নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।
যদি জিজ্ঞেস করেন স্বাদ কেমন তাহলে শুরুতেই বলব মধুর মতো মিষ্টি! আমাদের জীবনে হাসি হলো মধুর মতো মিষ্টতা নিয়ে হৃদয়ে লেগে থাকে। হাসি অন্যের উপর ইন্দ্রজালিক আবেশ সৃষ্টি করে থাকে। শুধু একটা হাসির মায়া অন্য মানুষকে নতুন করে বেঁচে থাকতে শেখায়!
মহান আল্লাহ অন্যের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর ভালোবাসার বন্ধন হিসেবে পৃথিবীর বুকে 'হাসি' তৈরি করেছেন। হাসি হলো অন্যে মানুষের হৃদয়ের প্রবেশদ্বার!
যে মানুষ অন্যের সাথে হাসিমুখী হয়ে থাকেন, তিনি সহজেই দৈনন্দিন জীবনের উত্তেজনা, উদ্বেগ এবং ঝামেলা এক নিমিষেই মন থেকে সরিয়ে ফেলতে পারেন। ইসলামের দৃষ্টিতে হাসি হলো অন্যতম সুন্নাতের আওতাভুক্ত। একজন দয়ালু মানুষ যত গভীরভাবে হাসতে পারে একজন কঠিন মনের মানুষ বলা যায় কখনওই ভেতর থেকে হাসতে পারে না ! তাদের হাসি মানেই দাঁত দেখানো। আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সাঃ) সবসময় হাসিখুশি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন এবং এটি ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম অংশ। তিনি স্মিত করে হাসতেন। তিনিই বলেছেন,ঃ
‘প্রতিটি ভালো কাজ সদকা। আর গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো কাজ হলো, অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা। ’
“কোনো উত্তম কাজকেই অবহেলা করোনা (যত ছোটই হোক না কেন) যদি তা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাতও হয়।”
হাসি হলো বন্ধুত্বের নিদর্শন যার উষ্ণ ধারায় উজ্জীবিত হয় জীবনের প্রাণরস। হাসি হার্টের উপর চাপ হ্রাস করে, রক্তচাপকে শান্ত করে,শরীরকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমিয়ে দেয় বহুগুণে এবং মানুষের ভেতরকার মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই একটা হাসিই বদলে দিতে পারে মানুষের জীবনবোধ, হাসি নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যক্তির মাঝে বাড়াতে পারে বেঁচে থাকার সাধ ও আহ্লাদ!
চারিপাশের মানুষের সাথে আন্তরিকপূর্ণ সেরা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হাসির কোন বিকল্প নেই! দাঁত থাকলেই হাসা যায় না, হাসতে হলে মন থাকা চাই। যার সুন্দর মন আছে সেই কেবল ফুলের মতো করে কোমল করে হাসতে জানে!
Rubayda Gulsan
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৯
নীল মনি বলেছেন: সহমত। এটা পালনের চেষ্টা করি। উত্তম কথা বলার চেষ্টা নচেৎ চুপ থাকা। শুকরিয়া
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক কিছু আবিস্কার করছেন, অনেক রিসার্চ করছেন, মনে হয়?
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০১
নীল মনি বলেছেন: ফুল নিয়ে আর মানুষকে নিয়ে রিসার্চ বেশি করার চেষ্টা করি। ঘুম আসছিল, আপনার মন্তব্য পড়ে ভাবছিলাম পজেটিভ না-কি নেগেটিভ! ঘুম কেটে গেলো কিছুটা। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১
নীল আকাশ বলেছেন: আস্লালামালাইকুম আপু,
কেমন আছেন? অনেক দিন পরে আপনার লেখা পড়লাম।
খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। দাঁত থাকলেই হাসা যায় না, হাসতে হলে মন থাকা চাই। যার সুন্দর মন আছে সেই কেবল ফুলের মতো করে কোমল করে হাসতে জানে!
ইসলাম সবার সাথে সুন্দর এবং আনন্দময় সর্ম্পক বজায় রাখার জন্য বলেছে। আর সেটার জন্য দরকার হাসি মাখা মুখ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫
নীল মনি বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম। একটু অসুস্থ ছিলাম এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। খুব সুন্দর মন্তব্য। আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২
জাহিদ হাসান বলেছেন:
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। মুখ গোমরা করে থাকা খুবই খারাপ। যারা এমন থাকেন তারা জীবনে সুখী হতে পারেন বলে মনে হয় না। মুখ গোমরা করে থাকা মূলতঃ অকৃতজ্ঞতারও একটা লক্ষন। প্রকারান্তরে এটা আল্লাহ পাকের প্রতি না শোকরি করারই নামান্তর। আমি যদি মুখ গোমরা করে থাকি, তার অর্থ দাঁড়ায়- আল্লাহ তাআ'লা যে অবস্থায় আমাকে রেখেছেন, তাতে আমি খুশি নই, আরও ভালো অবস্থায় তিনি আমাকে রাখতে পারতেন। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। আর বলা বাহুল্য, খুশি হতে পারছি না বলে হাসি হাসি মুখে কিভাবে থাকতে পারি?
আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন। তিনি আমাদের সর্বাবস্থায় হেফাজত করুন। +
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: হাসিমুখ নিয়ে মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলতে তারাই পারে, যাদের অন্তর পরিষ্কার। বক্র অন্তর থেকে স্মিত হাসি বের হয় না, হয় ক্রুর হাসি।
যদি কোন কথা বলতেই হয়, ভাল কথা বলো, নচেৎ চুপ থাকো! চমৎকার পরামর্শ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: (ধর্মে বলা হয়েছে- আপনারা মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে মোলায়েম কণ্ঠে কথা বলুন অথবা চুপ থাকুন। একটি ফলবান বৃক্ষ যেমন বছরের পর বছর নানাভাবে মানুষ ও পরিবেশের উপকার করে তেমনি একটি সৎবাক্য বা ভালো কথা স্থানকালের সীমানা অতিক্রম করে অগণিত মানুষকে আলোকিত করতে পারে।)