নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিস্তি ::৮২:: শাওন-শীলা এবং বিয়ে বিতর্ক

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮



সারোয়ার ভাই (এখন এটিএন নিউজে) আমাকে ফোনে জানালেন-অফিস গেলে আমি যেনো মতি ভাইয়ের (মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক) সাথে দেখা করি। সাধারণত আমি বাউন্ডেলে রিপোর্টার। নিজের মত চলতে, বলতে এবং লিখতে পছন্দ করি। তাই আগে থেকে বলে রাখা। অফিস গিয়ে গোল্ডলিপে কয়টা টান মেরে উপরে উঠলাম।

মতিভাই বললেন- শুনছেন তো ঘটনা। তখনো আমি কিছু শুনিনি। অনলাইনের দাপট ছিল না সে সময়। আর মানবজমিনে সার্ভিস (বিএসএস ও ইউএনবি'র নিউজ) দেখার সুযোগ আমরা রিপোর্টাররা পেতাম না।

বললাম- কি? মতি ভাই হাসলেন। বললেন- আপনার স্যার তো তার বউ তালাক দিযেছে। কয়েকটা স্টোরি করেন। স্টোরি অ্যাঙ্গেল নিযে কথাও হলো।

চূড়ান্তভাবে আমি যেটা করবো সেটিই চূড়ান্ত। আমার সাথে এ বিষযে অ্যাসাইন করা হলো সৌমিত্র দেবকে। হালে তিনি গবেষক-সাহিত্যিক হিসাবে খ্যাত। সে সময় হুমায়ূন স্যারের বিষয়ে খবর নিতে কার্জন হর এলাকায় কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলেছিলাম। আসিফ ভাই এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। অন্যরা বলেছেন।

তাদের মধ্যে তাজমেরি এস এ ইসলাম অনেক কিছু জানালেন। হুমায়ুন পাগল গুলতেকিন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আমার জানা হয়েছে তার কাছ থেকে।

গুলতেকিন হুমায়ুন প্রেমে অন্ধ। ক্যাম্পাসে এসে তার রুমের বাইরে অপেক্ষা করতেন। এভাবেই তার সাথে প্রেম, বিয়ে এবং অন্যান্য। সেই মেয়েটাকে তিনি তালাক দিলেন কেন? এ নিযে অপার বিস্ময়!

তালাকের নোটিশটাও দারুণ! 'আমাদের সাদা বাড়ি' বইটিতে হুমায়ুন আহমেদ প্রশ্ন করেছেন আল্লাহ কেন নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান করেছেন।

সেই তিনিই তালাকের চিঠিতে বলেছেন- আল্লাহর কাছে অণুমোদিত সবচেয়ে অপছন্দের কাজ হলো- তালাক। বাধ্য হয়ে তিনি সেটি বেছে নিযেছেন।

কে কাকে তালাক দেবেন, কাকে বিয়ে করবেন- এ সব আমাদের দেশে খবর। আসলেই খবর। আমি এটাকে ভিন্নভাবে দেখিনা। দেখার কোনো কারণও নেই।

শাওনকে হুমায়ুন আহমেদ বিয়ে করার পর এ নিয়ে অনেক তর্ক হযেছে। এখনো হচ্ছে। অনেকে এটাকে মানতে চান না। আমার ঘনিষ্ঠতম মুখ শাহরিন। সেও এটাকে খুবই খারপ বলে আমার কাছে মত দিযেছে। এতেও আমি কিছু মনে করিনি। শাহরিনের প্রসঙ্গ তুললাম- ও হুমায়ূন আহমেদের প্রচণ্ড ভক্ত।

হুমায়ুন আহমেদের বিয়ের পরে আমি পেশাগত কারণে তার সাথে অনেকবার কথা বলেছি। আমার মনে হযেছে তরুণি নারীর স্পর্শ তাকে নতুন জীবন দিযেছে। তবে সত্যটা হলো তাকে হত্যা করেছে। তার তিন কন্যার জন্য মন কাঁদতো। প্রচণ্ড রকমের কাঁদতো। তিনি সেটি ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শেযার করেছেন বলে মিলন ভাইয়ের কোনো একটা লেখায় পড়েছিলাম।



'নিউইয়র্কের আকাশে ঝকঝকে রোদ' বইয়ে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন, তার কণ্যা শীলা জানেন- পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছেন। এ প্রসঙ্গ তুলেও অনেকে শীলার সমালোচনা করছেন।



শাওনের উত্থান নিযে আলাপের দরকার থাকতে পারে বেহুদা বিতর্কের খাতিরে। বাস্তবে দরকার আছে বরে মনে হয় না।



ব্যাক্তি স্বাধীনতা তাই যা অন্যের ক্ষতি ছাড়া নিজের জীবন সাজাতে সহায়তা করে। আমার মনে শাওন, শীলা, হুমায়ুন আহমেদ কিম্বা আসিফ নজরুর কেউ আমাদের শত্রু নন। তাই তাদের ব্যাপারে সমালোচনার জায়গাটা বড় করে তোলা শোভন বলে মনে হয় না।



