নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
প্রচন্ড শরীর খারাপ ছিলো। কোন অবস্থাতেই অফিসে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো না। ম্যানেজারকে জানিয়ে দিলাম যে আজকে আমি সিক লিভ নিতে বাধ্য হচ্ছি।
প্রতি বছর আমাদের কোন প্রমানাদি না দেখিয়েই ৭দিন সিক লিভ নেওয়া যায়। গত তিন বছরে আমার সিক লিভের পরিমান কখনোই ৩ এর বেশী যায়নি পুরা বছরে। সেহেতু ম্যানেজার কোন কথা না বলেই মেনে নিলেন; শুধু মনে করিয়ে দিলেন যে ১০:৩০ এ মিটিং এ জয়েন করতে।
আমাদের নতুন একটা সিষ্টেমের গ্লোবাল রোলআউট হচ্ছে আগামী মাসে। সেটা কিভাবে কাজ করবে, কি কি পলিসি তৈরী করা হয়েছে সেগুলির বিষয়েই আজকের মিটিং।
মিটিং এ দেখা গেলো যে নতুন পলিসিতে বেশ কিছু ঘাপলা আছে। যেগুলি আমাদের কাজকে সহজ তো করবেই না; বরং কাজ করাকেই অসম্ভব করে দিবে!
কয়েকজন দেখি মিটিং এর মধ্যে এমন সব আজব প্রশ্ন করা শুরু করলো যে উত্তরদাতা বিপাকে পড়ে গেলো। এমনকি একজন সরাসরি প্রশ্ন করে বসলো যে তারা বর্তমান প্রচলিত পলিসি পড়ে দেখেছেন কি না!
----------------------------------
প্রশ্ন, এমন একটা বিষয়, যেটা আপনার একটা মন্দ আইডিয়াকে ভালো, ভালো আইডিয়াকে আরও ভালো কিংবা চরম ভালো আইডিয়াকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে।
একটা বই পড়েছিলাম। নাম start with why। বইটি পড়বার মত একটি বই। এটা আপনাকে মহাজ্ঞানী বানিয়ে দিবে না। কিন্তু আপনাকে কিছুটা হলেও ভাবতে শিখাবে। এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটা কথাই হচ্ছে, যে কোন কাজ করবার আগে শুরু করুন কেন করবেন সেটা দিয়ে।
বিভিন্ন গ্রুপ মিটিংএ আমারা সাধারণ একজন দুইজন মানুষ এমন পাই, যারা প্রশ্ন করেন এমন প্রশ্ন, যে উত্তরদাতা আটকে যান। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন করেন এমন প্রশ্ন যে উত্তরদাতার মনে হতেই পারে যে তাকে উঠিয়ে আছাড় দেই!
পয়েন্ট আকারে কিছু কথা দিচ্ছি, এগুলি একটু গভীরে চিন্তা করুন। এগুলি ফলো করুন, আগামী মিটিং এ আশা করা যায় কেউ আপনাকে তুলে আছাড়া দিতে চাইবে না!
১. প্রথমে চিন্তা করুন যে আপনি আসলে কি জানতে চান, জানাটা জরুরী কি না। শুধু প্রশ্ন করার জন্য একটা প্রশ্ন করার কোন মানে নাই।
২. কি জানতে চান সেটা বোঝার পর বুঝুন যে আপনার জানতে চাওয়ার উদ্দেশ্য কি। কাউকে আটকে দেওয়া? নাকি বিষয়টা সম্পর্কে আরও ক্লিয়ার হওয়া। যদি কাউকে আটকে দেওয়া আপনার উদ্দেশ্য হয়, তাহলে থামুন; প্রশ্ন করার কোন দরকার নাই।
৩. যদি সম্ভব হয়, এমন ভাবে প্রশ্ন করুন, যাতে উত্তর দাতা হ্যাঁ বা না দ্বারা উত্তর দিতে পারে। প্রয়োজনে আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করুন। তবে অতিরিক্ত সময় নিবেন না।
৪. কাকে প্রশ্ন করবেন এটা জরুরী। যদি আপনি নিশ্চিত না থাকেন যে মিটিং এ আপনার প্রশ্নের উত্তরটি কে দিবে, তাহলে সেটা প্রথমেই ব্যাখ্যা করে নিন। আমি এই মুহুর্তে মাইকে আছি বলেই আমাকেই প্রশ্নটি ছুড়ে দিবেন এর কোন মানে নেই। আমি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারি।
৫. কখন প্রশ্ন করবেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। মিটিং এর প্রথমেই সাধারণত ঘোষণা করা হয় যে শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে কি থাকবে না। অনেক সময় প্রেজেন্টেশনের মধ্যেই প্রেজেন্টার জিজ্ঞাসা করেন যে এ বিষয়ে কারও প্রশ্ন আছে কি নাই। যদি এমন ভাবে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে তখনই প্রশ্ন করুন। নচেৎ শেষের জন্য অপেক্ষা করুন।
৬. আপনার উত্তর দেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। অনেক মানুষ নিজেকে এতটাই স্মার্ট মনে করেন যে উত্তরদাতা উত্তর শেষ করার আগেই সম্পূরক প্রশ্ন ছুড়ে দেন কিংবা নানান অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। ফলে যিনি উত্তর দিচ্ছেন, তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। এমনটা করা কখনোই উচিৎ নয়। আগে শুনুন তিনি কি বলছেন, তারপর প্রয়োজনে সম্পূরক প্রশ্ন করুন।
৭. যদি আপনি উত্তর না পেয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমে দেখুন যে বাকি জনতা ঐ প্রশ্নের উত্তর পেতে চায় কি না। যদি সবাই বা বেশীরভাগ লোক চায়, তাহলেই সেটা নিয়ে আরও আলোচনা করুন। না হয় উত্তর দাতাকে জানিয়ে দিন যে আপনি পরে তার সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করতে চান। এবং কারণ হিসাবে আপনার আরও জানার আগ্রহ ব্যক্ত করুন। এমন ভাবে বলবেন না যেন মনে হয় মিটিং শেষে তার মাথা ফাটাবেন!
