নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
সময়টা ২০০৮ থেকে ২০০৯ এর দিকের। বিশ্ব বিদ্যালয়ে ক্লাস করি, ঘুরি ফিরি, টুকটাক ইনকাম করি; আর মগ জমাই!
ভার্সিটিতে আমার একটা ওপেন সিক্রেট বিজনেস ছিলো। এসাইনমেন্ট লেখা, ফরম্যাট করা এবং প্রিন্ট করার বিজনেস। বিনিময়ে খরচের টাকা + মগ!
মেসে যারা একদিন হলেও থেকেছেন, তারা জানেন যে মেসে নিজের পারসোনাল জিনিষ সামলায় রাখা কষ্টের; সেখানে আমার ছিলো প্রায় ৩০০ মগ! নানান ডিজাইনের, নানার ধরনের, নানান বর্ণের মগ। এগুলির কোনটাই আমি ব্যবহার করতাম না। একই ডিজাইন ও কালারের দুইটা মগ রাখতাম না। একই ডিজাইন কিন্তু ভিন্ন কালার হলে সেট বানাতাম।
কোন পার্টিকুলার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করি নাই; ছোট বেলায় আব্বা একটা মিলিটারী মগ ছিলো, হলদেটে কালারের। ইয়া বড়। ওটায় যেটুকু পানি ধরতো, তা আমার একার পক্ষে পান করা সম্ভব ছিলো না। মগের তলায় একটা গোল কালো দাগ ছিলো। এই টাইপের মগ গুলায় কেন যেন এমন একটা কালো দাগ থাকে।
সেখান থেকে মগের প্রতি আগ্রহ। বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তির পর পাতা মেয়ের (আমার দেওয়া নাম) সাথে পরিচয় হওয়ার পর এবং খুব ঘনিষ্ঠতা হবার পর তাকে দেবার জন্য একটা মগ কিনেছিলাম। সারা রাত অনেক জল্পনা কল্পনার পর সঠিক প্লানিং করে সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হলো, বাহ বেশ সুন্দরতো মগটা; রেখে দেই। সেই শুরু।
প্রতি সেমিষ্টারেই প্রায় ৩০-৩৫টা করে নতুন মগ আসতো। এর থেকে ডুপ্লি বাছাই করে মেস মেটদের দিয়ে দিতাম। কারও কারও গার্লফ্রেন্ডের হাতে থাকতো আমার দেওয়া মগ! আমার মগ, অন্যের গার্লফ্রেন্ডের হাতের উষ্মতায়; আহ, ভাবতেই মনটা ভালো হয়ে যায়! এভাবে আরও প্রায় ২০০ মগ বিভিন্ন জনকে দিয়ে দিয়েছ।
একটা সময় পরে এসে আমার অন্য সকল শখের মত এটাও উবে গেলো। গিফট করা শুরু করলাম। জীবনে দ্বিতীয়বারের মত নামের সামনে 'মগা' শব্দটা লেগে গেলো। কারও কোন অনুষ্ঠান হলে আমি ২/৪/৫টা মগ প্যাকেট করে নিয়ে হাজির হতাম। কেউ কেউ মজা করে বলতো, লেট মি গেস তুই আমাকে কি দিচ্ছিস; মগ; রাইট?
বন্ধু-বান্ধবের কটাক্ষ, আত্মীয় স্বজনের বাঁকা চোখ, গার্লফ্রেন্ডের কান্না......... কোন কিছুই আমাকে দমাতে পারে নি; মাত্র ৪/৫ মাসের মধ্যে সব মগ গিফট করা হয়ে গেলো। শেষে এমন অবস্থা, আমার নিজের চাফি খাওয়ার জন্য কোন মগ নাই।
দীর্ঘ ৮/১০ বছর পার হয়ে যাবার পর, ২০১৭তে আবার মগের প্রেমে পড়লাম, সৌদী আরবে এসে। প্লেইন ডিজাইন, কালারটা ধূসর। দাম, বাংলাদেশী টাকায় ১০০ টাকার একটু বেশী। নিয়ে নিলাম।
ঐ ধরনের দোকানে প্রায়সই যাওয়া লাগে; দাড়িয়ে মগ দেখি। মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা করতে মন চায়। কিন্তু বাস্তবতা আর সায় দেয় না। তাই আমি বর্তমানে আমার ১২টা মগ নিয়েই সুখে আছি!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাহ্! দেরি করে ফেলেছি দেখি!
