নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলোমেলো ভাবনা-১

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২১

আপনি নিজে কখনো হিসেব করেছেন কী চাই আপনার?আপনি শুধু চেয়েছেন কিন্তু প্রয়োজন কোনটা সেটা বুঝতে শেখেননি।পৃথিবীতে কে কী শিখবে, কেমন করে শিখবে,কার কাছ থেকে শিখবে সেটা বলা যায় না।তেমনি আপনি কোথা হতে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।জানালা খুলে হাত বাড়ালেন;বললে আমি বৃষ্টি চাই।এইভাবে চাইলে বৃষ্টি পাবে কখনো?বৃষ্টি পেতে মেঘের প্রয়োজন, সবচেয়ে বড় দরকার কারো ইশারার।কে সেই ইশারাকারী সেটা বুঝতে হবে;কখন আপনি চাইছেন সেটাও আপনাকে বুঝতে হবে।
আপনাকে আপনার হয়ে আপনাকেই বুঝতে হবে।কেউ যদি নিজেকে না বোঝে তাহলে এই পৃথিবীর কোথাও কেউ নেই যে আপনায় পূর্ণতার সাথে জানবে ও বুঝবে।

আপনি চান সুখ,সমৃদ্ধিতে জীবন ভরে উঠুক।কিন্তু ভেবেছেন সুখ কী?সমৃদ্ধি কী?কেউ দামী গাড়িতে চড়ে যাচ্ছে;দেখে মনে হতে পারে আহ!কী সুখ!
কিন্তু এমন তো হতে পারে যে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছে তার আসলে গাড়িতে উঠতেই মন চায় না;সে চায় রিকশায় করে হুট খুলে গাছের ডাল টুক করে ছুঁয়ে দিতে দিতে পথ চলতে!আসলে আপনাকেই জানতে হবে সুখ কোথায়!আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে দিবে আপনার সুখের সংজ্ঞা।

অর্থ চায় আপনার? কখনো ভেবেছেন ঠিক কতটুকু অর্থ চায় আপনার?আপনি অর্থের হিসেব না করে নিজের হিসেব করে দেখেছন কখনো?নিজের হিসেব সেটা আবার কী?দেখুন তো হিসেব মেলে কিনা?
আপনি নিশ্চিত অর্থ আপনায় সুখ এনে দিবে আর সেই ভেবে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সব কিছু থেকে।মা'য়ের খোঁজ নেয়ার সময় নেই,সন্তানের খোঁজ নেয়ার সময় নেই,কোন কিছুতেই আপনার সময় নেই।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করুন তো-কিসের আশায় এত ব্যস্ততা? অর্থ কখনো সুখ দিবে না অথচ আপনাকে প্রশ্ন করা হলে বলবেন -"তোমাদেরকে ভালো রাখতে এই আয়োজন,এত ব্যস্ততা।"

ভালো তো মানুষ মানুষকে রাখতে পারে না;মানুষকে ভালো রাখেন তার স্রষ্টা কিন্তু খুব কম মানুষ সেই। উপলব্ধিটা করে!

খেয়াল করুন তো জীবন কতোটা এগিয়েছে।সময়ের সাথে সাথে আমরাও কতোটা এগিয়েছি!আপনি কি জানেন একটা সময় মানুষ মাথার চুল পরিস্কার করত কাদা দিয়ে! ওমা নাক কুঁচকাচ্ছেন? এ ছিঃ! কাদা দিয়ে চুল পরিস্কার হয় বুঝি! আজব কথা! কাদা ব্যবহার শেষ হল যখন কাপড় ধোয়ার সোডা এল ;এরপর বিবর্তনে শ্যাম্পু।জীবন বদলেছে নয় কি?

