![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
র্যাব শব্দটা আতঙ্কের। আমি নিজেও ভয় পাই। অনেকে বলবেন, আপনি তো অপরাধী নন, তাহলে কেন তাই ভয় পান। হতে পারে। আমার চিত্ত খুবই দূর্বল।
সাধারণত খারাপ মানুষরা আরাম করে কথা বলে। যেমন সালাম দেয়। কেমন আছেন, স্যার। ভালো আছেন। স্যার বোঝেন তো এইটা আমাদের ডিউটি। এ রকম আরো কিছু কথা।
যৌন কর্মীদের ঠিকাদারকেও দেখছি একই রকমের কথা বলে। খুব ঠান্ডা মাথা। এদের জন্য আইসকুল পাউডার, ঠাণ্ডা কোক এ সবের দরকার হয় না।
হুমাযূন আহমেদের হিমু বিষয় বইয়ে এ নিযে অনেক কথা আছে। তার একটা মনে হয় আঙ্গুল কাটা জগলু। তার কথা খুবই নরম। তার আরেকটা ছোট গল্পে চোখ উপড়ে ফেলার জন্য আসা লোকটাকেও দেখি নরম, মোলায়েম!
নিরাপত্তা রক্ষী, সন্ত্রাসী বা যৌন ঠিকাদার সবাই খুন করে। কেউ নৈতিকতা। কেউ জীবন। তবে এর পেছনে যুক্তি চাকরি। জীবিকা। আসলেই তো জীবিকা ছাড়া মানুষ বাঁচবে কি করে।
সে সব কথা বাদ দেই। যে জন্য লিখছি সেটি হলো আমি র্যাব বন্ধের বিরুদ্ধে। বিম্পি নেত্রী বলছেন, র্যাব গুটাও। ক্যান গুটাইতে হবে। র্যাব সংস্কার করা যেতে পারে। অভিযুক্তদের বিচার হতে পারে, যদিও তারা বিচার বহির্ভূত হত্যার জন্য অভিযুক্ত। তাতে কি আমরা তো সবাই র্যাব হতে পারি না। চাকুরীর জন্য মানুষ খুনকে জায়েজ বলে ফতোয়া দিতে পারি না।
নেত্রীকে এ কু বুদ্ধিটা কে দিছে, আল্লাহ মালুম। তবে তার আশপাশের লোকজন খুব একটা সুবিধার না বলে শুনেছি। আমি অবশ্য পিপড়ে জাতীয় প্রাণী। অত দুর খবর রাখার মুরদ নাই।
পাব্লিকলি কোনো বক্তব্য আসলে ব্লগাই। এ ব্লগানোও খারাপ। এর মতলব লইয়া অনেক কথা বার্তা হয়। কিন্তু আমার মতলব একটা নিজে বাঁচা, সম্ভব হলে অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করা। যে যে মতপথ, ধর্ম, চিন্তা বা রাজনীতির মানুষ হোক না কেনো।
বেগম জিয়ার এ দাবিটা সঠিক মনে হয়নি। মাথা ব্যথা, তাই মাথা কেটে ফেলো। এ ধরণের ভাবনা সমর্থন করার মত বেকুব আমরা নই। তবে 'বন্দুকযুদ্ধ'কে সমর্থন করি না।
আমার নিজের পরিবারের একজন সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। হদিস মেলেনি। তাতেও আমি কোনো প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তের পক্ষে নই।
আমার মত অনেকেই জানেন বিশেষ বিশেষ বাহিনী সরকার গঠন করে থাকে, এর পেছনে অনেক রকমের এজেন্ডা থেকে থাকবে। সব সত উদ্দেশে করা এটাও মানতে পারি না। তবে এ ধরণের বাহিহনী অঞ্জুমানের কাজের চাপ বাড়িয়েছে বৈ কি। তাতে কি।
আমার মনে হয় সেনাতঙ্ক দূর করে র্যাবকে ঢেলে সাজানো উচিৎ। আমাদের একটা কথা ভুললে চলবে না যে ওরাও মানুষ। বিস্মিত হবেন না। তারা অত্যন্ত দক্ষ, মেধাবী, এবং কৌশলী মানুষ।
আধ্যাত্মিক গুরুদের মত তাদের ক্ষমতা- চাইলেই বনি আদম 'হাওয়া'। কি দারুণ্ ছোট্ট বেলা হলে বলতাম, ম্যাজিক। এখন বড় হচ্ছি, ... পাকতে শুরু করেছে তাই একটু ভাবনা। কবরের গর্তটার প্রতি লোভ- সেখানে পচুক না মানব শরীররটা। নালায় ডোবায় নর্দমায়, নদীতে পচুক আমার শরীর , সেটি আমি চাই না।
পরিবারের সদস্যরা কাঁদবে, লোবান জালাবে, সুগন্ধি ছিটিয়ে দিবে, পুত্র কন্যাদের চোখের জলে সাদা কাপড় ভিজে যাবে, সূরা ইয়াসিন পড়বে কেউ। খারাপ হবে না শবযাত্রা। কিন্তু এ শব যাত্রার কাজটা সহজ করার এবং খরচ হ্রাস করার জন্য কেউ দায়িত্ব নিক সেটি আমরা কেউ চাই না। এমনকি যারা নেন তারাও নিশ্চয় চান না। তবুও এ ঘটনাটি ঘটছে।
