নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথিকের পাঁচালী

আম জনতা

পথিকের পাঁচালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথের জুতা আবিষ্কার ও জঙ্গি নির্মুলের সহজ ফর্মূলা

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

সেদিন বন্ধু বান্ধবদের আড্ডায় সাম্প্রতিক সময়ের জঙ্গিবাদের সৃষ্টি , উত্থান এবং পরিণীতি নিয়ে আলাপ হচ্ছিল । আমার এক বন্ধু পিতৃহীন তার এক ছেলে এক মেয়েকে সমাজের বিপরীত স্রোতকে প্রাণপণে ঠেলে বুকে আগলে মানুষ করছে। সে জানাল ২০১৪ সালের ৩ মাসের বিএনপি জামাতের জ্বালাও পোড়ওয়ের সময় তার ছেলে মসজিদ থেকে আছরের নামাজ পড়ে বেরিয়েছে তখন তার সমবয়সী একটি ছেলে এসে তাকে প্রস্তাব দিল তাদের সাথে যোগ দেবার জন্য । তারা তিন জন হয়ে গেছে আর একজন দরকার । ব্যাপারটা খুবই সোজা । তার এক বড় ভাই কয়েকটি বোতল দিয়েছে । সেগুলি কমলাপুরের যে কোন বাসে ছুড়ে মারতে হবে। ব্যাস , কয়েক মিনিটের ব্যাপার । আর এই সামান্য কাজের শেষে দশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে যা তারা চার জনে ভাগ করে নিবে।
বিএনপি ইদানীং জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্য করার জন্য রথী মহারথীদের ডাকছে । আর ইনারাও মানে এই সুশীল প্রাণীরাও যারা অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে থাকেন কিন্তু যখন দেখেন জল ঘোলা হয়েছে , মাছ ধরার একটি সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তখনি তারা মাঠে নামেন, জ্ঞানুগর্ভ বক্তৃতা দেন, নানা উপদেশ খয়রাত করেন। আর তাদের এই উচ্চমার্গীয় কৌশল দেখে আমার রবীন্দ্রনাথের জুতা আবিষ্কার কবিতাটির কথা মনে পড়ে গেল।
হবু চন্দ্র রাজা একদিন আক্ষেপ করে তার মন্ত্রী গবু চন্দ্রকে ডেকে বলল পৃথিবীতে পা ফেলা মাত্র কেন পায়ে ধুলাবালি লাগবে ? তোমরা শুধু শুধু বেতন নাও , রাজার কাজে তোমাদের মন নাই।

তোমরা শুধু বেতন লহ বাঁটি,
রাজার কাজে কিছুই নাহি দৃষ্টি।
আমার মাটি লাগায় মোরে মাটি,
রাজ্যে মোর একি এ অনাসৃষ্টি!
শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার,
নহিলে কারো রক্ষা নাহি আর।'

মন্ত্রী গবু তখন সেকালের সুশীল প্রাণীদের ডাকলেন। তারা নানা রকম ফন্দি ফরমায়েশ করলেন। তাদের পরামর্শ মোতাবেক সাড়ে সতেরো লক্ষ ঝাড়ু কিনে রাজ্য জুড়ে ঝাড়ু দিতে লাগলেন। এতে করে রাজ্যের আকাশ গেল ধুলায় ছেয়ে।

কহিল রাজা, `করিতে ধুলা দূর,
জগত্ হল ধুলায় ভরপুর!'

তখন আবার সুশীল প্রাণীদের পরামর্শে একুশ লাখ ভিস্তি অর্থাৎ পানিবাহী দিয়ে পানি দিতে লাগলেন। তখন চারিদিকে সৃষ্টি হল্ প্যাচ প্যাচে কাদা ।

কহিল রাজা, `এমনি সব গাধা
ধুলারে মারি করিয়া দিল কাদা!'

