নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
ক্লাস ৬ এ পড়ি; কিন্তু সাইকেল চালাতে পারি না! এটা বন্ধু সমাজে একটা লজ্জারই বিষয়। বড় ভাই হাল ধরলেন; তার চায়না ফনিক্স সাইকেলে আমাকে সাইকেল চালানো ট্রেনিং দেওয়া শুরু করলেন।
বড় ভাই যতই বলে প্যাডেলের দিকে তাকাবি না; সামনে তাঁকা, আমি ততই যেন প্যাডেলের দিকে তাকিয়ে চালানোর চেষ্টা করি।
মাইন্ডসেট একটা বড় বিষয়। বড় সাইকেল দিয়ে চালানো শেখায় আমার বড় বাঁধা হয়ে দাড়ালো মাইন্ড সেট। ধারণা, পড়তে লাগলেতো ঠেকাতে পারবো না।
সবার কাছ থেকে শুনেছি সাইকেল চালানো শিখতে গেলে নাকি পড়ে হাত-পা কাঁটা লাগবে; যতদ্রুত প্রথম রক্তপাত, ততদ্রুত সাইকেল চালানো শেখা যাবে!
এই থিউরি দিয়ে আমি নিজে কয়েকজনকে সাহসী করে সাইকেল চালানো শিখিয়েছি ঠিকই; কিন্তু আমার নিজের কখনও রক্তপাত হয় নাই।
বড় সাইকেল থেকে পড়ে না গেলেও, ভয় কাটানোর জন্য সাইকেল গ্যারেজ থেকে ছোট সাইকেল ভাড়া করা হলো, ঘন্টা ১০টাকা। যখন ২টাকার ঝাল মুড়িতে খুব সুন্দর করে পেট ভরে টিফিন করা যায়, সেখানে এক ঘন্টা ১০টাকা দিয়ে সাইকেল ভাড়া করা রিতিমতো বিলাসিতা।
কিন্তু ঐ বয়সেই যখন টুকটাক ইনকাম করি; তখন শেখার উদ্দেশ্যে ১০টাকা খরচ কোন বিষয় না। তবে টার্গেট, এক ঘন্টার মধ্যেই শিখতে হবে; বেশী সময় নেওয়া যাবে না।
প্রথমে এলাকার এক ছোট ভাই (বিশ্বজিত কর্মকার) আর শেষে এসে বড় ভাইয়ের সহায়তায় মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই সাইকেল চালানো রপ্ত করে ফেললাম, আলহামদুলিল্লাহ! ভাগ্য ভালো সাঁতার শেখার মত এমন নাকানি-চুবানি খেতে হয় নি। বাকি ৩০ মিনিট সাইকেল চালিয়ে মোটামুটি একটা কনফিডেন্স এসে গেলো। আবার আগামীকাল ভাড়া করবো এমন ইচ্ছা নিয়ে সাইকেল ফেরৎ দিতে গেলাম।
বড় ভাই তার সাইকেল নিয়ে সাথে চললেন, কারণ সাইকেল জমা দিয়ে আমাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা লাগবে। আসার পথে ভাইয়া বললো, তুই চালা, আমি পিছনে বসে আছি। যেহেতু নিজের প্রতি একটা কনফিডেন্স এসে গেছে যে "আমি এখন সাইকেল চালাতে পারি", তাই খুব একটা দ্বিধা না করে চড়ে বসলাম; বড় ভাই তো আছেনই পিছে!
এরপর এক কি দুই বার ছোট সাইকেল ভাড়া করেছি; কিন্তু সেটা মজার জন্য। কারণ সাইকেল বড় কিংবা ছোটতে এখন আর ডর লাগে না। ফাঁকে একবার সারকাসের বিশাল চাকা ওয়ালা সাইকেলও চালিয়ে ফেললাম; যদিও অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
শুনেছি সাইকেল চালানোর অভ্যাস থাকলে নাকি মটর সাইকেল চালানো সহজ হয়। আসলেই কি তাই? ইন শা আল্লাহ সেটা আগামী পোষ্টে যাচাই করে দেখবো!
আমার সাঁতার, সাইকেল, মটর সাইকেল ও গাড়ি চালানো শেখা! - পর্ব সাঁতার শেখা
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আমার বড় ভাই আমার সব বিষয়েই খুব যত্নশীল এবং সব সময়ই সাহায্য করেন।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা। আমার সাইকেল চালানো শেখা নিয়ে কিছুদিন পূর্বে এই ব্লগে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছি।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুব সম্ভবত পড়া হয়নি; পড়ার চেষ্টা করবো। ইন শা আল্লাহ
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি সাইকেল চালোনা শিখেছি বলাচলে একা একাই
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: গ্রেট!
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের পাশের এলাকায় সাইকেল ভাড়া পাওয়া যেত। এক ঘন্টা ৮ টাকা। সকালে স্কুল শেষ করে এসে সাইকেল ভাড়া নিতাম। এইভাবেই সাইকেল চালানো শিখেছি। মেট্রিক পরীক্ষার পর আব্বা একটা সাইকেল কিনে দিয়েছিলো। সারা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছি।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি খুব সম্ভবত আমার থেকে বয়সে বড়, সেই হিসাবে মনে হচ্ছে ৮টাকা বেশীই ছিলো তখন।
আমিও সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছি। ২০১১-১৩ সময়টাতে কোনদিন সাইকেল নিয়ে বের হলে সাধারণত ৭০-১২০ কিলোমিটার না চালিয়ে ঘরে ফিরতাম না।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেলে আসা সেইসব দিন কী ফিরিয়ে আনা যায়
১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কি দরকার ফিরায় আনার? সেদিন রাত্রে স্বপ্নে দেখি এসএসসি পরীক্ষায় আবার বসা লাগছে। হুদাই ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠে গেলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বড়ভাইকে ধন্যবাদ, এতটা যত্ন করে আপনাকে সাইকেল চালাতে উৎসাহিত করার জন্য এবং চালানো শেখানোর জন্য। তিনি বড়ভাই এর মতই সঠিক কাজটি করেছেন।