নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
ক্লাস সিক্সের সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে একদম শেষে একটা চ্যাপ্টার ছিলো। চ্যাপ্টারের নাম মনে নেই; তবে সেটা জনসংখ্যা বিষয়ক ছিলো। সেখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার করা ছিলো যে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা।
চায়না এক সময় তাদের জনসংখ্যার লাগাম টেনে ধরতে ঘোষণা করেছিলো এক-বাচ্চা-পলিসির। বাংলাদেশেও এক সময় জোরেশোরে প্রচার চলতো, 'ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট'। পরে সেই ঘোষণা চেঞ্জ করে বলা হয়েছিলো, 'দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়'। সেটা ২০১২ এর কথা। যদিও পত্রিকার নিউজ অনুযায়ী সরকার ২০১৮ তে সেই স্লোগান থেকে বের হয়ে 'ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট' তে আবার ফেরৎ আসার কথা চিন্তা করছিলো।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার লাগাম টেনে ধরতে এক সময় পশ্চিমাদেশ গুলি বিনামূল্যে কনডম ও জন্মনিরোধোক পিল বিলি করতো; সরকারী স্বাস্থ্য অধীদপ্তরের মাধ্যমে। এখনও ফ্রিতে এই সেবার চলে কিনা ঠিক জানা নেই।
যাই হোক, বলছিলাম সুখবরের কথা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে গড়ে বাচ্চা জন্ম দেবার সংখ্যা ছিলো ৬.৪ যা ২০১৯ এর দিকে ২.০৫-২.৩ এর দিকে নেমে এসেছে।
উপরের তথ্য গুলি নেওয়া হয়েছে এখান থেকেঃ Click This Link
এ বছরেরই নভেম্বরে ফাইনান্সিয়াল টাইমস একটা রিপোর্ট করেছেঃ China’s population is shrinking, fast।
এদিকে জাপানের পত্রিকা দি জাপান টাইমস এ বছরের আগষ্টে রিপোর্ট করেছেঃ Japan's population drops by record number to 126.65 million amid pandemic
ইতালীতে সম্প্রতি পোপ সকলকে বেশী করে বাচ্চা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন; এবং সরকারকেও অনুরোধ করেছেন এ বিষয়ে জনগনকে উৎসাহীত করতে। যদিও এবারই প্রথম বলেছেন এমন নয়, আগেও তিনি একই তাগিদ দিয়েছেন। এ বিষয়েও নেটে একটু ঘাটলেই পেয়ে যাবেন।
মোট কথা, সারা পৃথিবীতে (খুব সম্ভবত রহিঙ্গা বাদে) সবাই বাচ্চা কম কম ফুটানোর সিদ্ধান্তের দিকেই যাচ্ছে। এতে করে বুড়া জনসংখ্যা বেড়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাতে আমার দৃষ্টিতে ভালোই হয়। কারণ বয়স্ক মানুষেরা স্বাভাবিক ভাবে জ্ঞানী হন, কারণ তাদের এক্সপেরিয়েন্স বেশী। জ্ঞানী জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া পুরা মানবজাতীর জন্য কল্যানকর হবে আশা করা যায়।
জানা কথা চাঁদগাজী সাহেব আমাকে সৌদী আরবের কথা জিজ্ঞাসা করবেন। তাই আগে থেকেই সৌদী আরবের অবস্থার একটা চিত্র নিচে দিয়ে দিলাম।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে ১৯৮০ এর দিকে সৌদী আরবে জনসংখ্যা বাড়ার প্রবণতা যেখানে ৬% ছিলো, সেটা নেমে এখন ১.৬% এ এসেছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে একবার কমে ২০০০ এর দিকে আবার যে বাড়ার প্রবণতা ছিলো, সেটা ২০১০ এর দিকে এসে আবার নেমে গেছে। সৌদীদের কেউ কেউ (অফিসিয়াল কেউ না) বলে ইন্টারনেট প্রচলিত হওয়ার পর থেকে এখানের মেয়েরা বুঝতে পেরেছে যে আগের ৬/৭টা বাচ্চার মা হওয়া ভালো না; এতে নিজের ফিগার নষ্ট হয়।
যাই হোক, ওভারঅল খবর হচ্ছে, সারা পৃথিবীতে আগে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছিলো, তা মোটামুটি লাগাম টেনে ধরা হচ্ছে। তার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে একই লিঙ্গের বিবাহের কারণে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বাড়ার এই ধারা আরও কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এতে ক্ষতি কি? সেটা বুঝতে হলে অনেক জ্ঞানী হতে হবে। অবশ্য অত্যাধিক জ্ঞানীরা এর মধ্যে ক্ষতির কিছু খুঁজে পায়নি এখনও।
