![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এবং সে ছিল বঙ্ঘবন্ধুর একজন প্রিয়পাত্র। অথচ এই তিনি খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা এবং আমরা প্রায়ই দেখি টেলিভিশনে বয়াতির মত মাথা দুলিয়ে খালেদা জিয়াকে নানা উপদেশ দেন।
আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সীমাব্দ্বতা আছে কিনত এই সীমাব্দ্বতার মধ্যেও তারা সাম্প্রতিক সময়ে যে পারফর্মেন্স দেখিয়েছে তা দেশে বিদেশে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। গুলশানে মাত্র ১২ মিনিটে কোন ক্যাজুয়ালিটি ছাড়া জঙ্ঘীদের যেভাবে পরাস্ত করেছেন আর শোলাকিয়ায় মূল ঈদগাহে মাঠে আক্রমণের প্লান দুজন পুলিশ সদস্যের জীবনের বিনিময়ে যেভাবে রুখে দিয়েছেন তা সত্যিই অভাবনীয় সাফল্যের দাবী করতে পারে। ভেবে দেখুন তো যে গ্রেনেডের আঘাতে দুজন পুলিশ মারা গেল জঙ্গিরা যদি সেটা ঈদগাহ মাঠে বিস্ফোরণ ঘটাতে সমর্থ হত কত লোক মারা যেত। শুধু গ্রেনডের আঘাতে নয় বিস্ফোরণের শব্দে যে প্যানিক সৃষ্টি হত তাহলে লক্ষ লোকের সমাবেশে পদদলিত হয়ে কত লোক মারা যেত ? বিচিত্র কিছু নয় গত হজ্বের চাইতেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার যে যেখানে আছ গুলশানে হাজির হাজির হও রেডিও বার্তা পেয়ে বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন গুলশান ট্রাজেডির দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নিজের জীবনের বিনিময়ে সে জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়া রুখে দেন। অথচ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বনানী থানার ওসি কেন গুলশান থানায় গেল সমালোচনা করে এবং ওসির মরণোত্তর বিচার দাবী করে। কতটা অসভ্য অভব্য ইতর হলে একজন সাহসী পুলিশ অফিসারের মরণোত্তর বিচার দাবী করতে পারে? জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিকট অতীতের কিছু কর্মকান্ডের দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝা যাবে তার পুলিশের সমালোচনা হঠাৎ কোন মুখ ফসকে যাওয়া বেফাঁস উক্তি নয় ।
জামাতের নিয়োগ করা লবিস্ট সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছর ১০ই জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাড় করিয়ে রাখেন ট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দিনই জাফরুল্লাহ এজলাসে সাজা ভোগ করলেও অথর্দণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় ২৮ জুলাই তাঁর সাজা বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
আরও একবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে টকশো’তে বিরুপ মন্তব্য করায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহসহ চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার অভিযোগে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রেরণ করেন। পরে এর শুনানিতে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মন্তব্য করেন “আপনারা তো জানেন না, খোঁজ রাখেন না। না জেনেই মন্তব্য করে ফেলেন। না জেনে কোনো কথা বলবেন না। আপনারা জ্ঞানী লোক, আমরা আপনাদের সম্মান করি। আপনাদের কথা মানুষ শোনেন এবং অনুসরণ করেন। টকশো’র কথা উল্লেখ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ সময় আরো বলেন, আপনি ওইখানে উল্লেখ করেছেন ‘হাসনাইন নামের জজ সাহেব’ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র বিচারপতিকে কি এভাবে সম্বোধন করতে পারেন? এছাড়া বলেছেন ‘আমাদের মোজাম্মেল সাহেবের কাছে আবেদন করেছেন’ আপনি আপনার ড্রয়িংরুমে এভাবে বলতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে দেশের প্রধান বিচারপতিকে এভাবে সম্বোধন কিভাবে করেন? উনি কি আপনার ক্লাসমেট?”
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর ফরহাদ মাজহার নাস্তিক হয়েও জঙ্গি জামাতের যে আনুকল্য পায় তাদের এই সমস্ত জঙ্গি তোষণ মন্তব্যের কারণেই ।
প্রকৃত পক্ষে জামাতের মিলিয়ন ডলারের জালে আটকে পড়া এই বুদ্বিজীবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই ধরনের অভদ্র মন্তব্য আমাদের পু্লিশ বাহিনীর নৈতিক মনোবল কে দূর্বল করবে পক্ষান্তরে জঙ্গিদের উৎসাহিত করবে। জামাত বিএনপি চায় দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে এবং দেশের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। এই সমস্ত বুদ্বিজীবিরা অত্যন্ত সুচতুর ভাবে জামাত বিএনপি তথা জঙ্গিদেরই পারপাস সার্ভ করছে।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
জামাত বিএনপি চায় দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে এবং দেশের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। এই সমস্ত বুদ্বিজীবিরা অত্যন্ত সুচতুর ভাবে জামাত বিএনপি তথা জঙ্গিদেরই পারপাস সার্ভ করছে।
এদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: জামাত বিএনপি চায় দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে এবং দেশের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে।