নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ এমন মারকুটে হয়ে থাকে কেন?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

কয়েকদিন আগে একটা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আইডিয়াবাজ একজনের সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলছিলাম বলতে ব্রেইনস্ট্রোমিং সেশন করছিলাম। সেই আইডিয়ার ফিল্ড চেকিং এর জন্য দেশী কয়েকটা চাকরী রিলেটেড গ্রুপে জয়েন করেছি।



Photo by the blowup on Unsplash

গ্রুপে জয়েনের পর থেকে বিভিন্ন পোষ্ট এবং পোষ্টের কমেন্ট গুলি খুব লক্ষ্য করে পড়ছি।

একটা টাইপের পোষ্ট খুব চোখে পড়ছে, এক একজন এসএমএস বা ইমেইলের স্ক্রীণশট দিয়ে জিজ্ঞাসা করছে যে এই পোষ্টে মূলত কাজ কি কেউ জানেন কি না! সাথে সাথে থাকছে এই কোম্পানি সম্পর্কে জানেন কি না; এরা কি আসলেই লোক নিবে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি।

গ্রুপের এডমিনেরা মাঝে মধ্যেই মানুষের ভালোর উদ্দেশ্যে কিছু টিপস টাইপের পোষ্ট দেন; কিন্তু সেগুলির থেকে কেউ কিছু নেয় বলে মনে হলো না। ৯০% কমেন্টই থাকে আজেবাজে কথা, আজেবাজে উক্তি।

কিছু উপলব্ধীঃ

১. বাংলাদেশের ৯৯.৯৯% শিক্ষিত বেকারেরই ধারণা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরী পেতে গেলে মামা-চাচা লাগে। না হলে জব হবে না।
২. উচ্চ শিক্ষিতদের বড় একটা অংশকে যদি কোন চাকরী দেওয়াও হয়, তারা করবে না; কারণ তারা বসে আছে বিসিএস এর পড়া লেখা নিয়ে। কিন্তু এনারা ফেসবুকে যতটুকু সময় থাকেন, তার পুরোটা ব্যায় করেন দেশের চাকরীর বাজার খারাপ এই বিষয়ে কথা বলে।
৩. কেউ কোন উপকারী পোষ্ট দিলে প্রথম কমেন্ট আসে যে লিখেছে তার যোগ্যতা নিয়ে; আর যদি যোগ্য লোকের লেখা শেয়ার করা হয়, তাহলে তাকে বিভিন্ন ভাষায় (মূলত ইংরেজী, হিন্দি এবং বাংলায়) গালাগালি দিয়ে কমেন্ট।
৪. বেশীর ভাগই নিজে যেটা বোঝে বা মানে সেটাতেই অটুট থাকতে চায়; এর বাইরে কোন কিছু শুনতেই চায় না।
৫. বেশীর ভাগেরই ধারণা তারা মহা যোগ্য লোক; শুধু মামা-চাচার জন্য চাকরী হচ্ছে না। তবে যদি তাদের কি যোগ্যতা আছে প্রশ্ন করা হয়, বা যোগ্যতার কি প্রমান আছে তা প্রশ্ন করা হয়, তাহলে যাষ্ট গালাগালি ছাড়া আর কোন প্রমান তাদের কাছে নাই।
৬. ইন্টার্নশিপের মত উপকারী জিনিষ নিয়ে যেই পরিমানে চুলকানী আছে দেশে, এই চুলকানী দুর করতে গেলে রাস্তার মোড়ে বসা টাইগার মলমের ব্যবসায়ীরাও মলম সরবরাহ করে পারবে না!
৭. কোন চাকরীতে কবে এপ্লাই করছে; কেন এপ্লাই করছে; কি যোগ্যতার বলে এপ্লাই করছে..... এর কোন ট্রাক রেডর্কই বেশীরভাগ লোক রাখে না।
৮. এপ্লাই বাটনটা মাগনা হওয়াতে মাত্র ২/৩ মাসের মধ্যে ৭০০-৮০০ পোষ্টে এপ্লাই করে ফেলে!
৯. মোটামুটি সবাই মার্কেটিং এর জব চরম অপছন্দ করে।

মারকুটে স্বভাবঃ
বিভিন্ন লেখা গুলির মধ্যে সেদিন দেখলাম ডন সামদানি নামের একজনর একটা ভিডিও পোষ্ট করেছেন। এই পোষ্টের নিচে নানান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। ডন ভাই সম্পর্কে টুকটাক জানি কারণ তাকে কিছুদিন কাছে থেকে দেখেছি। উনার ব্যবসাই হচ্ছে মানুষকে ট্রেইন আপ করা। উনার ভিডিওতে উনি সিম্পল একটা কথা বলেছেন যে অধিকাংশেরই সিভি ঠিক থাকে না।

এই একটা পোষ্টের নিচে যে সব মন্তব্য তার কিছু সামারী দিলামঃ
১. এই লোক এত কথা বলে, সে কত গুলি পোষ্টে চাকরী করেছে?
২. এই লোক এত কথা বলে, কিন্তু তার হাইট (উচ্চতা) এত কম কেন?
৩. এই লোকের কি আসলেই কোন যোগ্যতা আছে?
৪. এই লোক আমাদের স্লেভ বানায় রাখতে চায়। সে চায় না কেউ চাকরী ছেড়ে ব্যবসা করুক! শালা ব্রিটিশ!

আমার চরম মেজাজ খরাপ হয়েছে ৪র্থ স্যাম্পলে উল্ল্যেখ করা মন্তব্য; আরে বাবা, তুই যদি ব্যবসাই করতে চাস, তাহলে এই গ্রুপে বসে কি করিস?

আর একটা ট্রেন্ড হচ্ছে কেউ একটা সিভির সুন্দর ডিজাইন পোষ্ট করলেই সবাই বলে ওয়ার্ড কপি পাঠান; এবং ইমেইল এড্রেস দেয়। আমি নাজমুল এবং সাকিব নামের দুইজনকে ফলো করছি কয়েক সপ্তাহ ধরে। এ পর্যন্ত একজন প্রায় ১০টি সিভির ডিজাইন চেয়েছে; আর সাকিব ভাই নাজমুল ভাইয়ের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন দুইবারেরও বেশী!

কেনরে ভাই, এত এত ডিজিইন দিয়ে কি করবেন? একটায় স্থীর হন না। আর মানুষ একটা করেছে সেটাই কেন চাইতে হবে? ইন্টারনেটে কি কম আছে?

---------------------
এই পোষ্টটি মূলত লিখেছিলাম ঐ গ্রুপের জন্যই। কিন্তু সাহস করে পোষ্ট করতে পারি নাই। ফেসবুকে আমার ফেক আইডি বা মাল্টি নিক নাই। আগে একবার এমন একটা পোষ্ট করবার পর সবাই মিলে এত এত রিপোর্ট মারছিলো, ফেসবুকও দ্বিধাদন্দে পড়ে গেছিলো আমারে ব্লক করবে কি করবে না এ নিয়ে!

আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ কি আসলেই শিক্ষিত? আসলেই কি তারা শিক্ষার অর্থটি বুঝে? আমার কাছে কেনে যেন মনে হয় শিক্ষার অর্থটা বুঝলে তারা এমন মারকুটে হয়ে থাকতো না।

হয়ত আমি মুদ্রার একপিঠই দেখছি; হয়ত নিজে কখনও বেকার বসে থাকতে হয়নি দেখে এমন সব লেখা লিখছি। হয়ত বেকার বসে থাকলে আমিও তাদের মতই হতাশায় পড়ে এমন সব বাজে মন্তব্য লিখতাম।

আমি লাজুক স্বভাবের; ইউটিউবার বা পডকাষ্টারদের মত না; তাই কাউকে কখনও বলতে পারি নাই যে আমার নিজের তেমন কোন যোগ্যতা না থাকা সত্বেও গত ১৯টি ইন্টারভিউয়ের ১৮টিতে কি করে জব অফার পেয়েছি; কি করে আমার নিজের হাতে ট্রেনিং দেওয়া ৭জনের জনই কোন না কোন পদ পেয়েছে, ট্রেনিং এর পর প্রথম ইন্টারভিউতেই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি যেই খাতে ব্যবসা করতে চাইবেন উক্ত খাতে আপনাকে কারো না কারো অধীনে চাকরি করতে হবে। ফটাফট কথা বলা, পোস্ট দেওয়া, মন্তব্য করা আর ইন্টারভিউতে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে বলা ও লিখতে পারা আকাশ পাতাল ব্যবধান।

দক্ষলোক নিজেকে কাজে প্রমাণ করেন, কথায় না। ফেসবুক ও ইউটিউবে হাফ বাংলা হাফ ইংলিশ নোংরা কদর্য ও অশালীন মন্তব্য পড়ে তাদের সম্পর্কে বলার ভাষা নেই।

হাফ বাংলা হাফ ইংলিশ যারা কথা বলেন ও লিখেন তাদের অসুস্থতা চিকিৎসার বাহিরে চলে গিয়েছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কথা সত্য

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের নিয়ে কাজ করা কঠিন; তবে, অসাধ্য নয়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বড় পরিবর্তন লাগবে। সবার আগে উপর লেভেলের লোকজনের এটা বুঝতে হবে যে বিশাল জনসংখ্যা কোন সমস্যা নয়; এটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না সেটাই বড় সমস্যা। আমাদের পাঠ্য বইয়ে পড়ানো হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনসংখ্যা! এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা

সরকারকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে.