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: অদ্ভুত নেশা মশাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হ ভাই!
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
ইসিয়াক বলেছেন: চাফি = চা + কফি
শীত এলে আমারও চাফি ছাড়া চলেই না
আমার মগ জমানোর কোন শখ না থাকলেও মার্কেটে গেলে সুন্দর সুন্দর মগ দেখতে ভালো লাগে।
শুভ সকাল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভেবেছিলাম কেউ হয়ত শব্দটি খেয়াল করবে না। আপনি মনোযোগী পাঠক।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ দারুন নেশা। ছোটবেলা ডাকটিকিট আর নায়ক নায়িকা ফুলের কার্ড জমাইতাম একসময় ব্যস্ততার কারণে সব ভেস্তে গেলো। আর আব্বার মিলিটারী মগে আমরা চা ঢেলে খেতাম।
সুন্দর পোস্ট +
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ৩২ দেশের ২০০০+ ডাকটিকিট সহ বইটা হারাবার পর আর ওদিকে আগাইনি।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: ৩০০ মগ !! খাইছে আমারে ।
মগের প্রতি আমার নিজের আগ্রহ বেশ । সুন্দর মগ দেখলেই কিনতে মনে কয় ! কিন্তু তাই বলে ৩০০!!
বর্তমানে আমার ঘরে ১৩টার মত মগ আছে । কফি খাওয়ার নেশা থেকে মগের নেশা হইছে । একেক দিন একেক মগে কফি খাই ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বেশ! আমিও তেমনটা করি; তবে সব সময় মন ভরে না।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ২০০৯ সনে আমি সামু ব্লগে মগ নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম- মগের মুল্লুক!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লিংক দেন, পড়ে দেখি।
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কার যে কখন কিসের শক জেগে উঠা বলা মুসকিল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেটাই!
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: পত্রিকাতে কাজ করার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়ো। তখন বেশির ভাগ অনুষ্ঠানে অন্যান্য ইপহাতেত সাথে মগ দিতো। এইভাবে অনেক মগ জমেছিলো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার গুলিও উপহার পাওয়া।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১০
দি রিফর্মার বলেছেন: গড়ে উঠুক মগের সাম্রাজ্য। শুভ কামনা রইল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ট্যাহা নাই। শশুরের মেয়ের ধারণা আমার মাথা খারাপ রোগ সারাতে তার অবদান আছে।তাকে হতাশ করতে চাই না।
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশাল আইডিয়া
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি চাইলে কপি করতে পারেন; এগুলিতে কেউ কপিরাইট বসায় না।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহা মগ!!!! মগের মুল্লুক !!!!!!
আমিত প্রথমে ভেবেছিলাম মগ (পর্তুগীজ জলদস্যু বা বার্মিজ ) রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এদেশে /আমার সোনার বাংলায় যেখানে আমরা অলরেডি তাদের (মগ রাজ্য) থেকেও অনেক অনেক বেশী এগিয়ে ।
পরে দেখি এরকম মগের রাজ্য যতখুশী বানাক তাতে খুব বেশী সমস্যা নেই , কারন ক্ষতি-বৃদ্ধির সম্ভাবনা তেমন একটা নাই আমার সোনার বাংলার।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অ, তাইলে বানান যায়, নাকি?
