নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌনতা; বাতিকগ্রন্থ কিছু লো্ক এবং ছাত্রদলের কমিটি!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮

ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণত 'ঐতিহ্যবাহি' বলা হয়ে থাকে; এটা কেনো বলা হয়- সে সম্পর্কে

আমার ধারণা অস্পষ্ট। কারণ ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের নিয়ে যতটা না ভাবে; তারচে বেশি ভাবে মাদার পলিটক্যাল পার্টির কর্মসূচী নিয়ে!



তবে ছাত্র নেতা হবার জণ্য যে কদর্য রূপ বিভিন্ন গোষ্ঠীভূক্ত হয়ে ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরে চর্চা হয়; যে সব নোংরামি দেড় দশকেরো বেশি সময় ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেখে আসছি- এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি- নিজেদের জণ্য ছাড়া ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের জণ্য কিছু করতে পারে না বা করে না। তারপরেও তারা নিজেদের ভেতর ঘৃণা চর্চা করে এবং একে অন্যকে আক্রমনও করে থাকে।



দেশের বৃহত দুই ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠনের সময় এলে নোংরামিটা বেশি দৃশ্যমান হয়- ছাত্রদলের একটা কমিটি হবে; তা নিয়ে এ আলাপের সূত্রপাত। এখানে বিবাহিত; লিভটুগেদার; কন্যা সম্প্রদান সহ নানা বিষয় সাথে বয়স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।



এটা হবেই; হতেই পারে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল প্যাড সর্বস্ব সংগঠন নয়। একদিনেই এর আমুল পরিবর্তনও সম্ভব নয়। ধীরে সুস্থে তা আনতে হবে; সেটি আনা হচ্ছেও। ছাত্রলীগের লিয়াকত-বাবু কমিটির পরে যে কমিটি করা হয়েছিল; অনেকেই সেটাকে বাচ্চা পুলাপাইনের কমিটি বলেছিলেন; কিন্তু একথা স্বীকার করতে হবে ছাত্র রাজনীতি ধীরে ধীরে ছাত্রদের কাছে যাবার যে প্রক্রিয়া লিয়াকত-বাবু শুরু করেছিলেন সেটি অভিনন্দনযোগ্য।

ছাত্রদলও একই প্রক্রিয়া জারির চেষ্টা করছে। গেলো কমিটিতে তুলনামূলক কম বয়সীরা স্থান পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু কী হযেছে? হয়নি। কেনো হয় একপক্ষ পদ পেলে আরেক পক্ষ গোস্সা করে; এমনকি বেগম জিয়ার রোড় ফর ডেমেক্রেসির দিনও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের কাউকে পল্টনেরর ধারে কাছে চোখে পড়েনি- আমি সেখানে নিজে হাজির থেকে এ কথা জানাচ্ছি।



এখন আবার কমিটি হবে- এ সুযোগে নানা কিসিমের লোক ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নোংরা কথা বলছে। নানা জনের নামে কুৎসা রাটাচ্ছে। নারী শরীর ছাত্ররাজনীতিতে বহুকাল আগে থেকে জড়িয়ে আছে। এটা অনৈতিক; এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যারা এ সব নোংরা কথা লিখছেন নামে বে নামে আবার যারা এর প্রচার করছেন তারা কী এ থেকে মুক্ত!



আমি বরাবরই এর বিরোধি যে, কোনো ছাত্র নেতা বিয়ে করলে তাকে সংগঠনের শীর্ষ বা গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী দেয়া যাবে না; এটা কোনোভাবেই সঙ্গত হতে পারে না। জৈবিক চাহিদা বৈধভাবে উপভোগের সুযোগ না দিলে যে কেউ তা ভিন্নভাবে উপভোগ করবেন; এবং করছেনও। এখানে দলমত নির্বিশেষে সব ছাত্র সংঘঠনের নেতারা এক!



এগুলো আমরা জানি; আরো জানি ছাত্রনেতারা চাঁদাবাজি করেন,. টেন্ডার ভাগান। কিন্তু সেটি তারা কেনো করেন? সে প্রশ্নের জবাব কেউ খুঁজেছেন। খোঁজেননি। নেতা হতে গেলে তার গাড়ি লাগে; দামি ফোন লাগে; ট্যাব লাগে; এক দঙ্গল পুলাপাইন পালতে হয়- এ সবের টাকা কোত্থেকে আসবে?



এ যে ভিলেন সুলভ ছাত্ররাজনীতির চর্চা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে; সেটা একতদিনেই মুছে ফেলা যাবে না।



তাই বলে আমি এটাকে সার্পোট করছি না; বলছি এ সব মুছবে-ধীরে ধীরে। কিছুটা সময় লাগবে। সে সময়টা অন্তত দিতে হবে।



ছাত্রদলে কে নেতা হবেন? কে হবেন না সেটি নির্ধারণ করার জন্য আমরা সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা বলে আসছি। লাল্টু - হেলাল কমিটির সময কথাটি বেশি বলেছিলাম। এখন দেখছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করলে রক্ত গঙ্গড়া বয়ে যাবে! তাই রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও বলতে হচ্ছে- কখনো কখনো অটোক্রেটিক সিস্টেম ভালো!



যারা নিজ দলের পুরনো; বয়োজ্যাষ্ঠ নেতাকর্র্মীদের নিয়ে সমালোচনা করছেন; তারা গঠনমুলক কথা নিয়ে আসেন না কেনো। কেনো বলেন না অমুক এত সালে মেট্রিক পাস করেছে; এখন নতুন যুগের ছেলে মেয়েদের সাথে তার সংযোগ অসম্ভব। না; উনি কয়টা নারী সঙ্গ উপওেভাগ করেছেন; কাকে নিয়ে বসবাস করছেন; স্ত্রী নিয়ে রাতে ঘুমাচ্ছেন; সেটি লক্ষ্য! এ রকম বাতিকগ্রস্থ লোকজন কখনো দলের জণ্য ভালো হতে পারে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.