নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ানটেডের নায়িকার বাঁকানো শরীরের উপ্রে সেন্সর বোর্ডের ছাপ্পর

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

শেষ পর্যন্ত মেদহীন নায়িকার বাঁকানো শরীরের উপ্রে সেন্সর বোর্ডের ছাপ্পর মারা পোস্টারে পোস্টারে নগরি রঙিন করে আজ ২৩ জানুয়ারী শুক্কুরবার মুক্তি পাইছে হিন্দি ফিলিম ওয়ানটেড।

আর ৭ দিন বাদে আসছে আমাদের ভাষার মাস । একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করবো আমরা। সে জন্য প্রস্তুতি চলছে। বক্তৃতার খই ফুটবে, সংস্কৃতি মুন্ত্রীর বয়ানও শোনা যাবে। আমরা গাইবো-'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।'
শেষে ছুটে যাবো পূর্ণিমা, মধূমিতা, আনন্দ সিনামা হলের কোনো একটাতে। একটা হিন্দি কিম্বা উর্দু ফিলিম দেখে সব ভুলে যাবো। আহা।

বয়সের ভারে মোট কাঁচের চশমা সরিয়ে তিনি আবেগে কাইন্দা ফালায়া টিভি ক্যামেরার সামনে চোখ মুছবেন- আর বলবেন, বরকত, সালাম , জব্বর তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি।

আহা জীবন-অভিনয় কীভাবে একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্রে ঢুইকা পড়ছে ভাবলে কষ্ট লাগে। বাণিজ্য যদি চূড়া্ন্ত লক্ষ্য হয় তাহলে সব কিছুরই তো বাণিজ্যিকীকরণ হতে পারে। যদি বাংলাদেশের সিনামা দিয়া সিনামা হল ব্যবসা টিকায়া রাখা মুশকিল বলে উর্দু-হিন্দি সিনামা মুক্তি দেওন যায়; তাহলে নষ্ট রাজনীতির কবলে পড়ে বিপন্ন মানুষের জীবন বাঁচাতে তো আমরা রাজনীতিক, আমলা, নিরাপত্তা রক্ষীও আমদানি করতে পারি।

এ যুক্তিটা একেবারেই শিশুসুলভ জানি; তবুও দিলাম।

স্বাধীনতার ৪৩ বর্ষপূর্তির মাথায় বাংলাদেশের রাজধাণী ঢাকায় আজকে মুক্তি পেলো প্রভুদেবার সিনামা ওয়ানটেড। ঢাকার বাইরেও মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০ টি হলে।

আজকের এ দিনটাকে কেউ কালো বললেন, কেউ সাদা বলবেন।রাজনৈতিক , ব্যবসায়িক এবং কূটনৈতিকভাবে অনেকের কাছে অনেক ব্যাখ্যা থাকবে; সে সব মেনে নিয়েই বলছি এমন বাংলাদেশের জন্য তিরিশ লাখ মানুষ তার অমুল্য জীবন বিলিয়ে দেননি।

বঙ্গবন্ধু, জেনারেল জিয়া, সি আর দত্ত কিম্বা জেনারেল ওসমানীরা লড়াই করেননি। ভাসানী তার জীবনটা উৎসর্গ করেননি ভিনদেশি বাণিজ্য প্রসারের জন্য। নিজের যা আছে তা ঘিরে বিস্তৃত হবার লড়াই ছিলো তাদের। আমাদের হাতে সেটিই তারা তুলে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাতেই আছে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা। কিন্তু সে মুক্তির বদলে আমরা ভিনদেশের অর্থণৈতিক গোলামে রূপান্তর হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি।

হাল আমলে গিনিজ বুকে নাম তোলার যে হিড়িক পড়েছে তাকে আমলে নিয়ে বলছি বাণিজ্য প্রসারে হিন্দি সিনামার এমন মুক্তি যদি আমরা মেনে নেই তবে তা গিনিস বুকে উঠতে পারে। যে জাতি একটি ভাষা, রাষ্ট্র, সংস্কৃতি এবং টিকে থাকার লড়াইয়ে জয়ী হযেছিল, কেবল রবীন্দ্র সঙ্গীতের অবহেলার প্রতিবাদে পয়লা বৈশাখের মত জাতীয় আয়োজন করে দশকের পর দশক তা ধরে রাখতে পেরেছে; সে জাতি তার সিনামা শিল্পকে ধ্বসিয়ে দেবার আয়োজন প্রত্যক্ষ করলো আনন্দে; সেটিই সেলুকাস!

