নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীর বেচে খাবার যোগাড় এবং কেউ না খেয়ে নেই

০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

'না খেয়ে কেউ থাকছে না।' কথাটা অনেকদিন ধরে শুনছি। কিন্তু কীভাবে খাচ্ছে মানুষ। সে খবরটা কি আমরা কেউ নিয়ে থাকি! নাগরিক হিসাবে আমরা আমাদের যাপিত জীবনের ক্ষুধার কষ্ট অনেকটা কমিয়ে এনেছি। এটা নিয়ে দ্বিমত করার কিছু নাই।



এর কৃতিত্বটা কার। সরকারের? এনজিও এর। আমি এটা মানতে চাইনি কখনো, এখনো না। আমাদের দেশের মানুষ নিজেদের চেষ্টায় এগিয়েছে। সামনেও এগুবে।



এখানে রাজনীতি বরং একটা বড় বাধা। রাজনীতিকর গুণ্ডা পোষেন, তাদের জন্য যে চান্দা ওঠে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শোধ করতে হয় আম জনতাকে।



তবুও মানুষ অদম্য। মানুষের এই এগিয়ে যাওয়াটাকে আমি সম্মান করি। ধারণ করি এবং নিজেও চেষ্টা করি।



ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য অনেকে অনেক রকম পথ বেছে নেন। একজন মানুষের যে রকম বেতন কড়ি পাওয়ার কথা সে রকম পান না। আবার পেলেও আবার কেউ স্বভাবগতভাবে আরো পাবার লোভে সমাজে একটা ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেন।



চূড়ান্ত বিচারে সৎ মানুষরাই এগিয়ে থাকেন। সে সততা কেবল কথার নয় কাজের সততা। তবে সমাজের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতা সততার সাথে চলা মানুষের জীবন যাপনকে কঠিন করে তুলেছে।



সাভারের একটা মেয়ে সেলাইয়ের কাজ করে। যে টাকা সে পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। সবার মত তার মনেও আকু পাকু করে ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক, ক্রিম মাখার। একটা কারুকাজ করা জামা পড়ার শখ তারো। কিন্তু বাবা মা নিয়ে যেখানে খাবার জোটানোর সংগ্রাম, খাবার জোটেনা ঠিকমত, সেখানে সে অসহায়। কেবল তিন বেলা খাবার নিশ্চিত করতে মেয়েটা লড়ে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে লড়ে।



নেটওয়ার্কে ধরা পড়ে মেয়েটা। অথবা ধরা দেয়। সপ্তাহে একদিন করে খদ্দের সামলায়। তার শরীরের স্বাদ নিতে ছোটেন উঠতি পয়সাঅলারা।



তাদের একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- ক্যান এ সব করো। সোজা সাপ্টা উত্তর নগরে দু মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য।



মতিয়া আপা এভাবে না খাওয়ার জন্যবিক্রি হয়ে যাওয়া নারীর সংখ্যা কম নয়। সমাজতন্ত্র এক সময় আপনার প্রচার মন্ত্র ছিল। এখন কি আছে। সমাজতন্ত্র মানুষকে মানবিক করে। কিন্তু আপনি কৃষি মন্ত্রী, আপনি বলছেন, মানুষ না খেযে থাকছে না। এ ভাবে কারো কারো শরীর বেচে খাবার যোগাড় করাকে কি বলে। আমি জানি না।



কেবল পৃথিবীর আদিম পেশা বলে আমরা এটাকে কবুল করি। কিন্তু এ মানুষগুলোর জন্য আমরা ভাবি না। যারা অভাবে এবং স্বভাবে এ সঙ্কট সময় পার করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ান। কারো দরকার ভাত, কারো চিকিৎসা। বলছি না কালই সব মানুষের সমস্যা সমাধান করে ফেলবেন। শুরুটা করেন না। বদলাবে সবাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: nice! very nice!!

০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মোরতাজা বলেছেন: :)

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসি গাড়ীতে গিয়ে এসি বাড়ীতে বসে এসব দুঃখ ব্যাথা বোঝার ক্ষমতা এককালের তথাকথিত সমাজবাদীনী বর্তমানে ..ন্ড মতিয়ার নেই। সরকারী কারোরই নেই।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম :)

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

অেসন বলেছেন: আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ। তবে আদিম পেশাটি শুধুমাত্র অভাবের কারনে সমাজে টিকে থাকে না। পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে এই পেশাটি
আছে। আমাদের দেশের সবাই না হোক কেউ কেউ অভাবের কারনে এই পেশা গ্রহন করে। সেজন্য সমাজের পরিবর্তনটা জরুরী।
@ঢাকাবাসী, মতিয়ার দোষটা কি ? রাতারাতি কার দিয়ে আপনি পরিবর্তন
আনবেন ? বাস্তবতা বুঝে বলুন। কৃষিমন্ত্রী হিসাবে তার দায়িত্ব কি বুঝে বলুন।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

মোরতাজা বলেছেন: আমি কিন্তু বলিনি অভাবের কারণে এ পেশাটি টিকে আছে। টিকে থাকা নিয়ে আমার কোনো কষ্ট নাই। কিন্তু যে সব মানুষ এ ব্যববসার পণ্য তাদের নিয়ে ভাবতে বলেছি। ভাববার দরকার আছে। আমি অন্তত বিশ্বাস করি।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

মোরতাজা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.