নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরমে গরম গরম

২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৩



একেবারে রীতিমতো বাষ্প উড়ছে।যেন কথা মাটিতে পড়ার আগেই ওই যে দেখ নেই হয়ে গেল।দোষ কি মানুষের বল?গরম বলে কথা! যে গরম পড়ছে তাতে কথাও গরম হয়ে বাষ্প হচ্ছে না তো কী!এহেন অবস্থায় যদি বিদ্যুৎ না থাকে তবে কেমন লাগে।আম/ কাঁঠাল পাকার মত গরমে নিজেকেও মনে হচ্ছে আস্ত আম/ কাঁঠাল।আজ যদি আম /কাঁঠাল হলে ঠিক পেকে যেতাম।এমন পাকাটা যদি ছেলেবেলায় হত তাহলে কেমন হত! আর কষ্ট করে ইঁচড়েপাকা বলে কাউকে কোন কথায় শুনতে যে হত না! গরম পড়া মাত্র পেকেপুকে একাকার।এহেন গরমে গরমে চারিপাশ যেন গরমময় হয়ে উঠল।

এত বড় বাস,অথচ জায়গা নেই কোন,তার মাঝে রস ও রসিক লোকের অভাব নেই দেখছি।পাশাপাশি বসেছিস বাপু ভালো কথা,ভদ্র হয়ে যা না! এমনিতেই হতচ্ছাড়া গরম তার উপর চোখের সামনে এই ছেলে মেয়ের অসভ্যতা।বলি কলি কাল এল যে!

আগের যুগে বসে বসে গল্পই করত। কথার ঝুড়ি নিয়ে বসত,এত কথা বলত যে বলতে বলতে হুট করে ঝগড়াটা বেঁধে যেত।ঝগড়ার গরমে গরমে মাথাও গরম করে কথা বলা বন্ধ।বলি চক্ষু তবুও শান্তি পেত,ছিঃছি এসব তো আর দেখতে হত না।এখন তো গল্পের চেয়ে ইয়েটাই বেশি থাকে।জনসম্মুখে এসব চলে ভাবখানা এমন ওরা ছাড়া এই জগতে আর কেউ নাই।সারা দুনিয়ার মানুষ চোখে চশমা নিয়ে ঘুরছে।

দরদর করে যে ঘেমে নেয়ে উঠলাম,এরই মাঝে গিন্নি যেন চিৎকার করে উঠে।হ্যা গো! তোমার কী লজ্জা শরম আর হবে না! যা বাপু আমি কিছু করলাম না, সমস্ত দোষ এসে পড়ল আমার উপর,বলি এমনি হয়।
গিন্নী কানে কানে যে কথা শোনাল তাতে কান গরমে যেন আরো গরম হয়ে গেল। চারিদিক শুধু গরম আর গরম।
বাস থেকে নামলুম,আহা! রোদে মাথার চান্দি যেন ফেটে যাচ্ছে, হায় আল্লাহ্‌! এই বয়সে মাথায় কিছু কালো কালো ঘাস(চুল)নতুন করে দাও না গজিয়ে,মাথাটা তো বাঁচবে,মাথার ঘেনু গুলো একটু কম ফুটবে টগবগ করে।গিন্নীকে নিয়ে পড়লাম বিপদে,হাঁটতে পারে না,আর একটু এগুলে সেই কেকের দোকান।
হাত ধরে যত বলি তাড়াতাড়ি হাঁটো,গিন্নী আমার ক্ষেপে কই, বুড়ো বয়সে ভীমরতি।বলেন দেখি ভীমরতির করলামটা কী? একটা কথাও বলা যাবে না, মুখে ঝামটা দিয়ে বলে কিনা আমি জোরে হাঁটি,আর পড়ে গিয়ে মরি,তখন আবার বউ আনবে না।

বলেন মশাই সহ্য হয়! তাও আবার এই গরমে! কিসের মধ্য কী,পান্তাভাতে যে ঘি।এই গরমে এমন উপাদেয় ঘি মার্কা কথা কেমনে সয়!কপাল লাগে কপাল।

কেকের দোকানে ঢুকেছি,দিল দু'খানা।আহা! অমৃত! এমন কেক খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকা যায়! কী বল গিন্নি! ডায়াবেটিস এর কথা মনে নাই।আপনার ম্যাইয়ারে বাড়ি গিয়া সব কয়ে দিব।এত বাড়ছে তাও লজ্জা হইবার পারে না! আর কবে বন্ধ করবেন কন দেখি! নিজের দিকে তাকান শেখেন।

ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে কইলাম অন্যদিক তাকনোর সময় কই পাইলাম! তোমার দিকে তাকাতে তাকাতে আমার জীবনের দিন,মাস, বছর পার হয়ে গেল।সবে মাত্র হৃদয় ঠান্ডা হল,গরমে আরাম পাইলাম।ওমা! একি! এক লাফে মাথা আমার আবার গরম হইল।এইটুস খানি কেক, পেটে পড়ছে কি পড়ে নাই, একশত পঞ্চাশ টাকা মাত্র, সাথে আবার ভ্যাট।হায় রে হায়!হট কেক বলে কথা! হট হট কেক খেয়ে হট হয়ে যাও।
পানি খেতে খেতে দাঁতের এক কোনায় বেঁধে ছিল একটু।দাঁত থেকে হাতে ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম এই দেখ গিন্নি দশটাকা লেগে ছিল দাঁতে! বলেন মশাই ভুল ছিলাম কোথায়! গরমে গরম গরম পুড়তে পুড়তে বিবেকের দংশনে মনের মধ্যে খোঁচা দিতে লাগলে,শ্যাষ!

বাড়ি পৌঁছাতে না পৌঁছাতে এই রে টাকা আমার সব জলেই গেল,পেটের মাঝে মোড়া দেয়ার আর সময় বুঝি পেল না! গরমে সব শব্দ তুলে গেল রে গেল সব গেল, আমার সাধের হটকেক গরমেই পেট নষ্ট করে দিয়ে গেল!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গরমে সাবধান থাকবেন। কেকের চেয়ে টাকার ওজন মনে হয় বেশি ছিল। ভবিষ্যতে দাম জেনে খাবার খাবেন।

২| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

নীল মনি বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.