নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতার যৌনতা কীভাবে চুষে নেয় নৈতিকতা !

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৬

সমাজের দু চিত্র। একটা ইতিবাচক। আরেকটা নেতিবাচক। তেমিন মানুষেরও দুটো রূপ। মুখোশ খুলে আমরা নতুন আরেকজনকে আবিষ্কার করতে পারি!



ধারণা করি এ কারণেই বাংলার প্রথম সবাক সিনেমার নাম হয়েছিল 'মুখ ও মুখোশ'। আসলেই তো আমরা সবাই মুখোশ পরে থাকি। আড়ালের ছবিটা আমরা লুকাই। ভীষনভাবে লুকাই।



দেশে যে হারে মানুষ গুম ,খুন, নিখোঁজ হচ্ছে সেটা হালাল করার নানা রকমের বিষয়াদি আমরা হাজির করছি। অভিযুক্তরা এ সব স্বীকার করছেন না। উল্টো তাদের ক্ষমতা আর বল প্রয়োগে সাধারণ মানুষ চিড়ে চিপ্টে।



তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসে বলে মনে হয় না। কারণ নানা আবরণে মানুষকে ঢেকে দিয়ে হত্যাকে এক রকম জায়েজ করে দিযেছি। এটা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না।



যাদের বলা হয় 'সিভিল সার্ভেন্ট' তারা এ শব্দটা পাল্টে 'পলিটিক্যাল সার্ভেন্টে' রূপান্তরিত হয়েছেন। কিছু ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে!



সময় কীভােব বদলে যায়, অবাক লাগে। একটা সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশের প্রতিটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া হতো। আজ হয় না। কেনো হয়না সেটি আমি জানি, অনেকেই জানেন। তবে সবচেয়ে ভালো যারা জানেন তারা সে সময়কার প্রতিক্রিয়া দেখানো লোকেরাও।



সে সময় মনে হতো তারা আসলেই কত মহান। এ রকম খারাব কাজের প্রতিবাদ করছেন। আজ মনে হচ্ছে কেবল দলীয় সঙ্কীর্ণতায় সে সব ছিল লোক দেখানো।



একটা ঘটনা বলি- ২০০৩ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভনিং শিফটে বাড়তি টাকা নিয়ে কোর্স চালু করার একটা প্রবণতা দেখা দিলে সবাই মিলে এটা রোধ করেন। দুএকটি ব্যাতিক্রম ছাড়া অন্য ডিপার্টমেনট বাধ্য হয়, আন্দোলনের কাছে মাথা নত করতে!



কিন্তু এখন প্রায় সব ডিপার্টমেন্টরই এ রকম একটা বাণিজ্য আছে। আরো অবাক করা বিষয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিভি ও ফিল্ম নিয়ে একটা ডিপার্টমেন্ট খুলেছে, দিনে পড়ায়, তবুও যেখানে মাস্টার্স পড়তে হলে প্রায় দেড়লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে। এ রকম নৈরাজ্যের সময় কাউকে প্রতিবাদি হতে চোখে পড়ছে না।



আনোয়ার স্যার, আরেফিন স্যার, মেসবাহউদ্দিন স্যার, সুলতানা ম্যাডাম, নাসরিন ম্যাডামরা এখন কই। কত রকমের ব্যাখ্যা নিয়েই না তারা হাজির হতেন। রাজনীতিকে আমি রাজনীতির নিক্তিতে মাপি। কিন্তু আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের কিছু মানুষের রাজনীতিকে আমি সেই নিক্তিতে মাপতে চাইনি।



তবুও মনে হচ্ছে ক্ষমতার বাইরের রূপ মুখোশ। ভেতরেরটা মুখ-বা আসল রূপ!



আবার ভিন্নভাবে দেখুন না। সদরুল স্যাররা কি রকমের আপসকামী। ভয়ে মিইয়ে আছেন। কোনো প্রতিবাদ নেই। ওবায়দুল স্যারকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিছুই হয়নি। তিন্তু ২০০২-২০০৩ সালের দিকে শফিক স্যারের ছুটি নিয়ে কী ক্যালেঙ্কারিই না হয়েছিল। ভাবছি, আর উন্মোচন করছি ক্ষমতার যৌনতা কীভাবে চুষে নেয় নৈতিকতা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আমাদের ভবিষত অনেক খারাপ :( :( :(

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৯

মোরতাজা বলেছেন: মুখোশ কিন্তু খসে পড়ে, তাই আমাদের মুখ দেখানোর কাজে নামতে হবে। হতাম হলে চলবে না।

২| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৬

তাসজিদ বলেছেন: চারিদিকে অন্ধকার। তবু আমি কিন্তু আশাবাদী

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

মোরতাজা বলেছেন: আশা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আমিও আশাবাদী!

৩| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:




যতসময় পার করছি ততই আমাদের নৈতিকতার অধঃপতন হচ্ছে ...

এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় হয়ত আর ন্যায় বলে কিছুই থাকবে আমাদের দেশে।

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম!

৪| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

কোড বলেছেন: ভালো বলেছেন

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ফা হিম বলেছেন: ঢাবি আর সেই আগের ঢাবি নাই। প্রতিক্রিয়া দেখাইতে গেলে ছাত্রলীগ মারতে আসে। ছাগুরা অনলাইনে লাফালাফি করে। কোন ব্যাপারে প্রতিবাদ আসে শুধু বাম্পন্থীদের কাছ থেকে, সেটাও নামমাত্র।

আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে একজন সহজ-সরল শিক্ষককে বহিস্কার করে দেয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। আরেকজনকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চলছিল কিছুদিন আগে, তবে কিভাবে যেন সেটা ঠেকানো গেছে শেষপর্যন্ত।

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

মোরতাজা বলেছেন: আমি কারো নাম নিতে চাইনি। তবে সাধারন চাত্ররা যে রকম আগে প্রতিবাদী হতো, এখন দেখিনা। এক শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট বদল নিযা বিশ্ববিদ্যালয় ৭৯ দিন বন্ধ থাকলো। আর এখন কত জন বদল হচ্ছে তা নিয়া কোনো আওয়াজ নাই। আওয়াজ থাকতে হবে এমন বাধ্যবাধতকা নেই । কিন্তু নৈতিকতা বলে একটা বিষয় তো আছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.