কমছে কমুক না, আমার ঢাকায় একটা জমি কেনার শখ হয়েছে কয়েকদিন হলো। জনসংখ্যা কমলে দামও একটু কমতে পারে। তবে মনে হয় এর জন্য কয়েক শতাব্দী না হোক, বেশ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
---------------------
আমার মতামত কি? আমি বলি বাচ্চা ফুটাও!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ১। ৩/৪টা নিলে একটা থাকবে; এই চিন্তায় কেউ বেশী বেশী নিতো এই কথা প্রথম শুনলাম। আমার নানীর ১০জনের মধ্যে একজনও মারা যায়নি; দাদীর ৯জনের মধ্যে একজনও মারা যায় নি।
২। সেফটি নেট এর অভাব বরং এখন আরও বেশী। এইটাই যদি হতো, তাহলে মানুষ এখন আরও বেশী বাচ্চা নিতো!
৩। "দেশ ও সভ্যতা যত উন্নত হবে অতিরিক্ত সন্তান জন্ম দেয়ার হার কমতে থাকবে" - এইটা উন্নয়ন বা সভ্যতার কোন কিছু না। একদম শেষের দিকে একটা লাইন লিখেছি; ওটা আবার পড়তে পারেন।
৪। কুকর প্রতি বছর ৮/১০টা করে বাচ্চা দিলেও দুনিয়া কুকুরে ভরে যায়নি। মানুষ সারা জীবনে ৮/১০টা করে বাচ্চা দিলেও সমস্যা হবার কথা না; সমস্যাটা ম্যানেজমেন্টে।
৫। ২০৫০ এর পর কি হবে? যদি জনসংখ্যা নেগেটিভে যেতে থাকে (যেমনটা ইতালিতে গিয়েছে) তাহলে একটা সময় জনসংখ্যা কলাপ্স করবে। এমন ভাবে কলাপ্স করবে যে কয়েক দশকে দুনিয়ার আর্ধেকের বেশী জনসংখ্যা গায়েব হয়ে যাবে। সেটা কি আসলেই ভালো হবে?
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জনসংখ্যার ভারে নুজ্য দেশসমুহের জন্য জনসংখা হ্রাসের প্রবনতা একটি সুখবরই বটে ।
তবে দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় জনসংখ্যা হ্রাসের সম্ভাব্য পরিণতিগুলি নেতিবাচক হতে পারে।
যদি কোনও দেশ তার জনসংখ্যা হ্রাসের চেয়ে দ্রুত তার কর্মশক্তির উৎদনশীলতা বাড়িয়ে
তুলতে পারে, তবে অর্থনীতির দিক থেকে, তার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান এবং পরিবেশ
উভয়ই ইতিবাচক হতে পারে। যদি জনসংখ্যার হ্রাসের চেয়ে দ্রুত কর্মশক্তির উৎদনশীলতা
বাড়াতে না পারে তবে ফলাফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক হতে পারে। সেজন্য অনেক
দেশে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ".......... সম্ভাব্য পরিণতিগুলি নিতেবাচক হতে পারে" - হতে পারে না, হবে।
"..........জনসংখ্যা হ্রাসের চেয়ে দ্রুত তার কর্মশক্তির উৎদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে......" এখানেও হতে পারে না, হবে
শুধুমাত্র এ কারণ গুলির জন্য নয়, বরং নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেও জনসংখ্যা বাড়ানোর ধান্ধায় আছে অনেক দেশ (যেমন ইতালির বিষয়ে পোপের চিন্তা)
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫২
সোবুজ বলেছেন: অনেক দেশ আছে,তাদের জায়গা জমি পড়ে আছে লোকজন কম।কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।তাদের জনসংখ্যা বাড়লে সমস্যা হবে না।আমাদের মতো অনুন্নত দেশে,যেখানে এমনিতেই জনসংখ্যা বেশি সেখানে অবশ্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।অথবা কমিয়ে আনতে হবে।জনসংখ্যা কমছে এটা একটা ভাল খবর।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জনসংখ্যা বাড়ানোর কারও জন্যই সমস্যার না। সমস্যা হচ্ছে ম্যানেজমেন্টের।
দুবাইয়ের দিক তাকান, এখানে লোকাল জনগনের চাইতে বাইরের লোক বেশী।
কানাডা প্রতি বছর লাখে লাখে লোক নিচ্ছে। চীনের জন্যসংখ্যা দুনিয়ায় সবচাইতে বেশী হবার পরও তারা ফিলিপিনোদের ইম্পোর্ট করছে। কেন?
