নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিস্ময়ের সাথে দেখছি- কিছু লোক সুযোগ বুঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করছে--- তাদের আসলে হিংসা-কষ্ট-না পাওয়ার বেদনার প্রকাশ বলে আমি এটাকে ক্ষমা করতে চাই।
এ ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি নতুন কোনো ঘটনা নয়; এ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের বিচ্ছিন্ন কোনো কিছু নয়। সমাজের ক্রমহ্রাসমান ক্ষয়িষ্ণু সঙ্কট এখানে এসেও লাগে- এতে আমি কারো দ্বিমত আছে বলে মনে করি না।
সরকার, প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালকদের দায়িত্ব সমাজের অনাচর বইবার ক্ষমতা কমিয়ে আনার মত নৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এমসিসিআইয়ের ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল কালাম। তার বক্তৃতায় শুনেছিলাম আগামীর বিশ্বের সামনে নৈতিক শিক্ষা একটা বড় চ্যালঞ্জে। আমি নিজেও তা মনে করি।
যারা না বুঝে, সাময়িক উত্তেজনার কবলে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় তলে কথা বলছেন- - - তাদের বলছি এবার অফ যান। অনেক হয়েছে। যৌন হয়রানির বিচারে সরকারকে বাধ্য করেন---
সেটা না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সব হয়, চিপায়, কানায় কোনায় এ সব আগেও ছিল বলে; যারা বৈশাখি উৎসবে নারীদের শরীর খামছে ধরাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছেন--- তাদের মানসিকতা কোনোভাবে সুস্থ্য এ কথা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
বিশ্বাস করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো আজ এ অবস্থা--- সেটিও আপনাদের রিয়ালাইজ করতে হবে। আপনাদের রাজনীতি, ক্ষমতার নোংরা বাসনা আর দাপুটে জীবনের জন্য আপনার অল্প দামে এখানে নিয়ে এসেছেন অস্ত্র, মাদক আর বহু ভাষা বৈচিত্রের ভেতর বেড়ে ওঠা মানব সন্তানদের ভেতর জাগিয়ে তুলছেন আদিমতা পশুত্ব।
হিন্দি সিনামা, ইংরেজি নীল সিনোমা, রসময়গুপ্ত সিরিজ, কিম্বা সবিতাভাবি কমিক সিরিজ দিয়ে তাদের উস্কাচ্ছেন। গুলিস্তান থেকে নীলক্ষেত , ফার্মগেট থেকে টঙ্গী, গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ সবখানে এর প্রকাশ্য পসরা।
সামনে বলছেন--- অপরাধ। পেছনে বলছেন-- গেলো কেন। কোন ফ্যামিলি মেয়ে রে বাবা। আপনারা মুখোশের আড়ালে পশুত্ব লালন করেন। আপনারা সুবিধা মত সব কিছু পেতে চান--- জানবেন অনেক ত্যাগ আর জীবনের বিনিময়ে বিশ্বজুড়ে মানবিকতার আহবান।
অনেক সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এই বাংলাভাষার প্রতিষ্ঠার জন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় একাই লড়াই করেছে--- সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আফসোস রাজনৈতিক গৃহপালিত পশুত্বের কারণে আজ আমার প্রিয় ক্যাম্পাস আক্রান্ত।
যে যেই দলই করুন না কেনো--- যে আদর্শই হোক না কেন--- নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা আপনার আমার সবারই কাজ।
তাই নারীকে অসম্মান করে আবার আস্ফালন করা জঘন্য। আর এটাকে উপলক্ষ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণের স্পর্ধা যারা দেখান --- তারা নিজের সাথেই প্রতারণা করেন।
আমি আমরা সবাই জানি--- এ সমাজ রাষ্ট্র জানে--- পঁচন সমাজের সব স্তরেই ছিল। এখন বেড়েছে। সামনে হয়ত আবার বাড়বে। সে পঁচন রোধেরও তরিকা আসবে--- সেটিও এ ক্যাম্পাস থেকে।
আসেন আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওয়াজ তুলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ঘিরে যারা নোংরা কথা বলছেন--- ধরে নিলাম তারা আসলে অবুঝ---উত্তেজিত। তাই ক্ষমা করি এবং নারীর সম্ভ্রম রক্ষা ও নৈতিক শিক্ষায় আপনার সন্তানকে ছোট বেলা থেকে শেকান--- তাহলে সামনে আর এ রকম নোংরামি দেখতে হবে।
হোন আপনি বিম্পি, আম্লীগ, জমাত, জাতীয় পার্টি, বাম-রাম-মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ। সব কিছু চাপিয়ে আপনি-আমি যৌক্তিক মানুষ হই। সে প্রার্থনা।
©somewhere in net ltd.