নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
আপনি এই মাত্র লেখাপড়া শেষ করেছেন, হয়তো ব্যাচেলরস, কিংবা মাস্টার্স। চাকরী খুঁজছেন, হন্যে হয়ে। মামা-চাচা-খালু নেই, চাকরীও নেই।
এমন লোকেদের আমি বুদ্ধি দেই ব্যবসা করার। একথা শুনলেই লোকে খ্যাক করে হাসে, টাকা পাবো কই? আজকে তারই উত্তর খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবো।
আমার ব্লগে একজন ব্লগার বেশ আগে মন্তব্য করেছিলেন যে আমি মধ্যপ্রাচ্যে ভালো একটা চাকরীতে আছি ও ভালো আছি এটা নাকি মাঝে মধ্যে দেখানোর চেষ্টা করি। আমি উত্তর করেছিলাম, মাঝে মাঝে না সব সময় এটা দিয়ে। তাছাড়া আমার বিভিন্ন পোষ্ট পড়লে আপনি সহজেই বুঝে যাবেন যে আমি আমার বিভিন্ন কর্মকান্ড লেখার চেষ্টা করি। আজকেও সেটার খুব একটা অন্যথা হবে না। তাই, ধৈর্য্য থাকলে পড়ুন, না হয়.......
আমার ব্যবাসর শুরু বহুকাল আগে, সেই বহুকাল আগের কথা বলবো না। বলি ২০০৮ এর কথা।
২০০৮ এ ঢাকায় আমি নতুন। কিচ্ছু চিনি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। সম্বল বলতে ভাইয়ের টাকায় বিবিএ করবো এটাই। আর একটা জিনিষ ছিলো, সেটা হচ্ছে বাসা থেকে টাকা না নেওয়ার ইচ্ছা। প্রবল ইচ্ছা।
কম্পিউটারে বড় বড় করে কম্পোজ করলাম, বাসায় গিয়ে কম্পিউটার রিপেয়ার করি। ঝিগাতলা থেকে শ্যামলী পর্যন্ত এই পোষ্টা লাগিয়ে দিলাম। দিন তিনেক যেতে না যেতে বেশ সাড়া পেলাম। এর কম্পিউটার কাজ করছে না, ওর এই সমস্যা। রিপেয়ার শুরু করে দিলাম। রিপেয়ার করতে গিয়ে বহু কিছু শিখলাম।
এক সময় পরিচয় হলো এক ভাইয়ের সাথে। তিনি নিজে পারেন না, অন্যকে শেখান টাইপের মানুষ। বললেন অর্ডার সাপ্লাইয়ের কাজ করেন। সেটা কি? একজন থেকে অর্ডার নিবেন, অন্যজন থেকে সেটা এনে বিক্রি করবেন। মাস কয়েক এদিক সেদিক ঘুরে প্রথম অর্ডার পেলাম। তিনদিনের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পণ্য কিনে তাকে দিতে হবে। বিল পাবো মাস খানেক পর। ঐ বড় ভাইকে ধরলাম। তিনি খ্যাক খ্যাক করে হেসে বললেন, টাকা জোগাড় করে তিন এফ (F)এ। Friends, Family & Fools! আপনাকে সেটা দাড় করাতে হবে।
মাত্র দুদিনের মধ্যে এই তিন এফকে পটিয়ে টাকা জোগাড় করে পন্য কিনে হাজির হলাম। এই শুরু। এরপর প্রায় টানা ২বছর এই কাজ করেছি।
এক সময় দেখলাম এই কাজে আমার পোষাচ্ছে না। তখন পেলাম ঝিগাতলার এক মামাকে, তার জুস সেই মাপের ছিলো, কিন্তু কিছু টাকার জন্য ব্যবসা বড় করতে পারছে না। মাত্র ২০ হাজার টাকা ইনভেষ্ট করে তার পার্টনার হয়ে গেলাম। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাকে সময় দিতাম।
