নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা নিতান্তই নিরীহ টাইপের স্মৃতিচারণ। সাবেক সচিব, সমাজ চিন্তক- আসাফ উদ দৌলা। কথায় কথায় গত পয়লা বৈশাখের কয়েকদিন আগে বলছিলেন- অন্য ধর্মের যে কোনো আচার 'আমরা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু অংশ নিতে পারি না।'
কিন্তু কথাটা অন্য কেউ কইলে যে কউ মুহুর্তে জমাত অইয়া যাইবো। আমাগো দেশের সম্বাদিক, আর কথিত প্রগতিশীলদের ধারণা ধর্মকর্ম এবং ভারতের যৌক্তিক বিরোধীতা মানেই জমাত। তাগো এই ধারণা জমাতরে সুবিধা দিছে, হেইটা তাগো বিবেচনার বাইরে।
তাগো ভাবে সাবে মনে লয়- কুরআন হাদীস জমাতের জন্য নাজেল অইছে। আমরা এই সব থেকে দূরে থাকতে পারলেই মহান। নিজেরে শামিল কইরাই কইতাছি, আমরা নিজেদের অনেক বড় প্রগতিশীল বানায়া ফালাইছি। তাই মুসলমানিত্ব বলতে এখন জমাত। মুসলমানিত্ব বলতে এখন হেফাজত। আসল মুছলমান কই রে ভাই। ক্যান এই যে আমার নাম মুছলমান, অবশ্য মডারেট মুছলমান।
ক্যান আমরা এখন পুলা-মায়ার নাম বাংলায় রাখছি তো। সোন্দর সোন্দর নাম। ফোর্ড উইলিয়াম কলেজের বাংলা। এক্কেরে খাঁটি। কিন্তু চাষা ভুষা মানুষ কতা কওয়া এই বাংলা ভাষার বদলে আইজ কাইল তো নব প্রজন্ম ইংরাজি, হিন্দিতে কতা কইতে ভালোবাসে। আমরাও ট্যাকা কামাইবার জন্য তাগো ইঙলাজি শিখণ বাইধ্যতা মূলক করি, আর ভাষা আন্দোলনের মহাত্ম কপচাইয়া বক্তব্য রাখি। সত্যি সেলুকাস! বিচিত্র এ দেশ!
রবিউল আউয়াল, আমাগো নবী সা: এর জন্ম ও আল্লাহর কাছে ফিরা যাওনের দিন, আমরা এত আমেজ পাই না। ইয়া নবি সালামু আলাইকা কইয়াই শ্যাষ। তার পর তবারক চিবাইতে চিবাইতে বাসায় চইল্লা আসি। আবার কারো এই সময়টাও অয় না।
আর অন্যের ধর্মের উৎসবে সারা রাইত জাইগা থাকি, আনন্দ করি। কেউ কেউ বিশদ জ্ঞানও দিয়া দ্যান- এই সব এখন সার্বজনীন।
আমরা কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া চলমু, উৎসব আনন্দে এক অইয়া যামু , এইটা এই দ্যাশটার বিউটি। এইখানে আমরা সবাই মানুষ। কেউ মুছলমান না, হিন্দু না, বৌদ্ধ না, খ্রিস্টান না।
কিন্তু আমরা সবাই কিছু ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে জন্মাইছি। সেই ধর্ম মতে চইলতে চাই। তাই বলি প্রার্থনা, অর্চনা, আচার, দোয়া, মাগফিরাত কামনার 'ধরণ' কি এক অইতে পারে? পারে না।
আমি অন্তত তাই বিশ্বাস করি। কাউরে কই না আমার লগে একমত অন। তয় ধর্মের ঠিকাদারি কাউরে আল্লাহ দ্যায় নাই। শেষ বিচারে দিন আমগো সবাইরে কিন্তু কইফিয়ত দিতে অইবো।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
মোরতাজা বলেছেন: সহমত
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন:
আপনি লিখেছেন,
"শেষ বিচারে দিন আমগো সবাইরে কিন্তু কইফিয়ত দিতে অইবো। "
বিচার করার জন্য আপনাকে পাবে কোথায়?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
মোরতাজা বলেছেন: আমি আসলে আপনার মত এতটা জ্ঞানী নই। ধরে নিতে পারেন একটা বলদ, কিন্তু এই বলদ শেষ বিচারে বিশ্বাস করে, এখানে বলদটা কোনো যুক্তি মানে না। সুতরাং আপনার মত যুক্তিবান আপাতত নিজের নিয়া বাবেন, উপকৃত অইবেন।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২
মুশাহা বলেছেন: পাঠক১৯৭১, আপনি কম্পিউটারের ফটোশপের কাজ করার সময় ইচ্ছে করলে একটা সুন্দর ছবি তৈরি করে বেশ কিছুক্ষণ বা কিছুদিন রাখতে পারেন তারপর ছবিটা সেভ করে কোথাও সেন্ড করলেন। কোনো ভাবে প্রাপকের নিকট থেকে ছবিটা নষ্ট হয়ে গেলো, সেটা কি ছবির সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেও হারিয়ে যায়? আমার মনে হয় বিষয়টাকে আরো গভীরভাবে আপনি চিন্তা করলে আপনার জবাব আপনি নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন। তার আগে হৃদয়টাকে নিউট্রাল করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি পাবেন, না হলে একটু দেরী হতে পারে, অসুবিধা নেই, মেডিটেশনের মতো অভ্যাসের ব্যপার।
আত্মার কাছে জবাব নিতে হলে আত্মাকে চর্চিত হতে হয়।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
মোরতাজা বলেছেন:
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: উদাহরণটা এ ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভারত বিরোধীতা মানেই জামাত আর জামাত বিরোধী মানেই আওয়ামীলীগ নাস্তিক এই মতবাদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।