নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ণয়

ব্লগীয় সমরে গোঁয়ারতুমির ছোরা হাতে নিয়ে ঘোরার তুলনায় মূর্খতাকে পুষে রাখার অবচেতন ইচ্ছার বিরুদ্ধে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে দাঁড়ানোর জন্য অনেক বেশি সচেতন ইচ্ছার প্রয়োজন।

নির্ণয়

ব্লগীয় সমরে গোঁয়ারতুমির ছোরা হাতে নিয়ে ঘোরার তুলনায় মূর্খতাকে পুষে রাখার অবচেতন ইচ্ছার বিরুদ্ধে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে দাঁড়ানোর জন্য অনেক বেশি সচেতন ইচ্ছার প্রয়োজন।

নির্ণয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী কি তার নিজের নাম পাল্টিয়ে ছিলেন?

৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

ব্লগারদের অনেকেই দোজাহানের আশেষ নেকী হাছিল করেন এই প্রশ্ন করে যে টিপিকাল ধার্মিক চিন্তার বাইরে যারা চিন্তা করে কেন তার তাদের ইসলামিক নাম (?)পরিবর্তন করে না। এটুকুতেই শেষ নয়, তারা ইসলামিক নাম (?) পাল্টিয়ে হিন্দু নাম (?) রাখার পরামর্শ দিয়ে জিহাদী স্খলনসুখ অনুভব করেন।





বহুল প্রচারিত কথা যে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ইসলাম প্রচারের আগে আরবে আইয়ামে জাহেলিয়াত ছিলো। কাবাতে মূর্তিপূজা হতো। এরকম এক সময়ে যখন নবীর মা বা আত্মীয়রা যে নবীর নাম মুহাম্মদ রেখেছিলেন নিশ্চয় তা ইসলামিক ছিলো না, জাহেলি যুগের নামই ছিলো। ইসলাম প্রবর্তনের পর নিজের সমাজের প্রচলিত ধর্ম ব্যাখার বিরুদ্ধে তিনি যে নতুন ধর্ম চিন্তা করলেন তাতে কি তার নিজের নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়েছে?



ব্লগে হোক আর সমাজে, যারা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরদের চেয়ে ভিন্নভাবে ধর্ম চিন্তা করেছে তাদের জন্ম এবং নাম রাখার প্রক্রিয়াটা এই সমাজেই হয়েছে। ধর্ম, রাজনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বাবা-মায়েরা তাদের শিশু সন্তানের নাম রাখেন। শিশুর বড় হয়ে ওঠার পথে বাবা-মায়ের চিন্তার সাথে তার চিন্তার পার্থক্য হতেই পারে। এখন বাবা-মায়ের চেয়ে ভিন্ন বা সমাজের অনেকের চেয়ে ভিন্ন ধর্ম চিন্তা করলেই ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিররা যখন নাম পাল্টানোর দাবী তোলে, তখন কি তাদের নবীর কথা মনে পড়েনা?

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ইসলাম রফিকুল বলেছেন: ভালো লাগলো । লেখাটা নুতন চিন্তার খোরাক জোগায় ।

৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

নির্ণয় বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সাইফ শামস বলেছেন: দারুন যুক্তি।

৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩১

নির্ণয় বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু যুক্তি বোধহয় সবার জন্য সস্তিকর নয়। আগেও কত মানুষের কত যুক্তি মাঠে মারা গিয়েছে!

৩| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

আপনার কথায় অকাট্য যুক্তি আছে।

তবে আমাদের যে সীমিত ইতিহাস পড়তে দেওয়া হয়, তাতে ইসলাম আসবার পূর্বে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ার কারনে উনার একটি নাম ছিল 'আহমদ'।

তবে তাঁর জন্মকালীন নামটি কেউ জানলেও ইসলাম রক্ষার কারনে আমাদের জানানো হয় না।

৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

নির্ণয় বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু জন্মকালীন নামটা কী? আর তার সাথে ইসলাম রক্ষার কী যোগ? আলো দেন।

আল্লাহর নামের মত নবীরও নামের (বিশেষণের) বিশাল তালিকা আছে।

প্রশ্ন থেকেই যায় যে জাহেলি যুগের ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি নিজে নিজের নাম পাল্টিয়ে ছিলেন কী না। বিশ্বাসী হিসেবে তার আহমদ নামটাও জাহেলি যুগের ভাষা থেকেই নেয়া। আর ইসলাম প্রচারের পর সে নাম বাতিলও হয়ে যায়নি।

৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:১৭

বুদ্ধু বলেছেন: মহানবী স: যখন কিশোর বয়সে তাঁর চাচা আবু তালিবের সঙ্গে সিরিয়ায় যাচ্ছিলেন তখনো তাঁর নাম ছিল মুহম্মদ। গীর্জার পাদরী বাহিরাকে আবু তালিব ঐ নামটিই বলেছিলেন। তাছাড়া কোরাআনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন মুহম্মদ নাম আল্লাহ নিজেই রেখেছেন, আল্লাহ এও বলেছেন এই নামটি পূর্বে কখনো কেউ রাখেনি। অতএব সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে মুহম্মদ নামটি নবী স: এর আদী নাম। আর আহম্মদ নামটি আল্লাহ অনেক পরে রেখেছেন। মুহম্মদ মানে প্রশংসনীয়, আর আহম্মদ মানে চরম প্রশংসাকারী।
একটা মানুষ যখন নামাজে দাড়ায় তখন আলিফ অক্ষরের মত দেখা যায়। এইভাবে হাত বাঁধা, রুকু করা সিজদায় যাওয়া পর্যন্ত যে অবয়ব তৈরি হয়, তাতে আরবী অক্ষরে 'আহম্মদ' শব্দটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আলিফ, হা, মিম+মিম, দাল, =আহম্মদ। আর নামাজে যা পড়া হয় তা সবই আল্লাহর প্রশংসা। অতএব এখানে আহম্মদের অর্থটি পরিস্কার হয়ে ওঠে।

৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:১২

নির্ণয় বলেছেন: মুহাম্মদ নামটা যদি আল্লাহ নিজেই রেখে থাকেন তাহলে ইসলাম আসার আগে নবীর চাচা গীর্জার পাদরিকে ঐ নাম বললেন কী করে! শিশুটির নাম যে মুহাম্মদ রাখতে হবে সে তথ্য কার উপর নাজিল হয়েছিলো?

