নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায় চাষী!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

চাষী নজরুল ইসলাম- স্মৃতি হতে চলেছেন। কাল ১২ জানুয়ারী তাকে শুইয়ে দেয়া দেয়া হবে মাটির কবরে-যেখানে অন্তিত শয্যা নেবার কথা আমাদের; সবার।



বাংলাদেশের সিনেমার আধুনিকায়ন এবং ইতিহাস নির্ভরতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার চেষ্টায় যারা অনেকটা সফল হয়েছেন চাষী নজরুল ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম।



লিভারের সঙ্কট নিয়ে বার কয় হসপিটালে আজ ১১ জানুয়ারী ভোরে তিনি ল্যাব এইড হসপিটালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার সাথে কিছু স্মৃতি ছিল, কিছু আনন্দময় গল্প। চ্যানেল আইয়ের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে; সেন্সর বোর্ডে; পরিচালক-প্রযোজক সমিতির অফিসে বার কয় কথা হয়েছিল। চাষী ভাইয়ের চলচ্চিত্রের ভাষা এবং গঠন শৈলি এক কথায় যে অসাধারণ।



ওরা ১১ জন সিনেমাটি দেখেছি দেড় দশক আগে। কিন্তু এখানো চোখের সামনে ভাসছে- ‌এক সাগর রক্তের বিনিময়ে' কিম্বা ‌‌ ক্ষুদিরাম দাও' এর মত গান তিনি সিনেমাটিতে ব্যবহার করেছেন। একটা নিপীড়িত জাতির মুক্তির আকাঙ্খা ও সাফল্যে এ রকম দুর্দমনীয় -অহঙ্কারময় চিত্রায়ন বাংলাদেশের অন্যসব মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো তার মত করে তুলে আনা পরিচালক-নির্মতারা সংখ্যা খুবই কম।



দেবসাদ চরিত্রটি শরৎ চন্দ্র বাংলাভাষিদের মননে এবং জীবনাচরণের মধ্যে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন; এটি খুবই প্রাসঙ্গিকভাবেই টিকে আছে। এ সিনেমার বহু রকমের চিত্রায়ন বাংলাদেশে ও ইনডিয়াতে হয়েছে। ১৯৮২ সালের মরহুম বুলবুল আহমেদ, নায়িকা কবরী ও মরহুম নবাব আনোয়ারকে নিয়ে 'দেবদাস' বানিয়েছিলেন চাষী। এটি দ্বিতীয়বার রঙিন ফিতায় বন্দী করেছিলেন চাষী। রঙিন দেবদাস সিনেমাটি ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল।





এ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে থাকার সুযোগ হয়েছিল। চাষী নজরুল তার সাথে কাজ করা শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানাতে পছন্দ করতেন, এটা কেবল শুনতাম। সেই মহরত অনুষ্ঠানে সেটি প্রত্যক্ষ করেছিলাম। দেবদাস বুল বুল আহমেদকে আনা হয়েছিল মরহত অনুষ্ঠানে লাল পাঞ্জাবী পরা বুলবুল আহমেদ বার বারই বলছিলেন- চাষীর চলচ্চিত্র নির্মাণ জীবনের চাষবাসে সাফল্যের কথা বলছিলেন। বলছিলেন- চাষী ভাগ্যবান দ্বিতীয়বার সিনেমাটির পরিচালক। কিন্তু সেই সিনেমায় আমি দ্বিতীয়বার দেবদাস নই। বুল বুল আহমেদ সে সময় বেশ অসুস্থ ছিলেন। হাত শরীর কাঁপছিলো। কিন্তু চাষীর প্রতি তার ভালোবাসা সবাইকে মুগ্ধ করেছিল।





শাকিব খান দ্বিতীয়বারের দেবদাস ছিলেন। চাষী সবাইকে নিয়ে মঞ্চের আলোঝলমলে পরিবেশে দাঁড়িয়ে তার ৮২ সালের শিল্পীদের কথাই বলছিলেন। মানুষের কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পর্কে জানতাম; কিন্তু এতটা কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পর্কে জানা ছিল না।





গণ-মাধ্যমকর্মী হিসাবে চাষীর সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল।যেখনই কথা বলতে গেছি; ফোন করেছি খুবই আন্তরিকতার সাথেই তিনি আলাপ করেছেন।



রবীন্দ্র গোপ যে সময় সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান; আম্লীগের গত আমলে । সে সময় চলচ্চিত্রের বাড়াবাড়ি রকমের কাটপিস ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। চাষী নজরুল; ববিতারা এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। সফল হতে পারেনননি ঠিকই; তবে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।





বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নিত্য ডুবতে থাকা চিত্রটা তাদের কষ্ট দিত। আমজাদ হোসেন ও চাষি নজরুল ইসলাম সিনেমাকে ওঠানোর প্রচেষ্টা করেছেন। সফলতা কতটুকু এসেছে সে বিচার দর্শক করবে।





কিন্তু বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে সিনেমার কাঠামো ভিত তৈরি করানোর ক্ষেত্রে যে ভূমিকা তিনি রেখেছেন; সে জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সালাম চাষী ভাই।





ওরা ১১ জন সিনমোর দৃশ্যায়িত একটি অতি পরিচিত এবং আমার প্রিয় গানের একটা



https://www.youtube.com/watch?v=Zr5xjLAuW1Q

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.