অন্যদিকে তাকায় একটু।আগে বিদ্যুতের সহজলভ্যতা ছিল না।মানুষ তালের পাখা ব্যবহার করত;এরপর কাপড় দিয়ে বানানো পাখা।একটা বাঁশের কুঞ্চিতে কাপড় লাগানো আর নিচের দিকটাতে গোল করা কুঞ্চিতে লাগানো।এই পাখা হাতের সাহায্যে ঘুরে ঘুরে বাতাস দেয়।
তখনকার সময়েও কিন্তু বাচ্চারা কাঁদত গরমে।বাবা-মায়ের যেকোন একজন সারারাত থেকে থেকে বাতাস করত।টুকটুক করে গল্প করত স্বামী-স্ত্রী।গল্প করার এই দৃশ্য আমরা আরো এক জায়গায় বেশ দেখতে পাই।
হাত পাখার বাতাস করতে করতে বাড়ির কর্তাকে যত্ন করে খাওয়ানো।তাই নয় কি?

এখন প্রযুক্তির যুগ; বিদ্যুতের সহজলভ্যতা মানুষকে এইসব আন্তরিক গল্প থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।প্রযুক্তির নিত্য নতুন আবিষ্কারে মনে হতে পারে মানুষের কাজের চাপ কমেছে।যেহেতু চাপ কমেছে সেহেতু আগের চেয়ে মানুষ বেশি সুখে আছে;শান্তিতে আছে।আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা এমন দেখালেও প্রকৃত অর্থে প্রযুক্তি মানুষকে ব্যস্ত করে তুলেছে।বন্দি করেছে জীবনকে;মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের চেয়ে অধিক সম্পর্ক করিয়ে দিচ্ছে যন্ত্রের সাথে।যন্ত্রের উপর যত নির্ভরশীলতা বাড়ছে মানুষে মানুষে দূরত্ব ততই তৈরী হচ্ছে।যন্ত্র যেন সম্পর্কের নিরব ঘাতক।আমরা নিত্য টাকা আয় করে সুখ- সমৃদ্ধি ও শান্তি কিনতে চলেছি।কিন্তু প্রকৃত পক্ষে পারছি কতটুকু সেটা প্রশ্নের দাবীদার।

একটা সময় ছিল যখন মেহমান এলে সবাই খুশি হতো।গল্প হতো কারণ আনন্দের উৎস ছিল কম।প্রযুক্তির উৎকর্ষতা কম ছিল।মানুষকে সময় দিতে ভালো বাসত মানুষ।যা কিছু করত আন্তরিকতা সহকারে।এখন মেহমান এলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাড়তি ঝামেলা;এখন মানুষ যা করে তার বেশিরভাগ লোক দেখানো।আন্তরিকতা উঠে গেছে মানুষের মন থেকে।

মানুষগুলো মানুষই আছে ;বদলেছে ধ্যান ধারণা।সময়ের সাথে ধ্যান ধারণা বদলানো দোষের নয় তবুও মানুষের মাথায় রাখা উচিত তার আদর্শ, তার নৈতিকতা ও তার ধ্যান ধারণার প্রতি সম্মান। স্রোত এলে সেই স্রোত টেনে নিয়ে যেতেই পারে কিন্তু সেই স্রোতে ডুবে গেলে তো চলবে না।নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে হবে।একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ দেখতে যেমনই হোক না কেন মনে রাখা উচিত তার নিজস্ব কিছু আদর্শ আছে যা তাকে অন্য মানুষ থেকে পৃথক করেছে।একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ জানেন কখন তার ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়;কিভাবে চাহিদাকে সীমিত রেখে অল্প কিছুতেই খুশি যায়;আত্মোন্নতি ঘটিয়ে একজন মানুষের মত মানুষ হওয়া যায়!উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষের মত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন;জীবনকে নিয়ে ভাবুন।জীবনের দিকে তাকান :)

©রুবাইদা গুলশান

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম, আসলেই এলোমেলো ভাবনা

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৫

নীল মনি বলেছেন: ☺☺☺

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।ভালো লাগা র ইল

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: ভালো লাগলো,,, নৈতিকতার বড়ই অভাব, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ তো অনেক দূরে। তাদের কাছে পাওয়া যায় না। তার পরেও আপনার সূরে বলবো, নিজের ভালোটা নিজেই দেখা উচিৎ।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম বলেছেন: ভালো ছিলো। তাই ভালো লাগা রইলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.