তাদের শুদ্ধতা এবং আমার জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংস্কার জরুরী।
ছোটবেলায় ভাবছিলাম সেনাবাহিনীতে যোগ দেবো। মিরপুরে গিয়া একটা পরীক্ষাও দিছিলাম। বাট মেধাহীনতার কারণে টিকতে পারিনি। এখন মনে হয় খুব ভালো হয়েছে। আমাকে অন্তত জীবিকার তাগিদে উপরের নির্দেশে কারো জীবন বিপন্ন করতে ছুটতে হয়নি।
র্যাবের কালো পোশাক দিয়ে তাদের বিচার না করে ভালো কাজগুলোও আমলে নিন। আমরা নিজেরা শুধরাই, র্যাবে যারা কাজ করে তারাও আমাদের বাই বেরাদার, এ বাংলার জল বায়ুতে বড় হয়েছে তারাও বদলাবে, নিশ্চয় বদলাবে। জয় হোক মানবতার। বন্ধ হোক বন্দুক যুদ্ধ। গুম অপহরণের তিক্ত-কঠিন-রূঢ় অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি মিলুক বনি আদমের।
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
মোরতাজা বলেছেন:
২| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রেব গঠনের পর সমাজে যে শান্তি শৃঙ্খলা এসেছিল। তা ইতোপূর্বে আসেনি।
রেবকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসের নাভীশ্বাস নির্মুল হয়েছিল তা না বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেছে- হাম্বারাতো বলবেনইনা।।
যে মহল্লায় দিন দুপুরে আতংকে হাটা যেত না- সেখানে রেব একশনে আসার পর নিশ্চিন্তে রাত -বিরেতে মানুষ নির্ভয়ে চলেছে সেই কথার খবর নাই!!!!!
হাসিনা এসে রেবের অপ-ব্যবহার করে তাকে কলংকিত করেচে,
রক্ষী বাহিনী ষ্টাইলে দলীয় ক্যাডারে পরিণত করতে গিয়েই এই অধ:পতন
বিরোধি দল দমন বা ক্লিনজিং মিশনে তাকে ইনভলব করে হাসিনা/সরকার রেবকে দলীয় ক্যাডারের ভুমিকায় নামাচ্ছে সেই জন্য রেব নয়- সরকারই দায়ী....
এইসবকে চাপা দিয়ে- তারা বলছে বিএনপিকে ভুল স্বীকার করতে হবে???
তা করতে হবে বৈকি- তবে তা আওয়ামীলীগকে!
রেবকে দলীয় স্বার্থে রক্ষী বাহিণীর মতো কলংকিত করার কৈফিয়ত দিতে হবে। শুধূ রেব নয়- ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ সকল সাংবিধানিক কাঠামোকে দলীয়করণের যে ভয়ানক খেলা খেলেছেন তার দায়ও নিতে হবে।
কারণ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। চাইলেও না চাইলেও ছাড়তেই হবে। থেকে যাবে কর্ম কান্ড সমূহ।ইতিহাস।
আর বিএনপি এইসব যুক্তির ধারে কাছৈও না এসে- বলছে রেবই বন্ধ করে ;দাও!!!!!
হায় কারা যে নেত্রীর আশে পাশে বিরাজ করে- নেত্রীকে এ কু বুদ্ধিটা কে দিছে, আল্লাহ মালুম। তবে তার আশপাশের লোকজন খুব একটা সুবিধার না বলে শুনেছি। আমি অবশ্য পিপড়ে জাতীয় প্রাণী। অত দুর খবর রাখার মুরদ নাই। ++
১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
মোরতাজা বলেছেন: হুমম
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪০
জাতির বোঝা বলেছেন:
র্যাবের কালো পোশাক দিয়ে তাদের বিচার না করে ভালো কাজগুলোও আমলে নিন। আমরা নিজেরা শুধরাই, র্যাবে যারা কাজ করে তারাও আমাদের বাই বেরাদার, এ বাংলার জল বায়ুতে বড় হয়েছে তারাও বদলাবে, নিশ্চয় বদলাবে। জয় হোক মানবতার। বন্ধ হোক বন্দুক যুদ্ধ। গুম অপহরণের তিক্ত-কঠিন-রূঢ় অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি মিলুক বনি আদমের।