য় দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে ॥

চঞ্চল কুমার ঘোষের রচনায় ও রেদওয়ান রনির পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মিথিলা, আবদুল্লাহ রানা, বাবর প্রমুখ ।
কাহিনী সংক্ষেপ : রোগা, মাঝারী উচ্চতা, আধময়লা রঙে চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, কম দামের পাজামা পান্জাবী, কাঁধে ময়লা ঝোলা ব্যাগ-সব মিলিয়ে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট, আফছার মিয়া । একজন প্রুফরিডার । বাংলাবাজারের এক প্রকাশকের বইয়ের দোকানে প্রায়ই তাকে বসে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রকাশক ভদ্রলোক সারাদিন তার সাথে খুব একটা কথাও বলেন না তবু আফছার মিয়া বসে থাকেন। তাকে বসে থাকতে হয়। অনেক বড় বড় নামী লেখকের নামী নামী বইয়ের প্রুফ দেখে দিয়েছেন এককালে কিন্তু একালে আফছার মিয়ার কাজের বড় আকাল ।

টেলিফিল্ম : নোলক ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে।
আকতারুজ্জামান আকতারের রচনায় ও মোহাম্মদ নোমানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন হুমায়ূন ফরিদী, লিটু আনাম, ফারাহ রুমা, মিরন মহিউদ্দীন প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ জামিল চৌধুরী দেশের সনাম ধন্য লেখক। যার লেখা ছাপানোর জন্য প্রকাশকরা সব সময় উন্মুখ হয়ে থাকে। অথচ তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর গত এক বছর যাবৎ তিনি একটি লাইনও লিখতে পারেননি। মফস্বল শহরে তিনি একাই থাকেন। একমাত্র মেয়ের পিড়াপিড়ীতে শেষ পর্যন্ত লেখক ঢাকা আসতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। মেয়ের জামাই চাকরী করা কালীন নিয়মিত ঘুষ খেয়েছে। তারপর ঘুষের টাকায় ব্যাবসা করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। মেয়ের জামাইয়ের অসততা জামিল চৌধুরী আগে থেকেই অপছন্দ করতেন। আর এই সত্য কথা জামাইয়ের মুখের উপর বলে দেন বলে জামাইও জামিল চৌধুরীকে পছন্দ করে না। এ অর্ন্তদ্বন্দের কারনেই জামাই শ্বশুর কেউ কারো বাড়ি যাতায়াত করে না।

নাটক : সুন্দর আলী ॥ আরটিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে ॥

নোমান রবিন এর রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু, অহনা, রহমত আলী, জয়রাজ, ছবি আপা, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : নাম তার সুন্দর আলী। পেশায় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। পিতা স্বর্গবাসী। তিনিও নামকড়া স্কুল শিক্ষক ছিলেন। সুন্দও আলী পিতার আদর্শে পরিচালিত। বাড়ি থেকে রেব হওয়ার সময় তার মা প্রতিদিন তার কপালে টিপ দিয়ে দেয় , যাতে কারো নজর না পরে। এেিদকে গ্রামের চেয়ারম্যান এর সাহসী মেয়ে সুন্দর আলী কে ভালোবাসে।সুন্দর আলীর বোন কোন কাজ করার আগে স্বর্গলোকে বাবার নিকট যায় এবং বাবার কাজ থেকে অনুমতি নিয়ে আসে। তেমনি সুন্দর আলীর বোন বাইয়ের প্রেম সম্পর্কে বাবার কাছে বললে বাবা বাধা হয়ে দাড়াঁয়। এই নিয়ে সবার মাঝে তৈরি হয় আতংক।

টেলিফিল্ম : জনৈক জাহিদ হাসান ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৫ম দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে।
সুস্ময় সুমন এর রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, রাইমা ইসলাম শিমু, তমাল, গজেন্দ্র গমন শিখা।
কাহিনী সংক্ষেপ : বাংলাদেশের একটি মফস্বল শহরে হঠাৎ একদিন হাজির হন জনপ্রিয় নেতা জাহিদ হাসান। এলাকায় হুলস্থুল পড়ে যায়। কে কার বাড়িতে জাহিদ হাসানকে রাখবে শুরু হয় তার প্রতিযোগিতা। জাহিদ হাসান অবশ্য এলাকার গণ্যমান্য এক ভদ্রলোকের বাড়িতেই ওঠেন। ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না এলাকার যুবক তমাল। কারণ, জাহিদ হাসান যার বাড়িতে উঠেছেন সেই বাড়ির একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু জাহিদ হাসান বলে কথা। তাকে তো কিছু বলাও যায় না। এদিকে জাহিদ হাসান ঐ বাড়িতে ওঠায় শিমু ও তার ভাইবোনেরা বেজায় খুশি। কিন্তু সমস্যা হলো, বাড়িতে হঠাৎ করেই জিনিসপত্র হারানো শুরু হয়েছে। যেমন, একদিন শিমুর মোবাইলটা উধাও! একদিন শিখার সোনার বালা!

নাটক : তেলবাবা

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৪

নাঈম আহমেদ বলেছেন: নাটক : তেলবাবা ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৫ম দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে ॥
হামদ হাসান নোমানের রচনা ও মিলন ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী,ফারুক আহমদ, ফারহানা মিলি, সঞ্জীব, মনি, সাবিহা জামান প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : কাদের তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন ধান্ধা ফিকির করে বেড়ায়। এবার তারা বড় রকমের ধান্ধার চিন্তা করে। কাদের তার স্বপ্নে পাওয়া মন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন মানুষের চিকিৎসা শুরু করে। আর কাদেরর বন্ধুরা এলাকায় ছড়িয়ে দেয় কাদের ওরফে তেলবাবার নাম। লোকজনের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করার জন্য তারা নিজেরাই রোগী সেজে তেল বাবার মন্ত্রে আরোগ্য লাভের ভান করে এবং লোকজনের মাঝে তেলবাবার ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। তাদের আরোগ্য লাভের কথা শুনে এলাকার অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করে তেলবাবার গুণাগুন। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন রোগীর আগমন। দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর রোগী আসতে থাকে তেলবাবার কাছে। তেলবাবা দক্ষিণা হিসেবে এক কেজি সরিষার তেল ও একটি গায়ে মাখার সাবান নেওয়া শুরু করে।

টেলিফিল্ম : আমি নায়ক হব ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ॥
জয়া উদ্দিন আলমের রচনায় ও সাইফ চন্দনের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, সিমলা, সারিকা, সায়মন তারিক প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : গ্রামের একটি হাবা গোবা ছেলে আবুল হোসেন আবু (আবু)শহরে আসে নায়ক হওয়ার জন্য। শহরে তার এক বন্ধুর সহযগিতায় এফ ডি সিতে আসে সেখানে এসে দেখা হয় এক চিত্রপরিচালক সাথে। সেই চিত্রপরিচালক এর মাধ্যমে একটি ছবিতে সিমলার সাথে ড্রাইভারে চরিত্রে অভিনয় করেন। এর পর সিমলার পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ায় তার শুটিং কোথায় থাকে সেখানে গিয়ে হাজির হন সাব্বির। এক সময় সিমলার বাসায় গিয়ে উঠে আবু সিমলা পরামর্শ দেন আবুকে নাচ, ফাইট শেখার জন্য শিখে আসলে আবুকে সিমলা নায়ক হয়ার সহযোগিতা করবেন বলে সিমলা ওয়াদা করেন। আবু ছয় মাস পর নাচ, ফাইট শিখে সিমলার বাসায় আবার আসে আবু থেকে আবরার খান।

নাটক : গান পাউডার ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে।
রাশেদ মামুন অপুর রচনা ও রাশেদ বিপ্লব এর পরিচালনায় এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু, নাফিজা, আল মনসুর, শহিদুল্লা ফরায়েজী প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ এনাম রাজধানীর আন্ডার ওয়ার্ল্ড জগতে খুব দ্রুত উঠে আসা একটা নাম। তার অপরাধ কর্মকান্ড এতটাই আলোচিত যে মাত্র ক’দিনেই সে পুলিশের খাতায় শীর্ষ সন্ত্রসী হিসেবে নাম লিখে ফেলা হয়েছে। এই কাহিনী এনামকে ঘিরে আবর্তিত।

টেলিফিল্ম : উত্তরাধিকার ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৭ম দিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে।
রচনা ও পরিচালনা করেছেন খালেদা আহমেদ। অভিনয়ে রয়েছেন ডলি জহুর ,চৈতি, সহিদুল আলম, শাহনাজ সুলতানা, অপুর্ব প্রমুখ।

কাহিনী সংক্ষেপ : সুরাইয়া চৌধুরী একজন প্রতিষ্ঠিত নারী। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। অথচ শেষ বয়সে এসে তিনি উপলব্ধি করলেন তার এই ডাক নাম অর্থ ধরে রাখার মতো কেউ নেই। কারন তার কোন সন্তানাদি নেই। ভেবে ভেবে তিনি মনের ভেতরে ভেতরে একাকিত্ব আর শুন্যতা বোধ করেন। নিজে জমিদার বংশের মেয়ে হওয়ার কারণে অতীতে বংশ গরিমার কারনে একমাত্র ছেলে এবং ছেলের বৌকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর পর জমিদার বংশের অস্তিত্ব একমাত্র নাতনী প্রেমা ব্যাতিত আর কেউ নেই। সুরাইয়া বেগম যখন জানতে পারেন তার বংশধর একজন আছেন, তখন সে তাকে ফিরে পাওয়ার আশায় মরিয়া হয়ে ওঠেন।

নাটক : বিবর্ন স্বপ্ন ॥ প্রচার : আরটিভিতে ঈদের ৭ম দিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে।
সিফ্রাত মোশাররফের রচনা ও জি এম সৈকতের পরিচালনাায় অভিনয় করেছেন ডি এ তায়েব, মৌসুমী, ফরহাদ হায়দার।
কাহিনী সংক্ষেপ : প্রবাল, শিলা ও সজীব ছোট বেলায় একই মহল্লায় বেড়ে ওঠেছে। শিলা বয়সে তাদের থেকে কিছুটা ছোট হলেও বন্ধুর মতই তাদের চলাফেরা। ঘটনাক্রমে প্রবাল হয়ে ওঠে ঢাকা শহরের নামকরা সন্ত্রাসী আর সজীব পুলিশ অফিসার। শিলা বহুবার চেষ্টা করেছে প্রবালকে নষ্ট পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু প্রবাল শিলার কথা রাখতে পারেনি। সবার কাছে প্রবাল সন্ত্রসী হয়েও শিলার কাছে খুব আপন একজন মানুষ, কেননা খুব ছোটবেলা থেকে শিলার ভালোবাসার জায়গায় প্রবাল স্থান পেয়েছে। প্রবালকে গ্রেফতার করার দায়িত্ব পড়ে সজীবের ওপর।