২০১১ এর দিকে এসে কোথাও একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম। তারা ডোমেইন হোস্টিঙ বিক্রি করে। যেহেতু ততদিনে আমি টুকটাক ওয়েব ডিজাইনের কাজ পারি, এটা করে দেখা যায়। কষ্ট করে খুঁজে বের করলাম যারা ডোমেইন হোস্টিং রিসেলার হিসাবে দেয়। শুরু করবো, কিন্তু প্রথমেই দরকার হাজার ১০ টাকার। পকেটে টাকা নাই এমন না। তবে যেহেতু কোন অভিজ্ঞতা নাই, তাই তখনই নামলাম না।
এক ভাই কবিতা লিখতেন, তাকে বোঝালাম তার একটা ওয়েব সাইটের কত দরকার। তিনি আমতা আমতা করে পকেট থেকে ৫হাজার টাকা বের করে দিলেন। আর একটা প্রতিষ্ঠানকে বোঝালাম তাদের ওয়েব সাইটের কত দরকার। তারা এডভান্স হিসাবে ৮হাজার দিলেন। ব্যাস, ব্যবসা শুরু করে পারি নাই, ৩হাজার টাকা এক্সট্রা। শুরু হয়ে গেলো। এখনও সেটা চলছে। মাসে মাসে রিনিউয়ালের যে টাকা আসে, তাতেই মোটামুটি বেশ হয়ে যায়।
এরপর এক সময় চায়না থেকে টুকটাক প্রোডাক্ট ইম্পোর্ট করে, চকবাজার থেকে কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে একটা ছোট্ট ইকমার্স শুরু করলাম। খুব সিলেক্টেড প্রোডাক্ট, কিন্তু কোয়ালিটি সেই মাপের। বেশ ভালোই চলছিলো, কিন্তু হঠাৎ একটা সিদ্ধান্তের কারণে সৌদী চলে আসলাম।
--------------------------
আপনি কি ব্যবসা করতে চান কিন্তু টাকা নাই?
এই যে, ব্যবসা করতে চাই, কিন্তু টাকা নাই, এইটা একটা বড় ভুল ধারণা। আসলে আপনি ব্যবসা করতে চান না। হয় চান অন্যের টাকায় জুয়া খেলতে, অথবা আপনি হুদাই ভাব লন!
২০০৫ এর দিকে খুলনায় একটা সেমিনারে ছিলাম। সেখানে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামের উপর একটা সেমিনার ছিলো। আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড দিয়ে দুর্দান্ত কাজকাম কিভাবে করা যায়। একজন উত্তর করলেন, তুমি যতটুকু জানো, ঠিক ততটুকুকে সুন্দর করে করো, হুড়াতাড়ার কিছু নাই। আর শিখতে থাকো।
যদি টাকা নাই, আবার ব্যবসা করতে মন চায়, তাহলে আপনাকে সেটাই করতে হবে। আপনার পকেটে যা আছে তার মাধ্যমে কি করতে পারবেন সেটাই আপনাকে প্লান করতে হবে। আপনি ঐটার মধ্যে দিয়ে কিছু করতে পারলেই না আপনি ব্যবসায়ী। ইলন মাস্কের সমান টাকা হলে এই করবেন ঐ করবেন এইসব গালগল্পের সময় কই?
এই ভিডিওটা একটু দেখুনঃ
--------------------------
সুমন মিয়া (ভন্ড)
কামরাঙ্গির চরে এক চাচার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। তার ভাষ্য মতে তার বড় মেয়ে সুমন মিয়া নামের এক ভন্ডর প্রেমে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিশাল এক অপরাধ করেছে। এই সুমন কয়েকদিন পর এসে শশুরকে জানালো যে সে শশুরের সনপাপড়ির ব্যবসায় কাজ করতে চায়।
চাচা মিয়া নিজেই সনপাপড়ি তৈরী করে সদরঘাটে ফেরি করে বিক্রি করেন। জামাইকে বিশ্বাস করে সনপাপড়ি দিলেন। শ দুয়েক টাকায় বিক্রি করা যাবে। জামাই তাই নিয়ে লাপাত্তা!
