নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাজ ভাঙায় ডুবেছে ব্যাংক - আসলেই কি তাই?

০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৯

আজকে একটা নিউজ দেখলাম প্রথম আলোতে, যা আমার কাছে বেশ হিসাবে উলটপালট লেগেছে।



মূল ব্যাখ্যায় যাবার আগে একটা প্রচলিত গল্প বলি।

এক বনে নিয়ম হচ্ছে বাঘ চাইলেই যে কাউকে আক্রমণ করতে পারবে না। একমাত্র প্রচন্ড খিধা এবং কেউ যদি চরম অন্যায় করে ফেলে তাহলেই আক্রমণ করা যাবে। বনের মাঝে একটা নদী ছিলো, জোয়ারের সময় এই নদীর একাংশের পানি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। কোন একদিন জোয়ারের সময় এই নদীতে বাঘে পানি পান করছিলো। এমন সময় বাঘের পূর্ব দিকে একটি হরিণ এসে পানি পান শুরু করলো। বাঘ বললো, তুই আমার পানি ঘোলা করছিস, তাই তোকে খাবো। হরিণ উত্তর দিলো, পানিতো আপনার দিক থেকে আমার দিকে আসছে; আমি কিভাবে আপনার পানি ঘোলা করলাম?

বাঘ বললো, আচ্ছা বেয়াদপতো তুই; খুব সম্ভবত তুই তোর বাপের কাছ থেকে এমন বেয়াদবী শিখেছিস। তোর বাপ কে তো পাচ্ছি না; তাই আয়, তোর ঘাড় মটকাই।

উপরে নিউজের লিংকটা দিয়েছিলাম, যারা পড়েছেন, তারা আবার চার্ট টি দেখুন। তারপর নিচের লেখা পড়ুন।

সাধারণ ভাবে হিসাবটা হবার কথা ছিলো অন্য ভাবে।

১। প্রতি খাতে মোট কত টাকা খেলাপী ঋণ
২। মোট খেলাপী ঋণের মধ্যে প্রতি খাতের অংশ কত ইত্যাদি

কিন্তু প্রথম আলো এগুলি বাদ দিয়ে সরাসরি খাত হিসাবে করে বলে দিয়েছে যে জাহাজ শিল্পই নাকি ব্যাংককে ডুবায় দিচ্ছে!

যদি মোট খেলাপী ঋণের হিসাব করেন, তাহলে তার মধ্যে মাত্র ৪.৬৭% হচ্ছে জাহাজ শিল্প থেকে খেলাপী হয়েছে; যা সব চাইতে কম। কাছাকাছি আছে কৃষি (৬.৯৪%), ক্ষুদ্র ও কুটির (৮.৩৩%) ইত্যাদি। অপর দিকে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা একলাই মোট টাকার ৩৯.৫৭% নাই করে দিয়েছে!

মোট টাকার হিসাবও যদি করেন, দেখবেন যে জাহাজ শিল্পে খেলাপী ঋণের পরিমান সবচাইতে কম (৩,১২০ কোটি টাকা); অপর দিকে ব্যবসা বানিজ্য খাতে খেলাপী ঋণের পরিমান সবচাইতে বেশী (২,২১,৩১০ কোটি টাকা)। কিন্তু তার পরও নাকি জাহাজের জন্য ব্যাংক ডুবছে!

হঠাৎ একটা কৌতুক মনে পড়ে গেলো। ব্যাংকে এক লোক একটি টাকা জমা দেওয়ার রশিদ লিখছেন, টাকার পরিমান ৫লক্ষ। তো তিনি কথায় লিখেছেন পাঁচ লক্ষ টাকা মাত্র। পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন একজন, তিনি ৫,০০০ টাকা জমা দিবেন; রশিদ কিভাবে লিখতে হয় জানতেন না। তো তিনি আগের ভদ্রলোকের লেখাটা দেখে নিজের রশিদে লিখলেন, পাাঁচ হাজার টাকা কিছুই না

মোট দেওয়া ঋণের ৩৯.৫৭ অংশ যে খাতে নাই হয়ে গেলো, সেটা কারও চোখে পড়লো না; চোখে পড়লো মাত্র ৪.৬৭% নাই হয়ে যাওয়ার বিষয়টা! আজব না?

পত্রিকাটিতে দেখানো হয়েছে প্রতি খাতের থেকে খেলাপী ঋণের হার কত। সেই হিসাবে জাহাজ শিল্প সবার উপরে। এটা নিয়ে ব্যাংক গুলি একটি ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকি এটা সংবাদের শিরোনামও হতে পারে। কিন্তু যেখানে এক খাত থেকে অন্য খাতে প্রায় ১০গুন ক্ষতি হচ্ছে, সবচাইতে ছোট ক্ষতির জন্যই ব্যাংক ডুবছে (জাহাজ ভাঙায় ডুবেছে ব্যাংক) শিরোনাম করাটা মেনে নেওয়া কঠিন!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথায় ?

২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য,




যে খাতের কথাই বলুন না কেন, ব্যাংক হলো লুটপাটের আখড়া।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যীশু খ্রিষ্ট বললেন - তোমাদের মধ্যে এই দরিদ্র মহিলাটি, যে মাত্র একটি পয়সা দান করলো। সে-ই সবচেয়ে বেশি দান করলো।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা এক ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা। ভিতরে ঠিক তথ্য দিয়ে শিরোনাম দিয়েছে পক্ষপাতিত্বমুলক।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম আলো নিজেদের দৈন্যতা এভাবে প্রকাশ না করলেও পারতো!
অবশ্য শাস্ত্র বলে ন্যাংটা আবার লাজ ;)
ছবির বাস্তবতা আর শিরোনামে কি অবস্থা!!!!!!!!

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি সঠিক জানি না। তবে বহু আগে থেকেই শুনি যে প্রথম আলো নাকি জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বিরোধী। এবং এর পিছনে অনেক স্বার্থের কথাও অনেকে বলেন।

যাই হোক, সেটা আমি জানি না; তাই নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। তবে তাদের এই হিসাব-কিতাব দেখে হাসবো না কাঁদবো সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি নাই!

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগলো।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: এ খাতটি ব্যাংকের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে এটাই সত্য।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে আর কি। বড় ফাক ফাক নয় ওগুলো বলা মানা। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ব্যস্ত রাখা। অথবা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: পত্রিকার ইনহাউজ লোকেরা জানেন, কোনো আলোই আলো নয়। সেখানে পত্রিকা মালিকের ব্যবসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সকল নিউজই বিভিন্ন আলোয় আলোকিত হয়।

প্রথম আলো একবার ডাক্তার ও হাসপাতালের কেচ্ছা নিয়ে নিউজ করায় ডাক্তারদের সংগঠন এককেয়েফ এর ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখা বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর ওই ধরনের নিউজ দেখা যায়নি...

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তবে আমাদের সাংবাদিকদের প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার।
চাদা বাজি কম করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.