আর আল্লাহ যে একথা বলেছেন যে মুহাম্মদ নাম আগে কেউ রাখেনি একথাটা কী সত্যি? সূরা আয়াত দিলে একটু পড়ে দেখতাম।

মূল কথটা হলো সমাজে প্রচলিত ধর্মের চেয়ে ভিন্ন ধর্ম চিন্তা করার দায়ে তাকে তার নাম পাল্টাতে হয়নি কেউ বলেওনি করতে। নাম আল্লাহই রাখুক আর মানুষই রাখুক নতুন ধর্ম চিন্তা প্রচারের পর তিনি তার আগের নাম পাল্টাননি। তার নাম মুহাম্মদই হোক আর আহমদই হোক তা ইসলাম বিমুখ জাহেলি যুগের ভাষারই শব্দ ছিলো। তা যদি না হত তাহলে আহমদ মানে যে চরম প্রশংসাকারী তা কারোর বোধগম্য হওয়ার কথা না।

আদি নামের ব্যাপারে আর একটা কথা। খোদ আল্লাহ নামটাও জাহেলি যুগের ভাষার শব্দ। নবীর বাবার নাম আব্দুল্লাহ (আব্দ + আল্লাহ) মানে আল্লাহর দাস। নবী ইসলাম প্রচারের আগে থেকেই ই সমাজে আল্লাহ নামের গড উপস্থিত ছিলো।

সমাজে প্রচলিত ধর্ম ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে নতুন ধর্ম ব্যাখ্যা দেয়ার পর আল্লাহর নামও পাল্টাবার দরকার পড়েনি।

৩১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

নির্ণয় বলেছেন: আর আহমদের সাথে নামাযের যে মিলের কথা বললেন তা ইন্টারেস্টিং। নামায যেহেতু আল্লাহর প্রশংসা পড়া হয় সেহেতু সেটা আল্লাহু আকারেরই হওয়ার কথা, তাই না?

মুসলমানদের নামাজ পড়াটা প্রায় পুরোটাই ইহুদিদের মত। নবীর প্রস্তাব করা নতুন কিছু না। সেক্ষেত্রে হযরত মুসাও আবয়বে ফুটে উঠতে পারতেন।

হযরত ঈসার পরামর্শে প্রশংসার বেলা ৫০ থেকে ৫ এ নামিয়ে আনার পরও "চরম প্রশংসাকারী" কে নামাযের সময়কার অবয়ববের সাথে মিলিয়ে ফেলাটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে।

আরবী ক্যালিগ্রাফি খুবই সুন্দর। বর্ণগুলোকে শিল্পী তার মিন্সিয়ানা দিয়ে নান রকম আকার দিতেই পারেন।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ইসলাম আর নবী নিয়ে আপনার চিন্তার শেষ নেই। একটা কথা পরিস্কার যে, আপনি মুসলিম নন, তাতেও আমার কোন সমস্যা নেই। তবে মা-কালীকে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে মনঃপুত হতো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১১

নির্ণয় বলেছেন: হাহাহা!!! ইসলামের কাছা খুলে যেতে দেখে এখন হিন্দুদের কাছা খুলে যাওয়ার মাঝে স্বান্তনা পেতে চান!! পোস্টে নিয়ে কোন কথা নেই?

ইসলাম নিয়ে চিন্তা চলে আসে রে ভাই। আপনার মত অনেক ধর্মগাধা আমার মত অনেকেকে "মুসলমান নাম" পাল্টিয়ে "হিন্দু নাম" রাখার উপদেশ দিয়ে জিহাদী জজবা অনুভব করে। সেই জজবায় জর্জরিত হয়ে ইসলাম আর নবীর ব্যাপারে লেখা লাগে।

এই মুহূর্তে আপনার মনঃপুত হয়, কালীরে নিয়ে তেমন রগরগে লেখা দেয়ার মত মালমশলা নাই। বর্তমানে হিন্দুদের গোমূত্র পানের সাথে ইসলামের নবীর মদিনাতে উষ্ট্রমূত্র পানের পরামর্শ সংক্রান্ত চিন্তার ভ্রাতৃত্ব নিয়ে রেফারেন্স খোঁজাখুজি করছি।

আর আপনি এক কাজ করেন না কেন, কালী কে প্রথমে শিবের মেয়ে পরে আবার বউ এর স্ট্যাটাস দেয়া হিন্দু ধর্মের উপরে একটা পোস্ট দেন। বেশ ক' বছর আগে প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে পড়েছিলাম। লিংকটা খুঁজে বের করার ক্লেশ ভোগ করে কালীরে একহাত দেখে নিন। লিখে লিংক দিয়েন। পড়ে দী জাহানের অশেষ ছোয়াব হাছেল করার নিয়ত রাখি। আল্লাহ/ভগবান/গড/ভুডু/ইত্যাদি হাফেজ।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬

নির্ণয় বলেছেন:
আরো একজন জ্ঞানীর খোঁজ পেলাম - একজন নাস্তিকের নাম কোন ধর্ম অনুযায়ী হতে পারেনা ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.