নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওদের ক্ষতিটা ভালো লাগেনি, যদিও ভালো লাগার কথা ছিলো!

২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

সৌদী আরবে গত কয়েক বছর ধরে সরকার বেচা-বিক্রি-কেনাকাটার ক্ষেত্রে বেশ কড়াকড়ি হচ্ছে। প্রথমত তারা সব জায়গায় কার্ড দিয়ে পন্য ও সেবা কেনা যাবে এটা নিশ্চিত করতে চাইছে। আর ভ্যাট যাতে ঠিক ভাবে কালেকশন হয় সেটা চাইছে।



এখন শুধুমাত্র বাঙ্গালী মার্কেট গুলার দোকান গুলা বাদে এবং গাড়ি রিপেয়ারিং এর দোকান বাদে অন্য প্রায় সব জায়গায় কার্ডেই কেনা কাটা করা যায়। বাঙ্গালী মার্কেটে সৌদী দেখলে কার্ড রিডার এগিয়ে দেয়, অন্য দেশী দেখলে পন্যই বিক্রি করবে না দরকারে, কিন্তু কার্ডে টাকা নিবে না!

ফলাফল স্বরূপ, সৌদী আরব এখন অনেকটাই ক্যাশলেস এবং ডিজিটাল মানির দিকে ঝুকেছে গত কয়েক বছরে। আর খুব শিগ্রহী সরকার এমন ব্যবস্থা করছে (খুব সম্ভবত এবছরের শেষের মধ্যেই) যে কেনাকাটা করলে সাথে সাথে সরকারের দফতরে ভ্যাটের হিসাব চলে যাবে।

কোন দোকান থেকে কেনাকাটায় যদি চালান না দেওয়া হয়, তাহলে ফাইন মাত্র ১০,০০০ রিয়াল।

------------------------------

কয়েকদিন আগে আমার এক বোতল পানি দরকার। যেখানে আছি সেখানে সারি দিয়ে কয়েকটা নামি-দামী রেষ্টুরেন্ট। পানি কিনতে গিয়ে দেখি সবাই বিদেশী ব্রান্ডের পানি বিক্রি করে, ৫রিয়াল ৩৩০ এমএল এর এক বোতলের দাম! যেখানে ৫ রিয়ালে ১০ বোতল পাওয়ার কথা, সেখানে এক বোতল কেনার মানেই হয় না।

কয়েকটা দোকান খুজেছি, সবাই ভদ্র ভাবেই বলেছে যে এখানে শুধু দামী পানিই আছে। শেষ যে দোকানটায় গিয়েছি, ওটায় দুই বাংলাদেশী ও দুই ভারতীয় কাজ করছে। তাদের জিজ্ঞাসা করে যখন বের হয়ে যাবো, তখন পিছন থেকে বাঙ্গালি একজন বলে উঠলো, এহ, ফইন্নি আইছি পানি কিনতে! বলতেই অন্য সবাই হেসে উঠলো! আমি জানি এদের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নাই, তাই বেরিয়ে এলাম।

গতকাল একটা কাজে ঐ এলাকায় আবার গিয়েছি, দেখি ঐ দোকানের সামনে ট্যাক্স-ভ্যাট ডিপার্টমেন্টের লোক ও পুলিশ।

জানতে পারলাম এ সৌদী কিছু খাবার কিনেছে, ওরা দাম রেখেছে ভ্যাট সহই, কিন্তু কোন রিসিপ্ট দেয় নাই। সৌদীতে এমন করলে অনেক সময়ই সৌদীরা এটাকে রিপোর্ট করে দেয়। আর এই সব কেস সরকার খুব গুরুত্বের সাথে নেয়।

বিষয়টা এমন না যে আপনি রিসিপ্ট চাইলেন, কিন্তু দিলো না তাহলে অপরাধ। বিষয়টা এমন যে আপনাকে ওরা রিসিপ্ট নিজ থেকে দিলো না, সেটাই অপরাধ।

সুপার শপ গুলিতে কেনা কাটা করতে গেলে প্রায়ই আমি রিসিপ্ট না নিয়ে এগিয়ে যাই, দেখা যায় পিছন পিছন কেউ দৌড়ে এসে রিসিপ্ট দিয়ে যায়।

যাই হোক, জানা গেলো ঐ দোকানে ১০,০০০ রিয়াল জরিমানা দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায় যে এই টাকাটা ঐ দোকানে ঐ সময়ে যে ক্যাশে ছিলো, তার পকেট থেকেই দোকান মালিক কাটবে। কারণ এই সব অপরাধ রেষ্টুরেন্টের নামে লিষ্ট হয়, এক বছরে একাধিকবার এমন কেস ধরা পড়লে লাখ লাখ রিয়াল জরিমানা গুনতে হয়।

মনের কোন এক কোনায় একটু আনন্দই লেগেছিলো প্রথম ধাক্কায়। সাথে সাথেই আবার খারাপ লেগেছে। বেশী খারাপ লেগেছে প্রথম ধাক্কায় ভালো লাগার জন্য।

Photo by CardMapr.nl on Unsplash

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক বছর সার্ভিস দিলে সৌদি আপনাকে নাগরিকত্ব ও নাগরিক অধিকার দিবে?

