নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সিনেমা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে সে সময় ঠাডা পড়লো

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২


বাংলা সিনেমা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে সে সময় ঠাডা পড়লো-বাংলাদেশের হলে মুক্তি পাইতে যাচ্ছে হিন্দি সিনামা। মনে বড় কষ্ট নিয়ে এ লেখা লিখছি।-

বাংলা সিনেমার প্রতি আমার প্রচণ্ড টান ছিল এবং এখনো আছে; এটা কারো কাছে হাস্য রসের বিষয় হতে পারে; কারণ তাদের মত হিন্দি ও ইংরাজি সিনেমা দেখে জাতে ওঠার ভাবনা আমার কোনো কালেই ছিল না। এখনো নাই।

বাংলাদেশের সিনেমার প্রতি আমার এ ভীষণ রকমের টানের বড় কারণ আমাদের পরিচালকরা আমাদের সময়কার ঘটনা এবং ভাবনার পরিধি নিয়ে কাজ করেন।

নিম্ন আয়ের দেশ হিসাবে আমাদের চাওয়া দু মুঠো ভাত, মোটা নারী, আর বৈকালিক বিনুদন হিসাবে চা সিগারেট কিম্বা ছোলাই মদ। আর আমার নিজের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা মানুষকে ফাঁপর দেয়া। এ সবই সিনেমার অনুষঙ্গ।

তাই এখানে যখন নায়ক মান্না ওই খামোস বলে হাত মুঠো করেন; তার ভয়ে গডফাদার চুপসে যায়; তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে সিনেমা হলঘর।

অথবা চটুলগানের সাথে যখন পপি তার বিশলাকায় রানের দুলুনি তে সনিমোর পর্দা কাঁপিয়ে তোলেন তখন সবাই হিসহাস করেন।


সেই সিনেমা হলে নিশ্চিতভাবেই কখনো কখনো ময়ুরীর উদোম রানের গোশতের থর থর কাঁপন, মুনমুনের মধ্যম আকৃতির বুকের দুলুনি, স্লো মোশনে খল নায়িকা নাগমার ফুলে ওঠা বুকের ওপর অ্যাকশন কারো কারো কাছে অশ্লীল-চোখ বন্ধ হয়ে আসে।

কারো কাছে বমির ভাব হয় আজাদ খানের সিনেমা দেখলে। কারো সোহেল-শাপলা শারিরীক বিত্তবলয় খ্রাপ লাগে। আমি অস্বীকার করছি না।

ভালো সিনামাও এ বঙ্গে হয়েছে; হয়ে আসছে এবং সামনেও হবে। হয়ত আমাদের ধুম থ্রি'র মত সিনেমা বানানো কিম্বা গুণ্ডের মত তর্ক সৃষ্টি করে টিকে থাকার মত শক্তি এ দেশের নির্মাতাদের নেই।

তবে এ টুকু তো আছে যে গেরিলা, ব্যাচেলর কিম্বা অগ্নির মত সিনেমার জয় হয়েছে। ওরা ১১ জনের মত সিনেমা কেবল আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেনি চলচ্চিত্র ইিতিহাসে বিষয় বৈচিত্রে এক অনন্য সংযোজন নিয়ে এসেছে।

বেদের মেয়ে জোছনা কিম্বা হাঙর নদীর গ্রেনেড, অথবা মাটির ময়না কি আমাদের সম্মান বাড়ায় নি।

সিনেমা হলগুলোতে আমরা খুবই খ্রাপ পরিস্থিতির কথা বলি। বলি ভালো সিনেমা হচ্ছে না। ইনডিয়ার ভালো সিনামা বানায়; আমি দ্বিমত করি না। আবার পুরোপুরি একমতও হই না।

কারণ ইনডিয়ার বহু সিনেমা আছে যে গুলো হলিউডের সিনেমার কাহিনী নকল। আমরা নকল করি হিন্দি সিনামা কিন্তু মৌলিক কাহিনী চলমান সঙ্কট নিয়ে সিনামা হচ্ছে। সবশেষে পিপড়াবিদ্যার কথাই ধরুন। নাটক কিম্বা সিনামা হয়েছে কিনা তা নিয়ে তর্ক হতে পারে; কিন্তু সিনামার গল্পটা একেবারেই সমসাময়িক এবং প্রাসঙ্গিক।

ইনডিয়া সিনামার বাণিজ্যিক প্রসারে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ও প্রচার যন্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশে তা হয় না। বাংরাদেশের প্রচার মাধ্যমের সাপ্তাহিক দু পৃষ্ঠার এক পৃষ্ঠা ইনডিয়ার জন্য বরাদ্দ থাকে।