তখন আবার সেই সুশীলদের ডাকা হল । এবার তারা পরামর্শ দিল পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ডেকে দাও তাহলে আর রাজার পায়ে ধুলাবালি লাগবে না । সে জন্য মুচিদের ডাকা হল । বৃদ্ব মুচি সর্দার এসে বললেন ,

নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে
ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।'

এই লেখা যখন লিখছি তখনও দেখছি টেলিভিশনে সাদা চুলের কয়েক টকার টকশো তে জঙ্গি নির্মুলের নানা ফর্মুলা দিচ্ছে । কবিতার রুপকে আমার মতামত হল এই রথী মহারথীদের জ্ঞানগর্ভ গবেষণার প্রয়োজন নেই । শুধু জামাত বিএনপিকে লাইনে আনুন , ব্যস জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। It is very simple and easy.

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

রাতকানা, দলকানা শুধু শুনেছি। আজ লেখা পড়িয়া চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হইল ;)

দু-পক্ষ ঝগড়া লাগলে তৃীয় পক্ষ সুবিধা নেবেই। সেই ঝগড়া না থামিয়ে ব্লেইম গেমে চলছেই!!!! আর বিশ্বে আমরা কলংকিত হচ্ছি। বানিজ্য হারাচ্ছি! বাংলার চরাচরিত শান্তিপ্রিয় বাউল অথিতি পরায়ন রুপ ঢেকে যাচ্ছে কদাকার জঙ্গি তত্ত্বে। আবার জঙ্গিদের রাঘব বোয়াল সবই আওয়ামী সন্তান, ভাই, দুলাভাই!!!! রোহান থেকে শায়খ আবদুর রহমান সবই আোয়ামী আত্মীয়তায় রঙিন!
অথচ আঙুল উঠে খালি অন্যের দিকে!!!! বলিহারি!

অনির্বাচীত স্বৈরাচারিতায় সংবিধান লংঘন করে ক্ষতায় বসে সকল ভিন্নমতের গলা টিপে ধরা! বিরোধীদল দমনে আমেরিকান আল কায়েদা গেম ষ্টাইলে জঙ্গি নাম বলে বিরোধি দমন করতে করতে যখন নিজেদের গলায় কাটা ফুটল দেশের বারোটা বাজল এখন তিনারাই আবার নতুন বোতলে পুরানা মদ নিয়ে জুতা আবিস্কার তত্ত্ব লয়ে হাজির!!!
ব্রাভো!
সারা বিম্ব অবাক তাকিয়ে রয়
চমচা, দলকানা চেতনা ব্যবসায়ী
শুধূ আওয়ামীলিগেই রয় =p~ =p~ =p~

