নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য কর্মীদের চাপ দিচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইলসেবাদাতা কোম্পানি গ্রামীণফোন। ডেকে নিয়ে 'হুমকি' দেয়া হচ্ছে বলে কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর ই মেইলেও আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়ে অপারেটরটি 'কোম্পানির কোডস অব কনডাক্ট' মেনে চলা ও 'নরমাল ডিউটি' অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। ই মেইলের একটি কপি ইনডিপেনডেনটের হাতে রয়েছে।
শ্রম আইন ২০১০ অনুসারে কোম্পানির মোট নিট লাভের ৫ শতাংশ পাওনা আদায়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অপারেটরটির কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা কোম্পানির মোট নিট লাভের ৫ শতাংশ হিসাবে ২০১০, ২০১১, ২০১২ সালের জন্য সর্বমোট ৪২০ কোটি টাকা পাবেন। এ পাওনার অংক সুদ ছাড়া। যদি এই টাকার ওপর সুদ সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ হারে ধরা হয় তাহলে এ টাকার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
Grameen Phone Employees Union (GPEU)এর জেনারেল সেক্রেটারি মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, টাকা পরিশোধ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। সর্বশেষ আমরা বলেছিলাম সুদ ছাড়াই আসল টাকাটা কর্মীদের বুঝিয়ে দিন। কর্তৃপক্ষ সেটিও নিশ্চিত করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে রয়েছি।
আন্দোলন থেকে কর্মীদের বিরত রাখার জন্য কোম্পানির হয়ে কিছু লোক ঠান্ডা মাথায় 'হুমকি' দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে GPEUর একজন সিনিয়র লিডার জানান, 'সুপার ভা্ইজারদের মাধ্যমে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে বলা হচ্ছে বিক্ষোভ করলে চাকিুরী টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।'
Grameen Phone Employees Union (GPEU)এর জেনারেল সেক্রেটারি মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন, ৪২০ কোটি টাকা ফেরৎ পাবার লক্ষ্যে কর্মীরা ২৪ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দিয়ে চালিয়ে যাওয়া আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বাইরের ৬ টি রিজিওনাল অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। বিকাল ৫ টা থেকে ৫ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ মানবন্ধন কর্মসূচীতে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা অংশ নেন।
তিনি জানান, ঢাকায় নিটল নিলয় টাওয়ারে অবস্থিত গ্রামীনফোনের কলসেন্টারের রিসিপশনে এসে কর্মীরা ৫ মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যে সব কর্মীর ডে অফ ছিল (সাপ্তাহিক ছুটি) তারা সারা দিন নিটল নিলয় টাওয়ারের অবস্থিত কল সেন্টারের সামনে অবস্থান করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন।
দেশের সব জিপি সেন্টারের সামনে লাঞ্চ আওয়ারে পনেরো মিনিট ধরে কর্মীরা মানবন্ধন করেন।
জিপির সদর দপ্তর জিপি হাউসেও কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।
আগের দিন রোববার কর্মীদের সাথে গ্রামীনফোন সিইও Rajeev Sethi বৈঠক করে সব ধরণের ডেমোনেসট্রেশন, ক্রাউড বন্ধ করার 'অনুরোধ' করেছেন GPEU সেক্রেটারি মাসুদ নিশ্চিত করেন।
গ্রামীণফোনের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্যানুসারে অপারেটরটির ২০১৪ সালের থার্ড কোয়াটার (জুলাই থেকে সেপটেম্বর) পর্যন্ত বর্তমান কর্মী সংখ্যা ৪ হাজার ১১৭ জন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৩
মোরতাজা বলেছেন:
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা লাভ করবে আর আইন মানবেনা তাতো ঠিকনা!@
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
জ্যানাস বলেছেন: একটি চমৎকার পরিবেশ এর কর্মসংস্কৃতির প্রতিষ্ঠান কিছু লোকের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। প্রাপ্য এই লাভটুক পরিশোধ করতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তবুও এই কোম্পানি কিছু দালাল এর সহায়তায় এমন করছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
মোরতাজা বলেছেন: কতা সইত্য!
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
আহলান বলেছেন: পাওনাদারদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া হোক ...
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোরতাজা বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: রেন্ডিয়া থেকে অযোগ্য চোর বাটপার মার্কা সিইও এনে জিপির মান তো আগেই খারাপ করেছে এখন কর্মচারীদের সাথেও ঝামেলা করছে। এই রেন্ডিয়ানরা যেখানেই জায় ঝামেলা পাকাবেই।