ডিজিটাল সরকারের ৭ বছরেও ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট আসেনি এফডিসিতে। হলফ করে বলছি আমরা এখানে সিনামা শিল্পকে গলা টিপে হত্যা করতে চাই। সে জন্য আজকের এ হাল।

এখানে সসিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য ইন্সটিটিউট ও ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট খোলা শুরু হয়েছে; মাত্র। এখানকার পরিচালকরা অন্যের সহকারি থেকে শিখেছে। কয়েকজন ইনডিয়া ও আম্রিকা থেকে পড়ে এসেছেন।

নায়ক-নায়িকারা তাদের সুরত ভাল- সেটি কাজে লাগিয়ে সিনেমায় নেমেছেন।

এত সব প্রতিকূলতায় দেশে অন্তত ২০/২৫ টি ভালো সিনেমা হয়, সে জন্য নির্মাতাদের সম্মান জানানো উচিৎ।


আমাদের নায়িকারা যখন সিনেমায় পা রাখেন-তখন প্রযোজকরা তাকে বেডে ডাকেন, নায়ক তার জন্য উতলা থাকেন। এটা হয়তো সবখানেই হয়। হতে পারে; তাতে কি। কিন্তু সানি লিওনের মত পর্ন স্টারকেও ইনডিয়া বাজারজাত করতে পেরেছে। ক্যাটরিনা, দীপিকা কিম্বা রানীর কথা ভাবুন না। ঐশ্বরিয়ার কথা বাদই দিলাম। তাকে নিয়ে আমাদের তরুণদের আগ্রহ নিশ্চিতভাবেই সবই বুঝতে পারে না।

এমনকি ভারতীয় নায়ক শাহরুখ, সালমান, জন, ইমরান, হৃতিক- বা আরো যারা আছেন। তাতেদর জন্য আমাদের অনেতক তরুণীর জীবন যায় যৌবন ভেসে যায়। এ জন্য আমি আমাদের তরুণ-তরুণীদের দোষ দিই না; কারণ আমরা আমাদের চেনাতে পারিনি।


ববিতার মত নায়িক এ দেশের পর্দা কাঁপাননি বিশ্ব দরবারে বাংলা সিনামার সমৃদ্ধির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সে সব নায়িকাকেও এ দেশের ক্ষমতাবানদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল।


সিনামা কি কেবলই বাণিজ্য? মনে হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়িকভাবে সফলতা অর্জনের জণ্য লড়াইটা বেশি। কারণ এখাতে সরকারের সহযোগিতা কিছু আর্ট ফিলিফেমের জন্য। বাণিজ্যিক সিনেমায় সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে না। উল্টো সুন্দরী নায়িকার ডাক পড়ে সেন্সর বোর্ড সদস্যের বেড রুমে-এ গুলো ওপেন সিক্রেট।

একটা বড় রকমের গুণ্ডামি ঘিরে রেখেছে সিনামা। সেই সুযোগটা নিয়েছে প্রদর্শকরা। যে সব প্রদর্শক তাদের হলগুলোতে অশ্লীল কাটপিস দেখিয়ে পরিবেশ নষ্ট করেছেন, সিনেমা দেখার জন্য সঙ্গীনীর সহায়তার নামে বেশ্যার বাজার তৈরি করেছেন; ধীর লয়ে তারাই বলছেন হল টিকিয়ে রাখতে হলে এখন হিন্দি সিনেমার বিকল্প নেই।


বড় আফসোস-বঙ্গবন্দূ কন্যা এখন ক্ষমতায়। অথচ বঙ্গবন্ধু নিজ হাতেই এ দেশে উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানি প্রদর্শণ নিষিদ্ধ করেছিলন। সেটি রক্ষা হলো না। শুক্কুরবার হিন্দি সিনামা ওয়াটডেট মুক্তি পাচ্ছে।

যারা আমাদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে গিয়ে ভারতীয় বাণিজ্যিক অশ্লীলতাকে শিল্প বলে চালাতে চান তাদের সাথে বাৎচিৎ করার মত ইচ্ছে আমার নেই।

তবে দেশের সনেমা শিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে একসাথে একমত হয়ে একই আওয়াজ তুলতে হবে। সময় এখন নিজের সিনেমাকে প্রটেক্ট করার। জয় হোক সবার। জয় হোক বাংলাদেশের সিনেমার।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

যোগী বলেছেন:
বাংলা সিনেমা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে নাকি?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০১