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪০

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: হয়ত আমি মুদ্রার একপিঠই দেখছি।
হ্যাঁ। আপনি তাই দেখছেন। আপনি পোস্টে এত বিষয় এনেছেন যে এদের প্রতিটা নিয়েই আলাদা করে বিশাল পরিসরে আলোচনা করা যায়। এই সামান্য ব্লগের সামান্য মন্তব্যের ঘরে এসব নিয়ে আলোচনা করলে অনেক ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থাকবে। দুঃখজনক হলেও সত্য ঠাকুর মাহমুদ ভাই প্রথম মন্তব্যে এই কাজটি করেছেন।

লেখক বলেছেন:আমার নিজের তেমন কোন যোগ্যতা না থাকা সত্বেও গত ১৯টি ইন্টারভিউয়ের ১৮টিতে কি করে জব অফার পেয়েছি; কি করে আমার নিজের হাতে ট্রেনিং দেওয়া ৭জনের জনই কোন না কোন পদ পেয়েছে, ট্রেনিং এর পর প্রথম ইন্টারভিউতেই।
প্রথম কথা, আপনি যোগ্যতা বলতে কী বোঝাচ্ছেন ? এদেশে সস্তায় শ্রম দেয়াকে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হিসাবে দেখা হয়। একজন হয়তো কোন কাজ একটা নির্দিষ্ট মূ্ল্য না হলে করবেন না, তাই তিনি কাজটি পেলেন না, অন্যদিকে আর একজন ঐ মূল্যের চেয়ে কম মূ্ল্যে কাজটি করতে রাজি হয়ে কাজটি পেলেন। এদেশে কাজ পাওয়ার চেয়ে, কাজ টেকানো শক্ত। আমি মনে করি, আপনি একটি অত্যন্ত জটিল বিষয় অনেক বেশি সরল করে আপনার পোস্টে উপস্থাপন করে অহেতুক জটিলতা তৈরি করেছেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:০৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, অবশ্যই টপিক একটা একটা করে প্রচুর আলোচনা করা যায়; তবে সমস্যা হচ্ছে আমরা আলোচনা করেও যাদের মানার দরকার, তারা মানবে না।

যোগ্যতা বলতে যোগ্যতা বুঝিয়েছি। এখন আপনি যদি কম বেতনে কাজ করাটা যোগ্যতা বলে মনে করেন; সেটাও হয়ত যোগ্যতার মধ্যেই পড়ে। আলহামদুলিল্লাহ; আমার কখনও এন্ট্রি লেভেলেও বাংলাদেশের চাকরীর বাজারের সাধারণ স্যালারীর ৪/৫ গুন বেশী টাকা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানের জব অফার গ্রহনও করি নাই।

আপনি খুব সহজে সহজ বিষয়কে জটিল করার চেষ্টা করে বেশ অগোছালো কথা বলে ফেলেছেন। এটা বিষয় না। বুঝতে খুব একটা কষ্ট হয় না যে এই পোষ্টে যাদের কথা বলা হয়েছে; তাদের একজন হওয়া আপনার জন্য খুব একটা অসম্ভব কিছু নয়।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:১০

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:যোগ্যতা বলতে যোগ্যতা বুঝিয়েছি।
মাটি কাটতে মূলত পেশী শক্তির দরকার হয় আর প্রোগ্রামিং করতে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হয়। একটা সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর কাম্য ছিল।

লেখক বলেছেন:বুঝতে খুব একটা কষ্ট হয় না যে এই পোষ্টে যাদের কথা বলা হয়েছে; তাদের একজন হওয়া আপনার জন্য খুব একটা অসম্ভব কিছু নয়।
হা হা হা! দেশের বেকারত্ব পুরোপুরি নিরসন করতে না পারলেও, আমার কল্যানে কিছু মানুষ, কিছু পরিবার মাস শেষে সুখের মুখ দেখে এটুকু জেনে রাখুন। যাই হোক ভেবেছিলাম ভালো আলোচনা হবে। নিজের মারকুটে ভাব দূর না করে, অন্যের মারকুটে ভাব দূর করতে চাওয়া অবিবেচকের কাজ। ভালো থাকুন, নিয়মিত লিখুন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জের মারকুটে ভাব দূর না করে, অন্যের মারকুটে ভাব দূর করতে চাওয়া অবিবেচকের কাজ

একদম ঠিক; কথাটা আমার আপনার দুইজনের ক্ষেত্রেই যায়।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে ঠিক আমাদের ধৈর্য্য কম। লোভ বেশী

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নিমো'র উত্তরে আপনি মারকুটে জবাব দিয়েছেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম; কেউ মারকুটে হয়ে তেড়ে আসলে মাঝে মধ্যে উপায় থাকে না.....

