নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনো যুক্তিতে আমি পাকিদের বাঙালি নিধনকে মেনে নেবার মত শক্তি খুঁজে পাই না। তবুও যারা রাজনীতি করেন, মানুষ মারাকে জায়েজ করার নানা রকমের ফতোয়ার কারবারি তারা এ সব জায়েজ করতে চান।
কখনো কেউ ইসলাম ও মুসলমানিত্ব রক্ষার নামে, কেউ চেতনা রক্ষার স্লোগানে- মানুষ হত্যাকে জায়েজ করে নেন নিজেদের মতানুসারে।
আমি এর কেবল বিরোধী নই, নিজের যে শক্তি আছে, সেটি নিয়ে লড়ছি। সামনেও লড়বো।
একাত্তুরের ২৫ মার্চের অন্ধকার রাতে যে হামলা চালালো পাকি কুত্তারা, সে বর্বরতার পরেও মুসলমানিত্ব রক্ষার ইজারাদাররা তাদের পক্ষ লইলো! তারা কেন মানব হত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো না- এটা এক অপার বিস্ময় এবং মানব সভ্যতা নিয়ে একটা জিজ্ঞাসার সৃষ্টি করেছে। কীভাবে একজন সুস্থ্য মানুষ এটা মেনে নেয়, আমি ভাবতে পারিনা কখনোই। ইসলাম ধর্ম তো বলে মানব হত্যা সবচেয়ে জঘন্য পাপ। হত্যার বদলা বদলা হত্যা- ধর্মে যেটাকে বলে কিসাস।
আমি জন্মগতভাবে ইনডিয়া ও পাকিস্তানের বিরোধী। পাকিস্তানিরা আমাদের রক্ত চুষে নিয়েছে, বেয়নেটের খোঁচায় জীবন নিয়েছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে। আর ইনডিয়ানরা আমাদের দিনের পর পর শোষন করে চলেছে, আমাদের নদীতে বাঁধ দিয়ে আমরা দেশের শিরা উপশিরা বন্ধ করে দিচ্ছে।
আগ্রাসনের মাধ্যমে আমাদের সর্বশেষ টিকে থাকা সংস্কৃতির ওপর প্রলয় বইয়ে দিচ্ছে। আর মাদক, মরণ নেশা এবং সীমান্ত হত্যার ভেতর দিয়ে আমরা ৪৩ বছর পার করছি। ধর্ষণের ঘটনা আমরা চেপে যাই। তবুও যদি তারা আমাদের জীবনটা রক্ষে করে!
নিজেকে বাংলাদেশের দালাল হিসাবে পরিচয় দিতে অহঙ্কার বোধ করি। আমার কোনো ব্যাক্তিগত ধান্ধা ফিকির নাই। তাই রাজনৈতিক গন্ধ নিয়ে ভাবনায় থাকি না। আমরা ধীরে ধীরে ব্যাক্তিগত ধান্ধা ফিকির মুক্ত ব্যাক্তি থেকে পরিবার, সমাজ হয়ে রাষ্ট্রে পরিণত হতে চাই। সবাই সবার তরে কাজ করতে চাই। এ প্রত্যয়ের প্রত্যাশা!
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
মোরতাজা বলেছেন: সমাধান নিজে, পরিবার ও সমাজ থেকে শুরু করতে হবেক, দেশের পক্ষে দালালি। সময রাগবেক, তবে আমরা পারবো।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৮
সবুজ সংকেত বলেছেন: সবাই তো বোঝে না! কী করবো? কেউ করে পাকিস্তানের দালালী আর কেউ ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পা চাটে!
২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
মোরতাজা বলেছেন:
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৭
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আমার মনে হয় ভারতের সংগে বাংলাদেশের সীমানা তুলে দেওয়া দরকার। ভারত বাংলাদেশ নেপাল ভুটান সিংহল পাক আফগান সব মিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর মতো কিছু বানানোর কথা আমরা ভাবি।
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৭
মোরতাজা বলেছেন: এটা করলেও যদি আমাদের মুক্তি মিলত! আহা।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫০
বৈকুন্ঠ বলেছেন: জনাব সৌভিক, এযাবৎকাল পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে কয়টা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হইসে তার প্রতিটায় বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের ফায়দার পাল্লা শুধু ভারী বললে কম বলা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং ধনীক শ্রেনীর বাংলাদেশ সম্পর্কে মনোভাবটা কি সেটা হয়তো আপনি ভালোই জানেন। ভারতের যেকোন পন্য পৃথিবীর অন্যকোন দেশের মানুষ নিক বা না নিক, ভারত চাইলে সেই পন্য বাংলাদেশে চলবেই। এই অর্থে ভারতের বাধ্যতামূলক ভোক্তা বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ভারতের এমন আরো অনেক ছাই ফেলতে ভাংগা কুলার মত বাধ্য দেশটা হলো বাংলাদেশ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া হিসাবে যদি বাংলাদেশের কোন শিল্প মুখ থুবড়ে পরে, অর্থনিতিতে বিরুপ প্রভাব পরে এবং তৃনমূল শ্রেনীর জনতা দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় তাতে ভারত সরকার আইনের চোখে দোষী নয় এবং এই পরস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সত্যিকার ভাবে সহায়ক হবার ব্যাপারেও ভারত সরকার কোনভাবে বাধ্য নয়, যেহেতু বাংলাদেশ একটি "সার্বভৌম দেশ"। কিন্তু এদেশের সরকার পরিচালনায় নিয়োজিত দল বা দলসমুহ যে ভারতের পকেটে পুরা আছে এবং একি সাথে পকেটস্থ হয়ে আছে এই দেশের সার্বভৌমত্বও এটা নিশ্চয়ই আপনি বোঝেন। তবে আপনি এদেশেও এমন বেইমান ভুরিভুরি পাবেন যারা এটা বুঝতে চায়না বা সাময়িক লাভের লোভে না বোঝার ভান করে স্বাধীনতার শত্রুতে পরিনত হয়েছে। কিন্তু নিজেদেরকে স্বাধীনতার ধারক বাহক রক্ষক হিসাবে পরিচয়ও দিচ্ছে। কার জোরে এদের এই আস্ফালন? ভারতের জোরে। "তোমরা ভারতেরে স্বার্থ দেখ, ভারত তোমাদের ক্ষমতায় আরোহন এবং টিকে থাকার নিশ্চয়তা দিবে" - এটা হলো অলিখিত চুক্তি। না দেখার ভান না করলে এটা খালি চোখে দেখা যায়। উদাহরন টেনে লেখা লম্বা করার কোন প্রয়োজন নাই।
তবে আপনি যে কথাগুলি বলেছে তা আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের আরো বড় এবং উদারতাপূর্ন মানষিকতার হতে হবে। ভারত এমনি অনুদার একটি রাস্ট্র যে তার তস্য গরীব প্রতিবেশিটিকে শোষনের শিকলে আস্টেপৃষ্ঠে বেঁধে নিতে দ্বিধা বোধ করেনি। আপনার ব্যাক্তিগত মতামতটি উদার নৈতকতার স্বাক্ষর বহন করলেও সামগ্রিকভাবে ভারত সরকারের মনোভাব এতোটা উদার নিশ্চিতভাবেই নয়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
মোরতাজা বলেছেন: "তোমরা ভারতেরে স্বার্থ দেখ, ভারত তোমাদের ক্ষমতায় আরোহন এবং টিকে থাকার নিশ্চয়তা দিবে" - এটা হলো অলিখিত চুক্তি।''..... আসলেই কিন্তু তাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উভয় পক্ষই আমাদের জন্য ক্ষতিকর
এর কি সমাধান ।