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চাফি শব্দটা আমিও খেয়াল করেছি। আমিও মনযোগী পাঠক।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ট্যাহা নাই। শশুরের মেয়ের ধারণা আমার মাথা খারাপ রোগ সারাতে তার অবদান আছে।
-অবশ্যই অবদান আছে; বিয়ের আগে, আপনাকে কেহ গণনায় নিতো না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি আমাকে আগে থেকে চিনতেন জেনে অবাক লাগছে। মনে হচ্ছে অন্তত আপনি আমাকে গনায় নিয়েছেন। না হলে এক ব্লগে বারবার আসবেন ক্যান সেটাই তো চিন্তার বিষয়।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিরোনাম পড়ে মনে হলো আপনি দেশের নতুন রাজা হবেন। কিন্তু শেষে দেখি ১২টা মগ ........
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ১২০০ হলে চলতো?
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯
পুলক ঢালী বলেছেন: মগের মুল্লুক
এটা দেখেই মনে করলাম বর্গী এলো দেশে এমন কিছুর ইতিহাসকে তাড়া করবেন!
কিন্তু ও মা! এতো দেখি খাঁটি মগের গল্প !
মগের নেশা নেই, কিন্তু আপসে-আপ যো আতা হ্যায় উসকো আনে দো এই কায়দায় বেশ কিছু মগ জমে গেছে, এরমধ্যে আছে আমারে না জানাইয়া আমার ছবি মগে ছাপাইয়া চমকাইয়া দেওয়া মগ, জন্মদিন বা কারো বিবাহ বার্ষিকীতে হয়তো কাউকে কেক খাওয়াচ্ছি বা খাওয়াচ্ছে সেই ছবি দিয়ে মগ বানিয়ে হাজির আবার চমক!!
এছাড়াও বিদেশ থেকে আসার সময় সেই দেশের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের ছবিসহ মগের উপহার, এভাবে আমিও ১৫/২০টা মগ নিয়ে এক মগের মুল্লুকের শাসনকর্তা হা হা হা।
মজা পেলাম আপনার লেখা পড়ে।
ভাল থাকুন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আম্রে একবার এক আফা দিছিলো আমার ছবি দেওয়া মগ; আমি ছবি তুলতেছি; আমি আমার ছবি ধরে খাড়ায় আছি আর একটা কি যেন ছবি ছিলো।
আফার দেওয়া মগটা কোথায় গেছে জানি না!
১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৬
সোহানী বলেছেন: এক সময় আমিও মগের মুল্লকের সদস্য ছিলাম। কিন্তু আমার পুত্রধন যখন হাতড়ে জিনিস ধরা শিখেছে তখন দেখলাম সোপিস মগ কিছুই আর আস্ত নাই। তারপরও কোনা ঘুপচি ভাঙ্গা মগগুলো ছিল বেশ কিছুদিন। এখন আছে কিছু তবে তেমন কিছু না, কয়েকটা সেট যা একটু ডিফারেন্ট।
আপনার ৩০০ মগ রাখার জন্যতো আস্ত তিনতালা আলমারি দরকার ছিল.....। আবারো গড়ে উঠুক আপনার মগের মুল্লক!
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ব্যচেলরদের 'খাটের তলা' এর মত বড় আলমারী কি দুনিয়ায় আর আছে?
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ করেছেন কি !!!!
আমাকেই দিতেন
যদিও আমি কেনা মগ জমাই না, সব ই সুভ্যেনির আর গিফট।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ওকে, আকাশের ঠিকানায় কিছু মগ পাঠিয়ে দিলাম....
১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সে কষ্ট আপনার না করলে ও চলবে জনাব, ছবি ডাউনলোড আমরা ও শিখেছি।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অ....
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খুব সম্ভব ২০০৫ সনের কথা। টেলিভিশন অনুষ্ঠান ইত্যাদি’তে দেখেছিলাম এক ভদ্রলোক প্রায় তিন হাজার মগ সংগ্রহ করেছেন! শখ বলে কথা। আপনিও আপনার শখ পূরণে মগের মুল্লুক গড়ে তুলতে পারেন। ছবির মগগুলো খুবই আকর্ষনীয় ও দৃষ্টিনন্দন।