নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
কোথাও পড়েছিলাম, গরীব এক সময় ধনী হতে পারে, কিন্তু ছোটলোক কখনও ভদ্র হয় না! একবার এক ভদ্রলোককে দেখেছিলাম একজনের চাকরী খেয়ে দিতে। যার চাকরী গিয়েছিলো, সে একজন রিক্সাওয়ালাকে বাস্টার্ড বলে গালি দিয়েছিলো।
ভদ্রলোকের কথা হচ্ছে শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্রই যে লোক নিজে বাস্টার্ড বা বেজন্মা, সে অন্যকে এটা বলে গালি দেয়। আর কেউ না! আর তিনি চান না যে তার প্রতিষ্ঠানে কোন বেজন্মা কাজ করুক!
পাশ থেকে একজন একটু কু কু করে বললেন, আপনিতো ধর্ম বিদ্বেষী, সেখানে তো জন্মপরিচয়হীনদের অন্য ভাবে দেখা হয়। আপনি কি বলছেন ধর্মের লোকেরাও কি সব বেজন্মা? তিনি বললেন কোন ধর্মে কাউকেই এটা বলে গালি দেওয়া হয় না। কারণ ধর্মের লোকেরাও জানে যে কারও জন্মপরিচয় না থাকলে সেটা তার দোষ না।
ভদ্রলোকের এই কথাটা আমার মধ্যে একটা বড় পরিবর্তন এনেছে। এখন আমি খুব খেয়াল করে লক্ষ্য করি যারা কথায় কথায় গালি দেয়, ট্যাগ লাগায় এমন সব মানুষদের। এরা নিজেরা কখনও সুখি না। এরা ছোটলোক, এদের যত ভদ্র পরিবেশেই রাখেন না কেন, নোংরামী এদের রক্তের মধ্যে মিশে আছে। এবং সর্বপরি, এরা নিজেরাই অন্যকে যা বলে তাই!
আমি বহু নাস্তিকের সাথে মিশেছি, বহু ধর্ম বিদ্বেষীর সাথে মিশেছি। পক্ষান্তরে আমি প্রচন্ড ধার্মিক লোকের সাথে প্রায় সব সময় ওঠাবসা করি। আমি দুই প্রান্তের লোক গুলির মধ্যে একটা জিনিষ কমন পেয়েছি, ভদ্রতা।
কিন্তু আমি এমন মানুষ প্রচুর দেখেছি, যারা ধর্মিক এবং অভদ্র; আবার ধর্ম বিদ্বেষী এবং অভদ্র। বিশ্বাস করেন, এরা কেউই আমাদের জন্য ভালো না।
আমি কখনও "কুকুর হইতে সাবধান" লেখা বাড়িতে ঢুকিনি! পোষ্টটা আমি যখন লিখি, তখন টানা কয়েকদিন দেখেছিলাম একজন ব্লগার তার ব্লগের শুরুতেই কাকে কাকে যেন গালিটালি দিয়ে পোষ্ট লিখতেন। এটা দেখে আমি তার পোষ্টে ঢুকতাম না, রুচিতে বাঁধতো। ঐ লোক একটু থেমেছিলেন আমার পোষ্টের পরে; আবার দেখলাম পোষ্টের ভিতরে শুরু করেছেন।
সামুর ফেসবুক গ্রুপে Mohiuddin Mohammad Zunaid একটা পোষ্ট করেছেন; লিখেছেনঃ গায়ের রং ফর্সা হলেই মানুষ সুন্দর হয় না, হয় মন সুন্দর হলে। টাকাপয়সা থাকলেই কেউ বড়লোক হয় না, হয় হৃদয় বড় হলে। অনেক ডিগ্রি থাকলেই কেউ শিক্ষিত হয় না, হয় যখন সে আচরণে ফুটিয়ে তুলতে পারে। কথাটা মনে ধরেছে। খুবই সত্য কথা বলেছেন তিনি।
ব্লগার সোনাগাজী সেদিন তার সমস্যা দেখা দিলে, সমাধান বের করতে হয়! পোষ্টে একটি কুকুরকে কিভাবে রাগিয়ে দিতে হয়, কিন্তু অন্য কউ টের পায় না এমন একটা বিষয় তিনি জানেন এমন লিখেছিলেন। আমি সেটা মানি। আপনি কোন জিনিষকে বা কোন মানুষকে খেয়াল করলে এমন অনেক কিছু পাবেন।
আমি মাঝে তেমন একটা কাজ করেছি; কাজ না; আকাজ! আমি একজন ব্লগারের মেজাজ ট্রিগার করার একটা পন্থা পেয়েছি। সেটা কয়েকদিন আগে ট্রিগারও করেছি টেষ্টের জন্য। কাজ হয়েছে। তবে আসলে হয়েছে আকাজ। তার মুখ থেকে গালির ঘুঝুরি বের হচ্ছে! উনার সাথে সামনা সামনি দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নিবো ভাবছি :-)
যাই হোক, মূল কথায় ফিরে এসে পোষ্ট শেষ করি। ভদ্রতা আমার দৃষ্টিতে একটা বড় গিফট। এই গিফট সবাই পায় না। কুকুরের লেজে তারাবাজি বাঁধা ছেলেটাও এক সময় তার অপরাধ বুঝতে পারে। কিন্তু যাদের গালাগালি দেওয়া অভ্যাস, তারা কখনও নিজের অপরাধ বুঝে না। আর সেই না বোঝাই তাদের সকল সময়ের জন্য ছোটলোক করে রাখে!
Photo by Ivan Diaz on Unsplash
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিছু পরিবর্তন আছে যেগুলি হয়ে যায়। এগুলি ধরা কঠিন। তাছাড়া কিছু পরিবর্তন আছে যেগুলি ইচ্ছা করে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। সেগুলি ধরা খুবই সহজ।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: গরিব ধনি হতে পারে আবার ধনি গরিব হতে পারে।ভদ্র অভদ্র হতে পারে,অভদ্র ভদ্র হতে পারে।সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়।অপরিবর্তনীয় কিছুই নাই পৃথিবীতে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অভদ্রের ভদ্র হওয়ার কষ্টের বিষয়। অভদ্র নিজে বুঝতেই পারে না সে অভদ্র। তাই সে সহজে পরিবর্তনের কথা চিন্তাতেও আনতে পারে না!
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়েছি।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৬
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
প্রতিনিয়তই আপনার নিজের মাঝে ঘটে চলা পরিবর্তনটা কি আপনি ধরতে পারছেন?