নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
রিয়াদে আমি যে এলাকায় থাকি, সেখানে কোন কারণে ফাইবার অপটিক পৌছায়নি। কিন্তু এখানে ৫জি আছে। সেজন্যই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৫জি কানেকশন নেই। কিন্তু আমার কাছে তখন কোন ৫জি ডিভাইস ছিলো না।
এখানে সবচাইতে নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক হচ্ছে সৌদী টেলিকম কম্পানি (এসটিসি); তখন তারাই সবচাইতে দ্রুতগতির ৫জি দিচ্ছিলো দেখে নিয়ে ফেললাম। ২৪ মাসের কন্ট্রাক্ট। যেহেতু ২৪ মাসের কন্ট্রাক্ট সাইন করছি, তাই সাথে একটা ফ্রি ৫জি রাউটার পেলাম; দেখতে দুর্দান্ত। কাজে আরও ভালো।
ঠিক ঐ সময় ঐ রাউটার এমাজনে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৮০০ রিয়াল বা ৪০,৫০০ টাকার মত দরে। কানেকশন পোষ্ট পেইড। কানেকশন নেওয়ার জন্য পকেটে ৫০০ রিয়াল নিয়েই গিয়েছিলাম, কে জানে হয়ত টাকা দিতে হবে।
আমাকে তারা জানালেন যে কোন টাকা দিতে হবে না, জানুয়ারীর ৬ তারিখে একটা বিল আসবে, ওটা যে কয়দিন ব্যবহার করেছি সে হিসাবেই বিল হবে; এবং একমাস হিসাবে কাউন্ট হবে!
ফ্লাসব্যাক টু ২০০৫/৬ সাল। আমাদের এলাকাতে গ্রামীনফোন EDGE ইন্টারনেট এর ঘোষণা দিলো। মাসে ৮০০ টাকায় পোষ্ট পেইড কানেকশন। আমার তখন একটা সেট ছিলো, যেটাতে EDGE ইন্টারনেট সাপোর্ট করতো, এবং কম্পিউটারের সাথে ইউএসবি কানেকশন দিয়ে তাকে মডেম হিসাবে ব্যবহার করা যেতো।
কানেকশনটা যদিও পোষ্ট পেইড ছিলো, আমাকে ৮০০ টাকা এডভান্স সিকিউরিটি মানি দিতে হলো; এবং এই টাকা আমি ২০১৬তে কানেকশন ক্যান্সেল করার পরও ফেরৎ পাইনি! অর্থাৎ, আমাকে একমাসের বাড়তি বিল দিতে হয়েছে! যদ্দুর জানি নিয়মটা এখনও তেমনই আছে যে পোষ্টপেইড কানেকশন নিতে আমাকে সিকিউরিটি মানি ডিপজিট করতে হবে!
সৌদীতে আমি আজনবী বা বিদেশী, আমার দেশে আমি "নাগরীক"।
সৌদীতে আমি যদি ব্যাংক লোন নিতে চাই, আমাকে স্যালারী সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে, ব্যাংকস্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। মোটামুটি প্রসেসিং ৩ঘন্টা থেকে ৩দিনের মধ্যে হয়ে যায়। সাধারণত স্যালারীর ১০-১৫গুন টাকা লোন পাওয়া যায়।
সৌদীতে আমি গাড়ি কিনতে চাইলে দুইভাবে কিনতে পারি, লিজিং অথবা লোন। লিজিং হচ্ছে গাড়ি কম্পানির নামে থাকবে, আমি চালাবো, মাসে কিস্তি দিবো, কিস্তির মেয়াদ শেষে গাড়ি আমার নামে। আর লোন তো লোনই, আমাকে গাড়ি কিনে দিবে, আমি কিস্তিতে টাকা শোধ করবো। লিজিং এ খরচ একটু কম পড়ে।
কিন্তু দেশে যদি ঠিক একই কাজ করতে যাই, যেই ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে, তা বলার বাইরে। কোন একজন বলেছিলেন, বাংলাদেশে লোন নিতে হলে তোমাকে প্রমান করতে হবে যে লোন ছাড়াই তুমি চলতে পারবা, তোমার মাথায় ব্রেইন নাই বলে লোন নিচ্ছ; তখনই তারা তোমাকে লোন দিবে।
কারও সাথে এই কথাগুলি শেয়ার করতে গেলে তারা বলে, আরে সৌদী থেকে তুমি বের হতে গেলে তখনতো তোমাকে এই টাকা শোধ করেই বের হতে হবে; না হলেতো পারবা না! এজন্যই ওরা দেয়। কথাটায় যুক্তি আছে, তবে আসলে পুরাটাই অযৌক্তিক!