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: একদম ঠিক; কথাটা আমার আপনার দুইজনের ক্ষেত্রেই যায়।
জ্বী না ভাইজান। এখন কেন যায় না, এটা নিয়ে বিস্তর আলাপ ফাঁদার মত সময় আমার নেই। আবারও বলি, ভালো থাকুন, নিয়মিত লিখুন।

ভাই নূর আলম হিরণ, কেন যেচে অন্যর ঝামেলা নিজের কাঁধে নিতে চাচ্ছেন বলুনতো। তার চেয়ে ভাবীর সাথে সুখী মুহূর্ত কাটান।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ; উক্ত কথাটি শুধু আমার ক্ষেত্রে যায়। :)

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি যে অভযোগ গুলি করলেন তা সত্য এবং সেই সাথে এটাও সত্য যে চাকুরি দাতাদের আচরনও প্রশ্নবিদ্ধ।

চাকুরীদাতার আচরন থাকে সে কাউ কে চাকুরী দিচ্ছে না সে চাকর নিচ্ছে।

ইনটর্নশীপ বিষয়টি আমাদের দেশের অধিকাংশ চাকুরিদাতারা বোঝেই না।

মামা চাচার কথা বললেন না এটা কে আপনি একজন চাকুরী না পাওয়া ব্যাক্তির বাহানা হিসেবে ধরলেন, আসলে কথা কিন্তু ৮০ ভাগ সত্য বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে মামা চাচা ছাড়া চাকুরী পাওয়া অসম্ভব।

একজন নতুন এক্স ছাত্র ৩ থেকে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা কোথা থেকে পাবে, চাকুরির নটিশে ৩-৪ বছরের অভিজ্ঞ লোক চায়, মামা চাচা না হলে এই অভিজ্ঞতা সে উৎপাদন করবে কি করে।

কোন চাকুরিদাতা ফ্রেশ স্টুডেন্ট নিতে চায় না। ইন্টার্নী করা আছে এটা তারা যোগ্যতাই মনে করে না। এখন আপনি বলেন একজন ছাত্র ইন্টার্নী করে কি এমন লাভ পাবে যেখানে চাকুরিদাতা বোঝেই না এর গুরুত্ব।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলাদেশে চাকরীদাতাদের নানান সমস্যা আছে। এর জন্য কিন্তু ঘুরেফিরে আবার চাকরীপ্রার্থীরাও কিছুটা দায়ী।

ফ্রেসদের চাকরী না দিতে চাওয়ার কারণ কয়েকটি আছে। তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে এদের স্ট্যাবিলিটি খুব কম হয়। আজকে চাকরী দিলে কালকে অন্য একটা পেলে বা মাস্টার্সে ভর্তি হলে বা বিসিএস এর ভুত মাথায় চাপলে বিনা নোটিশে চাকরী ছেড়ে চলে যায়। একটা কাঁচা ছেলেকে একটা কম্পানি গড়ে তুলল, আর সে 'বেটার অপারচুনুয়েটি' পেয়ে কম্পানিকে ছেড়ে চলে গেলো, এটা কম্পানির জন্য কোন ভাবেই সুখকর নয়। কিন্তু কয়েক বছরের অভিজ্ঞরা সাধারণত এমন হুট করে যায় না; আবার চলে গেলোও তার পিছনে আসলে কম্পানির তেমন ইনভেষ্টমেন্ট নাই। সো সমস্যা হয় না।

মামা-চাচার বিষয়টা কেউ আমাকে পিটালেও আমি ১০-১৫ থেকে বেড়ে ২০% এর বাইরে যেতে নারাজ। প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা ব্যবসা শুরু করেন লাভের জন্য। আত্মীয় স্বজনকে চাকরী দেবার জন্য নয়। আমার একটা মাাম আছেন খুলনায় ব্যাংকে চাকরী করেন। এ ছাড়া আমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে আর কেউ নাই যে কোন একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। আমি কিভাবে কোন রকম রেফরেন্স ছাড়াই পেয়ে গেলাম সেটা ঐ ৮০% এর কথা চিন্তা করলে অবাক লাগে।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য,




ইনফর্মেশান দেয়া আর কথা বলতে পারা মানেই জ্ঞান নয় । যে লোকটা টকাটক নানা ইনফর্মেশান দিতে পারে তাকেই জ্ঞানী মনে করবেন না। যার উপলব্দি নেই, দর্শন নেই, সে বিদ্যের বোঝা বয় বলদের মতো ।

এবং একারনেই হয়তো আমাদের শিক্ষিত (?) যুব সমাজ সঠিক উপলব্দি না থাকার অসহিষ্ণুতা থেকে এমন মারকুটে হয়ে থাকেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: উপলব্ধী একটা বড় বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.