বাংলাদেশের জনগন যত বেশীই হোক না কেন, তাদের যদি ম্যানেজ করে সঠিক ভাবে গড়ে তোলা যায়, এরাই মাইগ্রেট করবে অন্য জায়গায়, অন্য দেশের তখন হবে উপকার, সাথে বাংলাদেশেরও। ফিলিপিন তার একটা বড় উদাহরণ। আর ভারতের কথা নাই বা বললাম।
সমস্যার শুরুটা হয় তখনই, যখন জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসাবে ধরে আগানো হয়।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৌদীতে কি এখন বেদুইন গ্রাম আছে? নেওম সিটিতে গিয়েছিলেন?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্বী, কিছু বেদুইন গ্রাম এখনও আছে। এদের জন্য সরকারের তৈরী করা বড় বড় আবাসন প্রোজেক্টও আছে, তবে তারা সেখানে আসতে চায় না। যদিও নতুন প্রজন্মের অনেকেই আস্তে আস্তে সেখানে আসতেছে।
নিওমে যাইনাই। আপাতত কাজ নাই, তাই যাই নাই।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য,
পোস্টের কিছু কিছু জায়গাতে রম্যের ভাব আছে তাই মন্তব্যটাও তার কাছাকাছি রাখতে চাই।
সহব্লগার সাসুম আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দু'টি কারন দেখিয়েছেন। আসল কারনটি উনি বলেন নি। তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারনটি লোকে বলতো - ঘনঘন বিদ্যুতের লোড শেডিং। অন্ধকারে বাচ্চা ফুটতো বেশী বেশী।
পরিসংখ্যান দিয়ে পোস্টে দেশের জন্যে সুখবর দিয়েছেন যে, ২০১৯ এ এসে জন্মহার কমছে। কমবেই তো ! এখন তো আর তেমন লোডশেডিং নেই! সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়েছে অনেক অনেক গুন। অন্ধকারে থাকছেনা আর কেউ!
আপনার দৃষ্টিতেই শুধু ভালো নয়, প্রমান করেও দেখিয়েছেন যে - দেশে বুড়ো জনসংখ্যা বেড়ে গেলে জ্ঞানীদের সংখ্যাও বাড়ে।
আগেভাগেই সহব্লগার চাঁদগাজীর সম্ভাব্য মন্তব্য কি হতে পারে বুঝেই সৌদি আরবের অবস্থা গ্রাফ সহকারে পোস্টে দিয়ে দিয়েছেন। এটাই তো জ্ঞানীর লক্ষন।
এপার্ট ফ্রম রম্য, বাস্তব কথা বলি সহব্লগার সোবুজ এর সাথে গলা মিলিয়ে-
আমাদের মতো অনুন্নত দেশে, যেখানে এমনিতেই জনসংখ্যা বেশি সেখানে অবশ্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অনেক বড় মন্তব্য, পুরাটার জবাব দিতে পারতেছি না। তবে কিছু বিষয়ের সাথে একমত, কিছুর সাথে না; শেষ লাইনের সাথেতো এমনেই না!