কারণ এই লোন/লিজিং শুধু যে ওরা বিদেশীদের দিচ্ছে এমনতো না; নাগরীকদেরও দিচ্ছে! আমিতো আমার দেশে নাগরীক হয়েও এই সুবিধা পাচ্ছি না! তাছাড়া সৌদী থেকে আমি ফাইনাল এক্সিটে যাওয়ার আগে লোন পরিশোধ করে যেতে হবে; কিন্তু যদি দেশে বেড়াতে যাই, তাহলে পরিশোধ না করেই যেতে পারবো। এবং অনেকেই এভাবে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরৎ আসে না।
আপনার কি ধারণা, আমরা আমাদের দেশের নাগরীক হয়েও কেন এমন সুবিধা বা এমন সুবিধার ধারে কাছে কিছু পাচ্ছি না?
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লোন ব্যাংক দেয়, সরকার না। ইন্টারনেট মডেম সরকার দেয় না, কম্পানি দেয়।
আমার গাড়ি আমি কয়েকমাস আগে কিস্তিতে বিক্রি করেছি। কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে যাই নাই, সরাসরি যে কিনবে তার কাছে বিক্রি করেছি। তাকে আমি চিনিও না।
আমি আর একটি পুরাতন গাড়ি কিনেছি এক পাকিস্তানী লোক থেকে, সেও আমাকে ২৬ মাসের কিস্তিতে গাড়ি দিয়েছে।
আমাদের তো সরকার টাকা দিচ্ছে না; পেট্রোডলার বা গোল্ডও আমাদের জন্য এপ্লিকেবল না। তাহলে?
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার দেশের "নাগরিক সুবিধার" নামে শত প্রকার হয়রানী আর বঞ্চনার কথা মনে করে আর কষ্ট পেতে চাইনা। আপনার শেয়ার করা অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সুখিত তাই পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন:
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩২
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ তো বাটপার। তাই কোন সুযোগ সুবিধা পেতে হলে একটু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পোহাতে হতে। কিচ্ছু করার নাই।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: তাই বলে পোষ্ট পেইড কানেকশনও প্রিপেইড হবে?
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: তুমার আমার ঠিকানা।
পদ্মা মেঘনা যমুনা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হ....
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: তারা পারে, কারন হলো - তাদের সবারই প্রধান লক্ষ্য হলো অন্যের উপকারের সাথে সাথে ব্যবসা ।
আর আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হলো অন্যের পাছায় বাঁশ দিয়ে যতটা সম্ভব নিজের স্বার্থ হাসিল করা ।
এক্ষেত্র বেসরকারী-সরকারী কোন বিষয় নয় । উভয়েরই লক্ষ্য থাকে পাবলিকের শোষন, উপকারের নয় । আর কোন কোন জায়গায় বেসরকারী থেকে সরকারের কাছেই মানুষ বেশী অসহায়।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একমত!
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সৌদিতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। সব চেয়ে বেশি ছিলাম হাফার আল বাতেন এলাকায়। খুব কষ্ট গেছে আমার। সৌদি দেশটা আমার জন্য না।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাঙ্গালীদের প্রথম কষ্ট হয় খাবারদাবারে। তবে কিছুদিন খেলে তখন এই খাবারই পছন্দ হয় বেশী! এখানের সবখানে এসি থাকায় সাধারণত গরমের কষ্ট ভোগ করতে হয় না; গোসল করা বাদে।
আমার সয়ে গেছে। বরং জেদ্দা/জিজান/দাম্মাম বাদে বাকি জায়গা গুলিতে আদ্রতা কম হওয়ায় ঘাম কম ঝরে বলে আমি শান্তিতে আছি। দেশে থাকতে যেখানে দিনে ৩বার গোসল করার পরও গা ঘামে বিজবিজ করতো, এখানে দিনে সুন্দর একটা ফ্রেস গোসলেই শান্তি বেশী লাগে।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেকে আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য বুঝতে পারে নাই। ১ম মন্তব্যেই বুঝা গেল। মুসলিম হলে ঈমান মোটামুটি ঠিক থাকার কথা। কিন্তু আমার জীবনে অধিকাংশ অমুসলিমদের ঈমানদার দেখেছি। তবে কিছু মুসলিম মানুষ ঈমানদার পেয়েছি। নাগরিক সুবিধা কি জিনিস এটা বাংলাদেশ বুঝে না। জনপ্রতিনিধিদের যে এসব অধিকারকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় দিক থেকে আদায় করতে সহযোগিতা করতে হবে এটাও প্রয়োজনবোধ করে না।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কষ্ট প্রকাশ করা। আমি নিজের দেশেই নাগরিকের সুবিধা ঠিক মত পাই না; সেখানে অন্য দেশে এসে ভালো সুবিধা পাই। এটা একটা কষ্টের বিষয়।
আমরা সত্য কথা, ঘুষ কম খাওয়া ইত্যাদীকেই শুধু ঈমান ধরি। অবৈধ্য সম্পর্ক, মদ খাওয়া, সুদ খাওয়া ইত্যাদীকে ঈমানের অংশ মনে করি না। এজন্যই অমুসলিমদের বেশী ঈমানদার মনে হয়।
নাগরিক সুবিধা কি জিনিস এটা বাংলাদেশ বুঝে না। - কথা সত্য!