বৈশাখী টিভি


টেলিফিল্ম : : টুনডা ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের দিন দুপুর ৩ টায় ॥
রচনা ও পরিচালনা: মামুনুর রশীদ, অভিনয়ে: চঞ্চল চৌধুরী, ডলি জহুর, তমালিকা কর্মকার, মামুনুর রশীদ, এ.টি.এম শামসুজ্জামান ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ: একজন ভাঙ্গাচোরা মানুষ। বৃহত্তর অর্থে অপদার্থ এক মানুষ। নাম ছিল হাবিব, ক্রমান্বয়ে হাবা এবং সর্বশেষ এসে দাঁড়িয়েছে টুন্ডা। টুন্ডার আঞ্চলিক অর্থ অপদার্থ। এই টুন্ডার ব্যর্থতা নিয়ে সবাই রসিকতা করে। রসিকতা এক সময় করুণ পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। শুধু একজনই তার প্রতি অন্ধ সে তার মা। মা সহ্য করতে পারে না। ঝগড়া লাগিয়ে দেয় যথাতথা। কয়েকটি আমগাছওয়ালা একটা বাগান আছে হাবিবের। এটা নেওয়ার জন্য বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে প্রবাসী এক লোক। কিন্তু ওরা দেবে না। হাবিব গ্রামের প্রান্তে বসবাসকারীনি এক অন্ধ মেয়ের কাছে মাঝে মাঝে যায়। তার স্পর্শে সে যেন এক অতিলৌকিক জগতের সংবাদ পেয়ে যায়। সে একা এবং বেপরোয়া, এ নাম তাকে ঘোচাতেই হবে। দুর্দমনীয় টুনডা তার নাম ফিরে পায়।

৭ পর্বের খন্ড নাটক : প্রেমের নাম বেদনা ॥ প্রচার : বৈশাখীতে ঈদের দিন থেকে ঈদের ৭ম দিন পর্যন্ত রাত ৭ টা ৪৫ মিনিটে।
জনপ্রিয় নাট্যকার আনিসুল হকের খন্ড নাটক ‘প্রেমের নাম বেদনা’ গত বছর দুই ঈদে বৈশাখী টেলিভিশনে তিন খন্ডে প্রচারিত হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে প্রেমের নাম বেদনা ৭ খ-ে প্রচারিত হচ্ছে। হিমেল আশরাফের পরিচালনায় নাটকে অভিনয় করেছেন- সজল, বিন্দু, চঞ্চল, সারিকাসহ অনেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ: সজল ও সারিকা ভালভাবেই সংসার করছিল। হঠাৎ করেই বিন্দু আবার নাটকে ফিরে আসে। এবারে বিন্দু আসে চঞ্চলের সহযোগিতা নিয়ে। ব্যাপারটা জানার পরে সজল একটু চঞ্চলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিন্দু যেন কোনভাবেই মিডিয়াতে প্রতিষ্ঠা না পায় এজন্য চেষ্টা করে। কিন্তু বিন্দু পন করে, যে করেই হোক পরিচালক সজলকে সে তার প্রেমের ফাঁদে আটকাবে। একম সময় সজল, বিন্দুর প্রেমে পড়ে যায়। বিন্দুকে নিয়ে আবার নতুন করে নাটক বানাতে শুরু করে। সারিকার সঙ্গে আস্তে আস্তে সজলের পারিবারিক কলহ তীব্র আকার ধারন করে। ঠিক এসময় গল্পে আসে তিশা। মুখোমুখি হয় সজল ও বিন্দুর।

নাটক : চরাচর ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
কাজী শাহিদুল ইসলামে রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু আর অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মাসুম আজিজ, আখম হাসান, এ্যানি, পূজা, শামীম জামান ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : প্রত্যন্ত গ্রামের এক গরীব পিতা মধু চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধু চাষ করার জন্য সে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়ে পরিকে নিয়েই তার সংসার।

টেলিফিল্ম : : গেন্দু চোরা এম নি বি এস ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ২য় দিন দুপুর ৩ টায়।
রচনা ও পরিচালনা: এস এ হক অলিক। অভিনয় শিল্পী : আল মনসুর, আজিজুল হাকিম, আমজাদ হোসেন, আমিরুল হক চৌধুরী, সারিকা, নাদিয়া, চিত্র লেখা গুহ, এস এ হক অলিক, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: গেন্দু চোরা ও তার ভাইবেরাদর সিদ্ধান্ত নেয় পাশের গায়ের এক বাড়িতে চুরি করতে যাবে। এক রাতে ঐ বাড়িতে চুরি করতে যায় তারা। কিন্তু ঐ বাড়ির পাহাড়ার ব্যবস্থা জোরদার থাকায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেন্দু চোর ও তাই ভাইবেরাদররা। শাস্তি সুলভ তাদের তিন বছরের জেল হয়। এবং সেখানেই পরিচয় হয় আদরি নামে এক নারী চোরের। আদরি গেন্দু চোরার মতই এক দাগি চোর। তিন বছর পর মজু চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় ছাড়া পায়। হঠাৎ মজু চেয়ারম্যানের মাথায় বুদ্ধি আসে যে তার তার গ্রামে সদ্য নির্মিত বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে গেন্দু চোরাকে নিয়োগ দিতে পারে। গ্রামের রুগীদের আর তেমন কি চিকিৎসার প্রয়োজন। সারা গ্রাম ছড়িয়ে দেওয়া হয় গেন্দু চোরা ও তার ভাইবেরাদর এই তিন বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তারি পেশায় বড় বড় নতুন নতুন ডিগ্রী নিয়ে এসেছে যা আর কোন ডাক্তারের নেই।

নাটক : লাভব্যাংক ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা- পলাশ মাহবুব, পরিচালনা- মশিউর রহমান ফারুক। অভিনয়ে- মোশারফ করিম, বিদ্যা সিনহা মিম, সাজু খাদেম, আরফান, সীমানা।
কাহিনী সংক্ষেপ : মুকুল ভাইয়ের বয়স আটত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। এখনো বিয়ে করেননি। তিনিই এই লাভ ব্যাংকের উদোক্তা। লাভব্যাংক মূলত একটি সামাজিক ব্যাংক, যাদের কাজ হচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের আর্থিক সহায়তা করা। এজন্য লাভব্যাংকের পক্ষ থেকে পার্কে আসা প্রেমিক জুটিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি ব্যাংক গঠন করা হয়। যার নাম দেয়া হয় লাভব্যাংক। মুকুল ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রজেক্টে আরও আছে মুন্না ও জাফর। শহরের একটি পার্কে আসা প্রেমিক-প্রেমিকাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কাজ করে যায় লাভ ব্যাংক। লাভ ব্যাংকে সময় দিতে গিয়ে এরই মধ্যে মুন্নার প্রেমিকা চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। একবার কোনমতে প্রেমিকাকে সামলালেও শেষবার অসহায় হয়ে পড়ে মুন্না। ঘটতে থাকে মজার সব ঘটনা।

টেলিফিল্ম : : যে জলে আগুন জ্বলে ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ৩ টায়।
রচনা ও পরিচালনা: শারাফ আহমেদ জীবন। অভিনয়ে : পার্থ বড়ুয়া, জেনী, মনোজ, শাহ মোহাম্মদ রুবেল, আবীর আরাশ, মাশিয়াত, মিলন ভট্ট, টনি সহ আরো অনেকেই।
কাহিনীসংক্ষেপ: এটি একটি চতুভুজ প্রেমের গল্প। জেনী নামের ভার্সিটি পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে গল্পটি গড়ে উঠেছে। জেনী আবীরকে ভালবাসে। খুব একদিন আবীর কাউকে কিছু না জানিয়ে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুবাই চলে যায়। আবীরের গল্প এখানেই শেষ। তারপর এক এক করে শুরু হয় নতুন আরো কিছু গল্প। জেনীর পরিবার আমেরিকা ফেরত পাত্রকে পছন্দ করে। আমেরিকা ফেরত পাত্র সালমানের হাত থেকে বাঁচার জন্য জেনী সাহায্য নেয় তারই ক্লাসমেট সাইফুল্লাহর। সাইফুল্লাহ স্বভাব কবি এবং গাতিকার। তাকে নকল বয়ফ্রেন্ড সাজায় জেনী। সাইফুল্লাহ অতি সাধারণ গ্রাম্য মার্কা একটি ছেলে। জেনী তাকে ফরমেট করে আধুনিক করে তোলে। সালমানের কাছে নকল বয়ফ্রেন্ড সাজিয়ে বিয়েকে আপাতত ভন্ডুল করতে চায়।

নাটক : পরাহত ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৩য় দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা - শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনা- হুমায়ুন ফরীদি, অভিনয়ে- হুমায়ুন ফরিদী, জিতু আহসান, সুমাইয়া শিমু ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : আসিফ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। খুব অল্প সময়ে নিজের মেধা, সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা দেখিয়ে সে এ পর্যায়ে এসেছে। সবাই তাকে সৎ বলে জানে। হয়তো এই সততার কারণেই বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খানিকটা নাজুক যাচ্ছে। এখান থেকেই গল্পের শুরু।একট বড় কোম্পানীর সাথে ডিল ফাইনাল করা নিয়ে মিটিং এ সবাই ডিলটা নিয়ে সন্দিহান। কারণ তাদের কোম্পানীকে ডাম্প করার জন্য অন্য কয়েকটা কোম্পানী উঠে পড়ে লেগেছে। এসময় আসিফের অফিসে আসে এক রহস্যময়ী যুবতী। সে এই ডিল বিষয়ে আসিফের সাথে একা কথা বলে। সে আসিফকে এই প্রজেক্টটা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আসিফকে তার হয়ে একটা কাজ করে দিতে বলে। আসিফ মুমুর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। যথারীতি আসিফের কোম্পানী প্রজেক্টটা পায়। শর্ত অনুযায়ী এবার আসিফের মুমুর কাজ করে দেয়ার কথা। কিন্তু মুমু আসিফকে একটা খুন করার কথা বলে।