মোরতাজা বলেছেন: ক্যান আপনার কি সন্দেহ হয়।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

এহসান সাবির বলেছেন: বাংলা সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েছি সালমান শাহ্‌ মারা যাবার পর। তার আগে পযর্ন্ত খুব নিয়মিত ছিলাম। তবে গেরিলা, ব্যাচেলর মত সিনেমা মিস যায় না। আমি বাংলা সিনেমার একনিষ্ঠ ভক্ত।
আমি হিন্দি ছবি দেখা বাদ দিয়েছি প্রায় ১৭/১৮ বছর। সেই দেড় যুগ আগেই বুঝছিলাম/আবিস্কার করেছিলাম সকল হিন্দি ছবিই অন্য কোন মুভির নকল।

যাই হোক আমি কোন প্রকারের হিন্দি অথবা আমাদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে গিয়ে ভারতীয় বাণিজ্যিক অশ্লীলতাকে শিল্প বলে চালাতে চান তাদেরকে বলতে চাই ''আমাদের নিজেস্বতা ধরে রাখবার চেষ্টা করুন।''


খুব ভালো পোস্ট।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০২

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অভিনয় এবং গল্প এই দুটোর এখন চরম অভাব । এই দুটো যত তাড়াতাড়ি কাটাতে পারবে । আমরা তত তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াবো ।

ইচ্ছে করলে বাংলা গল্পগুলো নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি ।
কিন্তু তা করি না ।



আর প্রত্যেক সরকারের উচিত একটা ভালো বাজেট রাখা ।

প্রয়োজন হলে প্রতি বছর সরকার ১০ টি ছবির টাকা দিবে ।

এইরকম টানা ১০ টি বছর সরকার ট্রাই করলে একসময় চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে । তখন অনেক ব্যবসায়ী নিজের প্রয়োজনেই বিনিয়োগ করবে ।

আর টেকনিক্যাল সাইডে এখন অনেক মানুষ আছে । শুধু কাকে দিয়ে কি কাজ করাতে হবে , তা আমাদের জানতে হবে ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০২

মোরতাজা বলেছেন: হুমমমমম !

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বুজলাম

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

মোরতাজা বলেছেন: !!!!

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, চল্লিশ বছর ধইরা আর কত ঘুরবেন?
ছবি না চললে হল টিকবো না...আপনের কথামত আর দশ বছরের মাথায়, মানে নিষিদ্ধকরণের পঞ্চাশ বছর পরে ঘরে বইসা টিভিতে টেলিফিল্ম দেইখা তালি-শিশ দিবেন...

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

মোরতাজা বলেছেন: পেছনের দিকে তাকান না; ভাই টের পাবেন। বদলানো সম্ভব। যদি তাই হয় তাহলে বহু কিছু বন্ধ করে দিলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা হয়্ আপনার আমার ওপর থেকে ট্যাক্সে, ভ্যাটের বোঝা কমে আসে। কি বলেন বড় ভাই!

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

নীলাবেশ বলেছেন: আমাদের একটা সমস্যা আছে, আর সেটা হল আমরা না বাংলাদেশী না বাঙ্গালী। আমাদের কোন আদর্শ নাই।পাছার উপর যখন ডাণ্ডার বারি পরে আমরা সিধা হই।ভালাবাসা দিলে মাথাই উইঠা নাচি।
সরকার তো সিনেমা বানানোর জন্য টাকা দেয়, সেই টাকার কিছুটা যাই সরকার এর কাছে, কিছু যায় পরিচালক এর পকেটে, এর পর যা বাচে টা দিয়া আর যাই হোক ভালো সিনেমা হই না।
এখন ৮০% এর বেশি মানুষ হিন্দি সিনেমা আর সিরিয়াল দেখে। তাই আমি বলতে পারি হল গুলতে উপচে পরা ভির থাকবে।
আজকে না হোক কিছু দিন পর আপনেও হইত আপনার পরিবার নিয়া যাবেন হিন্দি সিনেমা দেকতে।
এখন ২টা ব্যাপার হতে পারে
১। সত্যি ভালো সিনামা আসতে পারে
২। বাংলাদেশের সিনেমা শিল্প হারাই যাবে।

দেখি কি হয়। বেশি কথা বললে আবার রাজাকার হয়ে যাবো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

মোরতাজা বলেছেন: আপনাকে নিশ্চিত করছি; আমার পরিবারের সদস্যরা কখনো বাংরাদেশের সিনেমা হলৈ হিন্দি সিনেমা দেখতে যাবে না।

আর দেখি কি হয় করতে করতে এখন সিনামা মানে রসালো আলোচনা- চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

