নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় সেমিষ্টারের ছাত্র তখন। ইকোনোমিক্স এর শিক্ষক ক্লাসে ঢুকলেন। বেশ বয়স, ৬৫-৬৭ হবে। সাদা ধবধবে চুল। মুখে সুন্দর দাড়ি। আর সুন্দর হাসি। মানুষটিকে দেখা মাত্রই পছন্দ হওয়ার মত। নাম, মাহবুবুল আলম।
স্যারের ক্লাসের শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত। ইকোনোমিক্স কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটার উপরে উনি গল্পচ্ছলে সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন। আমরা মুটামুটি মুগ্ধ। স্যার কিছুদূর পড়াতেই একটি স্লাইড আসলো, এটায় একটা গ্রাফ থাকবার কথা। কিন্তু প্রোজেক্টরের দুর্বল আলো আর স্যারের করা বই থেকে স্ক্যান; দুয়ে মিলে আমরা কিছুই দেখতে পেলাম না। স্যার একটু অস্বস্তির মধ্যে পড়লেন। ক্লাসের মাঝেই হঠাৎ বললেন আজকে আর পড়াবো না।
আমি ঐদিন বাসায় ফিরে বেশ ঘাটাঘাটি করতে করতে একই লেখকের একই গ্রাফ গুলি পেয়ে গেলাম। পুরো বইয়ে যে সব গ্রাফ আছে, তার প্রায় সবই ঐখানে আছে। এটা ডাউনলোড করে ব্যবসা ব্যতিত অন্য সব খানে ব্যবহার লিগ্যাল; বিশেষ করে ঐ বইয়ের সাথে পড়ার জন্য বা ঐ বই পড়ানোর জন্য। পেন ড্রাইভে স্লাইড গুলি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম পরদিনই। স্যার মহা খুশি। সেই খুশি পরবর্তিতে স্যারের সাথে বড় বড় প্রোজেক্টে কাজ করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই সুযোগ খুলে দিয়েছে। স্যারের কোন কিছু খুঁজতে হলে আমাকে বলতেন।
গুগলিং, মূলত গুগলে কোন কিছু খোঁজাকে বলে। এটা তো কমবেশী সবাই পারে। কিন্তু গভীরে গিয়ে কতজন পারে? গুগলে খোঁজাার কিছু ট্রিকস আছে যেগুলি আয়ত্ব করতে পারলে দরকারী জিনিষ খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
ধরেন আপনি একটা ওয়েব সাইট বানাচ্ছেন। কোন একটা ফর্ম বা কোন কিছু বানাতে চান, কিন্তু আপনার জ্ঞানের মধ্যে সেটা নাই। গুগলে সাধারণত আপনি উত্তর পেয়েই যাবেন। তবে সঠিক ভাবে খুঁজতে পারাটা জরুরী।
কয়েকদিন আগে আমাদের একটা গ্রুপে হঠাৎই একজন একটা পোষ্ট করে বসলো যে তার প্রতিষ্ঠানে একজন সিভি দিয়েছে, এবং স্কিলস এর জায়গায় এক নম্বরে গুগলিং দিয়েছে! সে ঐ গ্রুপে হাসি ঠাট্টার জন্যই পোষ্ট দিয়েছিলো, কিন্তু প্রায় শ'পাঁচেক কমেন্ট পরে সে পোষ্টটি ডিলিট করে দিলো। কারণ প্রায় সবাই গুগলিংকে আসলেই একটি স্কীল হিসাবে দেখছে; বিশেষ করে আইটি সেক্টরে। ঐ পোষ্টে একটি কমেন্ট ছিলো, খুব মনে ধরেছে।
কমেন্টটা এমন ছিলোঃ
পারসিউট অফ হ্যাপিনেস মুভিতে ক্রিস (নায়ক) ইন্টারভিউতে বলে, Can I say something? I’m the type of person, if you ask me a question, and I don’t know the answer, I’m gonna tell you that I don’t know. But I bet you what. I know how to find the answer, and I will find the answer. Is that fair enough? এবং সে ইন্টারভিউতে সফলও হয়। আর এই লোক পুরা কথাটা মাত্র একটা শব্দ "গুগলিং" এ বলে দিয়েছে। তাকে চাকরীটা দাও
উপরে লেখা ইংরেজী অংশটুকু আমার চরম পছন্দের। সত্য বলতে আমি নিজে এই কথা গুলি, হুবহু, তিনটি ইন্টারভিউয়ে ব্যবহার করে তিনটিতেই সফল হয়েছি।
--------------------
গুগলিং এ এক্সপার্ট হতে চান? গুগলে সার্চ দিন তাহলে। হ্যাপি গুগলিং!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার এই ধারণা গুলি নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতে পারে। সেটা না হয় অন্য পোষ্টের জন্য রেখে দিলাম।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গুগলে খোঁজাার কিছু ট্রিকস আছে যেগুলি আয়ত্ব করতে পারলে দরকারী জিনিষ খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। এই ট্রিকস গুলো নিয়ে একটা পোষ্ট আসলে ভালো হত। আমার মত অনেকের উপকার হত । এখন তিন ধাপে তথ্য খুঁজতে পারি বা কাঙ্খিত তথ্য হাতে আসে। তখন সময় কম লাগবে আশা করছি।
ধন্যবাদ ! ভালো পোষ্ট!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, ইচ্ছা আছে সামনে কিছু টিপস শেয়ার করবার।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ছোট, কিন্তু ভালো একটা পোস্টে প্লাস।