টেলিফিল্ম : হৃদযন্ত্র ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন দুপুর ৩ টায়।
রচনা : আজাদ আবুল কালাম, পরিচালনা: আশরাফুল আলম রিপন, অভিনয় শিল্পী: তারিন, তিশা, মৌসুমী বিশ্বাস, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ: বেশ কিছুদিন হয়ে গেল তারেক বিয়ে করেছে। বউ এর সাথে তার খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই। খুটখাট ঝগড়া লেগেই থাকে। তাদের বাচ্চা কাচ্চা নেই। সেটাও ঝগড়াতে যোগ হয়ে যায়। এর মধ্যে একদিন অসুস্থ বোধ করে তারেক। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তারেককে বলে যে তার হার্ট ছোট হয়ে আসছে। কী করবে তারেক। ফিরে এসে বউকে বললে বউ সেটা ভালো ভাবে নেয় না। ঝগড়ার মাত্রা বাড়তে থাকে দিন দিন। এরই মধ্যে তারেক আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। এ এক আজব হৃদযন্ত্র। খাবে দাবে সঙ্গ দেবে। নাচবে গাইবে। মনের খোরাক জোগাবে। বউকে এসে এই ঘটনা বলার সঙ্গে সঙ্গে বউতো আরো রেগে আগুন এবং তার বাবার বাড়ি গমন।

নাটক : মরা জোছনায় ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা- বিপাশা হায়াত, পরিচালনা: তৌকীর আহমেদ, অভিনয়ে- তৌকীর আহমেদ, ওবিদ রেহান, মৌসুমি বিশ্বাস/কুসুম শিকদার ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : বিয়ের রাতে গহনা নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালায় পান্না। মবিনের সাথে তার প্রেম থাকলেও, চালচুলোহীন মবিনকে মেয়ে জামাই করতে চাননি পান্নার বাবা। পালিয়ে যাবার পথে পান্নার গহনা নিয়ে উধাও হয়ে যায় মবিন। পান্না নৌকা নিয়ে ভাসে মাঝ নদীতে। এমন সময় দুজন ডাকাত নৌকায় উঠে। যাত্রীদের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় এবং পান্নাকে নিয়ে যায়। তারা ভেবেছিল পান্নার গহনাটি আছে। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা পান্নাকে ছেড়ে দেয়। পান্না যায় না। কারন তার যাবার জায়গা নেই। কিন্তু ওরা ওকে অসম্মান করেনা এতটুকু।

টেলিফিল্ম :: হাতে মাত্র ৫ দিন ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৫ম দিন দুপুর ৩ টায় ॥
রচনা: সৈয়দ ইকবাল, পরিচালনা: জুবায়ের ইবনে বকর, অভিনয়ে: মম, মিথিলা, নওশিন, রওনক হাসান, মৌসুমী বিশ্বাস, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: ছবি তোলার নেশায় আরিফিন ছুটে যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও জায়গায়। এক গোধুলী লগ্নের মুহুর্তটুকু ধরে রাখতে ব্যস্ত আরিফিন। ছবি এডিট করতে বসলে সেই ছবির মধ্যে একটি সুন্দর মেয়েকে দেখে চোখ আটকে যায় আরিফিনের। পরের দিন একই সময় একই জায়গায় যায়। গিয়ে দেখে মেয়েটি চলে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে একটু কথা বলতে চায় সে। এভাবে মেয়েটির পিছু নিতে নিতে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে। অবশেষে মেয়েটি তার সঙ্গে কথা বলে।

নাটক : নীল ফুল॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৫ম দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা- সাগর জাহান, পরিচালনা: চয়নিকা চৌধুরী, অভিনয়ে : মাহফুজ আহমেদ, আরেফিন শুভ, বিন্দু ও অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : আতাশি (বিন্দু) সুইসাইড করতে যায় কোন এক পাহাড়ের চূড়ায়। ঘটনা চক্রে রিফাত (মাহফুজ আহমেদ) তাকে বাঁচায়। জানতে চায় সুইসাইড এর কারন। আতাশি জানায়, সে রাসেল (আরিফিন শুভ) নামে একজনকে ভালবাসে কিন্তু রাসেল তাকে পাত্তা দেয় না। এ অবস্থায় রিফাত আতাশির কাছ থেকে ৪ (চার) দিন রিফাতের কথামত আতাশিকে চলতে বলে। আতাশি রাজি হয়। রিফাতের কথামত আতাশি চলতে থাকে, ঘটতে থাকে মজার মজার ঘটনা। এক পর্যায়ে রাসেল আতাশির প্রতি সত্যিই দূর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু ততদিনে আতাশি রিফাতকে ভালবাসতে শুরু করে আর তখনই আতাশি জানতে পারে এক কঠিন সত্যকে। রিফাত অসুস্থ। এক কঠিন অসুখে আক্রান্ত রিফাত এই পৃথিবীতে আর অল্প কিছু দিনের মেহমান।

টেলিফিল্ম : ময়ূর পালকের সখা ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন দুপুর ৩ টায়।
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: তুহিন অবন্ত, অভিনয়শিল্পী : মাহফুজ আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, তারিন, আহমেদ রুবেল, আল মনসুর আরো অনেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ: চিত্রা নদীর পার ঘেষেই সরকারী কলেজ। কলেজের পাশেই গড়ে উঠেছে সব লাইব্রেরী। জ্ঞানবিতান বই ঘর এখানকার অন্যতম একটা লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরীর ম্যানেজার সুলতান। একদিন সাথী নামের এক কলেজ ছাত্রী তার দোকানে আসে পাঠ্যসূচীর বই কিনতে। আরও একটি বই পছন্দ করে। কিন্তু দাম বেশি বলে কিনতে পারে না। মন খারাপ হয় হয় সাথীর। সুলতান সেদিন মেয়েটিকে জীবনানন্দের বইটি শর্ত সাপেক্ষে ধার হিসেবে দেয়। এভাবে দিনের পর দিন শর্ত সাপেক্ষে বই ধার নিতে থাকে সে। বেশ কয়েকবার এরকম লেনদেনের সম্পর্কের কারনে সুলতানের সাথে সাথীর একটা চমৎকার সম্পর্ক দাড়িয়ে যায়। সুলতান প্রতিটা বইয়ের মধ্যে একটা করে ময়ূরের পালক দিয়ে দিত। আর রাত জেগে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ার সময় সাথী পালকটি দেখে ভাবতো; কেন বইয়ের মধ্যে পালক রাখে মানুষ!


নাটক : চোরের বউ ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা- হাবিব, পরিচালনা-শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনয়ে- শহীদুজ্জামান সেলিম, রিচি, রোজী সিদ্দীকি, কামাল বায়েজিদ, শতদল বড়ুয়া প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ : তিন তলার ফ্ল্যাটে স্ত্রী শিখা আর ৪ বছরের মেয়ে ফিমাকে নিয়ে এক্সিকিউটিভ ফরহাদ বসবাস করে। একদিন শেষ রাতে একটা চোর বারান্দার রেলিং ধরে তাকিয়ে আছে দেখে ফরহাদ রড উঁচিয়ে ভয় দেখাতেই চোরটা হাত ফসকে নিচে পড়ে যায়। হতভম্ব হয়ে ফরহাদ অন্যদেও সহায়তায় হসপিটালে নিয়ে যায়। সকাল হতে না হতেই এক মহিলা নিজেকে চোরের বউ দাবি করে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। ফরহাদ চোরের বউকে নিয়ে বাসায এসে শিখাকে মেয়েটাকে যত্নআত্তি করতে বলে তাড়াতাড়ি অফিসে চলে যায়। তারপর থেকে শুরু হয় চোরের বউ কনচাঁপার আদিখ্যেতা।

টেলিফিল্ম : শোয়া-বাবা ॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৭ম দিন দুপুর ৩ টায়।
রচনা : রিঙ্কন শিকদার, পরিচালনা: রেদওয়ান রনি, অভিনয়ে : মোশাররফ করিম, সুমাইয়া শিমু, ইকবাল, রাশেদ অপু ও অনেকে।
স্বপ্নে পাওয়া কেরামতি দিয়ে রাতারাতি কবিরাজ বনে যায় অনেকেই । সাধারন মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অঢেল টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় এদের কেউ কেউ । জীবিকার সন্ধানে ঘুরতে থাকা একজন স্বল্পশিক্ষিত একরামুল কচি থেকে শোয়া-বাবাবনে যাওয়া গল্পই ‘শোয়া-বাবা’ ।

নাটক : সে এক অদ্ভুত পাথর॥ প্রচার : বৈশাখী টিভিতে ঈদের ৭ম দিন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।
রচনা- লিপি মনোয়ার, পরিচালনা- ফেরদৌস হাসান, অভিনয়ে- অপূর্ব, সুমাইয়া সিমু, হাসান ইমাম সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ: ভ্যালেনটাইন ডে এর কয়েকদিন আগে অর্ক ভালোলাগার মেয়েটির জন্য একটা সুন্দও স্টেচু কিনেছে। কিন্তু দূর থেকে দেখা সেই মেয়েটিকে সে দেবে কি কওে , কি বলে দেবে তাকে। কারন দু চার বার চোখাচোখির বাইরে আজ পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোন কথাই হয়নি। যাই হোক অর্ক অনড়, যাই মনে করুক অর্ক সেদিন মেয়েটির হাতে স্টেচুটা দেবেই। অর্ক সেদিন তাকে সেটি দিয়েছিল আর মেয়েটি দিয়েছিল একটি গোলাপ। কিন্তু অর্কেও সেই সুখ বেশিদূও গড়াইনি। ঘটনা প্রবাহে একদিন মেয়েটির সামনেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং সেদিন মেয়েটির চোখে ঘৃণা দেখে অর্ক সেচ্ছ্বায় কারাবরণ করে। জেল থেকে ফিরে অর্ক দেখে সবকিছুই এখন অতীত। কোথায় ছিটকে গেছে সেই সোনালী দিনগুলো, হারিয়ে গেছে সেই মেয়েটিও। অর্কর খুব জানতে ইচ্ছে করে তাদের সেই ভালোবাসার সাক্ষী সেই মূর্তিটি এখন কোথায়? ওটা রক্ত মাংসের মানুষ হলে বা ক্ষণিকের প্রেম হলে হারিয়ে যেত। পাথর বলে সে অটুট আছে। অর্ক প্রতিজ্ঞা করে সে ঐ পাথরের স্টেচুটা উদ্ধার করবে।