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

পথিকের পাঁচালী বলেছেন:
এতো দেখি কানার হাট বাজার ,এক কানা কয় আরেক কানারে ………………….। আপনার দৃষ্টি শক্তি যে ক্ষীণপ্রায় সেটাও কিন্তু আপনার মন্তব্যে দৃশ্যমান। আপনি পক্ষ তিনটি দেখলেন কোথায় , পক্ষ তো দুইটাইা যা করার ওরাই করছে । ৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের পর দৃশ্যমান ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন কাল গগজ আর সাফারি স্যুটের ফালতু হিরো জঙ্গিবাদের বীজ বপন করলেন। এমনও দেখা গেছে ৭৬ এ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অন্তরালে জামাতের উদ্যোগে বিমান বাহিনী প্রধান এ কে খন্দকার কে অপসারণ করে পাকিস্তান ফেরত তাওয়াবের উপস্থিতিতে সিরাতুন্নবি মাহফিলে স্লোগান উঠে “ তাওয়াব ভাই তাওয়াব ভাই , চাঁদ তারা মার্কা পতাকা চাই” । সেই জেনারেলের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেক দুশ্চরিত্র জেনারেল ধর্মের ব্যাপারে আরেক কাঠি সরস। তিনি তার পূর্বসূরী জেনারেলের জঙ্গিবাদের চারাগাছ কে জল সিঞ্চনে পত্র পল্লবে পুষ্পিত করলেন। আর জেনারেল পত্নী তো প্রকাশ্যে নেতা কর্মীদের আহবান করেন এই জঙ্গিদের মেহমানদারি করার জন্য। জঙ্গি খুঁজতে বহু দেশ ঘুরে বহু ব্যয় করে জঙ্গি খুঁজতে যাই, কিন্তু বাড়ীর কাছেই আরশি নগরে যে পড়শি বসত করে আমরা এমনই কানা যে তাকে দেখতে পাইনা ।
জামাত যে মিলিয়ন ডলারের জাল বিছিয়েছে তাতে অনেক রথী মহারথীরাও ধরা পড়ছে। যে বাঘা নিয়াজির সাথে হাত মিলায় নাই তার হাত নারী এবং শিশুদের রক্তে রঞ্জিত বলে । এখন বীর মুক্তিযোদ্বা বাঘায় জামাতের মিলিয়ন ডলারের জালে আটকা পড়ে কাশেমালির টিভি তে গামছা গলায় রাজাকারের সাথে গলা মিলায়। রাজাকারের জন্য সুশঠ, নিরপেক্ষ , আন্তর্জাতিক মানের বিচার চায়। এই বাঘার প্রতিটি বক্তব্য এখন রাজাকারের পক্ষে যায়। তার বক্তৃতা বিবৃতি এখন জামাত শিবির কোড করে, শেয়ার করে। কাদের সিদ্দিকির যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আওয়ামীলীগের পুত্র কন্যা দুলাভাই তাদের জালে আটকা পড়বে এ আর বিচিত্র কি ? কার নিন্দা কর তুমি এ আমাদের জেনারেলদের পাপ । আর জালটাতো তাদের দিকে বিশেষ কায়দায় পাতা।
সরকার জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে । সরকার কে তাড়াবার মত আন্দোলন করার শক্তি সামর্থ্য কোণটাই বিরোধী দলের নাই ।
সারা বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয়
বিরোধী দলের আন্দোলন কারে কয়।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

সৌমিত্র বিশ্বাস বলেছেন: গুলশানে হোটেল হলি অটিজমে ভয়াবহ জঙ্গী হামলার যদি কোন পজেটিভ দিক থাকে আমার মতে তা হল-মানুষ এই ঘটনার পত থেকে ইসলাম এবং জঙ্গীবাদ কে আলাদাভাবে দেখতে শুরু করেছে। এখন শুধু দরকার সঠিক প্রচারণা। কোন ধর্মই যে মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না সেইটাই আধুনিক প্রজন্মের মগজে আচ্ছা করে ঢুকিয়ে দিতে হবে। জঙ্গীরা যে পর অনুসরণ করছে, আমাদেরো সেই একই পথ অনুসরণ করে উলটো কাজটা করতে হবে অর্থাৎ আধুনিক প্রজন্মকে ধর্মের সঠিক পথটি মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে শুধুমাত্র তাহলেই জঙ্গী দমন সম্ভব হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: এরা তা না করে সরকার কে তুলাধুনা করে সরকার কেন জঙ্গি নির্মুল করতে পারছে না । সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে বলে আত্মতৃপ্তি বোধ করে। জঙ্গিদের সমালোচনা না করে সরকার কে দোষারোপ করে। জঙ্গি আক্রমণের নানা রকম যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে ।ভাব খানা এমন হবেইতো , আমরা থাকলে এমন হত না। অথচ তারা ভুলে যায় তাদের মন্ত্রী এমপি দের সহায়তায় রাজশাহীর বিস্তৃত অঞ্চলে জঙ্গিরা পাকিস্তানের ও্যাজিরস্তানের মত নিজস্ব প্রশাসন চালু করেছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একুশে আগস্টের মত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ।আমরা আমাদের যার যার অবস্থান থেকে জঙ্গিদের প্রতিরোধ না করে সরকারের ঘাড়ে লাঙল চাপাবার চেষ্টা করি।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগের কন্ট্রোলে আছে ব্যাপারটা; এখন তারা চায় যে, মানুষ কিছু চাপে থাকুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.