নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Que sera, sera

আমি , আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected]

নতুন

ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে

নতুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এতো পোস্ট কেন? কার লাভ? প্রমান দেখুন ভন্ডপীরের কথায়..

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪



ভন্ডপীরের চেলারা কেন এতো পুস্ট করতাছ? ভন্ডরা কারন ছাড়া কিছু করবে? অবশ্যই না... এর মুল কারন ব্যবসা আর কিছু না...

রাজারবাগী দরবার এতো আয়েজন করে ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী পালন করে.... আর মুরিদের উতসাইত করে দান করার জন্য....

রাজারবাগী্ ওয়েবসাইটে পীরের দরবারে খরচা করার জন্য আবেদন জানানোর প্রমান দেখেন . দান করলে কি কি ফজিলত হবে তাও বলা আছে...

>>> ভন্ডপীরের আবেদন .>>>

=============================================

"" মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সখী‘ বা দানশীল হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’।’

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!

তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া

=============================================

এখানে আল্লাহের কথা বলে>>> রিযিকের থেকে খরচা করতে বলতেছে....

রাসুলের কথা বলে>>>>>> দানশীল হচ্ছে হাবিবুল্লাহ>>



যেই ব্যাক্তি ১ দিরহাম দান করবে... সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে,



সে >>> পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে,



সে >> উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে



তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া





এইটা হইলো আসল কথা.... ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী হইলো কথার কথা মাত্র....

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

মেলবোর্ন বলেছেন: টাকা দিলে বেহেস্তের টিকেট: মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সখী‘ বা দানশীল হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।

তার মানে ওরা এই আয়াতকে অস্বীকার করছে না? আমার তো তাই মনে হয় যেখানে সুস্পস্ট বলা আছে :"“বল, আমি তো নতুন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদিগের ব্যাপার কি করা হবে। আমি আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র” (৪৬-৯)"

তাই তো বলি ঈদে মিলাদুন্নবী মানা ফরযে আইন না কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত? দেখুন আমার এপোস্টে ওদের এত বর্ননা যুক্তু কমেন্ট।

Click This Link

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

নতুন বলেছেন: ভন্ডবাবার বয়ানেই বোঝা যায় যে এর পেছনের ব্যবসাইক উদ্দেশ্যটাই আসল....


এই ঠান্ডায় ৩.৫ তে তাপমাত্রা নামে.... তাদের জন্য ১টাকাও খরচা করতে রাসুল বলেনাই... বলছে... ভন্ডবাবার দরবারে দান করতে....

আর বলদরা তাও প্রমান নিয়া লাফালাফি করে.... এরা অন্ধ না এই ধান্ধার সহযোগি বুঝিনা...

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেয়াক্কেল
নবীর জন্ম দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করলে ঈমান থাকবেনা
আর বেঈমানের এবাতদ আল্লাহর দরবারে পউছেনা ।
ভণ্ড দের সাথে মিলাদের মিল কেন ।
দৃষ্টিপাত

মিলাদ আম্বিয়া আ এর সুন্নত

হে প্রতিপালক আমাদের এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে ,যিনি তোমার আয়াত সমুহ তাদের নিকট তেলায়াত করবেন এবং তাদেরকে তোমার কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান দেবেন এবং তাদেরকে অতি পবিত্র করবেন নিশ্চয় তুমি পরাক্রম শালি , প্রজ্ঞাময় ।