দেশ টিভি


টেলিফিল্ম: জোছনাময়ী ॥ প্রচার: দেশ টিভিতে ঈদের দিন দুপুর ৩টায় ॥
জন.এইচ.লির ‘আ মোমেন্ট টু রিমেমবর’ কোরিয়ান প্রেম কাহিনী অবলম্বনে চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন রেদওয়ান রনি। অভিনয়ে: তিশা, নিলয়, শাহরিয়ার শুভ প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: ভুলোমনা একটি মেয়ে উপর্যুপরি সহযোগীতা পাবার ফলে প্রেম হয়ে যায় সহযোগীতা পাওয়া ছেলেটির সাথে। ছেলেটার ব্যক্তিত্ব মেয়েটিকে আকৃষ্ট করে । ভালোবাসা গভীর হয়ে যায় । অনেক দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে তারা সংসার জীবন শুরু করে। অনেক সুখে কাটতে থাকে তাদের জীবন। কিন্তু এই সুখ বেশীদিন স্থায়ী হয়না। একসময় ছেলেটি অনুভব করতে পারে যে মেয়েটি সব কিছু ভুলে যাচ্ছে। ডাক্তার জানায় মেযেটির “আল ঝেইমার” রোগ হয়েছে এবং তা চিকিৎসার উর্দ্ধে। মেয়েটির ভুলে যাওয়া বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়তে থাকে ছেলেটির কষ্ট। একদিন হারিয়ে যায় মেয়েটি। অনেক খোঁজার পর ছেলেটি মেয়েটিকে পায়,কিন্তু মেয়েটি ছেলেটিকে চিনতে পারেনা। তারপর আবারও নতুন করে ছেলেটিকে ভাল লেগে যায় মেয়েটির। শুরু হয় আবার প্রেম।

নাটক : যদি ভালোবাসা পাই ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥
রচনা: অরুন চৌধুরী। পরিচালনা: চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয়ে: মাহফুজ আহমেদ, শর্মিলী আহমেদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সারিকা, অর্ষা, নিলয় প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: একটি সুন্দর বাংলো বাড়িতে বুকিং দিয়ে বেড়াতে আসেন আফসান চৌধুরী । আফসান চৌধুরী কলেজের তরুণ শিক্ষক । তার সঙ্গী দাদী আর প্রয়াত পিতার ২য় স্ত্রী। কাজল নামের এটি মেয়ে ভালবাসে আফসান কে । আফসান বাসেনা । বাবা মার মনোমালিন্য দেখে আফসানের মধ্যে রয়েছে সম্পর্ক ভীতি । কিন্তু আফসানের সৎ মা শিরিন কাজল কে পছন্দ করে । শিরিনের প্ররোচনায় কাজল একসময় এসে হাজির হয় সেই বাংলো বাড়িতে । এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছিল । হঠাৎ একদিন সেই বাংলোতে আসে আরেক তরুনী। মুলত এই তরুনীই বাংলোর স্বত্বাধিকারী। ঘটে যায় অন্য কিছু ।

নাটক: ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের দিন রাত ৯টায়।
রচনা: আনিসুল হক। পরিচালনা: আলভি আহমেদ। অভিনয়ে: সজল, বিন্দু, সীমানা, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: তরুণ কবি কবির হোসেন একটা বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেন কপি রাইটার হিসেবে। পুরোদস্তুর নিজেকে কবি ভাবলেও তার কবিতা কোন কাগজে প্রকাশ হয়নি । কবিতা না বোঝা মেয়েদেও প্রতি তার কোন আগ্রহ হয়না । তবে একদিন একটা মেয়ে ফোন করে কবিরের নিজের লেখা কবিতা শোনায় কবিরকে। কবিতার ছলে মেয়েটির সাথে কবিরের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । কিন্তু কবির একদিন জানতে পারে মেয়েটি আসলে একটা ভাড়াটে অভিনেত্রী এবং প্রেমটা ছিল কবিরের বিজ্ঞাপন সংস্থার প্রতিদ্বন্দী একটি সংস্থার কারসাজি।

টেলিফিল্ম : অমিতের প্রেমগুলি কি আসলেই প্রেম ছিল ॥ প্রচার: দেশটিভিতে ঈদের ২য় দিন দুপুর ৩টায়।
রচনা: রবিউল করিম। পরিচালনা: দীপংকর দীপন। অভিনয়ে : আনিসুর রহমান মিলন, শশী, রাহুল আনন্দ, মৌসুমি বিশ্বাস প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: অমিত ভালবাসে লাবন্যলতাকে। লাবন্যলতা একদিন নানা আলাপের মাঝে হঠাৎ করেই অমিতকে বলে বসে, এভাবে আর কতদিন, তারা বিয়ে করছে না কেন? অমিত বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং এটা থেকে পালিয়ে বেড়ার চেষ্টা করে । অমিতের নারী বিষয়ক বেশ কয়েকটি অভিজ্ঞতা হয় বিভিন্ন সময় । সে বিভিন্ন মেয়ের মাঝে যে সুগন্ধ পায় তা প্রত্যেকের কারও না কারও সাথে কোন না কোন ভাবে সাদৃশ্য হয় । একে একে শিউলী আপা, ঝাড়ুদার একটি মেয়ে, শ্রাবন্তি অত:পর লাবণ্য আসে অমিতের ভাললাগার জগতে ।

নাটক: ভালোবাসা জেগে থাকে প্রাণে ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ২য় দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥
রচনা: বিপাশা হায়াত। পরিচালনা: তৌকির আহমেদ। অভিনয়ে : তারিন, তৌকির আহমেদ, শামসুল আলম বকুল প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: মোখলেস ভাইয়ের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েই ব্যবসাটা দাড় করিয়েছে সুমন । একারনেই অবশ্য মাঝে মাঝে সুমনের বউ লাবনীকে নিয়ে মোখলেসের সঙ্গে ডিনার করতে হয় । এতে লাবনীর আপত্তি থাকলেও তা কানে নেয়নি সুমন । তাই গত রাতে মোখলেস ভাইয়ের দাওয়াতে লাবনী সুমনের সাথে অশোভন আচরন করে । এ নিয়ে তাদেও মধ্যে মধ্যে মনোমলিন্যেও সৃষ্টি হয় । লাবনী রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায় । সুমন বাড়ি ফিরে লাবনীকে পায়না । হঠাৎ একটা ফোন আসে । লাবনী নামের একটি মেয়ে আজ রিকসা এ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে । সুমন দৌড়ে যায় হাসপাতালে, জানেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে ।

টেলিফিল্ম : দুলছে পেন্ডুলাম ॥ প্রচার: দেশটিভিতে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ৩টায়॥
রচনা ও পরিচালনা: মাসুদ হাসান উজ্জল। অভিনয়ে : আজাদ আবুল কালাম, অর্ষা, নিশো।
কাহিনী সংক্ষেপ: ‘দেশ’ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন তরুনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার ছাত্রী সে। তার ভাবনার জগৎ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি। বিজ্ঞানের মত এতো কাঠখোট্টা বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করলেও সে বেশ পাগলাটে স্বভাবের মেয়ে। তার পরিচিত একজন ক্যাব ড্রাইভার আছে যাকে নিয়ে রাতবিরেতে সে ঘুরেবেড়ায়। একদিন শহরের অভিজাত এক রেস্তোরায় সে বেশ উত্তেজিত কন্ঠে এক যুবক কে তার বন্ধুর সাথে কথা বলতে দেখে সেদিকে মনোযোগী হয়। যুবক বলেই চলেছে “আমি নিশ্চিত করে বলেতে পারি এখানে কেউ স্বস্তি নিয়ে খাচ্ছে না। যুবকটির কথা বেশ মুগ্ধ করে দেশ কে। কি মনে করে দেশ একদিন রাতে তার হলুদ ক্যাব নিয়ে হাজির হয় মোস্তাকিম এর চাপের দোকানে। কাকতালিয়ভাবে সে আবারো দেখতেপায় যুবকটাকে। দেখে সে বেশ তৃপ্তি করে চাপ খাচ্ছে। তার সামনে টোকাই শ্রেনীর এক শিশু বসেও চাপ খাচ্ছে। এভাবেই তিস্তা নামের এই এলোমেলো যুবকের সাথে পরিচয় এবং পরবর্তিতে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব হয় দেশ এর। যদিও তিস্তা সাধারনত মেয়েদের নাম হয়, তবুও এইরকম উদ্ভট প্রানচ্ছল একজন যুবকের সাথে সব নামই হয়তো মানিয়ে যায়। তিস্তা আর দেশ সম্পুর্ণ ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা দু’জন মানুষ। দেশ টাকাওয়ালা ধনাঢ্য বাবার কন্যা, আর তিস্তা সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাব্যিক পুরুষ। ভিন্ন পরিবেশে বড় হলেও দুজনের ভাবনার জায়গায় অসম্ভব মিল। যেমন দুজনের কেউই মানতে নারাজ যে বাংলাদেশে কেবলই মন্দ ঘটনা ঘটে, বিশ্বের এক নম্বর দুর্নিতীপরায়ন রাষ্ট্র বাংলাদেশ, এদেশের কিচ্ছু হবে না এই জাতীয় কথা তারা মানতে নারাজ। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনী।

নাটক : অসম ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ৩য় দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥
রচনা: সারা যাকের। পরিচালনা: আলী যাকের। অভিনয়ে: শ্রিয়া সর্বজায়া, ইন্তেখাব দিনার, রওনক, সানজিদা প্রীতি প্রমুখ। কাহিনী সংক্ষেপ: নি:সঙ্গ ষাটোর্ধ্ব প্রবীন কাজী ফয়সাল একজন বিপত্নিক । একদিন কাকতালীয় ভাবে সংস্পর্শে আসেন দুরসম্পর্কের বোন অনন্যার । আধুনিকতার সাথে সম্পৃক্ত অনন্যার বয়স কাজী ফয়সালের তুলনায় অনেক কম। অনন্যা কাজী ফয়সালকে ফেসবুক ব্যবহার করতে শেখায় । একসময় অল্প বয়স্কা অনন্যার সাথে কাজী ফয়সালের একটা সম্পর্ক তৈরী হয় । কাজী ফয়সাল অনন্যার প্রতি এক ধরনের প্রেম অনুভব করে । কিন্তু প্রেমটা একেবারেই একতরফা বুঝে তিনি ক্রমে সংকুচিত হয়ে যান । লোকলজ্জার ভয়ে প্রেম থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন তিনি। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনী ।

নাটক: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥
রচনা: হুমায়ূন আহমেদ। পরিচালনা: শাওন আহমেদ। অভিনয়ে: আশিষ, মেহজাবিন, মুনতাহিনা টিয়া, রহমত আলী, মুনমুন আহমেদ প্রমুখ‌।

টেলিফিল্ম: : অগাস্ট-এ লেখা গল্পসমগ্র ॥ প্রচার: দেশ টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন দুপুর ৩টায়।
রচনা: আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদ। পরিচালনা: ওয়াহিদ তারেক। অভিনয়ে: ইরেশ যাকের ও অনেকে ।

