নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিসিদের দলানুগত্য---

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

'তখন রিটায়ারমেন্ট এইজ ছিল ৫৭- সেটা রাজ্জাক স্যারের হয়ে গেছে ।তখন নিয়ম ছিল ডিপার্টমেন্ট হেড তাকে রেকমেন্ড করে দেবে সুপার-নিউমারারি প্রফেসর করার জন্য।তো আমি তখন ডিপার্টমেন্ট হেড ছিলাম।আমি এর আগেও দুইজনকে করেছি।স্যারকেও করলাম এবং সেটা হওয়ারই কথা। কিন্তু তখন যে ভিসি ছিলেন তাকে কিছু লোক বুঝিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ রাজ্জাক স্যারকে পছন্দ করে না। ওনাকে জাতীয় অধ্যাপক করা যাবে না।ভিসি ওটা রিজেক্ট করলেন।আমি তো অবাক।মোশাররফ সাহেবকে কথাটা বললাম।মোশাররফ সাহেব বললেন এসব বিষয় নিয়ে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলার দরকার নেই।পরে আমি আর হুদা সাহেব ভিসির কাছে গেলাম।ভিসি স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম।তখন ভিসি স্যার বললেন, না এটা হবে না-আওয়ামীলীগ ওনাকে চায় না।তার দু দিন পর ভিসি স্যার আমাকে আর হুদা সাহেবকে ডাকলেন।তিনি খুব এক্সাইটেড ছিলেন।তিনি বললেন বঙ্গবন্ধু স্বয়ং তাকে ফোন করেছিলেন যাতে রাজ্জাক স্যারকে সুপার-নিউমারারি করার জন্য উনি সইটা করে দেন।পরে জানলাম মোশাররফ সাহেব নাকি তাজউদ্দীন সাহেবকে রাজ্জাক স্যারের ব্যাপারটা বলেছিলেন।তাজউদ্দীন সাহেব বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে।এভাবেই আওয়ামীলীগের সময়ে তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক করা হয়।পরে তাজউদ্দীন আহমেদ স্যারকে বলেছিলেন,” স্যার, আমরা তো কিছুই জানি না।আপনি কি মরে গেলেও আমরা কিছু জানতে পারবো না?“ স্যার ছিলেন এরকমই।'

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.