অন্যান্য নবীদের দোয়া এটি

ইব্রাহিম আ এর দোয়া যে দরুদ আমরা নামাযে পাঠ করি
মুসা আ বললেন হে আল্লাহ আহমদ কে , আল্লাহর উত্তর আখেরি যামানার নবী
আমাকে সেই যামানার নবী বানানো হোক
আল্লাহ অসম্ভব সেই আহম্মদ সমস্ত নবীদের সর্দার
তাহলে তার উম্মত হওয়ায় সুযোগ দেওয়া হোক
আনাস রাদিয়াল্লাহু আ হইতে বর্ণীত
ইছা আ বললেন আমিই মনে হয় যামানার বড় প্যগম্বর আল্লাহ বললেন অহংকার ত্যাগ কর মহাম্মাদের উম্মতের একরাতের এবাদত তোমার কউমের সমান হবেনা
ইয়া রাছুলুল্লাহ আমাকে নবী না বানায়ে যদি তার উম্মত বানাতেন বড়ই ভাগ্যবান হইতাম , আল্লাহ তার ফরিয়াদ কবুল
করেছেন এবং আসমানে উটিয়ে রাখলেন আবার আসবেন উম্মত হিসাবে । তবছিরে কবির
আর আমরা উম্মত হয়ে তাকে চিনতে তার শান মান মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলি , নাউযুবিল্লাহ
ফেরেস্তাদের ছুন্নত
দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেস্তা নবীজীর রওজা মোবারকে রহমতের ফাকা বিস্তার করে পালা ক্রমে দরুদ ও ছালাম ভেজে আনন্দের সহিত মিছিল সহকারে , যে ফেরেস্তা গন একবার সুযোগ পায় ২য় বার সে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ পাবেনা ।
অতপর কিয়ামতের পর আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে তাকে আল্লাহর ডান পাঁশে সম্মানিত আসনে বসানো হবে ।
মেশকাত শরিফ একাদশ জিলদে ৭৬/৭৭ পৃষ্টা ৫৭০৩ এর ১২ ন্নগ হাদিস

মিলাদ শরিফ সাহাবা কেরামের ছুন্নত
আন্নেয়ামুল কুব্রা হাদিস সংকলন থেকে । উপরে সাহাবাদের ছুন্নত ও তাদের মহান বানি সন্নেবেশিত করা হল ।
আল্লাহ হেদায়েত দিন আমিন ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
লেখক বলেছেন: ইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.

অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)

হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)

অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .

অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)











লেখক বলেছেন: নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ নয় । প্রমান ।


এর জাওয়াব হলোঃ উলামায়ে সূ’দের উক্ত কথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ার কারণে কুফরী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ হলো যে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ.
অর্থ: “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাক- উনার ইতায়াত করো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর উনাদের ইতায়াত করো। অতঃপর যখন কোন বিষয়ে উলিল আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহ্র দলীল বেশি হবে উনারটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা, আয়াত শরীফ ৫৯)
প্রকাশ থাকে যে, ইখতিলাফ বা মতভেদ দুই রকমের হয়ে থাকে।
(১) শুধু হক্বের জন্য হক্ব তালাশীগণের ইখতিলাফ। যেমন- ঈমানের শর্ত হিসেবে কেউ উল্লেখ করেছেন,
التصديق باالجنان والاقرار باللسان.
অর্থ: “অন্তরে বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি।”
আবার কেউ উল্লেখিত দু’টি শর্তের সাথে তৃতীয় শর্ত হিসেবে
والعمل بالاركان.
অর্থ: “ফরযসমূহ আমল করা” উল্লেখ করেছেন।
অনুরূপ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি বিষয় বা আমলের ক্ষেত্রে তার মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনার ব্যাপারে ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اختلاف العلماء رحمة.
অর্থ: “হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের ইখতিলাফ রহমতের কারণ।”
যেমন- হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ ইখতিলাফ করে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী- ৪টি মাযহাবকেই হক্ব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এর উপরই উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(২) হক্ব তালাশীগণের সাথে নাহক্বপন্থীদের ইখতিলাফ বা মতবিরোধ। যেমন- হক্বপন্থীদের আক্বীদা হলো আল্লাহ পাক এক এবং অদ্বিতীয়। নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী ও রসূল। তিনি নূরের সৃষ্টি। তিনি ইলমের গইবের অধিকারী ইত্যাদি। কিন্তু এসবের বিপরীত হলো বাতিলপন্থীদের আক্বীদা। যেমন- তাদের কারো আক্বীদা হলো, আল্লাহ পাক তিনজন অর্থাৎ তারা ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদায় বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! কারো আক্বীদা হলো- আল্লাহ পাক, উনার হাবীব শেষ নবী ও রসূল নন। নাঊযুবিল্লাহ। কারো আক্বীদা হলো, তিনি নূরের সৃষ্টি নন। নাঊযুবিল্লাহ! তিনি ইলমে গইবের অধিকারী নন। নাঊযুবিল্লাহ! ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় যদি পালন করা ঠিক না হয় তাহলে কি আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, ঈমান-ইসলাম সব বাদ দিতে হবে? কস্মিনকালেও নয়। বরং আল্লাহ পাক যে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে মতভেদ হবে সেখানে যে উলিল আমরের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল বেশি হবে, উনারটিই গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং, যে ব্যক্তি বলবে মতভেদপূর্ণ বিষয় পালন করা ঠিক নয়, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুরতাদ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
আর কোন বিষয়ে যখন একাধিক মত থাকবে তখন যেই মতটি অত্যধিক ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য হবে তা আমল করতে হবে। মতভেদ আছে বলে, মূল বিষয়টির আমলই ছেড়ে দিতে হবে এ বক্তব্য চরম শ্রেণীর জাহিলদের উক্তি বৈ কিছুই নয়। এ বক্তব্যও কুরআন-সুন্নাহ’র সম্পূর্ণ বিপরীত ও কুফরীর শামিল।
স্মরণীয় যে, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন। এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত।
যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন,
“তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ )
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহূর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। অতএব, তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

