![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবার আসবে তুমি নিশুতি প্রেমে , বুকের পাঁজরে বাজি ফোটাবে তুলকালাম মেঘের । জানালা বন্ধ করলে তুমি আরও ঘিরে ধরবে বেশি করে, এক কোটি বছরের গল্প করবে https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder
মরে গিয়েও কিছু মানুষ বেঁচে থাকে , আর সেই মাধ্যমটা হচ্ছে তার কাজ দিয়ে । বাংলা চলচ্চিত্রে খুব অল্প কিছু মেধাবী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যারা এখনও আমাদের মাঝে মরে গিয়েও বেঁচে আছে , আর তেমন একজন মানুষ হলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও ঔপন্যাসিক জহির রায়হান । তার চলচ্চিত্রগুলো এখনও বিশাল একটা জায়গাজুড়ে আছে বাঙালির মনে । আর তার কিছু লেখাতো ওমর হয়ে আছে । অনেক বাঙালির পোড়া তার একটি উপন্যাস "হাজার বছর ধরে" । আর তা নিয়েই পরবর্তীতে পরিচালক কোহিনূর আকতার সুচন্দা নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র " হাজার বছর ধরে" ।
হাজার বছর ধরে জেগে থাকে পৃথিবীর জীবন । সে জীবনে অসংখ্য মানুষ আসে ধরণীর আলো -বাতাসে,আবার অসংখ্য মানুষ চলে যায় নিয়ম করে। জেগে থাকা রাত অনেকগুলো স্বপ্নের কথা বলে ,বলে হারিয়ে যাওয়া অনেকগুলো রাতের গল্প । সেইসব রাত-দিনের গল্প নিয়েই মানুষ এগিয়ে যায় , এগিয়ে যায় । ছুটে চলা এ মাত্রিক জীবনে ভিন্ন নদীর প্রবাহ আসে । কখনও স্রোত কেড়ে নেয় অসংখ্য হাসি আবার কখনও হাসির মিশেলে যেন ঢেউ নামে জীবনের । নদীতে ঢেউ উঠে ,দিঘিতে জলের আওয়াজ ; সব এখানে মন্ত্রমুগ্ধের মত বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকে মানুষের বুকের ভেতর । সেই বুকে কোন খাদ নেই , আছে নিখাদ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা জেগে থাকে যুগের পর যুগ ,হাজার বছর ধরে ।
ছবির নাম "হাজার বছর ধরে " , ছবিটির গল্প নেয়া হয়েছে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও লেখক জহির রায়হানের " হাজার বছর ধরে" উপন্যাস থেকে । ছবির প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে । যেই গ্রাম যুগের পর যুগ বেঁচে আছে । দিঘির পাড়কে কেন্দ্র করে কয়েক বাড়ি গড়ে উঠেছে আজ বহু বছর ধরে । মুকবুল এই বাড়িগুলোর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি । তাকে সবাই গণ্য মান্য করে । মুকবুলের বউ আছে তিনজন । তার মধ্যে ছোটজন হল -টুনি । সে তার বউদের খুব কড়া শাসনে রাখে , সবসময় তাদের কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখে । তার বাড়ির পাশে আছে সালেহা , আবুল এবং গনুমোল্লার বাড়ি । তারা সবাই সমীহের চোখে দেখে । আর পাশে আরেক বাড়িতে আছে মন্টূ । যে বাবা-মা হীন । ছবির কাহিনী এক সময় এই মন্টূ এবং টুনিকে নিয়ে আবর্তিত হয় । তাদের মধ্যে এক ভালোবাসার সৃষ্টি হয় । এ দিঘিকে কেন্দ্র করে করেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসা । চলতে থাকে এই কয়েক পরিবারের মানুষের জীবন । কখনও তাদের জীবনে হাসি , আনন্দ আসে আবার কখনও তাদের পারস্পরিক বিভিন্ন সমস্যায় তারা জড়িয়ে পড়ে । হাসি-আনন্দের এক মিশেল হয়ে থাকে তাদের গ্রামীণ জীবন । এ গ্রামীণ জীবনে থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন ভুল ধারণা , ভুল বিশ্বাস ; যাকে আঁকড়ে ধরে তারা যুগের পর যুগ তাদের জীবন অতিবাহিত করে । এ রকম বিভিন্ন পারিপাশ্বিক গ্রামীণ বিষয় নিয়েই ছবির গল্প এগোতে থাকে ।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন - পরিচালক কোহিনূর আকতার সুচন্দা , ছবির গল্প নেয়া প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও লেখক জহির রায়হানের " হাজার বছর ধরে" উপন্যাস থেকে । এর সিনেমাফটোগ্রাফিতে ছিলেন- প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান , সংগীত পরিচালনা করেছেন - প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল । এতে অভিনয় করেছেন - রিয়াজ,শশী,এটি এম শামসুজ্জামানসহ আরও অনেকে । ছবিটি ২০০৫ সালে মুক্তি পায় এবং মুক্তি পাওয়া ২০০৫ সালের ছবির মধ্যে ছবিটি শ্রেষ্ঠ ছবির জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় ।
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:০৯
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন:
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
নেক্সাস বলেছেন: জহির রায়হান আমার প্রতিবেশী। ৫ মিনিটের পায়ে হাটার দূরত্ব। হাজার বছর ধরে উপন্যাস যে গ্রামীন পটভূমিতে রচিত তা আমার গ্রাম। জহির রায়হান কে নিয়ে গর্ববোধ করি। যুগে যুগে জন্ম হোক এমন কথাশিল্পীর
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
রীতিমত লিয়া বলেছেন: ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন: জহির রায়হান আমার প্রতিবেশী। ৫ মিনিটের পায়ে হাটার দূরত্ব। হাজার বছর ধরে উপন্যাস যে গ্রামীন পটভূমিতে রচিত তা আমার গ্রাম। জহির রায়হান কে নিয়ে গর্ববোধ করি। যুগে যুগে জন্ম হোক এমন কথাশিল্পীর - যাক আপনার আরেকটা পরিচয় পেলাম, নেক্সাস।
পোস্টে অনেক ভালোলাগা।
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১০
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আরে কিছু শেয়ার করেন ভাই
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম । আশাকরি পরিচালক ও অভিনেতারা চরিত্রগুলি ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন । ++++++
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বোকামন বলেছেন: “জহির রায়হান কে নিয়ে গর্ববোধ করি”
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: উপন্যাসটা এখনো পড়ি।ছবিটাও অসাধারন লেগেছে
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
অদৃশ্য বালক বলেছেন: ভাই উপন্যাস পড়ছি আর ছবিটাও দেখছি। অসাধারণ।
কিন্তু ছবিটা শুরুর দিকে একখান গান আছিলো, গানটা শুনে প্রেমে পড়েগেছিলাম। কিন্তু গানটা কোথাও খুঁজে পেলাম না।