নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
আমাদের কম্পিউটারটা কেনা হয় ২০০০ সালের এক ঝড়ের দিনে! প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে আব্বা আর ভাইয়া মিলে খুলনার জলিল টাওয়ারে গিয়েছিলেন কম্পিউটার কিনতে। ৫০,০০০+ টাকা দিয়ে কম্পিউটার কেনা হয়। তখন আমরা দুই ভাই কম্পিউটার সম্পর্কে এতটুকু জানি যে এতে অনেক কিছু করা যায়, আর বড় একটা বাটন থাকে, ঐটা চাপ দিলে কম্পিউটার চালু হয়।
এর বেশী আমরা কিছুই জানতাম না। এর আগে অবশ্য আমরা কম্পিউটার দেখেছি, ধরেছি। বাড়ির সামনে বৈশাখী মেলায় একজন তার কম্পিউটার নিয়ে এসেছিলো, ৩টাকা দিলে Road Rash, NFS, Virtual Cop আর House of the Dead এর একটা খেলা যেতো। ঐ আমাদের কম্পিউটার অভিজ্ঞতা।
বাসায় কম্পিউটার আনার পর আমরা সারাদিন ঘাটাঘাটি করেতে থাকতাম। প্রথম বড় সমস্যায় পড়লাম বাংলা লিখতে গিয়ে। প্রবর্তন নামে একটা সফটওয়্যার ছিলো, সাথে বিজয়। দুইটাই আছে, কিন্তু বাংলা লেখা শুরু করতে হয় কিকরে জানা ছিলো না। দু/তিন দিন ঘাটাঘাটির পর পেরেছিলাম।
কালের বিবর্তনে এক সময় প্রবর্তন হারিয়ে যায়, ভরসা তখন বিজয়। তখনকার বাংলায় বড় সমস্যা ছিলো একটা কম্পিউটারের লেখা অন্য কম্পিউটারে নিয়ে দেখতে বেশ কেরিক্যাচার করা লাগতো। ফন্ট নেওয়া লাগতো। কাউকে ইমেইলে বাংলা লেখা পাঠাতে হলে স্ক্রীণশট নিয়ে সেটা পাঠাতাম, না হয় ফন্টটা পাঠাতাম। খুব কম লোকই তখন ফন্ট ইন্সটল করতে পারতো।
এক সময় কম্পিউটার জগৎ আর Computer Tomorrow নামে দুইটা বাংলা কম্পিউটার ম্যাগাজিনের সাথে পরিচিত হই। আমার Computer Tomorrowটা বেশী ভালো লাগতো। এই পত্রিকাতেই হঠাৎ জানলাম অভ্র নামে একটা সফটওয়্যার ও মেহদীর নাম। ঐ সমকালীন সময়েই মুস্তফা জব্বারের একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম (খুব সম্ভবত কম্পিউটার জগৎএ)। টাইটেলটা ছিলো, আতুড় ঘরে মাইক্রোসফটের ইউনিকোড!
ইউনিকোড সম্পর্কে ঐ সময়কার দিকেই জানতে পারি, এবং প্রথমেই আমার এটা বেশ প্রমিজিং মনে হয়ে ছিলো। কিন্তু কাগুর লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। মনে হলো এটা একটা হাইপ মাত্র, দু-দিন পর ধ্বংস হয়ে যাবে।
যাই হোক, ইউনিকোড আর অভ্রের মিশ্রণে ধীরে ধীরে বাংলা লেখা বেশ সুখকর হয়ে উঠলো। প্রথম প্রথম যুক্তাক্ষর গুলি ভেংগে গেলেও অন্তত চেষ্ট করলে পড়া যেতো। কাগুর ANSI এর মত এক্কেরে আনরিডেবল হয়ে থাকতো না।
-------------------
লেখার টাইটেলটা সামুর মেনু বার থেকে নেওয়া। এই লেখাটা এক সময় ছবি আকারে দেওয়া ছিলো, কারণ ঐ লেখাটাও ভেংগে দেখাতো। কম্পিউটার নতুন সেটআপ করলে আমি অনেক সময়ই এই পেজে গিয়ে দেখে নিতাম কি করে বাংলাটা ঠিক ঠাক দেখা যায়।
------------------
সময়ের পরিক্রমায় অনলাইনে বাংলা টাইপিং এখন অনেক সহজ। কষ্ট করে আর টাইপও করা লাগে না তেমন। গুগল কিবোর্ড দিয়ে মুখে বলেই করা যায়।
আমার যদ্দুর মনে পড়ে ১৫০+ কোটি টাকার একটা প্রোজেক্ট কাগু নিয়েছিলেন, গুগল যেটা ফ্রিতে দিয়েছে আমাদের, সেটার জন্য। কাগুর ঐ প্রযেক্টের কদ্দুর কি আল্লাহ জানেন। আমি টুকটাক খুজেও কোন উত্তর পাইনি।
অনলাইনে বাংলার এই সহজ হবার পেছনে মেহদীর অবদান অনস্বীকার্য। তার হাতে একটাবার একুশে পদক দেখতে চাই!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অভ্র আসবার পর যে বিজয় ছেড়েছি, তার পর আর বিজয় কখনও ভুলেও ইন্সটল করি নি!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: পুরনো স্মৃতি মনে পরে গেল।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুমমমম
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাসায় কম্পিউটার আসে ১৯৯৭ সালে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অভিনন্দন।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫০
এ পথের পথিক বলেছেন: বিজয় ইন্সটল করা অনেক ঝামেলার । ইন্সটিটিউটে পড়ার সময় স্যাররা বলত বিজয় শিখতে, অথচ দেখতাম স্যাররাই অভ্র ব্যবহার করত । ব্যবহার করছে এটা দোষের কিছু না, বিজয় সেটআপ ঝামেলা ছিল ।
পরে কয়েকবার বিজয় ইন্সটল দিয়ে টাইপিং শেখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেখানে লেখাও খুব কষ্টের । পরে অভ্র শুরু, অভ্র তে স্বাচ্ছন্দ্য, অভ্র তে ভালোবাসা ।
আপনার সাথে একমত যিনি আমাদের বাংলা লেখাকে এত সহজ করেছেন এবং তা সবার জন্য বিনামুল্যে উন্মুক্ত করেছে তাকে সন্মাননা হিশেবে একুশে পদক দেয়া উচিত । এ সরকারের আমলে যদি এটি বাস্তবায়িত না হয় তাহলে দেখা যাবে বি দল এলে নতুন স্টিভ জব্বার চলে এসেছে ।
খুব ভাল লিখেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: কাগুর বিজয় দিয়ে শুরু এখনো বিজয়, অভ্রতে আর সাবলিল হতে পারিনি, বিজয়টা আমার সাথে মিশে গেছে। তায় বলে আমি কাগুর ভক্ত নই, অবশ্যই মেহেদী জিন্দাবাদ। কাগুর ধান্দা মেহেদী ফ্রি করে দিল