নতুন বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেয়াক্কেল
নবীর জন্ম দিনের অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ করলে ঈমান থাকবেনা
আর বেঈমানের এবাতদ আল্লাহর দরবারে পউছেনা ।
ভণ্ড দের সাথে মিলাদের মিল কেন


ভন্ডরা ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী নিয়া এতো লাফালাফি করতেছে কেন? কারন এই রকমের অনুস্ঠান আয়োজন করলে দরবার শরিফে কামাই বাড়ে....

আর কিছুনা.... আর আরব দেশে শুধু মাত্র সরকারি বন্ধ থাকে.... আর কোন আয়োজন থাকেনা....

এখন মনে হইতেছে... যে আমাদের দেশের কিছু মানুষ আসলেই আরবদের চেয়ে বেশি যানে এবং বোঝে...

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

শার্ক বলেছেন: @পরিবেশ বন্ধু,

I think you and writer are the same category and I see you always supporting Bidah and quoting many out of context things.

I think you will be corrected after that. Quote any hadith from Bhukhari and other Sahi hadith within the context.

Thanks!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

নতুন বলেছেন: @শার্ক >> আপনি আমার লেখায় ঐ দলের সাথে মিল পাইলেন?

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

নদীর তীরে বলেছেন: এখানে ভুল কি বলা হইল ?
এখানে তো খরছ করার ফযিলত বর্ননা করা হয়েছে ।

আপনার ঘরে আপনি খরছ করুন । কোথাও দিতে তো বলা হোয় নাই ।

আল্লাহ পাক নিজেই তো বললেন আল্লাহ পাকের রাস্তায় দান করলে ১ এ ৭০০ দিবেন ।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

সকাল>সন্ধা বলেছেন: আসলে আবু লাহাব, আবু জাহেল সহ তাবত কাফির জানত কুরআন হাদিস ও নবী সত্য কিন্তু তারা মেনে নিতে পারতনা।
এই পোষ্ট দাতাদের অবস্থা হয়েছে ঐরকম। জাই বলাহউক এর বিরুধিতা করতে হবে। মানা জাবেনা কারণ মুরব্বী বলেছে।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

টিনের বাড়ী বলেছেন: কোরান শরিফ-হাদিস শরিফে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি সম্পর্কে সুস্পষ্ট দলিল থাকার পরেও কিছু কিছু ওলামায়ে' ছু ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি উনার বিরোধীতা করে , বিদায়াত বলে ফতোয়া দেয় কিন্তু পহেলা বৈশাখ , ভালোবাসা দিবস , থার্টি ফার্ষ্ট নাইট, পহেলা জানুয়ারী , নেতাদের জন্মদিবস , বিদায়াত বলে ফতোয়া দেয়না বরং অংশগ্রহন করে (নাউযুবিল্লাহ) ।যদি জন্মদিন পালন কিম্বা মৃত্যুদিবস পালন বিদায়াত হয়ে থাকে তাহলে বাকি সবার কেন বিদায়াত নয় ? এদের পালন নিয়ে তো কোন দলিল নাই ! এরা মুলত বকলম, অথর্ব, গন্ডমুর্খ , শয়তানের খাছ ছেলা ।এদের স্থান জব্বুল হুযুন ।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০