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২
জ্যাকেল বলেছেন: আমরা পারি না, কারণ আমাদের সামাজিক কাঠামো এতই খারাপ যে কেউ কাউকে এক দন্ড বিশ্বাস করলেই মরেছে। এই নস্ট সামাজিক কাঠামো টিকিয়ে রাখতে কারা কাজ করছে জানেন?
১। মসজিদের ইমাম/পন্ডিত/এলাকার মুরব্বিয়ানে কেরাম
২। সমাজের প্রভাবশালী পরিবার কর্তাগণ
৩। প্রশাসন/আমলা
৪। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
৫। ড্রাগ ব্যবসায়ী
৬। জনসাধারণ
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জনসাধারণ ৬নম্বরে নয়, বরং এক থেকে ৯৯ নম্বর পর্যন্ত থাকা উচিৎ। যে দেশের জনগন যেমন হয়, সে দেশে অন্য সব কিছু তেমনই হয়।
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আর্থ- সামাজিক ক্ষেত্রে উপমহাদেশের সঙ্গে সৌদির অনেক পার্থক্য রয়েছে। রয়েছে জনসংখ্যা বৈষম্য, সরকারি উদাসীনতা সহ জনগণের সততা এবং সচেতনতা অভাব। তবে সে যাইহোক একদিন এই চাওয়া পাওয়া গুলো স্বদেশেই এক হবে সে ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইন শা আল্লাহ। এই সব চাওয়া গুলি যখন পাওয়ার সাথে মিলে যাবে, তখন আমরা আরও বেশী সুখি হবো, ইন শা আল্লাহ।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০১
ঢুকিচেপা বলেছেন: “ আপনার কি ধারণা, আমরা আমাদের দেশের নাগরীক হয়েও কেন এমন সুবিধা বা এমন সুবিধার ধারে কাছে কিছু পাচ্ছি না? ”
আমাদের এখানে ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করা বা সেবা দেয়া সম্ভব কিন্তু ইচ্ছাতেই ঘুনপোকা ধরেছে। খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটা ক্ষেত্রেই লোক ঠকানোর ধান্দা নিয়ে কাজ করা হয় ফলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। গ্রাহক (সব গ্রাহক নয়) ব্যবসায়ীদের ঠকানোর চেষ্টা করে অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ঠকানোর জন্য ঘুমের মধ্যেও নীল নক্সা করে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন:
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কাজ ছিলো বাইরে। রোদের মধ্যে। এক কাজের কথা বলে আমাকে আরেক কাজ দিয়েছিলো। আমার সহকর্মীরা ছিলো পাকিস্তানী। মরুভূমির ধুলো এসে আমার চেহারার নকশা বদলে দিত।
আমি আর সৌদি যাবো না। তবে হ্বজ করতে একবার দুই বার যেতে পারি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এক কাজের কথা বলে অন্য কাজে দেওয়াটা কষ্টকর!
হ্বজে আসলে জানাবেন।
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমন হলেতো অনেক সুন্দর।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫১
বিটপি বলেছেন: সৌদীর সাথে বাংলাদেশের তুলনা করা নাম্বার ওয়ান বোকামি। তরল সোনা বিক্রি করে তারা অঢেল টাকার মালিক হয়েছে, যে টাকা তাদের প্রভু আমেরিকা আর ইসরাইলের সেবা খাতেই বেশিরভাগ ব্যয় হয়। বিশাল দেশ, বিশাল সম্পদের ভান্ডার ভোগ করে মাত্র ৫ কোটি মানুষ। আমাদের দেশে সীমিত সম্পদ ভোগ করে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মানুষ। এই দেশ কিভাবে এত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে?