নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ পুরো উপমহাদেশের মানচিত্র বদলের তিনটি ধাপের আন্দোলন সৈনিক, তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু। তাকে নিয়ে রাজনীতি হয়, তার প্রশংসা করে নিজের অপরাধ ঢাকেন কেউ। কেউ তাকে ফেরি করে চান্দাবাজি টেন্ডারবাজি করেন। সে সব কথা বাদ দিয়ে আমি ভিন্ন একটা প্রসঙ্গ তুলতে চাই। সেটি প্রাসঙ্গিকও বটে।
গত বিষুদবারে আমাদের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম আলো আলো দুর্দান্ত এক কনসার্ট হলো। সেই কনসার্টে আমাদের শিল্পীরা ছিল অচ্যুত। এ নিয়ে এবি মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার ফেসবুকে পেজে দেখলাম পরের জন্মে তার বিদেশী হয়ে জন্মানোর ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন।
ডিজিটাল দুনিয়াতে সে দিনের কনসার্ট নিয়ে ব্যাপক আলাপ চলছে। এ নিয়ে নানা রকমের গেম হচ্ছে। এর মধ্যে যখন লিখছি, তখন সময়ের চাকা আমাকের ১৭ মার্চে নিয়ে গেলো। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু। আল্লাহ আপনাকে পরকালীন জীবনে শান্তিতে রাখুন।
ডিজিটাল মিডিয়াতে দেখলাম, আমাদের নাই, তাই বিদেশ থেকে হায়ার করলে কোনো দোষ নাই টাইপের কথা বার্তা। এ নিয়ে অনেক যুক্তি। তর্ক।
সাত মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, তোমাদের যার যা আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। তবুও বাংলার মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো... ইনশাল্লাহ।
এ রকম অনুপ্রেরণা দেয়া দ্বিতীয় কথাটি দ্বিতীয় কোনো রাজনীতিক বলতে পারেননি। এখানে তিনি অনন্য-সাধারণ। তার এ কথার মর্ম আমরা বুঝিনি। অথবা বুঝেও এড়িয়ে যাচ্ছি।
সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের ওপর ঝেঁকে বসে নাই, আমাদের রক্তের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নির্মম সত্যটা উপলব্ধি করার বদলে ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে তারে আমরা সন্দেহ করি।
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরের এ সময়ে আমাদের অনেক কিছু করার ছিল, আমরা করিনি। সে জ্ঞান কাউকে দিতে হবে না। এটা সবাই জানেন।
আমি কেবল বঙ্গবন্ধুর কথা ফিরে আসছি- বঙ্গবন্ধু কিন্তু একবারো বলেননি, পাকিস্তানিরা ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ নিয়া আসবো, জাহাজে করে অস্ত্র নিয়া আসবো, তোমরা সেই সব ঠেকানোর জন্য ততোধিক শক্তিশালী অস্ত্র সংগ্রহ করো।(গোপনেও বলেছেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।) তিনি আমাদের ভেতরের শক্তিতে জাগিয়ে দিয়েছেন, আমরা লড়েছি, দেশ স্বাধীন হয়েছে।
আসলে আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। আমাদের রক্তে বইছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন নিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ যাওয়া মানুষের রক্ত। আমরা কোনোভাবেই নিজেদের সাংস্কৃতিক পরাধীনতা মেনে নিতে পারি না। সেটা যে কোনো ফরমেটেই হতে পারে। তাই প্রতিরোধের সময় এখনই।
শেষে একটা কৌতুক শুনাই-
এক ভদ্রলোক বুড়ো বয়সে অল্প বয়সি এক মাইয়া বিয়া করছে। কিন্তু কন্যার যৌবনজ্বালা মিটাইতে পারে না। কন্যার খালি গরম লাগে।
ভদ্রলোক একটা হাত পাখা নিয়ে আসলেন। কন্যার গরম কমে না।
ভদ্রলোক পাখাঅলা লোককে বললেন, কী পাখা দাও তুমার চাচীর গরম কমে না। এবার পাখাঅলার বুদ্ধিতে একটা জুয়ান ছোকরাকে ভাড়া করে আনা হলো, ছোকরা বাতাস করে ভদ্রলোক তার বউয়ের যৌবনজ্বালা মিটাইবার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে বাতাস করা জুয়ানপুলারে কইলো তুই চেষ্টা কর.... জুয়ান পুলা শুরু করলো....কন্যার রাগমোচন হচ্ছে। সব ঠাণ্ডা হয়ে আসছে, আর বুড়ো ভদ্রলোক বলছে দেখলে ছোকরা ক্যামনে বাতাস করতে অয়! আমাদের কি সেই অবস্থা!
আমরা কি ওই বুড়ো ভদ্রলোকের মত করবো, নাকি আমরা আমাদের মানসিকতা ঠিক করবো!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
মোরতাজা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
আলী খান বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভাল বলতে পারবেন...............