কয়েকদিন পর জামাই একগাদা কাগজ আর পলিপ্যাক নিয়ে হাজির। শশুরের সনপাপড়িকে সে প্যাকেটজাত করে মুদি দোকানে বিক্রি শুরু করে দিলো।
ভন্ড সুমন এতই ভন্ড যে, যে সনপাপড়ি খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি হবার কথা, সেটাই সে পাইকাড়ি ৩৫০ টাকায় বিক্রি করে ফেলল! শশুর এখনো ভেবে পান না যে এই ভন্ডের ভন্ডামির আর কত বাকি।
-----------------------
আমি বুঝি যে আপনি ইলন মাস্কের মত ধনী ব্যবসায়ী হতে চান। আমিও চাই। বরং ইলন মাস্ক আমার কাছে টাকা ধার করতে আসবে, এসে বাসার সামনের বেঞ্চে বসে থাকবে এমন কিছু চাই। কিন্তু সেটা যে ধরা চোটেই হবে এমন না।
আপনাকে শুরু করতে হবে আপনার লেভেল বুঝে। আপনার যতটুকু আছে, ততটুকু দিয়ে শুরু করতে হবে।
আমাদের এক স্যার পরীক্ষার আগে সবক দিতেনঃ শুরু করবি পাশমার্ক তোলা দিয়ে। সেটা হলে সেকেন্ড ডিভিশনের মার্ক তুলবি, সেটা হলে ফার্স্ট ডিভিশনের মার্ক তুলবি; এরপর পারলে স্টার বা স্ট্যা্ন্ড করবি।
আপনার ব্যবসাটাও তাই করতে হবে। প্রথমে থাকা-খাওয়ার খরচ তুলেন। সময় লাগবে বড় কিছু হতে। কিন্তু হবে, লেগে পড়ে থাকতে হবে।
Photo by Josh Appel on Unsplash
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বর্তমানের প্রায় সকল বড় ব্যবসায়ীই এক সময় কোন রকম প্রায় বেঁচে থাকতেন। তারা কেউই একদিনে ধনী হয়ে যান নি।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টাকা জোগাবে ভুতে। আপনার জীবনের কাহিনী অনেকের উদ্দীপনার কারণ হবে। আত্মউন্নয়ন মুলক বই আপনি ভালো লিখতে পারবেন। আপনার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে।
বাংলাদেশের বহু শিল্পপতি আছেন যারা শূন্য থেকে শুরু করে মহীরুহ হয়েছেন। নাম বললেই সবাই চিনবে। যেমন আকিজ গ্রুপ, মন্যু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, আর পি সাহা ইত্যাদি। আরও অনেকে আছেন। আসলে ব্যবসার মূল সমস্যা টাকা না। মূল সমস্যা সাহসের অভাব আর ব্যবসায়ীক কৌশল না জানা।
ভালো কথা বলেছেন যে প্রথমেই বিশাল কিছু হওয়ার চিন্তা করা ঠিক না। নিজে যতটুকু পারবে তততুকুই করা উচিত। ধীরে ধীরে সে বড় হবে।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি আছে এটা মানি; কিন্তু আমার লেখা বই কেউ পড়বে বলে আমিই বিশ্বাস করি না। তবে আমার (অন্য নামে) লেখা অনেক কন্টেন্ট বেশ পরিচিতি পেয়েছে এক সময়।
সবাই কোন না কোন সময় স্ট্রাগল করেছে। স্ট্রাগল করা ছাড়া ধনীদের আসলে উদাহরণ হিসাবে নেওয়া মুসকিল।
ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সার্বিকভাবে বাংলাদেশে মূলধনের কোন সমস্যা নাই। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ আমাদের জন্য ভালো না। গ্রামীণ ফোন প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বৈধভাবে দেশ থেকে নিয়ে যায়। কয়জনের চাকরী তারা দিয়েছে তাদের বিনিয়োগের তুলনায়।