টেলিফিল্ম : : মনে পড়ে রুবি রায় ॥ প্রচার: দেশটিভিতে ঈদের ৫ম দিন দুপুর ৩টায়॥
রচনা: আহসান কবির। পরিচালনা: আশরাফুল আলম রিপন। অভিনয়ে: মৌ, হুমায়ুন ফরিদী, সাব্বির, রওনক।
কাহিনী সংক্ষেপ : শচীন ভৌমিকের লেখা এবং রাহুল দেব বর্মনের সুর ও কন্ঠের সেই কালজয়ী গান কেনা শুনেছে? মনে পড়ে রুবি রায়/কবিতায় তোমাকে/একদিন কতো করে লিখেছি/আজ হায় রুবি রায়/ ডেকে বল আমাকে/ তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি!পাড়ার মোড়ে যে ছেলেটি রুবি রায়ের জন্য অপেক্ষা করতো, দিনের পর দিন যাকে নিয়ে কবিতা লিখতো সেই রুবি রায় হয়তো জানতেও চায়নি কিশোর ছেলেটার কথা ! রুবি রায় কখনও বুঝতে পারেনি যে সে বাসা থেকে বের হলেই ছেলেটিও তার পিছু নিত। একদিন বাস থেকে পাড়ার মোড়ে নামতেই রুবি রায়ের ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনতাই হয়। ছেলেটি দৌড়ে যায় ছিনতাইকারীর পিছু পিছু। তাকে ধরতে পারেনা।

নাটক : মেঘ রোদ্দুর ও রমলা ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ৫ম দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট।
রচনা: মুরাদ পারভেজ। পরিচালনা: সোহানা সাবা। অভিনয়ে: আজিজুল হাকিম, ইন্তেখাব দিনার, দীপন্বিতা প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: দুই বন্ধু মোজাম্মেল আর আইনুদ্দিন দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে ফেরে এক বৃষ্টির রাতে। তারা প্রচন্ড বৃষ্টির কারনে একটি বট গাছে কাছে আশ্রয় নেয় । রাত বাড়তে থাকে । হঠাৎ কি জানি হয় আইনুদ্দিনের। সে মোজাম্মেলকে হত্যা করে তার অর্থ হাতিয়ে নেবার চেষ্টা করে। মোজাম্মেল বাধা দিলেও আইনুদ্দিন তাকে হত্যা করে সম্পদ লুটে নেয় । অনেকদিন কেটে যায়। আইনুদ্দিন সুখ জীবনযাপন করতে থাকে। কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে সবাই চিন্তিত হয় । এরপর মুসলধারে বৃষ্টি আসে । আইনুদ্দিনের মনে পড়ে যায় মোজাম্মেলের কথা। সে ভুলে যায় তার পাশে তার স্ত্রী বসে আছে। সে বিকট হাসিতে ফেটে পরে। সে হাসে আর ভাবতে থাকে মোজাম্মেল তাকে বলেছিল, এই বৃষ্টির ফোটাই আমার মৃত্যুর সাক্ষী হবে।

টেলিফিল্ম : : সে আছে, সে নেই ॥ প্রচার: দেশটিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন দুপুর ৩ টায়॥
রচনা: মাসুদ আখন্দ। পরিচালনা: আব্দুল্লাহ রানা। অভিনয়ে : কল্যাণ, জ্যোতিকা জ্যোতি, অর্পণা, স্বাগতা, আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: মাঝবয়সী ফটোগ্রাফার সাবের আলম বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় ছবি তোলার নেশায়। সম্প্রতি পাহাড়ি এক রিসোর্টে উঠেছে সে। পাশের রুমে উঠেছে যুবক ব্যাবসায়ী সাকিব রানা। নবদম্পতি বেড়াতে এসে কঠিন বিপদে পরেছে। সাকিব রানার স্ত্রী হারিয়ে গেছে পাহাড়ি বনে। হন্যে হয়ে সাকিব ্স্ত্রীকে খুঁজে চলেছেন পুলিশের সহায়তায়। জেবা ঢাকা থেকে এসেছে সাকিবকে সাহায্য করতে। জেবা সাকিবের ঘনিষ্ঠজন। বনের মাঝে হঠাৎ করেই সাবেরের ক্যামেরার সামনে চলে আসে বিথি । তাদের সামান্য সখ্যতা হয়। শেষে বিথির কয়েকটা ছবি তোলেন সাবের আলম। আচমকা যেমন এসেছিল ঠিক তেমন করে বনের মাঝে হারিয়ে যায় বিথি। হোটেলে ফিরে ল্যাপটপে তোলা ছবিগুলো আপলোড করে সাবের। ছবিগুলো দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে সাবের লক্ষ করে যে, বিথির তোলা একটি ছবিও ফ্রেমে নেই।

নাটক : বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ৬ষ্ঠ দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥
রচনা: বদরুল আনাম সৌদ। পরিচালনা: সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয়ে: মিমি, সাবা, নরেশ ভূইয়া, নিশো প্রমুখ।
কাহিনী সংক্ষেপ: কোন এক বাদল দিনে ময়না তার বাবাকে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় হিজলকে বিয়ে করবে বলে। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে ময়না গন্তব্যে পৌছায় যেখানে আগে থেকেই হিজলের থাকার কথা ছিল। কিন্তু ময়না সেখানে পৌছে দেখে হিজল নেই। ময়না অপেক্ষা করতে থাকে হিজলের জন্য। সেখানে এক প্রৌঢ়ার সাথে ময়নার দেখা হয় যে কিনা ২৩ বছর ধরে তার প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করছে ওখানে। ময়নার ভয় হয়,হয়তো হিজল ও আর আসবেনা,হয়তো তাকেও ঐ প্রৌড়ার মত অপেক্ষা করতে হবে। ময়না বাড়ি ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় ও নৌকায় ওঠে। ঠিক সেই

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৩

নাঈম আহমেদ বলেছেন: টেলিফিল্ম : : ভালোবাসার ভুবনে ॥ প্রচার : দেশটিভিতেঈদের ৭ম দিন দুপুর ৩টায়॥

রচনা ও পরিচালনা: আবু সাঈদ। অভিনয়ে : শাহেদ, মীম, সুমনা সোমা, ডলি জহুর, জয়ন্ত চট্রোপাধ্যায়। প্রচার:
কাহিনী সংক্ষেপ: বৃষ্টির দিন। মিতুকে দেখা যাবে বারান্দায়। বৃষ্টির পানিতে হাত ভিজিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করছে বৃষ্টিকে, মাঝে মাঝে মুখ ভিজিয়ে নিচ্ছে বৃষ্টির পানিতে । পাশাপাশি দেখা যাবে আশফাক, মোটামুটি উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুন, এতদিন বিদেশে ছিল, তার বিয়ের জন্য আজ মেয়ে দেখতে যাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা মা, ভাবী, বোন ও ভগ্নিপতি। বাবা যেতে পাচ্ছেন না, কারন আবহাওয়া খারাপ থাকায় চট্টোগ্রাম থেকে বিমান এখনো ঢাকা এসে পৌছেনি। যে মেয়েটিকে দেখতে যাচ্ছে সে মেয়েটি সমন্ধে কিছুই জানেনা আশফাক এবং পরিবারের অন্যান্যরা, শুধু জানেন, আশফাকের বাবা। মিতুকে ঘিরে আশফাকের ভালোলাগাও জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এক নাটকীয় মুহুর্তে জানতে পারে সবাই তারা ভুল ঠিকানায় উপস্থিত হয়েছেন। সবই ঠিক ছিল রোড নম্বর ৮/এ তে এসেছেন, আশফাকদের যাবার কথা ছিল রোড নং ৮ এ। অতপর মিতুর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেন আশফাক এবং অন্যান্যরা।

নাটক : তবুও রংধনু ॥ প্রচার : দেশটিভিতে ঈদের ৭ম দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট ॥

রচনা: জিনাত হাকিম। পরিচালনা: আজিজুল হাকিম। অভিনয়ে: অপূর্ব, সুমাইয়া শিমু।

কাহিনী সংক্ষেপ : অয়ন অনীক দুই ভাই । ছোট ভাই অনীক বিদেশে অবস্থান করে। সে দেশে ফিরে বিয়ে করবে। মাকে জানায় পছন্দের মেয়ে খালাত বোন সুষ্মিতা । মার ও পছন্দ মেয়েটিকে । বড় ছেলে অয়নকে মা এ কথা জানায় এবং তার পছন্দের কেউ থাকলে জানাতে বলে। মা দুই ছেলেকে একসাথে বিয়ে দিতে চায়। তিনি বড় ছেলে অয়নকে বাদ দিয়ে ছোট ছেলেকে বিয়ে দিতে চাননা। অয়ন জানায় সে একটা মেয়েকে পছন্দ করে কিন্তু এখন বিয়ে করতে পারবে না। পরিস্থিতির কারনে অয়ন অনীকের বিয়ে সমর্থন দেয়।

একুশে টিভি


নাটক : বৃষ্টি তোমাকে দিলাম ॥ প্রচার: একুশে টিভিতে ঈদের দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে।
রচনা : সাগর জাহান, পরিচালনা : তাহের শিপন, অভিনয়ে ঃ তিশা, সজল, মুনিরা মিঠু, ডঃ ইনামুল হক সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ ছোট ভাই প্রার্থনার জন্য ছোট একটা বক্স আমেরিকা থেকে পাঠায় তার বড় ভাই আরমান। কিন্তু সে বক্স এ মাসেও পেীছায় না। এরপর আরমান তাকে ফোনে বলে জিপিও বা স্থানীয় পোস্ট অফিসে খোজ নিতে। পোস্ট অফিসে গিয়ে জানতে পারে সেটি ডেলিবারী হয়ে গেছে। প্রার্থনা অবাক হয়ে যায়। সে দেখে মালটা অন্য ঠিকানায় চলে গেছে। সে সাথে সাথে ওই ঠিকানায় ছুটে যায়। ওই মালটি খেয়া নামের একজনের কাছে আছে, সে না আসা প্রর্যন্ত অপেক্ষা করে র্প্রাথনা। খেয়া আসার পর সব ঘটনা খুলে বলে প্রার্থনা। খেয়া বক্সটি আনতে গিয়ে আর খুজে পায়না। খেয়া ও তার মা অনেক টেনশনে পর্ ে। র্প্রাথনা বুঝতে পারে খেয়া ও তার মা অনেক লজ্জা পাচ্ছে। তাই সে পরে নেয়ার কথা বলে আসে। তারপর নাটকের কাহিনী অন্যদিকে মোড় নেয়।

