নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আড্ডায় সব সময় প্রাণবন্ত কিশোর দা, এখন স্মৃতি। জানি মানুষের মৃত্যু হবে। তবে অবহেলার মৃত্যু মানতে পারি না। যে দেশের মানুষ ' মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি'--- গানের অনুপ্রেরণা নিয়ে জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন দেশ অর্জন করেছে। সে দেশে সরকারি হসপিটালের বেডে একজন সাংবাদিক মরে যাবেন, আর ডাক্তার বলবেন, 'খিঁচুনি হলে শ্বাস নিতে আরাম হবে । ' কি নির্মম, বিভৎস্য অবহেলা।
সন্তানের মুখ দেখা হবে না তার। আড্ডায় মুখর করবেন না কোনো বিকাল,সন্ধ্যা। প্রিয় স্ত্রীর সাথে অভিমান, মায়ের জন্য ভোলায় ছুটে চলা- সবই থেমে গেছে। সবই স্মৃতি হয়ে গেলো।
কিশোর দার সাথে একটা অ্যাসাইনমেন্টে পারভেজ ভাই আমার সাথে পরিচয়টা করিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর অনেক দিন, মাস এবং বছর। গত বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, দিনক্ষন ঠিক হলো- মুন্না সমন্বয় করছে। আমার আসার কথা ছিল। পারিনি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক ফ্যামিলি ডে ও পয়লা বৈশাখের সাংস্কৃতিক আয়োজনে অপু ও কিশোর দা খুব ছুটোছুটি করেছেন। প্রতিটি আনন্দ আয়োজনে তিনি পাশে ছিলেন। এখন থেকে আর থাকবেন না। ভাবলেই বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে।
শিল্পকলা, বাংলা একাডেমি, ফেসবুকের ভার্চুয়াল জগতে, ডিআরইউতে এবং অ্যাসাইনমেন্টে কথা হতো, অ্যাসাইনমেন্ট মিস করে বার কয়েক তার কাছ থেকে নিউজ ধার নিয়েছি। সব সময় সহযোগি ছিলেন।
আজ সকালে তাকে বিদায় জানাতে গিয়ে পুরনো দিনগুলো ছায়াছবির মত চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো। চোখের জলে স্বজন-সহকর্মীরা বিদায় জানালেন কিশোরদাকে। বিদায় কিশোর দা।
©somewhere in net ltd.