নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
নয়া উদ্যক্তাদের একটা সেমিনার থেকে বের হয়ে পলাশীর মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আকাশে একটু মেঘ, যে কোন সময় বৃষ্টি নামতে পারে।
সরোয়ার নামে এক ভাই এসেছিলেন উত্তরা থেকে। উনি হঠাৎ আড্ডার মধ্যে প্রশ্ন করে বসলেন, কোন ব্যবসায় লসের সম্ভাবনা নাই কিন্তু ম্যালা ম্যালা লাভ? সবাই একটু মাথা চুলকিয়ে বললো যে এমন করে বলা কঠিন।
আমাদের মধ্যে সরেস এক ভাই ছিলেন, উনি বললেন, চটপটি বিক্রি করে কেউ কখনও দেউলিয়া হয়নি!
পক্ষে বিপক্ষে বেশ আলোচনা হলো। শেষ পর্যন্ত সবাই মোটামুটি নিশ্চিত, হ্যাঁ চটপটির ব্যবসা বেশ লাভজনক, এবং এতে লসের সম্ভবানা খুব কম।
বিষয়টা ওখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু মাস দুয়েক পর আমরা সরোয়ার ভাই থেকে একটা দাওয়াত পেলাম, চটপটি খাওয়ার দাওয়াত। পরে জানতে পারলাম যে আরও কয়েকজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমি তখন কল্যানপুর থাকি, আর ঐ সরেস ভাই থাকেন শ্যাওড়াপাড়া। দুজন এক সাথে চলে গেলাম।
লোকেশন মত গিয়ে দেখি অন্যরকম কান্ডকারখানা! আমরা ভাবেছিলাম হয়ত নামকরা কোন একটা জায়গায় দাওয়াত কিংবা হয়ত যাষ্ট একটা আড্ডা। কিন্তু না, সরোয়ার ভাই নিজেই চটপটির দোকান খুলে বসেছেন! সেটার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান।
মূলত উনাদের বাড়ির নিচেই একটা দোকানের জায়গা করা ছিলো। উনি দোকানটা কাউকে ভাড়া না দিয়ে চটপটির দোকান খুলে বসেছেন।
আমার জানা মতে উনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই ব্যবসার সাথে ছিলেন। মূলত পরিচালনা করাতেন উনারই এক কাজিনকে দিয়ে। এর পর অবশ্য উনার সাথে আর তেমন যোগাযোগ নাই। শুনেছি তিনি নাকি অন্য কোন দেশে থাকেন।
আমার এলাকায় একজন ছিলো, আব্দুর রহমান নামে। ভদ্রলোক অশিক্ষিত, তার বড় ছেলেও অশিক্ষিত। বাপ-ব্যাটার দুইটা চটপটির দোকান ছিলো, ভ্রাম্যমান। সকালে বাপ দোকান দিতো গার্লস স্কুলের সামনে, আর ছেলে বয়েজ স্কুলের সামনে। বিকালে বাপ বসতো বাজারের দক্ষিন মাথায়, ছেলে বসতো উত্তর মাথায়। যদ্দুর জানি তাদের দুইটা পাঁচতলা বাড়ি আছে। আর বাকি ৪টা ভাইবোনের সবাই ডাক্তার, উকিল ও ইঞ্জিনিয়ার!
আর এক লোকের কথা বলি। মিরপুর ১১তে আমার অফিস, অফিসের উল্টাপাশে একটা স্কুল। সেই স্কুলের সামনেই দাড়াতো এক ছেলে, ঝালমুড়ি আর আমড়া (অথবা সিজনাল ফল, যেটা মাখিয়ে খাওয়া যায়) নিয়ে। একদিন গল্পে গল্পে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তার মাসে ৩০হাজার ইনকাম আছে কি না। সে বললো, না মামা, ৩০ এ কি দুইটা সংসার চলে?
দুইটা মানে? তাকে জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর করলো, একটা এখানে (ঢাকাতে) অন্যটা চাঁদপুরে। ১-২৫ তারিখ ঢাকা থাকি, বাকি ৫/৬দিন থাকি চাঁদপুর।
সেদিন মনে প্রশ্ন জেগেছিলো, যারা চাকরী করে টাকা ইনকামের উদ্দেশ্যেই লেখাপড়া করে, তারা কেন এমন কোন একটা কাজে নেমে যায় না? কিসে বাঁধে তাদের?
Photo by Radowan Nakif Rehan on Unsplash
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যাক, অবশেষে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনি অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলেন!
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: চটপটি স্বাস্থ্যকর খাবার না। এই খবার দরিদ্র দেশের মানুষদের প্রিয় খাবার। আমেরিকাতে এই খাবার বিক্রি করা হয়তো সম্ভব না। কারন ওরা খাবারের মান নিয়ে চিন্তিত।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বুদ্ধি খাটান। চটপটিই কেন বিক্রি করতে হবে একজন বেকারকে? আর কিছু নাই দুনিয়ায়? আর চটপটি মানেই কেন নিন্ম মানের খাবার হতে হবে? ভালো মানের চটপটিইতো বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ফার্মেসীর ব্যবসা সবচেয়ে ভাল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্বী, চোরে চায় আপনার ধন বাড়ুক, সে চুরি করতে পারবে। ডাক্তারে আর ফার্মেসির লোকে চায় আপনি অসুস্থ হোন, তারা ঔষধ বিক্রি করতে পারবে।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১০
কামাল১৮ বলেছেন: কানাডায় প্রচুর চটপটি বিক্রি হয়।বাংলাদেশী এবং ভারতিয়রা খায়।প্রতিটি ভারতিয় খাবারের দোকানে চটপটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে চটপটির দোকান দিতে এতো বেশি ইনভেষ্ট করতে হয় যে দেউলিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে না।যার পকেটই নাই তার আবার পকেট মারা যাবে কি ভাবে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বিশ্বে যেখানে বাঙ্গালী ও ইন্ডিয়ান আছে, সেখানে চটপটি চলবে!
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট চটপটি জাতীয় ব্যবসায় অনেক অনেক বেশী। ৫ তলা বাড়ি থাকার পরেও চটপটি ব্যবসা করে!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ROI তো বেশীই, তারপর রিস্কও কম। ওগুলি খাওয়ার জন্য মানুষ আগ্রহ নিয়ে আসে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা; এই খারাপ খাদ্য খেয়ে মানুষের পেটে ব্যাক্টেরিয়া বাড়ে।