বাংলাদেশে ব্যবসা করার পরিবেশ ভালো না। সৎ লোকের পক্ষে এই দেশে ব্যবসা করা কঠিন। জ্বালানীর সমস্যা আছে। বিদেশের মার্কেট খোঁজার মত দক্ষ মার্কেটিং করার লোকের অভাব। নতুন প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। আর বড় ব্যবসায়ীরা দেখে যে ব্যবসা করার চেয়ে জমির ব্যবসা আর দালালি ব্যবসা আর ব্যাংক লুট করা সহজ। তাই তারা মিল ইন্ডাস্ট্রি এখন আর দিতে চায় না।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সিলিকন ভ্যালি কয়টা জায়গায় আছে? বাংলাদেশেও তেমন সিলিকন ভ্যালি নাই।তবে বিনিয়োগ পাওয়া অসম্ভব কিছু না। বিনিয়োগ আনা জানতে হবে।
বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ ভালোনা এটা মানি। তবে "cut your coat according to your cloth" কথাটা আমি মানি। সবার যে দেশের সেরা ধনী হতে হবে এমন না। যে সৎভাবে থাকতে চায়, তার যতটুকুতে সৎ থাকা যায় ততটুকু্তেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
একবার একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কত বড় হতে চাই, আমি বলেছিলাম গ্রামীন ফোনের অফিস যত বড়, অত বড় একটা অফিস করতে চাই। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন কতজনের রক্ত ঝরাতে রেডি? ধাক্কা খেয়েছিলাম প্রশ্ন শুনে, ধীরে ধীরে বুঝেছি। এরপর নিজের সীমাকে ততটুকু ছড়িয়েছি, যতটুকু আমি ধারণ করতে পারি।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কোন একটা সিদ্ধান্তের কারণে সৌদী চলে গেছেন?
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ২০১৭ এর শুরু কথা। নতুন একটা বিজনেসে ইনভেষ্ট করা, দুইজন ইনভেষ্টরের হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হওয়া এবং অন্য কিছু কারণে ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিলো। তার উপরে প্রভাবশালী একটা মহল আমার কিছু কর্মকান্ডের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলেন বলে পিছে লেগেছিলেন।
আব্বা সেই সময়ের সুযোগটা নিয়েছেন। কখনও আব্বা-আম্মার কোন আদেশের বিপরীতে জিজ্ঞাসা করি নি যে কেন করবো। আব্বা ঐ সময় কড়া করে বললেন যে সৌদী চলে যাও। হঠাৎই চলে এলাম।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বর্তমানের প্রায় সকল বড় ব্যবসায়ীই এক সময় কোন রকম প্রায় বেঁচে থাকতেন। তারা কেউই একদিনে ধনী হয়ে যান নি।
-১ দিনে কেহ বড় হয় না, এটা ঠিক আছে; আপনি যেগুলোর কথা বলেছন, সেগুলো ঘটছে; সেগুলো ঘটার পরও, আমাদের এই অবস্হা।
সাড়ে চুয়াত্তর যেসব ব্যবসায়ীর কথা বলেছে, এদের বেশীরভাগই বিবিধ সময়ে দুর্নীতি করে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, কিন্তু তাদের দুর্নীতির কারণে বাকীদেরসুযোগ নষ্ট হয়েছে।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এক এক দেশে ব্যবসার ধরণ, ব্যবসায় বড় হওয়ার ধরণ এক এক রকম।
৩নং মন্তব্যের একটা উত্তর করেছি। দেখতে পারেন।
দুর্নীতি থাকলে সকলেরই সুযোগ নষ্ট হয়; এমনকি দুর্নীতিবাজেরও!
৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে যাদেরকে আমরা বড় শিল্পপতি বলি এরা আসলে বড় মাপের ডাকাত (কিছু ব্যতিক্রম আছে)। সবাই ডাকাত হতে পারে না বা চায় না। সরকারের লোকদের সাথে পার্টনারশিপ করে এরা লুটপাট করছে। মিডিয়া এরা কিনে ফেলেছে।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এ ব্যপারে কথা বলতে চাই না। :-(
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
শুভ্রকথা শুভ্রর দিনলিপি বলেছেন: তিনদিনের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পণ্য কিনে তাকে দিতে হবে। বিল পাবো মাস খানেক পর। ঐ বড় ভাইকে ধরলাম। তিনি খ্যাক খ্যাক করে হেসে বললেন, টাকা জোগাড় করে তিন এফ (F)এ। Friends, Family & Fools! আপনাকে সেটা দাড় করাতে হবে।
সবার ডাকে ৩এফ সাড়া দিবে এমনটাও নয়।
আপনি যেভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন তাতে মনে হয়, আপনি একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন শুধু।
এইভাবে ধুকে ধুকে ব্যবসা, যেটি আবার উৎপাদনমুখীও নয়।
এই ফর্মূলা আমাদের জন্য কাজ করবেনা বলেই আমার মনে হয়।
১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: উৎপাদনমুখি ব্যবসায় নামতে হলে আপনার উচিৎ আগে মাধ্যম হিসাবে কাজ করা। একটি পন্য আপনি তৈরী করবার পর সেটি মার্কেট (বিক্রি) করতে পারবেন এর গ্যারান্টি আপনার আগে অন্যের পণ্য বিক্রি করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সারা বিশ্বে উৎপাদনমুখি ব্যববার প্রায় ৯৩%ই মাত্র ২বছরের মধ্যে পূজির সংকটে শেষ হয়ে যায় সেটা জানেন কি? বেশীরভাগ উৎপাদনমুখি ব্যবসায়ীই জানে না কিভাবে তার পণ্য মার্কেট করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, আপনি যেটাই তৈরী করেন না কেন, তার রিপ্লেসমেন্ট হয় মার্কেটে আছে, অথবা খুব দ্রুত চলে আসবে। আপনার ইউনিক ফিচার হচ্ছে বিক্রি করতে পারার দক্ষতা।
তাছাড়া একজন যদি নিজে তৈরী, ও মার্কেট করতে যায়, তাহলে তাকে অনেক কিছু একসাথে করতে হয়। সেটা শুরুর স্টেজে করা কঠিন। সাপ্লায়ার, তৈরীর জন্য কারিগর, কারখানা, মার্কেট খোঁজা, মার্কেটে নিজের জায়গা করা, প্যাকেজিং ইত্যাদি ইত্যাদি বহু বহু ঝামেলা। এসব জিনিষ কিন্তু "শুধু টাকা" থাকলেই হয় না। আমি এমন ব্যবসা দেখেছি যারা ৫০-৬০ লাখ টাকা নিয়ে শুরু করে মুখ থুবড়ে পড়েছে কয়েক মাসের মধ্যে, আবার অন্য কেউ ৩০-৪০ হাজার টাকা নিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ঐ একই ব্যবসা দাড় করিয়েছে।
লেখার ভিতরে একটি ভিডিও দিয়েছি, ওটা দেখবেন দয়া করে।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৭
বিষাদ সময় বলেছেন: কিছু কিছু কথা বেশ গুরুত্ব পুর্ণ। কপি পেস্ট অপশন না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো উল্লেখ করতে পারলাম না। ভাল লিখেছেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
কপি-পেষ্ট নাই, কিন্তু ড্রাগ-এন্ড-ড্রপ তো আছে! লেখা সিলেক্ট করে টেনে মন্তব্যের বক্সে নিয়ে আসতে পারেন
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি মন দিয়ে পড়লাম।
মন্তব্য গুলোও পড়ে ভালো লেগেছে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:০৭
স্মৃতিভুক বলেছেন: আপনার এই লেখা অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে, খুব ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:১০
স্মৃতিভুক বলেছেন: @সোনাগাজী, মেরুদন্ডহীন প্রাণীর মতো আমাকে কমেন্ট ব্যান করে রেখেছেন কেন? সত্যি কথাগুলি হজম করতে কষ্ট হয়েছে বেশ? বাধ্য হয়েই এখানে আপনার উদ্যেশ্যে মন্তব্য করা।
আপনি মনেহয় পশ্চাৎদেশে মধু মেখে রেখেছেন (কারণ আপনি'ই ভালো বলতে পারবেন)। ওই মধুর লোভেই আপনার চতুর্দিকে মাছির ভনভনানি।
চেকপ্রসেসিং কাজটা মন দিয়ে করেন । যে যোগ্যতা আপনার, এই কাজটাই বেশ মানানসই হয়েছে এবার । অন্ততঃ গ্যাস স্টেশনের কাজের চেয়ে বেটার, তাইনা?