সোহানী বলেছেন: চাই না সিনেমা আগ্রাসন..... আমরা যেমন আছি তেমনই থাকতে চাই....++

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ । আগ্রাসন প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

শাইককা বলেছেন: হিন্দি ছবি চাই লেটেস্ট হিন্দি সিনেমা হলে আরো ভাল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: সময় দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। আপনার আশা বাস্তব হবে মনে লয়।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের দেশের চলচ্চিত্র যদি বিদেশে মুক্তি পেতে পারে, তবে বিদেশীদের ছবি আমাদের দেশে মুক্তি পেলে দোষটা কোথায় জানি না। হিন্দি ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে, এতে ভয় তারাই পাই, যাদের নিজের সংস্কৃতির উপর বিশ্বাস এবং ভালোবাসা কম। নতুবা আমি ভয়ের কিছু দেখি না। বিশ্বায়নের যুগে শিল্পের আদান প্রদান হতেই পারে। এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে নিজের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করাই হবে উৎকৃষ্ট পন্থা। জুজুর ভয়ে ভিত না হয়ে নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। বাংলদেশে ইংরেজি ছবি মুক্তি না পেলেও বহু বছর আগে থেকেই আমাদের দেশের সিনেমা হলে ইংরেজি ছবি প্রদর্শিত হয়ে আসছে। ইংরেজি ছবির সাথে আমাদের সংস্কৃতির যেখানে বিন্দুমাত্র সামঞ্জস্যতা নাই, সেখানে হিন্দি ছবিতে অন্তত কিছুটা হলেও সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়, তবু এর বিরোধীতার কারণ আমার বোধগম্য নয়। যারা হিন্দি ছবির বিরোধীতা করে, তাদেরই আবার দেখা যায় বাসায় বসে হিন্দি চ্যানেলে হিন্দি মুভি দেখে আর না হয় সিডি কিনে দেখে। আমাদের দেশের মানুষ বাংলা চলচ্চিত্রের মুভি এবং নায়ক নায়িকার নাম বলতে না পারলেও হিন্দি মুভি এবং হিন্দি নায়ক নায়িকাদের নাম ঠিকই বলে দিতে পারে। যা গোপনে আমাদের দেশে হয়ে আসছে, সেটা নিয়ে কোন প্রতিবাদ নাই অথচ প্রকাশ্যে হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবাদ করে উঠলেন। অবাক হলাম। আবারও বলছি নিজের সংস্কৃতির উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ভালবাসুন, তাহলে অন্য সংস্কৃতিকেও মূল্যায়ন করতে জানবেন। হাহুতাশ করে কোন লাভ হবে না। বরং নিজেদের চলচ্চিত্রকে বিশ্বমানের করার চেষ্টা করা উচিৎ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

মোরতাজা বলেছেন: 'আবারও বলছি নিজের সংস্কৃতির উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ভালবাসুন, তাহলে অন্য সংস্কৃতিকেও মূল্যায়ন করতে জানবেন। হাহুতাশ করে কোন লাভ হবে না। বরং নিজেদের চলচ্চিত্রকে বিশ্বমানের করার চেষ্টা করা উচিৎ।' সহমত

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

খোচা বাবা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন, ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ; খোঁচা বাবা

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা আমাদের নিয়েই হ্যাপি
চাই না আগ্রাসন

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

মোরতাজা বলেছেন: চাই না আগ্রাসন; সহমত মনিরা।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪৬

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভালোই বলেছেন।
আমাদের বাংলা সাহিত্য যা সমৃদ্ধ তা আগামী কয়েক বছরের হলমুখো সিনেমার জন্য যথেষ্ট

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ বাকের ভাই।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫

In2the Dark বলেছেন: ভাই ভাল জিনিস না বানাইলে কেউ উপরে উঠতে পারব না।

আমগো দেশের বলিউড মুভিখোররা এখন তামিল এর দিকে ভিড়েছে। বলিউডের চেয়ে তামিল মুভিগুলা এখন বেশি ভাল হইতেছে তাই এমন অবস্থা। তারা এখন দুই একটা বলিউড মুভি ভাল হইলে দেখে।

সো, মুভি নির্মাতাদের ভুলে গেলে চলবে না এইটা ২০১৫ সাল। দর্শক যা চায় তা যদি মুভিতে না থাকে তাহলে তারা কেন দেখবে? #মুভি নির্মাতারা

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

মোরতাজা বলেছেন: মাথা ব্যথঅ; তাই কেটে ফেলাতে সমাধান? মনে হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.