নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার সাথে আপনার কলিগের সম্পর্ক কেমন?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৯

কর্মক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কলিগদের সাথে ভালো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। ঢাকা শহরের মত ব্যস্ত শহরে এটা আমার কাছে আরও বেশী প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।



আমি ঢাকায় যে কয়টা জায়গায় থেকেছি (মেস বাদে) সবখানেই প্রায় পাশের ফ্লাটে কে থাকে, কি করে তা জানতাম না। তাদের সাথে তেমন সৌহাদ্য ছিলো না। কিন্তু আমি যে দু-চার জায়গায় কাজ করেছি, যে ফিল্ড গুলিতে কাজ করেছি, সেখানে আমার সাথে প্রচুর প্রচুর মানুষের সাথে সুসম্পর্ক ছিলো।

ভার্সিটিতে পড়ার সময় একবার আমার ক্লাসমেট প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লো। এর সাথে আমার শুধু হাই-হ্যালো সম্পর্ক। রাত ২টার দিকে ফোন দিলো, বললো ওর মেসের কেউ নাকি এত রাত্রে ওকে হসপিটালে নিবে না। আমি বের হলাম, তাকে হসপিটালে নিলাম। এরপর থেকে ওর সাথে সম্পর্ক হয়ে গেলো।

একটা পত্রিকা অফিসে একবার পাঁচমাসের মত প্রবেশনারী সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছি। ওখানে মুহিব নামে এক ভাই ছিলেন। উনি মটর সাইকেল চালাতে পারতেন না; কিন্তু সিনিয়র হিসাবে একটা মটরসাইকেল পেয়েছিলেন। ওখানে জয়েন করবার কয়েকদিনের মধ্যে উনার সাথে এত ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো যে উনি উনার জন্য বরাদ্দকৃত মটরসাইকেলটি আমাকে দিয়ে দিলেন। পত্রিকা অফিস ছাড়ার পর আরও ৭মাস (মোট প্রায় এক বছর) আমি ঐ মটরসাইকেল চালিয়েছি।

আমি যেদিন সৌদী আরব আসি, এয়ারপোর্টে বিদায় দেবার মত কেউ ছিলো না। ঈদের দুদিন আগে চলে আসি, একলা একলাই এয়ারপোর্ট গিয়ে সেখান থেকে বিদেশে। পরে যখন সবাই জেনেছে, সবাই বেশ অবাক হয়েছে; কাউকে কিছু না জানিয়েই হুট করে চলে এসেছি। এর ২বছর পর ৭দিনের জন্য যখন দেশে গেলাম, একজনকে জানিয়েছিলাম। সে রিকোয়েষ্ট করলো তার সাথে একদিন ডিনার করে যেতে। ধানমন্ডি কড়াই-গোস্তে হাজির হয়ে দেখি আরও ১২জন কলিগ সেখানে। সেদিন বুঝেছিলাম, আমার বন্ধুহীন জীবনে আমি কিছু বন্ধু তৈরী করেছিলাম!

বর্তমানে যেখানে চাকরি করি, এখানে কম্পিটিশন অনেক বেশী। অনেক মানে অনেক। আমি যে পজিশনে আছি, একই পজিশনে আরও ৪জন আছে। আমি এই চারজনের সাথে সর্বশেষ যোগ হয়েছি। আমি আগে থেকেই ম্যানেজারের সুনজর পাওয়া মানুষ। ফলাফল, অনেকেই আমাকে তাদের প্রতিদ্বন্দী ভাবা শুরু করে প্রথম থেকেই অসহোযগিতা শুরু করে। ধীরে ধীরে সবাইকে এটা বুঝিয়েছি যে আমি তাদের প্রতিদ্বন্দী নই। বরং যথা সম্ভব সাহায্যশীল একজন মানুষ।

তবে ভাবতে অবাক লাগে, বাংলাদেশী যে কজন আমাদের অফিসে চাকরি করে (এক একজন এক এক ডিপার্টমেন্টে), তাদের কারও সাথেই ভালো সম্পর্ক নাই! বরং তারা গত চার বছরে আমার তিনটা প্রমোশন দেখে জ্বলে ছারখার! গত বছরে লাষ্ট প্রমোশন পাওয়ার পর তারা আমার সাথে পারিবারিক ভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে! এমনকি তারা আমার লক্করঝক্কর গাড়িটা সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে চলতে দেখলেও রাগে গজগজ করে!