টিনের বাড়ী বলেছেন:
একটা গরিব লোক রে দান করলে যদি অনেক ফযিলত পাওয়া যায় তাইলে ঈদ-ই- মিলাদুন্নবিতে খরছ করলে ফযিলত পাবেনা কেন ?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

নতুন বলেছেন: দেশে যখন ঠান্ডায় মানুষ মরে... তথন আপনার বাবা ১ দিরহাম খরচ করে না কেন?

তিনি তো মানুষের জন্য হাদিস কপচান না... ফোতয়া দেন তার দানবাক্সের জন্য....

আপনারা কি আসলেই তাকে বিশ্বাস করেন না কি তার ভন্ডামীর সাহাজ্য করে ভাগ পান?

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

টিনের বাড়ী বলেছেন: দান করলে কি আপনাকে জানায়ে করতে হইবে ?
যারা লোক দেখানোর উদ্দেশে দান করে তারা জাহান্নামী ।

সব আমল একমাত্র আল্লাহ পাক ও হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টীর জন্য করতে হইবে ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

নতুন বলেছেন: গতকাল রাতেও ৮রশির পীরের দলীয় সদস্যরা দাওয়াতে আসছিলো... খেদমতের জন্য মটিভেট করতে.... দান করলে কত ফয়দা হবে তা বলতে...

সব পীরের এজেন্টরাই পীরের দান বাক্সে দানের কথা বলে.... আপনিও আপনার পীরের টিনের বাক্সে দানের ফয়দা নিয়া এসেছেন ....

আপনার পীর তো এই শীতে ১ দিরহাম দানের জন্য কোথাও আবেদন করেন নাই.... বা মুরিদের দিতে বলেন নাই... মুখে অন্য জন্যকে দানের জন্য বললেও জাহান্নামী হয় নাকি???

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

উযায়র বলেছেন: ১। পো্ষ্টের জন্য সালাম ।

২। রাতুলবিডিরে সামু বোতলবন্দী করসে, ওর পক্ষ থেকেও সালাম ।

৩। "পরিবেশ বন্ধু" শুধুই পরিবেশ নষ্টকারী, "পরিবেশ অবান্ধব ", বিরক্তিকর, ওনার সুস্হতা এবং বুদ্ধিমত্তা কামনা করি ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই....

এদের গদামের উপরের রাখতে হবে...

মিথ্যা প্রচারনার বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে...

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

আলতামাশ বলেছেন: টিনের বাড়ি, সকাল-সন্ধা, সাগর তীরে এই তিনটা বাগি

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

নতুন বলেছেন: হুম সব ভন্ডবাগী...

এরা যদি অন্ধভক্ত হয় তবে তাদের জন্য... করুনা হয়...

কিন্তু যদি এই ধান্ধাবাজীর চ্যালা হয়... তাইলে গদাম...

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

ইখতামিন বলেছেন: ওয়াও......
নতুন বটে

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

নতুন বলেছেন: হুম... নতুন :)

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

শার্ক বলেছেন: @writer,

sorry my mistake. This is typo.

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

নতুন বলেছেন: ঠিক আছে.. :)

ভন্ডদের গদাম দেবেন সব সময়ে... হ্যাপি ব্লগিং

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এই ভণ্ড তুই কে বার বার ডিস্টার্ব করা তো ভাল না
আমি আল্লামা সাইখুল হাদিস এবং মোহাদ্দেস
এবং ইসলামী বিষয়ে ডঃ ।
মনে করছ নিজেকে অনেক জ্ঞানি / ভণ্ডামি বাদ দে আর যেন তুই আমার ব্লগ কমেন্টে না জরাস , শেষতক গুলির অর্ডার দিয়া দিমু আর মিথ্যা বুঝানোর জন্য মুসলিম হলে মাফ চা আর অন্য ধমের হলে রাস্তা মাফ