আমাদের ছাত্র জীবনে বই আর শিক্ষকদের ক্যারিশমাটিক জ্ঞানদান থেকে জ্ঞানার্জন ছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি ছিলো না। এই বুড়ো বয়সে এসে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে অল্পবিস্তর পরিচয় হয়েছে। সেই সবের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই- জাস্ট স্ব শিক্ষায় যতটুকু সম্ভব রপ্ত করে টুকটাক কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্ঞান চর্চার জন্য বর্তমানে দুর্দান্ত একটা সময়। তবে কু-জ্ঞান ও কিন্তু ভরপুর এখন। হাতের মুঠোতেই দুটোই পাওয়া যায়।
শিক্ষিত আর স্বশিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য আছে। স্বশিক্ষিতরাই মূলত শিক্ষিত।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু টেকনিক শেয়ার করেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্বী; ধীরে ধীরে শেয়ার করবার ইচ্ছা আছে।
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য ভাই। নাহ আমি আপনাকে ধণাত্মক শূণ্য বলবো। যাইহোক শূণ্য ভাই, টেকনিক গুলো শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবে। সেই অনেকের মধ্যে আমিও আছি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ইন শা আল্লাহ শেয়ার করবো
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতা বলে, গুগলিং এখন সবার নখদর্পণে। আমার ছোটো ছেলেকে ৮-৯ বছর বয়সের সময় থেকে দেখছি, মুহূর্তে সবকিছু বের করে ফেলে, যত ধরনের পদ্ধতি আছে, সবগুলোই সে অ্যাপ্লাইয়ে পটু।
আমি ৯৮-এ ইন্টারনেটে সার্চ করে রিসার্চ করেছি। তখন গুগল ছিল না, তবে অনেক ধরনের ইনফরমেশন আর্কাইভ ছিল। শখের বশে অনেক ফ্রি-ডোমেইনও বানিয়েছি। গুগল এখন নলেজ ব্যাংক বা ওপেন লাইব্রেরি। যারা ইন্টারনেটে বাস করেন, কিন্তু গুগলিং কী, শেখেন না, বা পেছনে পড়ে আছেন, তাদের দ্রুত এটা শিখে ফেলা উচিত।
মোটামুটি ভালো লিখেছেন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: না, গুগলিং আসলে সবার নখদর্পনে না। মূলত গুগল মানুষের খোঁজার প্যাটার্নের দিকে খেয়াল রেখে খুব দ্রুত গতিতে নিজেদের সিষ্টেম আপগ্রেড করছে, এ জন্য মানুষ অনেক কিছুই সহজে পাচ্ছে। কিন্তু, গুগল সহজে কিছু জিনিষ সব সময় দেখায় না। এগুলি খুঁজে পাওয়া একটা দক্ষতা।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:১৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অবশ্যই গুগলিং একটি যোগ্যতা।
কলাবাগান১ এর মন্তব্যটি এই পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। তার বক্তব্যের ভাবার্থ অত্যন্ত গভীর। তার মন্তব্যের সুত্র ধরেই বলবো প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহনের জন্য কোথায় যেতে হবে আর কি করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে এটা যে জানে সেই আসলে পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছাত্র।
আপনার আধ্যাপকের জন্য নেট থেকে গ্রাফগুলো খুজেঁ বের করার ঘটনাটাও সেই পরিশ্রমের উদাহরণ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অনন্ত হৃদয় বলেছেন: আমার এক প্রিয় আইটি ইন্জিনিয়ার " ইন্জিয়ার মাহফুজ আজিজ" উনি আমাকে একটা কথা সব সময় বলতেন, "আপনাকে সব কিছু জানতে হবে এমন কোন কথা নেই,তবে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটা কোথায় খুজে পাবেন তা যদি জানেন তার মানে আপনি এক্সপার্ট"।
আপনার লেখা পড়ে কথাটা আবার মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ!
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: উনার কথা একদম সত্য!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আমি আমার প্রথম ক্লাশে প্রায়ই বলি যে ক্লাশের সব ছাত্র/ছাত্রীদের ইন্টেলেক্ট লেভেল মোটামুটি কাছাকাছি but what makes the difference among A, B, and C students??
A grade students know where to go and how to retrieve ONLY the necessary information (focused). B grade students know where are the info but spend a lot of time to find the necessary information. And C grade students don't know where to go (library/google, website) and how to retrieve necessary information. Moreover C students start to look for information the night before the exam (not disciplined) !!!! But once all three types get the necessary information, level of understanding does not vary that much.