নাটক : ঈদের ডায়েরি ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের দিন রাত ১০টায়।
রচনা ও পরিচালনা : ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল অভিনয়ে ঃ মাহফুজ আহমেদ, জয়া আহসান।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ ঈদের আগের দিন। সবাই ঈদের চাদ দেখা গেছে কিনা এই নিয়ে ব্যাস্ত। সবাই ঈদের চাদ নিয়ে টিভিতে ঘোষনার জন্য অপেক্ষা করছেন। শুধুমাত্র করিমের মধ্যে কোন আনন্দ নেই। করিম ও পূর্নিমার মাঝে প্রেম হয়। তারা দুজনাই প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করে। তাদের মাঝে প্রতিদিনই মোবাইলে কথা হতে থাকে। সময় পেলেই তারা দেখা করে। করিম একদিন পূর্নিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পূর্নিমা রাজি হয় তবে একটি শর্তে। আর তা হলো ঃ আমরা এমন একদিন বিয়ে করবো যখন অনেকদিন ছুটি থাকে। এরপর তারা ঈদের দিন বেছে নেয়। এরপর করিমের জীবনে ঘটে আরেক ঘটনা

নাটক: কাক ॥ প্রচার : একুশেটিভিতে ঈদের দিন রাত ১১টা ৫০ মিনিটে।
নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, শেফালীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলাম ফরিদা ছন্দা, অন্যান্য চরিত্রে আরফান আহমেদ, আলিশা প্রধান, মম হোসেন, মোজাম্মেল হক, আমীন আজাদ সহ আরো অনেকে। অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতীর পর একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেন শম্পা রেজা।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ কাক নামের পাখিটি আমরা যেমন দুর দুর করে তাড়িয়ে দেই, ঠিক তেমনিভাবে মানুষ যখন একটা বয়সে পৌছায়, অর্থাৎ বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখন কাকের মতই আমরা তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেই। মিশতে চায় না পরিবারের কেউ, এড়িয়ে চলতে চায় আশে পাশের চেনা মানুষগুলোও।

নাটক : ম্যানিব্যাগ ॥ প্রচার: একুশেটিভিতে ঈদের ২য় দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে॥
রচনা ও পরিচালনা : আলভী আহমেদ, অভিনয়ে : শহীদুজ্জামান সেলিম, সাদিয়া ইসলাম মৌ, কল্যান সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ ম্যানিব্যাগ নাটকটি মূলত একটি ঘটনার দুরকম প্রভাব নিয়ে সংগঠিত ঘটনার নাটক। একটি ছোট্ট ঘটনা আশাদেও জীবনে হয়তো অনেক মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে। সেই ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো আমাদেও জীবন অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু মূল বিষটি একই থাকে। তা হলো অনৈতিক কোন সম্পর্ক এর পরিনাম ভালো হয়না। আযাহার একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকুরী করে। খুবই গোবেচারা টাইপের মানুষ। সকালে উঠে বাজার কওে তারপর অফিসে যায়। বাসায় রাতে এসে ঘুমিয়ে যায়। তার স্ত্রী তমা ঠিক তার বিপরীত। তার জীবন বৈচিত্রময়। তার চাহিদারও কোন শেষ নেই। তমার মানসিক চাহিদা পূরন করতে এগিয়ে আসে সুমন। সুমন আযাহারের অফিসেরই জুনিয়র কলিগ। তমা এবং আযাহারের সাথে তার বেশ ভালো সম্পর্ক। একদিন সকালে অফিসে যাওয়ার সময় হঠাৎ মনে করে সে বাসায় ম্যানিব্যাগ ফেলে এসেছে। এরপর নাটকে কাহিনী অন্যদিকে মোড় নেয়।

নাটক : নীল বেদনায় লাল কষ্ট ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত ১০টায়॥
রচনা ও পরিচালনা : জুয়েল মাহমুদ, অভিনয়ে : অপূর্ব, ফারহানা মিঠু, মেীসুমী হামিদ, নাবিলা সহ আরো অনেকে।

নাটক : ফোর সাবজেক্ট ॥ প্রচার : একুশেটিভিতে ঈদের ৩য় দিন রাত ১০টায়।
রচনা ও পরিচালনা : মাসুদ সেজান, অভিনয়ে ঃ মোশাররফ করিম, তিশা, অশোক বেপারী সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ: জীবনে চলার পথে একজন মানুষের অতীত সবসময় সুখকর কিছু এনে দেয়না। স্মৃতিকাতর সেই ঘটনাপ্রবাহ বর্তমানে এসে নানাভাবে বিঘœ ঘটাতে পারে। যেখানেই ঘটেছে জাহিদ ও শাহানার দাম্পত্য জীবন। বিয়ের আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো কেউ কারো অতীত নিয়ে কথা বলবেনা। কিন্তু বাস্তবে তাদেও ঠিক উল্টোটা ঘটে চলেছে। এরপর ঘটে নাটকে নতুন ঘটনা।

নাটক : কদম চোরা ॥ প্রচার ঃ একুশে টিভিতে ঈদের ৩য় দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিট।
রচনা : ইকবাল খন্দকার, পরিচালনা : দীপু হাজরা । মীর সাব্বির, মেীসুমী বিশ্বাস, আরফান আহমেদ, বিনয় ভদ্র সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ কদম আলী একজন সিঁধেল চোর। প্রতি রাতে একাধিক বাড়িতে সিঁধ কাটে। তবে সে একা নয়। সঙ্গে আরেকজন শিষ্য আছে। এক রাতে সে পাশের গ্রামের এক বাড়িতে চুরি করতে যায়। গিয়ে সিঁধ কাটে। এরপর যখন সে ভেতরে ঢোকে তখন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তার শিষ্যকে বলে যায় যাতে লোকজনের কোনরকম আনাগোনা পেলেই তাকে মিসড কল দেয়। শিষ্য বাইরে দাঁড়িয়ে মানুষজনের গতিবিধি লক্ষ্য করতে লাগলো আর কদম আলী ঢুকে গেল ঘরের ভেতরে। সে এটা সেটা চুরি করে বস্তায় ভরতে লাগলো। হঠাৎ বেজে উঠলো তার ফোন। অর্থাৎ শিষ্য মিসড কল দিয়েছে। কদম আলীর তো মাথায় হাত। কারণ সে ভুল করে মোবাইল সাইলেন্ট করেনি।

নাটক : ভালোবাসার দুই প্রহর ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০মিনিটে।
রচনা ও পরিচালনা : অরন্য নীল। অভিনয়ে : সজল, রুমানা সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ মেয়েটির নাম নীলিমা। সে ভার্সিটিতে পড়ে। কল্যান এশটি প্রাইভেট ফার্মে চাকুরি করে। তারা একে অপরকে ভবালোবাসে। তারা যে ভবালোবাসে তা তাদের বাসায় জানায়। এবং তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। একদিন কল্যানের মোবাইলে অফিস থেকে ফোন আসে। এটা তার স্ত্রী দেখে সন্দেহ করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়। আবার একদিন নিলিমার মোবাএল ফোন আসে তার এক বন্ধুর। নিলিমা ঝসড়া করে চলে আসে তার বাবার বাড়িতে। এরপর এশটি ঘটনা দিয়ে নাটকের সমাপ্তি ঘটে।

নাটক : না বলা নিষেধ ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ১১টা ৫০ মিনিট।
রচনা ও পরিচালনা : অঞ্জন আইচ, অভিনয়ে : আনিসুর রহমান মিলন, মোনালিসা, ডাঃ এজাজ, মাসিয়াত, স্বাধীন খোশরু সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ মালোয়শিয়ায় অবস্থানরত একজন বাংলাদেশী সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কাবুলের সাথে ফেইজবুকে পরিচয় হয় ঢাকার মেয়ে জুনের সাথে। এবং তা প্রেমে পরিনত হয়। একসময় জুনকে বিয়ে করার জন্য সে ঢাকায় চলে আসে কাবুল। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন আপত্তি ঘটে থাকে তার। কাহিনীর আবর্তনে দেখা যায় কাবুলের অনেক পরিচয়ই মিথ্যা। এরপর ঘটে নতুন ঘটনা।

নাটক : ৭২ ঘন্টা ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের ৫ম দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিট।
রচনা ও পরিচালনা : হিমু আকরাম ॥ অভিনয়ে ঃ মোশাররফ করিম, তানিয়া হোসেন, কচি খন্দকার, শামীমা নাজনীন সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : আনিস সাহেবের প্রয়োজন অনেক টাকা। সময় মাত্র ৭২ ঘন্টা। আনিস বাসার স,ব আসবারপত্র বিক্রি করে উঠে যায় পুরান ঢাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী করিম বক্সের চিলেকোঠায়। শুরু হয় তার মিথ্যাচার ও ছলচাতুরী। অবশেষে ৭২ ঘন্টার সময় নিয়ে মালিকের বাসায় চুরি করে পালিয়ে যায় আনিস। কারন আনিসের স্ত্রী রুপা হাসপাতালের আইসিউতে। তার লাইফ সাপোর্ট মাত্র ৭২ ঘন্টার।

নাটক : তোমারই কাছে যাই ॥ প্রচার : একুশে টিভিতে ঈদের ৫ম দিন রাত ১০টায়।
রচনা : শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনা : সকাল আহমেদ। অভিনয়ে : মাহফুজ আহমেদ, তাহসীম সহ আরো অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ : শীলা ও রনির কয়েক বছরের প্রেম। রনি লেখাপড়া শেষ করে বেকার। এদিকে শীলার জন্য ছেলে দেখা হচ্ছে। একটা ছেলেও পছন্দ হয়েছে। ওই ছেলে মিডল ইস্টএ থাকে। আর রনি ঝোকের মাথায় বলে দেয় তার ডিভি হয়েছে। সে আমেরিকা যাচ্ছে। শীলার বাবা ডিভির কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু রনি বিপাকে পড়ে যায়। রনির এক বন্ধুর সহযোগীতায় জাল ডিভি কাগজ পত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের বিয়ে ঠিক হয় ১৪ এপিল। এরপর নাটকের কাহিনী অন্য দিকে মোড় নেয়।

