নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এগিয়ে চলেছে বেয়াদবির কালচার!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩১

একটা সময় ছিলো, যখন প্রচুর মুভি দেখতাম। মুভি দেখা প্রথম শুরু হয়েছিলো মূলত ইংরেজী শেখার নাম করে। ২০১৪ এর দিকে এসে পরিচয় ঘটে একটা টিভি সিরিজ The Big Bang Theory এর সাথে।



বিজ্ঞান ভিত্তিক কথাবার্তা সহ একটা টিভি সিরিজ হবার কারণে বেশ পছন্দ হলো। দেখা শুরু করলাম। সেই মাপের মজার ছিলো টিভি সিরিজটি। একই সময়ে Friends এবং How I Met Your Mother নামের দুইটা টিভি সিরিজের সাথে পরিচয় হলো।

একটা সময় নিজের ভিতর অস্বস্তি ফিল করা শুরু করলাম। মনে হতে থাকলো এই টিভি সিরিজ গুলি আমার মধ্যে একটা পরিবর্তন আনছে। একটু দেরীই হয়েছিলো পরিবর্তনটা বুঝতে। পরিবর্তনটা হচ্ছে, এগুলি আমাকে শিখিয়েছে মানুষকে অপমান করতে!

জ্বী, সব গুলি টিভি সিরিজেই কাহিনীর সাথে সাথে একটা বিষয় খুব সুন্দর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে অপরকে অপমান করা। বিশেষ করে The Big Bang Theory এর প্রায় প্রতিটি ডায়লগই অন্য কাউকে অপমান করা টাইপের। দেখে আপনার কাছে প্রচন্ড হাস্যরসের মনে হবে। তবে যদি নিজেকে ঐ লোকের জায়গায় দাড় করাতে পারেন, তখন বুঝবেন যে কতটা খারাপ লাগার মত কথা বলা হয় প্রতি লাইনেই!

আমরা মানুষ হিসাবে বেশীরভাগই অন্যকে সামান্য খোঁচা দিয়ে বা খোঁটা দিয়ে মজা পাই। একটু অপমান করতে পারলে মজা আরও বাড়ে।সেই জিনিষ গুলি আমাদের ছোটখাট গন্ডির মধ্যে এক সময় আবধ্য ছিলো। কিন্তু ইন্টারনেটের কারণে এখন সেই গন্ডি ছড়িয়ে গেছে। আমরা এখন পাড়া-মহল্লা বা জেলায় সীমাবদ্ধ নই, পুরা পৃথীবিতে ছড়িয়ে পড়েছি।

কোথায় কোন হিরো আলম, আর কোথায় কোন পরীমনি; কোথায় মার্ক জুকারবার্গ আর কোথায় ইলন মাস্ক; আমরা কাউকে ছাড়িনি। আস্তাকুড় থেকে কাউকে তুলে এনে তাকে ব্যাঙ্গ করতে করতে এখন তারাই আমাদের সমাজে হিরো হিসাবে বসে গেছে! আমরা মজা করেই যাচ্ছি। কোন থামাথামি নাই।

এর মধ্যে গজিয়েছে কিছু লেখক নামের লোক; যারা খুবই নাম করা। এনাদের কাজ হচ্ছে প্রচন্ড সিরিয়াস কোন বিষয়কে মজার খোরাক হিসাবে উপস্থাপন করা। এরা এই কাজটি সমাজের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর। কেন?

জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ সেকশনে গেলে দেখবেন দেয়ালে বড় করে পত্রিকার কাটিং দেওয়া আছে। দেশে যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থায়ও মানুষ বেবি ট্যাক্সির ভাড়া বাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এমন নিউজ পাবেন সেখানে। আর আমরা এখন কি করছি? পেয়াজের দাম বেড়ে গেছে, পেয়াজ নিয়ে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছি; না হয় ফেসবুকে মজার ছবি বা স্ট্যাটাস পোষ্ট করছি।

সৈরাচার শাসককে কান ধরে টেনে নামানো ছাত্র সমাজ এখন 'পুলিশ কোন চ্যাটের বাল' লেখা প্লাকার্ড নিয়ে ঘুরে! ঐ পর্যন্তই তাদের দৌড়।

আপনার কি ধারণা এমনে এমনে ছাত্র সমাজ হিরো থেকে হিজড়াতে পরিণত হয়েছে? না, আমরা যারা সিরিয়াস বিষয়কে ফান হিসাবে উপস্থাপন করি, আমরা এর পিছনে দ্বায়ী।

একটা সময় ছিলো যখন পাড়ায় বড় ভাইয়েরা ঢুকলে ছোট কেউ ধূমপান করতে থাকলে তা লুকাতো। কখনও কখনও দৌড় দিতো। এখন সেটা উল্টে গেছে; বড় ভাই গিয়ে ছোটদের কাছে সিগারেট চায়; ছোটরা মুখের উপর বলে দেয় যে সিগারেট নাই। বড় ভাই চলে যাবার সময় পিছ থেকে ছ্যাচ্চড় গালিও শুনতে পাওয়া যায় কখনও কখনও।

এভাবে একে অন্যের সাথে মজা করে বেয়াদবি করতে করতে আমরা একটা বেয়াদবির কালচারের মধ্যে ঢুকে গেছি। যে যত বেশী অন্যকে পচাঁতে পারে, সে এখন তত বড় হিরো। যে যত বেশী ব্যাঙ্গ করতে পারে, সে তত বেশী লাইক পায়।

পরিচিত-অপরিচিত মানুষের উপর যে নূন্যতম সম্মান ভাবটা কয়েক বছর আগেও দেখা যেতো; এখন তা বিলুপ্ত প্রায়। আপনি বেছে খুটে কিছু সাগরেদ জমিয়ে নিন, তাদের সমালোচনা না করে তাদের তালে তাল দিয়ে চলুন, অন্যকে কটাক্ষ করুন, পারসোনাল এট্যাক করুন; দেখবেন আপনার সাগরেদেরা আপনাকে সাথ দিয়ে "এমন কথা বলার দরকার আছে" বলে চিৎকার করে উঠবে।

আমরা একটা কথা বুঝতেই পারি না; অন্যকে অপমান করতে করতে আমরা আমাদের নিজেদের সেল্ফ রেসপেক্ট হারিয়ে ফেলেছি। বন্ধুদের মধ্যে একজন আর একজনকে মাদার*দ বলে গালি দিলে সেও তাকে একই গালি দিয়ে দাঁত ক্যালায়।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আসলেই আমরা আত্নকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি যেটা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ ইঙ্গিত বহন করে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার সত্যিই ভয় হয়, এভাবে চলতে থাকলে এখন থেকে ২০-৩০ বছর পর সবাই অনলাইন ছেড়ে সরাসরি আক্রমনাত্নক হয়ে যাবে। একজন আর-একজনকে ছিড়ে খাবার চিন্তায় থাকবে :(

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বলার ভাষা নেই
প্রতিবাদ নেই ঠোঁটে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শুধু তাই নয়, কাউকে উপদেশ দেবারও অবস্থা নাই। নিজের সন্তানদের বলবো এমন হয়ো না, ভয় হয় তারা দুইদিন পর লোকের হাতে ভালো হবার কারণে প‌্যাদানি খাবে!

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গালি দেওয়াটা একন একটা নোংরা বিনোদন হয়ে গেছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভীষণ পরিমানে। তাছাড়া কথায় কথায় ইংরেজী এক শব্দের গালি গুলি এখন বেশ প্রচলিত। বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে এগুলি বলেই ডাকা হয়; তারাও দাঁত কেলায়।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তি, সামাজিক এমনকি রাস্ট্রীয় কালচার/ মূল্যবোধের অবক্ষয়! অভব্যতার শুরুটা হয়েছে সর্বচ্চ পর্যায় থেকে। চলছে সব পর্যায়ে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দোষ আসলে আমাদেরই। আমরাই কিছু করতে পারি না বা করছি না। :(

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোথায় কোন হিরো আলম, আর কোথায় কোন পরীমনি; কোথায় মার্ক জুকারবার্গ আর কোথায় ইলন মাস্ক; আমরা কাউকে ছাড়িনি।

চরম সত্য কথা লিখেছেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার তো মাঝে মধ্যে জানতে ইচ্ছা করে যে ছেলে-পেলে স্কুল শিক্ষকদের এখন দাম দেয় কি না!

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গত এক দশকে এই বেয়াদবি কালচার বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একদম কথা সত্য

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন। এমন একটি বিষয় নিয়ে কিছু ভাবা এবং লেখার জন্য ধন্যবাদ।

এ কালচারটি শুধু যে প্রশ্রয়ই পাচ্ছে তা নয়, প্রশংসাও পাচ্ছে। ফলে তা দ্রুত প্রসারও লাভ করছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার কথায় মাথায় আসলো; আসলেই প্রশংসা পাওয়ার বিষয়টা আমি লিখিনি। আপনার কথা সত্য। টিভিতে এখন কিছু শো হয়, যেখানে মূল টার্গেটই থাকে অন্যকে অপমান করা। হিন্দি একটা শো আছে, তার কাটপিস দেখেছিলাম; যেখানে গালি পর্যন্ত দেওয়া হয়। ভাবা যায়? টিভি ছিলো একটা সভ্য জায়গা, সেখানেও এখন অন্যকে অপমান করাটাই একটা শো বিজনেস!

আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়বার জন্য।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুন বলেছেন: এ কালচারটি শুধু যে প্রশ্রয়ই পাচ্ছে তা নয়, প্রশংসাও পাচ্ছে। ফলে তা দ্রুত প্রসারও লাভ করছে। সহব্লগার খায়রুল আহসান এর সাথে সম্পুর্ন একমত। এটা যে সমাজের জন্য কতখানি হানিকর তা বোধহয় বুঝতে অক্ষম এই প্রজন্ম। তবে এই প্রজন্মের কথাই বা বলি ক্যানো! আমাদের মাঝে যারা বয়সে,বা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জীবন এর শেষ প্রান্তে এসে পৌছেছে তারাও অনেকে এই কালচারকে আপন করে নিয়েছে। মানুষকে ছোট করা, অপমান করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা এখন কিছুই না। আমি এই জিনিসগুলোতে অভ্যস্ত হতে পারলাম না কেন জানি :(

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম; কথা সত্য।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ফ্রেন্ডস আর বিগ ব্যাং থিওরি না দেখলে আপনি কুল হতে পারবেন না।এমনকি এগুলো না দেখে থাকলে মানুষই না আপনি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়েছেন কি? পড়ে থাকলে অবশ্য এমন মন্তব্য আসতো না। কারণ আমি ওদের কালচার বোঝার কথা বলিনি; বলেছি মানুষকে অপমান করার যে অভ্যাসটা তারা দেখিয়েছে সেটার কথা।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

কুশন বলেছেন:



আপনি যেই পরিবেশে বাস করছেন, সেখানে পশ্চিমের মানুষ নেই, তাদের সংস্কৃতিও নেই; আপনি নিজেও পশ্চিমের মানুষ নন; ফলে, পশ্চিমের মুভি, শো, ইত্যাদি নিয়ে আপনার সঠিক ধারণা কখনো হবে না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়েছেন কি? পড়ে থাকলে অবশ্য এমন মন্তব্য আসতো না। কারণ আমি ওদের কালচার বোঝার কথা বলিনি; বলেছি মানুষকে অপমান করার যে অভ্যাসটা তারা দেখিয়েছে সেটার কথা।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৬

সোবুজ বলেছেন: এখন ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের যুগ।সম্মান করার দরকার নাই।অসম্মান না করলেই হলো।ডান হত যদি ব্যস্ত থাকে বাম হাতে কাউকে কিছু দিলে তাতে তাকে অসম্মান করা হয় না।সম্মানের ধারনা পান্টাতে হবে।আধুনিক হওয়া দরকার।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অন্যকে সম্মান না করতে পারলে নিজেকে কখনোই সম্মান করা সম্ভব না। আমাকে আমার কাজটা করতে দেওয়া, বা আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়া; এটা সম্মানের একটা পর্যায়। সেটা না করে আমার ভুলগুলিকে ফুলিয়ে ফাফিয়ে মানুষের সামনে হাস্যরসাত্মক করে তুলে ধরাটা অসম্মানের। আমার বিশ্বাস আধুনিক ধারণায় সম্মান-অসম্মানের এই জায়গাটুকু বদলে যায়নি।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৮

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: রোস্টিং
রোস্ট করা এখন কারো কারো পেশা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমরাও কিন্তু রোষ্টিং দেখে মজা পাই; যেটা হবার কথা ছিলো না।

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: সম্মান অসম্মানের বোধ দেশ কাল পাত্র ভেদে আলাদা।
মুখ গোজ করে মাথা নিচু করে কথা না বলাকে আমাদের দেশে সম্মানের ধারনা করা হয়। বড় হলেই সম্মান করতে হবে । ছোটদের এবং ছোটলোক মানে গরিবদের যা খুশি বলা যাবে এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি।
আমি এটাকে সঠিক মনে করি না। পরিবর্তন জরুরী।
মানুষ মাত্র সবাইকে মানুষ মনে করে সম্মান করা খুব প্রয়োজন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অন্যকে সম্মান না করতে পারলে নিজেকে কখনোই সম্মান করা সম্ভব না। আমাকে আমার কাজটা করতে দেওয়া, বা আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়া; এটা সম্মানের একটা পর্যায়। সেটা না করে আমার ভুলগুলিকে ফুলিয়ে ফাফিয়ে মানুষের সামনে হাস্যরসাত্মক করে তুলে ধরাটা অসম্মানের। আমার বিশ্বাস আধুনিক ধারণায় সম্মান-অসম্মানের এই জায়গাটুকু বদলে যায়নি।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য,




দিন যতোই যাচ্ছে, মানুষের মূল্যবোধ- মানসিকতা-সভ্যতা ততোই নোংরা হয়ে যাচ্ছে।
কোথাও সুস্থ্য বিনোদনের ছায়াও নেই বলে মানুষ ঢুকে যাচ্ছে অসুস্থ্য বিনোদনের জগতে। এমন কাটতিতে শো-বিজনেসগুলো আরও ভয়ঙ্কর আক্রমনাত্মক হয়ে উঠছে দিনকে দিন। ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষকে অপমান করার বিষবাষ্প। এসব নোংরামীর খেলায় মেতে ওঠার কুফলেই মানুষ তার আত্ম-সম্মান হারিয়ে জড় পদার্থে পরিনত হচ্ছে দিনকে দিন।

ভাবনা জাগানো লেখা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতিতে আমাদের পুরা পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ বা একই পাড়ার সদস্য হবার কথা ছিলো। তা না হয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি আর অপমানে ব্যস্ত।

টিভি ও বিভিন্ন শো বিজনেস গুলি আমাদের উপরে বিশাল প্রভাব ফেলে। টিভি আগে একটি সময়ে সুস্থ্য বিনোদোনের একটা উৎস ছিলো; এখন সেটাই অসুস্থতায় পরিনত হয়েছে। :(

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৫

গরল বলেছেন: সমাজের আপামর জনসাধারণের কথা চিন্তা করেন। আমরা একজন রিক্সাওয়ালা, দিনমজুর বা কাজের বুয়ার সাথে কেমন আচড়ণ করি? শুধু মুখে মুখে রিক্সাওয়ালাকে চাচা বা কাজের বুয়াকে খালা বলে সম্বোধন করেই কি যথেষ্ঠ সম্মান প্রদর্শন করা হয়? তারা যদি আমাদের বাসায় আসে তাদেরকে আমরা কোথায় বসতে দেই, কিসে খেতে দেই বা আদৌ বাসার ভেতর ঢুকতে দেই কিনা। আমারতো মনে হয় আমরা আদিকাল থেকেই বেয়াদব। এখানে কালের কোন দোষ নাই, শুধুমাত্র স্তরটা পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। আমাদের ভাষার মধ্যেই বেয়াদবি, তুই তুমি আপনি আর অন্য কোন ভাষায় আছে কিনা আমার জানা নাই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কালের দোষ আমি দেইনি। দোষ আমাদেরই!

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের রাজনীতি যেমন কিশোর গ্যাং তৈরিতে দায় তেমনি মানুষকে বেয়াদব ও লোভী করতে এই রাজনীতিই দায়

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমরা কম বেশী সবাই দায়ী!

১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আছি। ইদানিং আড্ডারত ছেলেদের দেখেছেন ? ভার্সিটিতে পড়ুয়া , কলেজ পড়ুয়া শিক্ষিত (!) ছেলেরা , আড্ডার মাঝে হুট্ হুট্ মাকে তুলে গালাগালি করে কথায় কথায় ! যার মাকে গালি দেয়া হচ্ছে সেও চুপচাপ শুনছে.... এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় ! ওই ছেলেটার কি একটু খারাপ লাগে না। এরা আসলে নিজেরাই একে ওপরের মা কে গালি দিচ্ছে, কি আশ্চর্য ! করো একটু সম্মানবোধ নেই !

আপনার সুন্দর এই পোস্টে ভালো লাগা রইলো। ++

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনাকে আমি বলে বুঝাতে পারবো না যে ঠিক এই বিষয়টা আমাকে কত কষ্ট দেয়। আমি এলাকায় কখনওই কারও সাথে মারামারি করি নাই। একবার আমার আব্বার দিকে তাকিয়ে একটা ছেলে চিৎকার দিছিলো। সে কম করে হলে আমার থেকে ১০ বছরের বড়। আমি তার দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিলাম।

মাকে নিয়ে কেউ টু শব্দ করতে পারেনি কখনও।

আর এরা মাকে নিয়ে এত বাজে কথা শুনেও হাসে! কিভাবে?

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেশে বেয়াদবির কালচার বেড়েই চলেছে। তরুণ কোন গ্রুপ বাস/ট্রেনে থাকলে পরিবারের বয়স্ক বা মহিলা সদস্য থাকলে নিজের কাছে খুব বিব্রতকর লাগে। তবে এটার জন্য বিদেশী সিরিজকে আমি দায়ী মনে করি না। আমি নিজে ১০ বছর দেশের বাইরে ছিলাম। আমি নিজেও একজন সিরিজ ম্যানিয়াক। তবে এখনও 'আনস্মার্ট' ভদ্র বাংলাদেশীই রয়ে গেলাম...

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি আসলে বিদেশী কালকার বা সিরিজকে কোন ভাবেই দোষী করি নাই; আবার করেছি!

আমি মূলত ওগুলিকে উদাহরণ হিসাবে নিয়ে এসেছি। মিডিয়ার একটা বড় অংশই অন্যকে অপমান করার কালচারের শিক্ষা দেয়। আমরা যেহেতু মিডিয়ার যুগে আছি; তাই মিডিয়া আমাদের কোন না কোন ভাবে প্রভাবিত করছেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.