৮. ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। আপনি প্রশ্নের উত্তর পান বা না পান, উত্তরদাতাকে সুন্দর করে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৩৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: প্রায়? নাকি সব সময়? আবার আমার লেখা গুলি পড়ুন।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৩
জ্যাকেল বলেছেন: হাঃহাঃহাঃ সব খেই হারিয়ে ফেললাম প্রথম কমেন্টে এসে। তবে দুঃখের কথা কি, এই টাইপ প্রশ্নকর্তার জন্য আমার অনেক ক্ষতি হইয়াছে জীবনে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জীবনটা এমনই। কেউ সামনে আগিয়ে নিতে চেষ্টা করবে, কেউ পিছ থেকে টানবে। এভাবেই চলতে হবে।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ১.প্রশ্ন করে জিনিয়াসরা
২.প্রশ্ন না করলে গুগল দেউলিয়া হবে
৩.প্রশ্ন
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ১. না, বোকারাও প্রশ্ন করে
২. গুগলের তো আরও অনেক কাজ আছে
৩. হুম!
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যাদের ধারণা আপনার মত, তাদের জন্য নিচের এই ছবিটিঃ
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মিটিং ফিটিংয়ে আমি চুপই থাকি।
সবার কথা চুপ করে শুনি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একেবারে চুপ থাকা ভালো মনে করিনা।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
জ্যাকেল বলেছেন: হাঃহাঃহাঃ সব খেই হারিয়ে ফেললাম প্রথম কমেন্টে এসে। তবে দুঃখের কথা কি, এই টাইপ প্রশ্নকর্তার জন্য আমার অনেক ক্ষতি হইয়াছে জীবনে।
আমি ১ এর সঙ্গে ৪ এর প্রতিউত্তরেও হারাইয়াছি আমারে
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খেই কি আমিও হারাইনাই?
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭
জুন বলেছেন: একবার কক্সবাজার থেকে আসছি প্লেনে, এক মন্ত্রীর জন্য ১৫ মিনিট ডিলে তারুপর পেছনের সীটে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া এক বছর সাত আটেকের ছেলের তার বাবার কাছে ক্রমাগত প্রশ্নের পর প্রশ্ন । উত্তর দেয়ার আগেই আরেক প্রশ্ন। আমরা যখন প্রচন্ড মাথা ধরা নিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর ঢাকা ল্যান্ড করলাম তখন ছেলেটার বাবা আমাদের প্রচন্ড বিরক্তি ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে লাজুক হেসে বল্লো "ছেলেটা আমার খুব জিনিয়াস"
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাচ্চা-কাচ্চাদের প্রশ্নো আমিও ভয় পাই। একবার খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পথে এমন একটা পিচ্চির পাল্লায় পড়েছিলাম। সে ঘটনা আর একদিন বলবো হয়ত!
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পোস্টের মূল অংশে ভালো কিছু বুদ্ধি দিয়েছেন। মানুষের কাজে লাগবে।
প্রশ্ন করতে পারাটা একটি আর্ট। এই আর্ট সবাই পারে না।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৫৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কারও উপকারে আসলেই লেখা সার্থক হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২৮
বিষন্ন পথিক বলেছেন: আপনি প্রায়ই জাহির করতে চান আপনি মরুর দেশে ভালো একটা চাকরী করেন। আপনার পোষ্টটি লিন্কডইনের জন্য উপযুক্ত যেখানে কিছু লোক 'ঠিক বলেছেন স্যার' বলতে বলতে ফেনা তুলবে