নাটক : বাড়ী ফেরার গল্প ॥ প্রচার ঃ ঈদের ৬ষ্ঠ দিন সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিট ॥
রচনা: জহির বাবু, পরিচালনা : জিল্লুর রহমান তুষার। অভিনয়ে : রোমানা, আনিসুর রহমান মিলন, চিত্রলেখা গুহ, সুলতান সেলিম, ম.ম. মোর্শেদ সহ অনেকে।
কাহিনী সংক্ষেপ ঃ মোশারফ গ্রাম থেকে শহরে এসেছে বেশ কিছুদিন। সে বাড়ি থেকে টাকা এসে শহরে ব্যবসা শুরু কল্ ে। সখ্যতা গড়ে ওঠে ধনাঢ্য পরিবারের কন্যা মেরিনার সাথে। কয়েকদিন বাদেই ঈদ। এই সময় মোশারফের বোনের বিয়ে ঠিক হয়। ঠিক সেই সময় শুরু হয় দ্বৈত সংঘাত। ঈদ সামনে থাকায় পাওনাদার তার কাছে ভিড় করতে থাকে। ঘটতে থাকে হাস্যকর সব ঘটনা। অপরদিকে সে যাদের কাছে টাকা পায় তারা গড়িমসি করতে থাকে। সে তার প্রেমিকার কাছে বলতে গিয়েও বলতে পারেনা। নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে মোশারফের শুরু হয় বাড়ি ফেরা।

মাছরাঙা টিভি

টেলিফিল্ম : নেকলেস ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট॥

পরিচালনা : লুৎফুন নাহার মৌসুমী। অভিনয়ে : শারমিন জোহা শশী, শাহাদাত হোসেন, সুমন, জয়িতা, ক্যামেলি, ইরফান।
কাহিনী সংক্ষেপ : ভাগ্যের পরিহাসে নীচ কূলে জন্মানো সুন্দরী মেয়ে অনিন্দিতার বিয়ে হয় কেরানী রজতের সাথে। ভোগবিলাসের প্রতি আগ্রহ থাকায় সে সবসময়ই অসন্তুষ্ট থাকতো। তার একজন ধনী বান্ধবী ছিল, মাঝে মাঝে তার বাসায় যেতো। এখন যায় না, কারণ তার ঐশ্বর্য দেখে মনে কষ্ট পায়। একদিন তার স্বামী রজত পাঁচতারা হোটেলে একটি নিমন্ত্রণে যাওয়ার জন্য অনিন্দিতাকে বলে। ভেবেছিল অনিন্দিতা আনন্দিত হবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার মতো শাড়ী আর গহনা না থাকাতে সে কার্ড ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রজতের মোটর সাইকেলের জন্য জমানো পনেরো হাজার টাকা দিয়ে দেয় শাড়ী কেনার জন্য। শাড়ীতো কেনা হলো, এবার গহনার জন্য সেই বান্ধবী হিমিকার থেকে হীরের একটি নেকলেস নিয়ে আসে। দামী পোষাক আর গহনায় সুন্দরী অনিন্দিতা অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষনীয় হয়ে যায়। নাচ-গান চলতে চলতে একসময় তার জুতার হিল ভেঙ্গে গেলে লজ্জায় সে দৌড়ে এসে নদীর ঘাটে পৌছে পুরোনো একটা গাড়ীতে চড়ে বাসায় চলে আসে। একসময় সে দেখে যে হীরের নেকলেসটি হারিয়ে গেছে।

নাটক : প্রেমের গপ্পো ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের দিন রাত ৮টায় ॥

মূল গল্প : আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস , চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : অনিমেষ আইচ। অভিনয় শিল্পী : মোশাররফ করিম, সারিকা, নাজমুল হুদা বাচ্চু। কাহিনী সংক্ষেপ : জাহাঙ্গীর সদ্য বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বুলা অনন্য সুন্দরী। স্ত্রী ভক্ত জাহাঙ্গীর সর্বদাই বুলাকে ইম্প্রেসড করতে চায়। স্ত্রীর কাছে সে নানা চাঁপাবাজি করে, নিজের অতীত জীবনের বিবিধ মিথ্যা গল্প বলে। সে জানায়, ছাত্রজীবনে তার জন্য মেয়েরা পাগল ছিলো। সে কাউকে পাত্তা দিতো না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়ো নেতা। সবাই তাকে দেখলে থরথর করে কাঁপতো। আসল ঘটনা একেবারেই ভিন্ন। যেসব মেয়েদের নিয়ে সে চাঁপাবাজী করে, সেসব মেয়েরা জীবনে একবার তার দিকে ফিরেও তাকায়নি। একবার যদি এই মেয়েদের কেউ তার সাথে একবার কথাও বলতো, তাহলে তার জীবন স্রেফ ধন্য হয়ে যেত। আর অন্যদিকে বুলার অতীত জীবনটা একেবারেই অন্য রকম।

টেলিফিল্ম : : টিলো-এস-প্রেস ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ২য় দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট॥

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ে : সানজিদা হক অর্ষা, মনোয়ার কবির, সানিয়া হোসেন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সাদিক স্বর্ণা, বন্যা মির্জা। কাহিনী সংক্ষেপ : বেশীরভাগ মানুষই তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুশী নয়। চায় পরিবর্তন। সেই চাওয়া থেকে প্রত্যেকেই পওে থাকে এক একটা মুখোশ। সাব্বির আর মুমুর প্রেম চার বছরের। সাব্বির একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করে। মুমু একটা মেকআপওভার সেলুন চালায়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তারা সময় বের করে দেখা করে, বাইরে ঘুরতে যায়। কিন্তু ,এরপরও কোথায় যেন সম্পর্কের একটা শূন্যতা, একে অন্যকে পুরোপুরি পাওয়ার অভিপ্রায়। সাব্বিরের বিষয়ে মুমুর অতিরিক্ত পজিসিভনেস্ এর ফলে সাব্বির অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বললে বা তাকালে বা কোন মেয়ের বিষয়ে কথা বললে অনেক রিঅ্যাক্ট করে। এর ফলে সাব্বির ও মুমু দুজনেরই কাজের ক্ষেত্রে সমস্যাও সৃষ্টি হয়। মুমু মানসিক ভারসাম্যহীনতার দিকে পৌছে যেতে থাকে। তার ধারণা এই চার বছরে একই চেহারা দেখে এখন সাব্বির অন্য মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হতে চায়। মুমু সিদ্ধান্ত নেয় সে চেহারা পাল্টে ফেলবে প্লাস্টিক সার্জারী করে।

নাটক : রিল্যাক্স বস ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ২য় দিন রাত ৮টায় ॥

রচনা : গাউসুল আলম শাওন, পরিচালনা : ইফতেখার আহমেদ ফাহমি । অভিনয়ে : শহীদুজ্জামান সেলিম, আরাবী, নাইম, নিশো, তানজিকা।

কাহিনী সংক্ষেপ : হাস্যরসাত্মক ধরণের নাটকটি ঢাকার এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার “বস”, বয়স পঞ্চাশ কে নিয়ে। তার ইয়াং সাজার চেষ্টা প্রায়ই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। জলবিয়োগ করার জন্য টয়লেটে ঢুকলে লক কাজ না করাতে তার মনে সন্দেহ হলো যে কেউ উঁকি দিয়ে চলে গেছে। এরপর থেকে অফিসের যার সাথেই দেখা হচেছ তার সন্দেহ হচ্ছে সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। সবাইকেই সে সন্দেহ করতে থাকে। আর এই সন্দেহ নিয়ে ঘটে মজার মজার সব ঘটনা।

টেলিফিল্ম : অপহরণ ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট ॥

রচনা : শিবব্রত বর্মণ, পরিচালনা : নজরুল ইসলাম রাজু। অভিনয়ে : আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, লুৎফর রহমান জর্জ, ফারাহ রুমা।

কাহিনী সংক্ষেপ : মাসুদ ও সুলেখা স্বামী-স্ত্রী। তাদের এক লেখক বন্ধু রাসেলের বাসায় পার্টি শেষে রাতে বের হয়ে সুলেখার আইসক্রীম খেতে ইচ্ছা হয়। মাসুদ গাড়ী থামায়, তবে বলে এতো রাতে দোকান খোলা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দূরে একটি গলির দিকে সুলেখা ইশারা করে বলে ঐ দোকানটা রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। মাসুদ বলে আইসক্রীম খাওয়ার শখ তোমার, তুমি যাও। মাসুদ গাড়ীতে অপো করে। গলির ভেতর সুলেখা মিলিয়ে যায়। অপো করতে করতে একসময় অধৈর্য্য হয়ে মাসুদ সুলেখাকে গলিতে খুঁজতে গিয়ে আর পায়না। মোবইলে সুলেখাকে ফোন করলে সেটি বন্ধ বলে। অগত্যা সে তার বন্ধু রাসেলকে ফোন করে। রাসেল এসে পুরো ব্যাপারটা পুলিশকে জানাতে বলে। মাসুদ রাজী হয়না। তার ধারণা সুলেখা কিডন্যাপও হতে পারে।

নাটক : প্রেম ও গ্রন্থ ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৩য় দিন রাত ৮টায় ॥

রচনা : ইফফাত আরেফীন তন্বী, পরিচালনা : সুমন আনোয়ার। অভিনয়ে : রওনক, ফারাহ রুমা।

কাহিনী সংক্ষেপ : সুহিতা ভীষন ভীতু, সারাদিন ডুবে থাকে গল্প উপন্যাসের মধ্যে। যখন যে উপন্যাস পড়ে নিজেকে সেই উপন্যাসের নায়িকা বলে মনে হয়। সুহিতার এইরকম আচরনের কারনে ওর বন্ধু বান্ধব ও কমে গেছে। সুহিতা মনে মনে সবসময় কাউকে খুজে বেড়ায় ওর স্বপ্নের নায়ক যে কেমন হবে ও নিজেই ডিসিশন নিতে পারে না। ওদের পাশের ফ্যাটের বড় ছেলে দেখতে ভালো বুয়েটে লাস্ট ইয়ার সিভিল এ পড়ছে। রাফা খেয়াল করে দেখেছে সুহিতা মাঝেই মাঝেই জানালায় এসে দাঁড়ায়। তার আচরণ দেখে রাফার বদ্ধ মূল ধারনা হয় মেয়েটার মাথায় প্রবলেম আছে।


টেলিফিল্ম : : বিশাল রূপালী পর্দা ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট ॥