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এই ভণ্ড তুই কে বার বার ডিস্টার্ব করা তো ভাল না
আমি আল্লামা সাইখুল হাদিস এবং মোহাদ্দেস
এবং ইসলামী বিষয়ে ডঃ ।
মনে করছ নিজেকে অনেক জ্ঞানি / ভণ্ডামি বাদ দে আর যেন তুই আমার ব্লগ কমেন্টে না জরাস , শেষতক গুলির অর্ডার দিয়া দিমু আর মিথ্যা বুঝানোর জন্য মুসলিম হলে মাফ চা আর অন্য ধমের হলে রাস্তা মাফ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

নতুন বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এই ভণ্ড তুই কে বার বার ডিস্টার্ব করা তো ভাল না
আমি আল্লামা সাইখুল হাদিস এবং মোহাদ্দেস
এবং ইসলামী বিষয়ে ডঃ ।
মনে করছ নিজেকে অনেক জ্ঞানি / ভণ্ডামি বাদ দে আর যেন তুই আমার ব্লগ কমেন্টে না জরাস , শেষতক গুলির অর্ডার দিয়া দিমু আর মিথ্যা বুঝানোর জন্য মুসলিম হলে মাফ চা আর অন্য ধমের হলে রাস্তা মাফ



চমতকার আপনার মুখের ভাষা পরিবেশ বন্ধু.......

মানুষকে ভন্ড...কাফের বলতে একটু ও মুখে আটকায়না...

যখন তখন তুই বলতে শিক্ষাটাকি আপনার ভন্ডবাবার কাছ থেকেও পেয়েছেন???

আমি আল্লামা সাইখুল হাদিস এবং মোহাদ্দেস
এবং ইসলামী বিষয়ে ডঃ ।


আপনার মতন াবাল ইসলামী ডা: আমি খুবই কম দেখেছি...

যে কিনা ভন্ডবাবা দের টাকার খেলা দেখেনা... ঘুম থেকে উঠেন...

আপনি আপনার মিথ্যা প্রচার আপনার ঘরে বইসা করেন... আমার সমস্যা নাই..

কিন্তু ব্লগে সাধারন মানুষের মাঝে মিথ্যা প্রচার করলে... সেইটা আমার বিবেকে বাধে... তাই আপনাদের মিথ্যা গুলি মানুষকে বোঝাতে হয়...

ভাল হইয়া যান... শুধু আমি না... ব্লগে ৯০% মানুষই আপনার ইসলামী গিয়ানকে ভুল বলে মনে করে... চোখ খুলে দেখেন..বুঝতে পারবেন...

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি কাফের ডাকি নাই ভণ্ড বলেছি
চুখ খুলে দেখা উচিৎ বিশ্ব ভুবনে যথা যোগ্য মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবি সা পালন হয়েছে কিনা , যদি হয়ে থাকে তাহলে
আমার সাথে পাতলামি করা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রনিত , আগে আপনাকে আমি শদ্ধার চোখে দেখতাম , এখন আমার নিকট আপনার সে যোগ্যতা নিজেই নষ্ট করে দিলেন । মানুষ যখন বেশি অতিসট হয় তখন গালি নামক বস্তুটি চূড়ে দেয় সবাভাবিক , প্লিজ আপনার মিথ্যা যুক্তি এবং অহাবিদের দালালি বন্ধ করে ভাল হয়ে যান , আল্লাহ হেদায়েত দিন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এই ভণ্ড তুই কে বার বার ডিস্টার্ব করা তো ভাল না
আমি আল্লামা সাইখুল হাদিস এবং মোহাদ্দেস
এবং ইসলামী বিষয়ে ডঃ ।


এইটা কি সত্য?

আপনার মিথ্যা হাদিস আর গল্প নিয়া পুস্ট করবো... একটু সময় দেন...

১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপরের জলন্ত হাদিস সমুহ না পড়ে তুমি মনগড়া দলিল
বানিয়েছ , আর মনগড়া দলিল গ্রহন যোগ্য নয় সুতরাং তোমার
কমেন্ট ব্যান করার সিদ্ধান্তে পৌঁছব

কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২

নতুন বলেছেন:
কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি !!!!!!!!

আপনার ভন্ডবাবার মুরিদরা কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি??