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
সাসুম বলেছেন: [link|https://www.worldvision.ca/stories/why-do-the-poor-have-large-families|কেন গরীব রাস্ট্র, সমাজ ও মানুষের সন্তান বেশি থাকত
উপরে একটা লিনক দিলাম একটু চেক করে দেখবেন।
বাই দা রাস্তাঃ শিশু মৃত্যু হার বেশি সন্তান নেবার অন্যতম প্রধান কারন এটা আপনি শুনেন নাই জীবনে অথচ জন্মহার নিয়ে এত ব্যপক লিখা লিখে ফেললেন, একটু অবাক হলাম। যাই হোক, শিশু মৃত্যু হার বেশি সন্তান নেবার অন্যতম প্রধান এবং ১ নাম্বার কারন।
আর ইকোনমিক সেফটি নেট আমাদের মত গরিব দেশ গুলোতে নেই বলেই আমরা গনহারে সন্তান জন্ম দিচ্ছি সেই সেফটি নেট এর জন্যই। উন্নত দেশে সরকারের ই কাজ এই সেফটি নেট এন্সিউর করা। এই কারনে সেসব দেশের মানুষকে এই সেফটি নেটের চিন্তা বা অবসরের পর কে খাওয়াবে কে পড়াবে এই চিন্তা করতে হয় না। আমাদের মত গরীব দের করতে হয়৷ মেয়ে হলে খাওয়াবে কিভাবে আরেকজনের বাড়িতে থেকে কিংবা ছেলে একটা না খাওয়ালেও আরেকটা ফেলে দিবেনা নিশ্চয়। এই ধারনা থেকেই আমার আদি বাপ চাচারা একের পর এক সন্তান জন্ম দিয়ে গেছেন।
আর সবার শেষে শিক্ষার অভাবে পরিকল্পনার কথা তো বললাম ই।
আমার বুঝে আসলোনা আমার এতগুলো লজিকাল পয়েন্ট সব গুলোকেই কেন ফালতু হিসেবে উড়িয়ে দিলেন?
যাই হোক- সবার শেষে এক্টাই কথা। আমাদের মত গরিব দেশ এম্নিতেই জনসংখ্যার আধিক্যে পচে যাচ্ছে। অনুন্নত ও গরিব রাস্ট্র সমূহে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক ও অপরিহার্য
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি যতটুকু ঘেটেছি, কোথাও শিশু মৃত্যুর হার ৬৬-৭৫% ছিলো এমন পাই নাই যে ৩/৪টা বাচ্চা নিতে হবে যদি একটা টিকে। আপনি এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন বললে একটু পড়ে দেখতাম। যখন আপনি আগের শিশু মৃত্যুর হার জানবেন, তখন বুঝবেন যে আপনি কতটা বোকা যে ওটাকেই এক নম্বর ধরে বসে আছেন।
পরিসংখ্যান বলছে আগের থেকে বর্তমানের মানুষ বয়সকালে বেশী একা হয়ে পড়ছে। আগে এক সময় বৃদ্ধাশ্রম বলতে কিছু ছিলোই না; এখন দরকার পড়ছে। সেই হিসাব করলে বর্তমানের বাপ-মায়ের তো বেশী ছেলেপেলে নেওয়া উচিৎ; একটায় বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে বাকি ৯টায় ঠেকাবে! না হলে একটায় না একটায়তো দ্বায়িত্ব নিবে!
