নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা নানান কর্মকান্ড করেন। কখনও ছাড় দেওয়া, কখনও গিফট দেওয়া, কখনও বাড়তি কিছু দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু আপনি জানেন কি, দাম বাড়ানোটাও মার্কেটিং এর একটা পদ্ধতি!
মূল লেখায় যাওয়ার আগে একটা উদাহরণ দেই। বেশ আগের কথা। তখন ডেটলের সাবানের দাম খুব সম্ভবত ৮ অথবা ১০ টাকা ছিলো। ধরে নেই ১০টাকাই ছিলো।
হঠাৎ একদিন বিজ্ঞাপন দেখি যে এখন ডেটল সাবান ২টাকা কমে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে! ঘটনা কি রে বাবা? দাম তো ১০টাকাই ছিলো। পরে বুঝতে পারলাম, তারা মূলত দাম বাড়িয়ে ১২টাকা করেছে। কিন্তু সেটাতো আর ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলা যায় না। তাই তারা আবার বাড়ানো দাম থেকে ২টাকা কমিয়ে সেটার প্রচারণা করছে; অফার শেষ হলেই দাম ১২টাকা হয়ে যাবে। বিশ্বাস করেন, এই পদ্ধতিতে দাম বাড়ালে কাজ হয়! ক্রেতা ভালোই কিনে!
যাই হোক, মূল যে পদ্ধতি নিয়ে কথা বলবো, উপরের উদাহরণ মূলত সেই পদ্ধতি ফলো করা না। তাহলে সেই পদ্ধতিটি বলি, উদাহরণ দিয়েই বলি।
২০১৯ এর শেষ ও ২০২০ সালের শুরুর কথা। স্যামস্যাং এর গ্যালাক্সি এস১০ সেট এর দাম এর আগে সৌদী আরবে প্রায় ২,৫০০ রিয়াল ছিলো। হঠাৎই তারা দুই সপ্তাহের জন্য ছাড় দিলো। দাম ১,৯৯৯ রিয়াল। বেশ অনেকেই হুড়মুড়িয়ে কিনলো। আমি আর আমার ম্যানেজার, দুজনেরই এস১০ সিরিজের ফোনের দিকে আগ্রহ ছিলো। আমার ম্যানেজারের এস১০ প্লাস; আর আমার শুধু এস১০।
আমার ম্যানেজার বললো যে দু-সপ্তাহ পরে দেখবা আবার অফারের মেয়াদ বাড়াবে। আমি হেসে মাথা নাড়িয়ে বললাম, খুব সম্ভবত সেটা হবে না। হলে বোকামী হবে।
কেন?
দাম কমে গেছে; এই বিষয় সবার মাথায় থাকবে। অনেকেই তখন আরও কমে ব্যবহৃত সেট কেনার চেষ্টা করবে। আর দাম তো কমেছেই, সেই গা ছাড়া ভাবটা চলে আসবে। তাই আমার ধারণা তারা দু সপ্তাহ পরে আবার দাম বাড়িয়ে দিবে। ১/২ মাস বেশী দামেই রাখবে, তারপর আবার দাম কমাবে। আর যেই না দাম কমবে, অনেকেই হুড়মুড় করে পড়বে কম দামে কেনার জন্য; কারণ তারা মনে করবে এই অফারও শেষ হয়ে যাবে, এবং তারপর দাম বাড়তে পারে। এরপর আর দাম কমবে না, হঠাৎই বড় বড় সপ ও ওয়েব সাইট থেকে এইটা হাওয়াই হয়ে যাবে।
আমি আমার ম্যানেজারকে তখনই বলেছিলাম, যদিও আমি জানি যে কম দামে বেশ অনেকদিন থাকবে; তারপরও আমি নিজেই আবার দাম কমলে হুড়মুড়িয়ে গিয়েই কিনবো!
দেখা গেলো সত্যি সত্যি দাম বেড়ে গেলো দু-সপ্তাহ পরে। এরপর পুরা আড়াই মাস পরে যেদিন সবার স্যালারী ঢুকে (সৌদীতে সাধারণত মাসের ২৬/২৭ তারিখ বেতন হয়) সেদিনই দাম কমে গেলো। আমি ফেব্রুয়ারীর ১তারিখে গেলাম কিনতে, পুরা দোকানের ৯৫% ভিড় ঐ ফোনের বুথের সামনে!
--------------------
আপনার কোন পণ্যের যদি ভালো চাহিদা থাকে; আর আপনি হঠাৎই বিক্রি বাড়াতে চান; এই পদ্ধতি কাজ করে। তবে প্রোডাক্ট যদি জনপ্রিয় না হয়, তাহলে এটা কাজ করার সম্ভবনা কম।
---------------------
দেশে থাকতে আমার একটা প্রোডাক্টে প্রথম উদাহরণে বলা কাজটি করেছিলাম; এবং সেটি কাজও করেছিলো।
---------------------
বহুদিন থেকে ভাবছিলাম যে একটা কিন্ডেল কিনবো। বই পড়বার জন্য। দাম ২৬৯ এ ঠেকে ছিলো। গত এপ্রিলের শুরুতে দাম হঠাৎই ৩৯৯ এ গিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। আজকে এবং আগামীকাল এমাজন প্রাইম ডে। আজকে দেখি দাম ১৯৯ করে দিয়েছে। কিনবো কিনা ভাবছি। আগামীকালের পর দাম আবার ২৬৯ হবার কথা। হয়ত কিছুদিন ৩৯৯ এ থেকে আবার ২৬৯ এ নেমে আসবে, বা কিঞ্চিত কমবে।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মূলত শখ না। আমি বই পড়তে খুব পছন্দ করি। নীলক্ষেত থেকে আগে ৭০-৭৫ টাকায় বই কিনতাম; পড়তাম। সৌদী আসবার পর এখন আর ৭০-৭৫ টাকায় বই কিনে পড়া সম্ভব হয় না; ৭০-৭৫ রিয়াল দাম লাগে! তাই বই কেনা হয় না।
আমি দিনের এক তৃতীয়াংশ কম্পিউটারের সামনে থাকি; বিভিন্ন ওয়েব সাইটে এটা ওটা পড়ি। কিন্তু বই পড়ার কথা আসলে কম্পিউটারে পিডিএফ পড়ে কেন যেন পোশায় না! এজন্যই কিন্ডেল কিনবো ভাবছি। একবার বড় ভাইয়ের কিন্ডেল কিছুদিন কাছে রেখে দেখেছি; বই পড়ার ফিলটা পাই।
আরও দেড়দিন বাকি আছে; ভাবছি কি করবো। হয়ত কিনেই ফেলবো!
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: মনে রাখবেন, এই দেশে জীবনের দাম ছাড়া সবকিছুরই দাম বাড়ে।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দামের চিন্তা না করে কিন্দেল কিনে ফেলেন। কথায় আছে শখের তোলা আশি টাকা।