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপরের জলন্ত হাদিস সমুহ না পড়ে তুমি মনগড়া দলিল
বানিয়েছ , আর মনগড়া দলিল গ্রহন যোগ্য নয় সুতরাং তোমার
কমেন্ট ব্যান করার সিদ্ধান্তে পৌঁছব

কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপরের জলন্ত হাদিস সমুহ না পড়ে তুমি মনগড়া দলিল
বানিয়েছ , আর মনগড়া দলিল গ্রহন যোগ্য নয় সুতরাং তোমার
কমেন্ট ব্যান করার সিদ্ধান্তে পৌঁছব

কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপরের জলন্ত হাদিস সমুহ না পড়ে তুমি মনগড়া দলিল
বানিয়েছ , আর মনগড়া দলিল গ্রহন যোগ্য নয় সুতরাং তোমার
কমেন্ট ব্যান করার সিদ্ধান্তে পৌঁছব

কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি

২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উপরের জলন্ত হাদিস সমুহ না পড়ে তুমি মনগড়া দলিল
বানিয়েছ , আর মনগড়া দলিল গ্রহন যোগ্য নয় সুতরাং তোমার
কমেন্ট ব্যান করার সিদ্ধান্তে পৌঁছব

কোরআন ও হাদিস দলিল কমিটি

২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৫

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: "নূরে মুহাম্মাদীই (সাঃ) প্রথম সৃষ্টি" বিষয়ক বিভ্রান্তি ও ভিত্তিহীন কথা
একটা কথা আছে যে 'মুমিন আল্লাহর নূরে সৃষ্টি' এই হাদিসটি দালাইলামীর গ্রন্থে রয়েছে। এই গ্রন্থে অনেক জালহাদিস হাদিসই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে, কিন্তু এই হাদিসটি আমাদের সমাজে প্রসিদ্ধ নয়। পক্ষান্তরে একটি হাদিস যা কোন হাদিস গ্রন্থে সংকলিত হয়নি, সেই অস্তিত্বহীন কথাটি আমাদের সমাজে বহুলভাবে প্রচলিত। শুধু তাইনয় এই সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন সনদহীন কথাটি সর্ববাদীসম্মত মহাসত্যের রূপ গ্রহনকরেছে এবং তা ইসলামী বিশ্বাসের অংশ বলে স্বীকৃতি দেয়াহচ্ছে। কেউকেউ এটাকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাস বলেও দাবীকরেন এবং এর বিপরীত চিন্তা করাটাও কাট্টা কুফরীর বলে মন্তব্য করে থাকেন। এমনকি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডর স্বীকৃত 'আকিদা ও ফিকহা' গ্রন্থেও যা হাদীস হিসাবে উল্লেখিত। হাদিসটি নিম্নরূপঃ

"আওওয়ালুমা- খালাকাল্লাহু নূরী"
অর্থঃ "আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন"

একটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশ হিসাবে হাদীসটি প্রচলিত। হাদিসটির সার সংক্ষেপ হলো, জাবির (রাঃ) রাসুল্লাহ (সাঃ) কে প্রশ্ন করেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম কী সৃষ্টি করেন? উত্তরে তিনি বলেনঃ

"সর্বপ্রথম আল্লাহ তোমার নবীর নূরকে তার নূরথেকে সৃষ্টিকরেন।" এরপর এই লম্বা হাদীসে উল্লেখকরা হয়েছে যে, এই নূরকে বিভিন্ন ভাগেভাগ করে তা থেকে আরশ, করসী, লওহ, কলম, ফিরিশতা, জিন, ইনসান এবং সমগ্র বিশ্বকে সৃষ্টি করাহয়।..,