আমাদের মত অনুন্নত দেশে জনসংখ্যা ঠেকানোর মত বোকামী না করে বরং এই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা যায় সেটা নিয়েই ভাবা উচিৎ। বর্তমানে দেশের বড় একটা অকেজো জনগন বিদেশে পাড়ি জমিয়ে হাওয়া থেকে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। দেশ যে সব টাকায় চলছে, তার বড় একটা উৎসই এই অকেজো জনগন; যারা দেশে থাকলে বরং ছিনতাই রাহাজানির সংখ্যা বাড়ার কথা ছিলো।
আমরা পশ্চিমাদের শেখানো বুলি থেকে বের হতে পারছি না; কারণ আমরা আমাদের ব্রেইন দিয়ে চিন্তা করি না। আমরা প্রথমে তাদের কাছে ব্রেইন ওয়াশড হই, তারপর সেই ব্রেইন দিয়ে চিন্তা করি।
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩
বিটপি বলেছেন: ছাগল পাগল মদ গাঞ্জা খেয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলবে। সবার কথা ধরেন কেন? বুড়া বয়েসে কামাই খাওয়ার জন্য কেউ বেশি বেশি বাচ্চা পয়দা করেনা। এক একটা বাচ্চার পিছনে যেই পরিমাণ টাকা আর শ্রম খরচ হয়, তার খুব সামান্যই বুড়া বয়েসে ফেরত আসে। এমনকি না-ও আসতে পারে। এই কথাটা বোঝার বুদ্ধি ১০০ বছর আগের মানুষেরও ছিল।
আগেকার মানুষ বেশি বেশি বাচ্চা ফুটাত, কারণ পরিবার পরিকল্পনা বা জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোন উপায় ছিলনা - এইটাই একমাত্র কারণ। বাচ্চা হয়ে যাবে - এই আশংকায় তো মানুষজন সেক্স করা বন্ধ রাখতে পারবেনা। এখনকার দিনে বেশি বেশি বাচ্চা ফুটায় কারা জানেন? যারা বউ রেখে বিদেশে যায়। এরা ২ বছর পর পর দেশে আসে আর এক একটা বাচ্চা বউয়ের ঘাড়ে তুলে দিয়ে উধাও হয়ে যায়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: প্রবাসীদের সন্তান বেশী এই কথাটা মানতে পারলাম না। বরং এদের সন্তানের সংখ্যা ২/৩এই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখেছি।
আমার অফিসে গোটা কয়েক ব্রিটিশ নাগরিক দেখেছি; তারা যে দেশেই কাজের জন্য যায়, পরিবার গোছায় নিয়ে যায়। এদের অধিকংশেরই দেখি ৪/৫টা বা তার বেশী বাচ্চা-কাচ্চা। আপনি হয়ত তাদের ইঙ্গিত করেছেন।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: জনসংখ্যা সমস্যা নয়। সমস্যা হলো এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না সঠিক পরিকল্পনার অভাবে।
আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে- জনসংখ্যা আসলে সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের উন্নতি অবহ্যত রাখা যাবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেটাই।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন: বিশ্ব জনসংখ্যা মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে আছে, ইউরোপ, কোরিয়া এবং জাপানসহ আরো অনেক দেশে বাচ্চা বেশী উৎপাদন করার জন্য জনগনকে উৎসাহিত করছে সরকার। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশে জনসংখ্য বৃদ্ধির হার এখন কম হলেও বেড়েই চলছে!!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেখানেও কমে যাবে..... আগের তুলনায় অনেক কমেছে....
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দেশে একজন কামাই করে-তার উপর গড়ে পাঁচ জন খায়! আমার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে জনসংখ্যাধিক্য শুধু সমস্যাই নয়- বিরাট বোঝাও বটে। আবার আমাদের এতো জনসংখ্যার মধ্যে দক্ষ জনশক্তি নাই বললেই চলে-সেটাও বাড়তি সমস্যা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আবারও, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে হবে।
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৫
জ্যাকেল বলেছেন: জনসংখ্যা সমস্যা সেইসব দেশের হইবে সন্দেহ নাই যাহাদের অযোগ্যরা দেশ চালনার ভার নিজ দ্বায়িত্বে গছিয়া লইয়াছে। তবে যোগ্য নেতৃত্বে জনসংখ্যা শুধুই সম্ভাবনা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম
১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানের জন্মহারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যার উপর অনুমিত বিভিন্ন সুত্রের উপাত্ত অনুযায়ী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৯ কোটি ২৫ লক্ষ। তবে তারচেয়ে ২ বা ৩ কোটি বেশী হবে কারণ বর্তমান জনসংখ্যা সাড়ে ষোল কোটি ধরে হিসাব করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বর্তমান জন্মহারই ঠিক আছে। এই হারের বেশী বা কম কোনটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না।
পৃথিবীর যে সব দেশের অধিক জনসংখ্যা নেয়ার মত সামর্থ্য আছে তারা জনসংখ্যা হ্রাসের পক্ষপাতি। অন্য দিকে যাদের সামর্থ্য নাই ( যারা জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রুপান্তর করতে জানে না/ পারে না) তারা জনসংখ্যা বাড়িয়ে চলছে। জনসংখ্যা সমস্যা না যদি জনগণ দক্ষ এবং কর্মঠ হয়।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। ঐ যুগে পরিবার পরিকল্পনা থাকলে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এসব বলা যাবে না। উপরে দেখেন রবীন্দ্রনাথের বাপমায়রে একজন কুকুর বানায় দিয়ে গেছে (হিসাব করলে সেটাই আসে আরকি)!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৪
সাসুম বলেছেন: মনে আছে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারন কি ছিল?