আমি সাধারণত অফিসের কাজ না থাকলে পারসোনাল ফোন থেকে ফোন করি, তারা প্রত্যেকেই আমার পারসোনাল ফোন নম্বর ব্লক করেছে! মাঝে মধ্যে তাদের সাথে অফিসিয়াল কাজে যোগাযোগ করতে হলে তাদের গড়িমসি দেখে অবাক হতে হয়।

এছাড়া আমার অন্যদের সাথে বেশ খাতির। যে কোন ডিপার্টমেন্টে খানাদানার আয়োজন হলে আমার ডাক পড়ে। বিশেষ করে আমি এই প্রতিষ্ঠানে সর্ব প্রথম যে ডিপার্টমেন্টে ছিলাম, সেখানে কেউ সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবার আনলে সবার আগে আমার ডাক পড়ে।

আমি কলিগদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে খুব পছন্দ করি। এতে কাজ কাম করে শান্তি পাওয়া যায়।



Photo by Edge2Edge Media on Unsplash

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



যেসব বাংগালী আপনাকে দেখতে পারে না, টেলিফোন ব্লক করেছে, তাদের ১ জনের পোষ্ট পড়লে/ বক্টব্য শুনলে আপনার ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেটা মানি। আমি পারসোনালী তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে দেখেছি। তাদের বলেছি আমার কোন সমস্যা থাকলে বলতে। তারা কোন কথাই বলেনি!

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি চাকুরী করার সময়, গড়ে সব দেশীদের সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার সাথে সম্পর্ক সব থেকে ভালো ভারতীয়দের (বিশেষ করে কেরালাদের) সাথে। পাকিস্তানিদের সাথেও সম্পর্ক খারাপ না। খুব কাছের কিছু মানুষ আছে ইরিত্রিয়া থেকে!

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার কোন কলিগ নেই, তবে ইদানিং আমার ঘনিষ্ট কয়েকজন বন্ধু বান্ধবের সাথে খিটিমিটি লেগেই থাকে, ওরা আমাকে না জানি কি শিখাতে চায়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খিটমিট লেগে যাওয়া ভালো না। ইদানিং সবার মধ্যে "বি.বি." এর লোকজনের মত অবস্থা দেখা যাচ্ছে। হুদাই ক্যাচাল লেগে বড় কোন ক্ষতি হয়ে যায়!

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু মানুষ আছে মানুষের ভালো দেখতে পারে না। আপনি যে কষ্ট করে উপরে উঠছেন সেটা দেখে না দেখে আপনি ভালো চলছেন আর তাদের গা জ্বলে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের অধিকাংশেরই এই সমস্যা। আমিও এক সময় ঈর্ষা অনুভব করতাম। ধীরে ধীরে নিজেকে চেঞ্জ করেছি।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

নতুন বলেছেন: সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা ভালো লক্ষন, তার অর্থ আপনি সুখী মানুষ।

যারা মনে সুখী না তারা অন্য মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারেনা।

আমি সব সময় মানুষকে সাহাজ্য করতে চেস্টা করি, এতো নতুন পরিচিত বাড়ে, সবাই ভালো জানে।

আমি হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রির লোক তাই মানুষের সাথে কথা বলা তাদের ম্যানেজ করাই আমার স্কিল। তাই কারুর সাথে কথা বলতেই আমার ভালো লাগে।

আর এই কারনে আমি অনেকের সাহাজ্য পাই যেটা অনেকেই পায় না। তাই চারপাশের সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক রাখা উচিত, কোন না কোন সময় সেটা কাজে লাগে। আপনি সবার উপকারের চেস্টা করলে আপনার দরকারে ঠিকই কেউ এগিয়ে আসবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে দুই রকম মানুষ, সুখী মানুষ আর অতি চালাক মানুষ। আমি সুখী।

সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে আসলেই সবার সহানুভুতি ও সাহায্য পাওয়া যায়। আপনার জন্য শুভকামনা।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: কলিগদের সাথে আমার সম্পর্ক সুন্দর ছিলো। আমার চেয়ে বয়সে যারা বড় তাদের সাথে আমার খুব জমতো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাহ, বেশ ভালোতো।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আত্মীয় বলেন বন্ধু বলেন আর কলিগ বলেন কিছু লোকজন থাকে যাদের প্রয়োজনের সময় এক রকম চেহারা আবার প্রয়োজন ফুরায় গেলে আরেক রকম চেহারা এই সব লোকজন এর অভিনয় দেইখা ধোকা খাবার চে যোগাযোগ না রাখাই উত্তম সম্পর্ক রক্ষায় দুই দিকের আগ্রহ থাকা লাগে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, সত্য।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার সিনিয়র কলিগরা কাজের ক্ষেত্রে আমাকে বিপদ মনে করে আর জুনিয়র এবং সমপর্যায়ের কলিগরা আমাকে পছন্দ করে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:২৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার উল্টা। আমার অফিসে আমার সিনিয়র কলিগেরা আমাকে প্রমোট করার চেষ্টা করে। এমনকি গত যে প্রমোশন পেয়েছি, সেটার জন্য সিনিয়রদের কয়েকজন দেনদরবার পর্যন্ত করেছে!

আর জুনিয়রেরা দেখে কম্পিটিশন হিসাবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.