রচনা ও পরিচালনা : গৌতম কৈরী। অভিনয়ে : শতাব্দী ওয়াদুদ, মৌসুমী বিশ্বাস, নওশাবা। কাহিনী সংক্ষেপ : অবিবাহিত মোবারক হোসেনের বয়স ৬০। গ্রামের সবাই তাকে সম্মান করে। প্রতিদিন বিকেলে সে বাজারে টি.ভি দেখে। প্রতিবেশী মেয়েটি মাঝে মাঝে একবেলা রান্না করে তাকে খাওয়ায়। একদিন জানতে পারে সাত গ্রামের একমাত্র সিনেমা হল ‘ঝলক’ ভেঙ্গে সেখানে মার্কেট করা হবে। এই খবরটা শুনে তার মন ভারাক্রান্ত হয়। যখন তার বয়স ২৭, তখন সে একেকটা সিনেমা ১০ বার করে দেখতো। সিনেমা আর সিনেমা হল নিয়ে তার ছিল ব্যাপক আগ্রহ। হলের প্রজেকশন কাজ ও রপ্ত করে ফেলেছিল। গ্রামরে মেয়ে সিনেমার পোকা সাধনার সাথে তার প্রেম হয়। সিনেমা হল আর সাধনাকে নিয়ে অনেক মজার মজার কান্ড ঘটতে থাকে। একসময় মোবারকের চাকরি হয় সিনেমা প্রজেকশন করার। এদিকে সাধনাকে তার বাবা ছেলে মুসলমান বলে বিয়ে দিতে রাজী হয়না। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে মারও খেতে হয়। একদিন সাধনা আত্মহত্যা করে। মোবারক সিনেমা হল বাদ দিয়ে গ্রামে চলে যায়।

নাটক : সর্বজয়া, সারা, হিমেশ ও অ্যারন ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৪র্থ দিন রাত ৮টায় ॥

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : এজাজ মুন্না। অভিনয়ে : মম, সজল, ঈশানা, প্রকাশ।

কাহিনী সংক্ষেপ : সর্বজয়া তার ২৫ বছরের জীবনে সব দিক দিয়েই এগিয়ে থাকলেও সুন্দর করে সংসার গোছাতে পারেনি। সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। শেষ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয় একমাত্র বন্ধু সারা কে। সারা’র স্বামী থাকে বিদেশে। সর্বজয়াকে পেয়েতো সারা মহা খুশী। স্বামী হিমেশ খোঁজ পায় যে সারার বাসায় সর্বজয়া। সর্বজায়া প্রচন্ড মনে কষ্ট পায় যখন জানতে পারে যে সারা’র সাথে হিমেশের সম্পর্ক ছিলো। এরমধ্যে সারা’র স্বামী দেশে এসে তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ সর্বজয়াকে দেখে। এমনকি এই কথা সে হাসতে হাসতে বলেও ফেলে। প্রথমে হালকাভাবে নিলেও সারা পরে বিচলিত হয়। সর্বজয়া সব দেখেশুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মুখোমুখি হয় হিমেশের। কিন্তু মুখোমুখি হতেই দুজনার পরিণতি পরিবর্তিত হয়।

টেলিফিল্ম : : স্বপ্নবাজ ॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৫ম দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিট ॥

রচনা ও পরিচালনা: শ্রাবনী ফেরদৌস । অভিনয়ে : শাহাদাত হোসেন, সুষমা, তানিয়া হোসাইন, শাহরিয়ার শুভ, স্বাগতা, নওশাবা।

কাহিনী সংক্ষেপ : জীবন ও জীবিকার জন্য অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল ইমরান। বিভিন্ন নাটকে সে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে। তার ধারণা সে খুব ভাল অভিনয় করে এবং একদিন ব্যস্ত আর্টিস্ট হিসেবে তার সুনাম সারা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। সেই স্বপ্নের পেছনে সে ছুটতে থাকে। ঘটে যায় নানান ঘটনা। শিল্পী হওয়ার বাসনা চাঁপা পড়ে যায় কঠিন বাস্তবতার আড়ালে। স্বপ্ন আর বাস্তবতার পথ ধরে হাটতে হাটতে ইমরান হঠাৎ একদিন জেনে যাবে তার স্বপ্ন জয়ের গল্প। অভিনয়ে : শাহাদাত হোসেন, সুষমা, তানিয়া হোসাইন, শাহরিয়ার শুভ, স্বাগতা, নওশাবা।

নাটক : আমি হয়তো মানুষ নই॥ প্রচার : মাছরাঙা টিভিতে ঈদের ৫ম দিন রাত ৮টায় ॥

রচনা : রুম্মান রশীদ খান, পরিচালনা : চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয়ে : সারিকা, নাঈম, আরেফিন শুভ।

কাহিনী সংক্ষেপ : রাজীব ভালবাসে তার বাবার বন্ধুর মেয়ে মিতুকে। এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, দুই মাস পর তাদের বিয়ে হবে। কিন্তু সে মিতুর ছোট ছোট ভাললাগার অনুভবগুলো বুঝতে পারেনা। বন্ধুর জন্মদিনে তার সাথে সময় কাটাবে বলে মিতু চলে যায়। মিতুর বন্ধু তাকে একটি অচেনা ছেলেকে রিক্সা ঠিক করতে দেখে একটি শর্ত দেয়। সেটি হলো, যদি মিতু সেই ছেলেটির সাথে রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে গল্প করতে পারে তাহলে মিতুর বন্ধু তাকে পাওনা উপহার দেবে। মিতু শর্তে রাজী হয়ে রিক্সায় অনেকটা জোড়পূর্বক উঠে ঐ অচেনা ছেলের সাথে মনগড়া গল্প জুড়ে দেয়। ছেলেটি কিছু বুঝতে পারেনা। বিব্রত বোধ করতে থাকে। মিতু জানায় সে এখনো তাকে আগের মতোই পছন্দ করে।

মোহনা টিভি

নাটক : ভোরের শিশির ॥ প্রচার : মোহনা টিভিতে ঈদের দিন রাত ৯টা ৩০ মিনিট॥
রচনা: রশিদ নিউটন, পরিচালক: নজরুল কোরেশী শিল্পী- ডি এ তায়েব, তানভিন সুইটি, শাহেদ শরিফ খান প্রমখ।

৫ পর্বের খন্ড নাটক : আমি একটি নাটক বানাতে চাই ॥ প্রচার : মোহনা টিভিতে ঈদের দিন থেকে ৫ম দিন রাত ১১টা ৩০মিনিট।
নাট্যকার: সিদ্দিকুর রহমান শিল্পী-: জাহিদ হাসান, সিদ্দিকুর রহমান, খালেদ্ াআকতার কল্পনা প্রমুখ॥

নাটক : মহল্যার পাগলামী ॥ প্রচার : মোহনা টিভিতে ঈদের ৫ম দিন দুপুর ১টায়॥
নাট্যকার: রনবীর রনি .পরিচালক: এইচ আর অনিক । অভিনয়ে আরেফিন শুভ, সিদ্দিকুর রহমান, স্বাগতা, রুনা খান।

বিটিভি
এবারের ঈদে মোট ২১টি নাটক ও ৪টি টেলিছবি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিভি কর্তৃপক্ষ। আনিসুল হকের রচনা ও আবুল হায়াতের পরিচালনায় নাটক ‘শুধু একটি বিরহের জন্য’। এটি ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে। নির্বাচিত অন্যান্য নাটকগুলো হলো মামুনুর রশীদের রচনা ও পরিচালনায় ‘উচিৎ কথা’, লিটু সাখাওয়াতের রচনা ও সাইদুল আনাম টুটুলের পরিচালনায় ‘জাদুর বাক্সে’, টিনা খানের রচনা ও পরিচালনায় ‘নীল স্বপ্ন’ এবং বৃন্দাবন দাসের রচনা ও তারেক খানের পরিচালনায় ‘হতাই’।

এ ছাড়াও আরো যেসব নাটক প্রচারিত হবে সেগুলো হলো ‘স্বপ্ন বিলাস, একজন ছায়াবতী, প্রতিপক্ষ, বধূ দর্শন, কবিতার গল্প, লেইস ফিতা, সামনেই আলো, ফাইটার, সামছু বাবুর্চির ইজ্জত, অসম্ভবের অন্ধকার, উপহার, আলবিদা স্টোর, অদৃশ্য আশা, দুঃখটা একান্তই অণুর, স্বপ্ন উপাখ্যান’ এবং ‘মেঘলা আকাশ’।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৭

অণুজীব বলেছেন: নাটকের নাম আর সময় গুলা বোল্ড করে দিলে পোস্ট টা মনে হয় আরো ভালো হতো

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৫

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।ঈদ মোবারক....... !:#P

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৩

চাঁপাইবার্তা বলেছেন: যারা টিভি দেখে ঈদের সময়টা উপভোগ করেছন তাদের জন্য লিংটা কাজে আসতে পারে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৪

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।ঈদ মোবারক....... !:#P

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১৭

উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: আপনার কাজের প্রশংসা না করে পারছি না

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২২

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ।ঈদ মোবারক...........নাটক দেখা শুরু করুন :D

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৩

আসুন মজা করি বলেছেন: আপনার কাজের প্রশংসা না করে পারছি না । তাই
thanks

:) :) :) :) :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৫

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক...........নাটক দেখা শুরু করুন :D

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৩০

কবিরাজমশাই বলেছেন: আমি ক্লান্ত পরান এক

আপনার এই পোষ্ট পড়ে !!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪১

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ঈদ মোবারক....... ।এ কাপ চা খাইয়া লন :P

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫২

নীল২০১০ বলেছেন: অনলাইনে ঈদের নাটক দেখার কোনো লিংক দিতে পারেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৭

নাঈম আহমেদ বলেছেন: http://www.amarnatok.com

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩২

রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: খালি নাট্কের কথাই লিখ্লেন, বিক্খাফন দিবেন্না?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬

নাঈম আহমেদ বলেছেন: তাইলে এইডা ৩০০ মাইল লম্বা পোষ্ট হইত

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮

মেহদী১০ বলেছেন: খাইছে এত নাটক । কোনটা ছেরে কোনটা দেখমু । যাই হোক অনেক পরিশ্রমি পোস্ট ।
ধন্যবাদ ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক...........নাটক দেখা শুরু করুন :D

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

বিপ্লব২৯৭১ বলেছেন: তিনশ’ নাটক-টেলিফিল্ম =p~ =p~ =p~
ভাই টিভি জিনিষটা কি! . . . এ্যাড এর জন্য বানানো হইছে না !
=p~ =p~ =p~

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

নাঈম আহমেদ বলেছেন: হ :P

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ঈদ মোবারক :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৫

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক...........নাটক দেখা শুরু করুন :D

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫০

ভদ্র পোলা বলেছেন: মাথা নষ্ট ম্যান

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০০

নাঈম আহমেদ বলেছেন: ইয়ো ম্যান ।ঈদ মোবারক...........নাটক দেখা শুরু করুন :D

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৫

নীল২০১০ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। :) :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০০

নাঈম আহমেদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.