শীলা যাকে বিয়ে করেছেন, তার সাথে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। এটা অনেকের মত আমিও কিঞ্চিত জানতাম। অবাক হতাম এ ভেবে যে, এ রকম একটি সম্পর্ক টিকে আছে কিসের ভিত্তিতে। তবুও টিকে ছিল। ছেলেটাকে দেখতাম শীলার বই খাতা আগলে রাখতো। এর বাইরে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল বলে মনে হয় না। অনেক দিন এক সাথে থাকতে থাকতে এক ধরণের মায়া থেকে এ সম্পর্ক হযে থাকতে পারে- এটা আমার অনুমান।



আসিফ নজরুল তাকে বিয়ে করেছেন। তিনি এর আগেও দুটো বিয়ে করেছেন। একটি রোকেয়া প্রচাীর সাথে। তাদের অনেক মধুর আলাপন আমরা খবরের কাগজে পড়েছিলাম। বিয়ের মাস কয়েক পরে প্রাচী ও আসিফ ভাইয়ের সাথে দেখা সাপ্তাহিক ২০০০ এর অফিসে দেখা। আমি জয়ন্ত আচার্যের (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিসে কাজ করেন)সাথে চা খেতে সেখানে গিযেছিলাম। আসিফ ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন। সে সময় তিনি প্রাচীর একটি সাক্ষাৎকার উপলক্ষে আনন্দধারাতে গিযেছেন। সেখান থেকে নেমে সাপ্তাহিক ২০০০ এর অফিসে। আসিফ ভাই ও প্রাচী আপার সম্পর্ক ভালো চলছিলে বলেই জানতাম।

সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হযেছে। আমার এখনো মনে পড়ে- বাবা হবার পর আসিফ নজরুল প্রথম আলোর ছুটির দিনে একটা লেখা লিখেছিলেন- সেখানে বাচ্চা হবার সময ঘনিয়ে আসার দৃশ্য বর্ণনা করে আসিফ ভাই লিখেছিলেন- অমানবিকভাবে ফুলে উঠছে প্রাচীর পেট। আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত করেছিলাম। সে সময় বলেছিলাম এটা সঠিক শব্দ চয়ন হযনি। তার পরে ইন্টারন্যাশনাল হলে তার কাছে একটা কাজে গিযেছিলাম- আলাপের ফাঁকে তাকে আমি সেটি জানিয়েছি।



হঠাৎ কি এমন ঘটলো তাদের ছাড়াছাড়ি হলো। এটা একটা রহস্য বটে।

এখন আসিফ বা শীলার বাচ্চাতেদর কী হবে, তা একটা প্রম্ন। ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের নিযে আমি সব সময় শঙ্কায তাকি। সমাজ এ রকম সন্তানদের কতটা আদরে বড় করতে পারবে জানি না। কিন্তু এ সব সন্তান একটা কষ্ট, দু:খবোধ এবং ঘৃণা নিয়ে বড় হয় বলে জানি।



এর মধ্যে আসিফ ভাইয়ের সাথে শীলার যোগাযোগ হচ্ছিলো বলে জেনেছিলাম। পুরনো প্রেমিকা বা পছন্দের মানুষের সাথে যোগাযোগ দোষের কিছু নয়। আমি নিজে এমনটা মনে করি। কারো সাথে আমার এই মতের মিকল নাও হতে পারে!



আমার কাছে প্রথমমে খবরটা যে দিয়েছে, তাকে বিশ্বাস করতে পারিনি। বলেছি হযতো স্রেফ যোগাযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত এটি একটি পরিণতির দিকে যাবে এটা ভাবিনি। আবার ভাবিনি বলে এটা হওয়ার পরেও নিশ্চিত হবার জন্র অপেক্ষা করতে হয়েছে। পাবলিকলি আসার পর এ নিযে আলাপ হচ্ছে।



তবে যে কোনো বিবেচনায় আমি এ বিয়েকে খারাপ চোখে -সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় ইচ্ছুক নই। শীলা ও আসিফ ভাইয়ের জীবন আনন্দময় হোক।



বিযে বিতর্ক এ নিযে এটাই শেষ। সামনের কিস্তি আমাদের সময়কার ক্যাম্পাস সুন্দরীদের নিয়ে লেখার ইচ্ছে।







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

বিভ্রান্ত _পথিক বলেছেন: আসিফ স্যারের প্রথম স্ত্রীর নাম কি রিমঝিম ছিল?কিছু পত্রিকায় লেখা হয়েছে শিলার সাথে প্রথম বিয়ে হয়েছিল কিছু জায়গায় লেখা রিমঝিম নামে একজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল।তার প্রথম বিয়েটা কার সাথে হয়েছিল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মোরতাজা বলেছেন: শীলার সাথে তার তৃতীয় বিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.