চাপাবাজি চালিয়ে যান, আপনার এই চাপাবাজিগুলি বেশ উপভোগ্য হয় । আমার বিনোদনের দরকার হলেই এখানে এসে আপনার পোস্টগুলি পড়ি। ...এবং মুহূর্তের মধ্যে চাঙ্গা!
অনুরোধ, প্রতিদিন কয়েকটা করে পোস্ট প্রসব করেন। চিড়িয়াখানাতে যেমন বানরের খাঁচার সামনে ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে আমরা সবাই তেমন ভিড় করেই আপনার পোস্টে আসি। পড়ি এবং বিনোদিত হই ।
দুঃখজনকভাবে কৌতুকগুলি সবই পুরোনো হয়ে গেছে, আপনার এই পোস্টগুলি'ই একমাত্র ভরসা এখন।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এ এ এ ভাই...... আমার পোষ্টে উনার সাথে ক্যাচাল লাগাইয়েন না! আপনার প্লিজ লাগে!
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
সোনালি কাবিন বলেছেন: অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মানুষ অনুপ্রেরণা পেলেই হলেই হয়!
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
বিটপি বলেছেন: আপনি শুরুর দিকেই বেশ কিছু সাফল্য পেয়ে গিয়েছিলেন, যেগুলো আপনাকে উৎসাহ যুগিয়েছে আরো সামনে এগিয়ে যেতে। আপনি হচ্ছেন মিনিমাম সৌভাগ্যবানদের একজন।
ব্যবসা করতে আসলে টাকা লাগেনা। লাগে বাজার। এই বাজার যদি আপনি তৈরি করতে পারেন, তো টাকা ভূতে যোগাবে। চ্যালেঞ্জ দিলাম। টাকার অভাবে কোন ব্যবসা কোনদিন ফেল মারেনি।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হ্যাঁ এটা মানি যে আমি শুরুতেই কিছু সাফল্য পেয়ে মিনিমাম সৌভাগ্যবাদের একজন। কিন্তু আসলেই এটা কিন্তু রেপ্লিকেবল। আমাদের দেশে অনেক সফটওয়্যার ডেভলপার এমন এমন সফটওয়্যার তৈরী করে বেকার বসে থাকেন, যেগুলি মাত্র ৩০-৩৫ ডলারে রেডিমেড এবং তাদের থেকে ভালো কিছু পাওয়া যাবে। এমন ভাবে নামলেতো হবে না।
বাংলাদেশের বাজার বিশাল। কোটি কোটি মানুষ। আপনি যা তৈরী করেন, সেটা বিক্রির জন্য লোক পাওয়া যাবে। আপনাকে নামতে হবে কাজের জিনিষ নিয়ে। ক্রেতার অভাব হবে না।
"টাকার অভাবে কোন ব্যবসা কোনদিন ফেল মারেনি" - কথাটা প্রায় পুরাপুরিই সত্য!
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি যা বলছেন, এগুলো ঠিক ব্যবসা বলে মনে হচ্ছে না; এগুলো হলো কোনভাবে বেঁচে থাকা।