২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বর্তমান সময় পর্যন্ত নারিকত্ব পাওয়ার সিষ্টেম নাই। তবে খুব সম্ভবত বছরে একলাখ রিয়াল দিলে বা এক সাথে ৮লাখ রিয়াল দিলে প্রিমিয়াম ইকামা পাওয়া যায়। এটা দিয়ে পাসপোর্ট বাদে মোটামুটি প্রায় অন্য সকল নাগরিক সেবা পাওয়া যায়।

২| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

জটিল ভাই বলেছেন:
১০,০০০টা টাকা না রিয়েল?

২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: রিয়াল হবে। সারা জীবন টাকা বলতে বলতে আসলে টাকাই চলে আসে। ঠিক করে দিয়েছি।

ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: ক্যাশলেস হওয়ার আগে গুড গভার্নেন্স জরুরী। সরকার কি সেই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে?

২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: "গুড গভার্নেন্স" বলতে কি বুঝিয়েছেন সেটা ধরতে পারিনি। তবে হ্যাঁ কার্ডে ট্রান্সিকশন করা যায় মোটামুটি নিশ্চিতেই। আমি অনলাইন থেকে কখনোই ক্যাশ অন ডেলিভারীতে কিনি না। সব সময়ই কার্ডে পে করে দেই। বাড়তি ১% ছাড় পাওয়া যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সকল জায়গাতেই কার্ডে পেমেন্ট নেওয়ার সিষ্টেম চালু হয়েছে। তাছাড়া মোবাইল ওয়ালেটও বেশ জনপ্রিয়।

৪| ২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন বিষয়টা নিয়ে। আর একটু যোগ করি আপনার সাথে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর ব্যাপারটাও অনেকটা ক্যাশলেস করে ফেলছে। ছোট বড় সব সুপারসপের ক্যাশকাউন্টারে সিসিক্যামেরা বাধ্যতামূলক করেছে। যে কোন সময় যে কোন দোকানে কর্তৃপক্ষ সিসিক্যামেরা চেক দেখে কোন অনিয়ম আছে কিনা।

২০ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ, বহু বিষয়ই এমন যোগ হয়েছে দৈনন্দিন বিষয়াবলীতে।

আগে তহবিল আলরাজির সামনে যে ভিড় দেখা যেতো, এখন আর তেমনটা যায় না।

আমি গত ৩/৪ বছরে মনে হয় একবারও বুথ থেকে বা কোন সেন্টার থেকে টাকা পাঠাইনি। মোবাইল এ্যাপ দিয়েই পাঠাই।

৫| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমার মতে শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতি চালু হওয়া উচিত।
আমেরিকা সৌদি আরবের মতো কঠোর হচ্ছে না ইচ্ছাকৃতভাবেই।
অর্থনীতির স্বার্থে অল্প কিছু অনিয়ম সহ্য করতেছে।

শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতি চালু করলে গুড গভর্নেন্স এমনিতেই হয়ে যাবে। ঘুষ দুর্নীতি ৯৯.৯% কমে যাবে। তখন মানুষ সোনার গয়না দিয়ে ঘুষ দিতে পারে, বর্তমানে সেটাও বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা হইতেছে। ভারত বর্তমানে প্রতিটি গয়নার মালিকানার ইলেকট্রনিক সিল বাধ্যতামূলক করেছে। তখন মালিকানা বিহীন অর্নামেন্টস পুলিশ জব্দ করতে পারবে।
শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতির সর্বত্র চালু হলে অবৈধ জঙ্গি ফান্ড অবৈধ রাজনৈতিক ফান্ডিংও মনিটর করা যাবে।

২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ক্রিপ্টো কারেন্সি গুলি কিন্তু ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।

৬| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: সৌদি দিন দিন আধুনিক হচ্ছে।

২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ডিজিটাল হচ্ছে....

৭| ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশেও আইন আছে। কিন্তু প্রয়োগ নাই।

২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: প্রয়োগ বড় বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.