অনেকেই বলছেন- টিকে থাকতে হবে প্রতিযোগিতা করে। বলি বাপু , তোমার কথা শুনলাম, কিন্তু তুমি টিকতে পারছো। তোমাদের কাউকে কাউকে তো এখনো চাকুরী, পড়াশোনায় টিকিয়ে রাখার জন্য মহান সংসদে কোটা নিয়ে আলাপ করতে হয়। তা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। পিছিয়ে পড়া মানুষকে সামনে এগিয়ে দিতে এটা লাগে। কিন্তু নিজের সংস্কৃতির ভিত তৈরির জন্য তুমি সে সবের কিছু করেছো, নাকি রাস্তার বেশ্যাদের মত কাপড় খুলে বসে আছো;)

মজার ব্যাপার হলো- একজনের হাতের বন্দুক থেকে গুলি বের হয়। আরেকজনের বন্দুক থেকে কেবল আওয়াজ। গুলি আর আওয়াজঅলা বন্দুক যোদ্ধা যদি প্রতিযোগিতায় নামে তাহলে কে টিকবে? সে উত্তর সবার জানা।

একজন বললেন, বাংলা সিনামা ৪৩ বছরেও পারেনি; সামনেও পারবে না। হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। কিন্তু বলিউড যে পরিমাণ মেধা, শ্রম,প্রযুক্তি ও অর্থের উপ্রে দাঁড়িয়ে আছে বাংলদেশে কি তা ছিল, আছে কিম্বা হবে। সে প্রশ্নের উত্তর নেই।

তবুও এ দেশে ভারতীয় সিনামা এসেছে। বাল কাটার ব্লেড থেকে, পিরিয়ডের রক্ত চোষার ত্যানা, ডিম ভাজার পেঁয়াজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ডিগ্রি সবই আমরা্উপমহাদেশ থেকে আমদানি করি। তাতে কি তাদের ভালোটা আমরা নিতে পারি না; সেইটা বললে আবার উন্রারা উপরের দিকে চাইয়া থাকেন বড় ভাই, সাহেবরা কি বলেন, সে অপেক্ষা আর কি!

বিম্পির এককালের তথ্য মুন্ত্রী নাজমুল হুদা আকাশ ওপেন করে ভারতীয় পণ্যের বাজার তৈরি করে গেছেন। আম্লীগের মুন্ত্রী স্পর্শ পেয়ে বলেছেন ধন্যি বাবা, চলো হিন্দি সিনামা দেখাই। যারা এ বিরোধীতা করে তারা মুক্তবাজার অর্থনীতি বোঝেনা, শিল্প বোঝেনা, সংস্কৃতি বোঝে না।

এ দেশে কিছু বলতে গেলে 'রাজাকার', 'তুই অযোগ্য', 'তুই পারিস না; তাই বলে আমি খাবো না', '--- এ সব টাইপের কথা শুনতে শুনতে অনেকেই চুপসে থাকেন।

তবুও আশাহীন নই আমি। সক্কার বাহাদুরের নিশ্চিতভাবে সুমতি হবে। সে আশায় আছি। শোকে আছি। আনন্দ আসবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৩

টাইটান ১ বলেছেন: একটা বড় গাছে নিচে ছোট গাছ ভালো হয়ে বেড়ে উঠতে পারে না। ভারতের নিচে আমরা কখনোই আমাদের দেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারব না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

মোরতাজা বলেছেন: হুমমমম :(

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন বাংলাদেশের জন্য তিরিশ লাখ মানুষ তার অমুল্য জীবন বিলিয়ে দেননি।

বঙ্গবন্ধু, জেনারেল জিয়া, সি আর দত্ত কিম্বা জেনারেল ওসমানীরা লড়াই করেননি। ভাসানী তার জীবনটা উৎসর্গ করেননি ভিনদেশি বাণিজ্য প্রসারের জন্য। নিজের যা আছে তা ঘিরে বিস্তৃত হবার লড়াই ছিলো তাদের। আমাদের হাতে সেটিই তারা তুলে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাতেই আছে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা। কিন্তু সে মুক্তির বদলে আমরা ভিনদেশের অর্থণৈতিক গোলামে রূপান্তর হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছ.. +++

দু:খজনক।

@টাইটান১ আত্মমর্যাদাহীন, অযোগ্য, দালালেরাই শুধূ এরকম ভাবে!
ছোট বড় কর্ম দিয়ে, পরিকল্পনা দিয়ো, যোগ্যতা দিয়ে!! মানচিত্র দিয়ে নয়। আপনার স্বপ্ন ভিশন রাজনৈতিক সাহস, সঠিক দেশপ্রেম নিয়েও এই দেশ ইউরোপের চেয়ে অর্থনৈতিক শক্ত ভিতের উপর দাড়াতে পারে- কিন্তু গলার কাটা....

এই সরকারের মতো নতজানু হয়ে আগেই দাদা দাদা দিদি দিদ বলে যদি নিজেকে চামচ বানিয়ে ফেলেন তো আত্ম শক্তির বিকাশটা হবে কোথায়??

৭১এ নর্বোধ গো-আরা রাজাকারি করেছে- ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধ হলে সব কথিত সুশীলরা যে সর্বাগ্রে রাজাকার হবে তাতে সন্দেহ নাই! আত্মমর্যাদাহীন হলে এমনই হয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

মোরতাজা বলেছেন: 'আত্মমর্যাদাহীন হলে এমনই হয়!!'----সহমত

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: তবুও আশাহীন নই আমি। সক্কার বাহাদুরের নিশ্চিতভাবে সুমতি হবে। সে আশায় আছি। শোকে আছি। আনন্দ আসবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

মোরতাজা বলেছেন: আনন্দ আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.