একঃ শিশু মৃত্যুর হার। ৩/৪ টা সন্তান থাকলে একটা না একটা বেচে থাকবে। ফলে বংশ লতিকা টিকে থাকবেই
দুইঃ ইকোনমিক সেফটি নেট এর অভাব। এই জিনিষ কম্পলিকেটেড। আমাদের দেশে বুড়া হবার পর বয়স্ক দের কোন ইকোনমিক সেফটি নেট থাকেনা ফলে মরার আগ পর্যন্ত বাইচা থাকার জন্য সন্তানের কাধে ভর করে থাকতে হয়।
এখন উন্নত ও সভ্য সমাজে এই দুইটা কারন একদম ০ বলা যায়। এর উপর সভ্য সমাজের মানুষ প্লান করে আগায় এবং পই পই করে হিসাব করে একটা সন্তান নিলে তারে বড় করার মত আর্থিক ও মানসিক প্রিপারেশান আছে কিনা। আমাদের মত কন্ডম ছাড়া সেক্স করে সন্তান জন্ম দেয়না।
এই কারনে, দেশ ও সভ্যতা যত উন্নত হবে অতিরিক্ত সন্তান জন্ম দেয়ার হার কমতে থাকবে।
এদিকে চীনের মত দেশ যারা মেনুয়াল লেবার এর উপর নির্ভরশীল তারা সন্তান কম হলে ইন ফিউচারে লেবার শর্টেজ এ পড়বে। ফলে তাদের সন্তান লাগবেই। এই কারনে তারা সন্তান নেয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। যেমন ২/৪ বছর আগেও প্রিবার্থ ছুটি ছিল কয়েক মাসের তাও বেতন ছাড়া। এখন ক দিন আগে আমার কলিগ বাচ্চা জন্ম দেয়ার ৬ মাস পর জয়েন করেছে তাও ফুল বেতন সহ। এবং এর পরে আবার বাচ্চা নিলে সুযোগ আরো বাড়বে।
এখন আসলে দুনিয়া আগের দিনের সে দিন নাই সভ্য দেশের কাছে। আগের দিনে অশিক্ষিত অসভ্যদের মাঝে রুলস ছিল আরে জন্ম দিলেই হল, উপরওয়ালা খাওয়াবে। এই অলৌকিকতা দিন শেষে ভুয়া প্রমানিত হবার পর এখন কার জেনারেশান হিসাব নিকাশ করেই বাচ্চা জন্ম দেয়। তাদের কাছে কুত্তার মত ১২ টা জন্ম দিয়ে যেখানে সেখানে উষ্ঠা লাথি খাওয়ার চেয়ে প্রিপারেশান নিয়ে ১ টা জন্ম দিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে পারাই বেটার।
বিঃদ্রঃ এই প্রথম গত মাসে চীনে বেবি ডায়পার এর চেয়ে এডাল্ট ডায়পার বেশি সেল হইছে। এই ঘটনা টা এতদিন জাপানে দেখা যেত। সেইম কাজ চীনেও হইছে এখন এবং এটা কন্টিনিউ করবে ফ্রম নাউ ওন।
দুনিয়ার জনসংখ্যা এখন পিক লেভেলের আশে পাশে ধরা হয় এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ম্যাক্স লেভেলে পৌছাবে বলে ধারনা করা হয়। ফলে এখন থেকে বেশির ভাগ দেশেই নেগেটিভ বা জন্মহার পড়তি দিকেই শুনা যাবে।