নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
২০০৫-৬ সালের কথা। আমি তখন খুলনার একটা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। কোচিং সেন্টারের নাম "ঢাকা কোচিং"। মূলত ঢাকার মূল শাখার একটা বিভাগীয় শাখা এটি। এখানের মালিকের নাম নজরুল।
নজরুল ভাইকে সবাই বেশ কিপ্টা হিসাবেই জানে। সব কিছুতে তার টাকা বাঁচিয়ে চলতে হয়। বহু পরে বুঝেছি, উনি এমনটা না করলে খরচের বন্যা সামাল দেওয়া সম্ভব হতো না।
নজরুল ভাইকে সবাই কিপ্টা জানলেও উনি প্রতি রমজানে ইফতারে প্রচুর খরচ করতেন। পুরা রমজান (চাঁদ রাত পর্যন্ত) চলতো ইফতার, ক্লাস থাকুক আর না থাকুক। আর আমাদের মত টিচারদের জন্য তা ছিলো বিশাল বিষয়।
আমরা ইফতার শুরুর ১৫-২০ মিনিট আগে লেগে যেতাম পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও পাকোড়া ছেড়ার কাজে। টুকরো টুকরা করা হতো এগুলি। দুইটা বড় বড় টেবিল একসাথ করে তার উপর পত্রিকা বিছানো হতো। এই পত্রিকাও আলাদা ভাবে রাখা হতো আগে থেকে, যাতে কারও হাতের ময়লা না থাকে।
ইফতারের সময়ের ২ মিনিট আগে ঢালা হতো মুড়ি, তার উপরে ছোলা, ভাজি-ভুজির টুকরা আর পেঁয়াজ। মাখামাখি করতে করতে ইফতারের সময় হতো। আমরা খেজুর ও পানি মুখে দিয়েই এই মাখামাখির উপর ঝাপিয়ে পড়তাম। খেতে খেতে যখন সবার খাওয়ার স্পিড কমে আসতো, তখন কেউ একজন চিৎকার করে বলতো, "এই, স্পিড ঢাল"।
এই স্পিড হচ্ছে মূলত আগের টুকরা করে রাখা ঐ ভাজি-ভুজি, আর ছোলা। এগুলি আগে থেকে একটু সাইড করে রাখা হতো। নতুন করে ভাজি ও ছোলা দেওয়ার সাথে সাথে আবার আমাদের স্পিড বেড়ে যেতো।
চরম দুর্দান্ত একটা ইফতার সময় পার করতাম আমরা। আজ প্রায় ১৮-১৯ বছর পরে এসেও যখন ঐ টিমের সাথে কথা হয়, ইফতার নিয়ে কথা হবেই, কিছুটা নিশ্চিত।
-----------------
মাঝে ফেসবুক টিকটক রিলিজের পর বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলো। হঠাৎই তাদের ভিজিটর কমে গেলো। ভিজিটর তাদের এ্যাপ ও ওয়েব সাইটে সময় ব্যায় করা কমিয়ে দিলো। ফেসবুকেরও দরকার ছিলো স্পিড। তারা আনলো ফেসবুক ওয়াচ ও রিলস। ব্যাস, আবার চলছে জম্পেস।
------------------
নিটের কথা গুলি খুব সম্ভবত আগেও আলোচনা হয়েছে ব্লগে, তবুও আবার বলছি। ব্লগে আমাদের একটু স্পিড দরকার। এই স্পিড কাউকে ব্যান করে বা আনব্যান করে নয়, ব্লগের ফিচারের দিক থেকে।
১. ওয়েব সাইটটাকে মোবাইল ফ্রেন্ডলী করা দরকার সবার আগে। এটা চরম গুরুত্বপূর্ণ
২. একটা এ্যাপ তৈরী করতে পারলে দুর্দান্ত হয়। আমার ফেসবুকে ভালো লাগে না, রেডিটে পড়ে থাকি সারা দিন। সেই হিসাবে আমি মনে করি এ্যাপ তৈরী হলে ভালো হতো।
৩. ওয়েব সাইটটা আবার ঢেলে সাজানো দরকার। একদম উপরের দিকে আলোচিত ব্লগ বা সর্বাধিক পঠিত ব্লগের একটা কালেকশন। বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক লেখার কালেকশন।
৪. চ্যাটের ব্যবস্থা করতে পারলে কিন্তু দুর্দান্ত হতো। এখন প্রচুর পরিমানে প্লাগইন/widgets পাওয়া যায় যেগুলি যে কোন সাইটে খুব সহজেই এ্যাড করা যায়। ডাটাবেজ ইম্পোর্ট করা যায় সহজে। ব্লগাররা একজন আর একজনের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। গ্রুপ চ্যাট করতে পারবেন। মূলত ব্লগটা শুধু লেখায় নয়, চ্যাটেও আড্ডার জায়গায় পরিণত করা যায়।
৫. নোটিফিকেশন চালুকরাটা জরুরী মনে করি। এখন ওয়ান সিগন্যালের মত সার্ভিস দিয়ে খুব সহজেই নোটিফিকেশন চালু করা যায়। কেউ আমার পোষ্টে লাইক দিলো, কমেন্ট করলো বা আমার কমেন্টের রিপ্লাই করলো তাতে আমি নোটিফিকেশন পাবো।
৬. মাল্টি রিপ্লাই। বর্তমানে একটা কমেন্টে শুধুমাত্র লেখকই রিপ্লাই করতে পারেন। কিন্তু অন্য কেউ যেমন একজনের কমেন্টে রিপ্লাই করতে পারেন না,কমেন্ট যিনি করেছেন তিনিও রিপ্লাইয়ের উত্তর করতে পারেন না। এটা পরিবর্তন হওয়া জরুরী।
--------------------
উপরের কাজ গুলি বলা সহজ, করা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়।
Photo by Mathew Schwartz on Unsplash
১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
লিখন২০১৬ বলেছেন: কুনো কিচুই অসম্বব লহে। ইচ্চা থাকিলেই উপায় অয়।