রাসুল্লাহ (সাঃ) এর নূরকে সর্বপ্রথম সৃষ্টিকরা হয়েছে বা তার নূরথেকে বিশ্ব বা অন্যান্য সৃষ্টিকে সৃষ্টি করা হয়েছ অর্থে যা কিছু প্রচলিত সবই ভিত্তিহীন বানোয়াট ও মিথ্যাকথা।
কেউকেউ দাবি করেছেন যে, হাদীসটি বাইহাকী বা আব্দুর রাযযাক সান'আনী সংকলন করেছেন।এই দাবিটি ভিত্তিহীন। আব্দুর রাযযাক সান'আনীর কোন গ্রন্থে বা বাইহাকীর কোন গ্রন্থে এইহাদীসটি নেই। কোন হাদিসের গ্রন্থে এই কথাটির অস্থিত্ব নেই। সহীহ, যয়ীফ এমনকি মাউযু বা মিথ্যা সনদেও এই হাদীসটি সংকলিত হয়নি। সাহাবিগণের যুগ থেকে আজপর্যন্ত শতশত হাদীসের গ্রন্থ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত হয়েছে, এরমধ্যে যেসকল গ্রন্থে সনদসহ হাদীস সংকলিত হয়েছে আপনি যদি খুঁজে দেখেন তাহলে আমাদের সমাজে প্রচলিত যেকোন হাদীস অন্তত১০/১৫ টা গ্রন্থে পেয়ে যাবেন। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বা প্রসিদ্ধ হাদীস আপনি প্রায় সকল গ্রন্থে দেখতে পাবেন কোনকোনটা ৩০/৩৫টি হাদীসের গ্রন্থে এক বা একাধিক সনদে সংকলিত দেখতে পাবেন। কিন্তু হাদীস নামের এই "আওওয়ালুমা- খালাকাল্লাহু নূরী" এই বাক্যটি খুজে দেখুন, একটি হাদিস গ্রন্থেও পাবেন না। রাসুল্লাহ (সাঃ) এর যুগথেকে পরবর্তী শতশত বছর পর্যন্ত কেউ এই হাদীস নামক কথাটি জানতেন না।

যতটুকু জানাযায়, ৬ষ্ট হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম মুহিউদ্দীন ইবনু আবারী আবু বাকর মুহাম্মদ উবনু আলী তাঈ হাতিমী(৫৬০-৬৩৮হি ১১৬৫-১২৪০খৃ) সর্বপ্রথম এই কথাগুলিকি 'হাদীস' হিসাবে উল্লখ করেন। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ইবনু আরাবী তাঁর পুস্তকসমুহে অগণিত জালহাদীস ও বাহ্যত ইসলামী বিশ্বাসের সাথে সংঘর্ষিক অনেক কথা উল্লেখ করেছেন। পরবর্তী যুগে কোনকোন বুযুর্গ তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধা বশত ও সকল কথার বিভিন্ন ওজর বা ব্যাখ্যা পেশ করেছেন আবার অনেকে কঠিনভাবে আপত্তি করেছেন। বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফেসানী হযরত আহমদ ইবনু আব্দুল আহাদ সারহিন্দী (১০৩৪হি) ইবনু আরাবীর এ সকল জাল ও ভিত্তিহীন বর্ণনার প্রতিবাদ করেছেন বারংবার। কখনো কখরো নরম ভাষায় আবার কখনো কঠিন ভাষায় (দেখুন মাকতুবাত শরীফ১/১, মাকতুব ৩১, পৃষ্ঠা ৬৭.৬৮, মাকতুব ৩৪) এক চিঠিতে তিনি লিখেছেনঃ "আমাদের নসস বা কুরআন ও হাদীসের পরিস্কার অকট্য বাণীর সহিত কারবার, ইবনু আবারীর কাশফ ভিত্তিক ফসস বা ফুসুসুল হিকামের সহিত নহে। ফুতুহাতে মাদানীয়া বা মাদানী নবী (সাঃ) এর হাদীস আমাদেরকে ইবনে আরাবীর ফাতুহাতে মাক্কীয়া জাতীয় গ্রন্থাদি থেকে বেপরওয়া করিয়া দিয়াছেন (দেখুন প্রাগুক্ত, ১/১ মাকতুব ১০০, পৃষ্ঠা ১৭৮) অন্যত্র প্রকৃত সূফিদের প্রশংশাকরে করে লিখেছেন:"তাহারা নসস, করআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বাণী, পরিত্যাগ করত শেখ মহিউদ্দিন ইবনে আরাবীর ফসল বা ফুসসুল হিকাম পুস্তকে লিপ্ত হয়না এবং ফুতুহাতে মাদানীয়ার অর্থাত হদীস শরীফ বর্জন করত ইবনে আরাবীর ফুতুহাতে মাক্বীয়ার প্রতি লক্ষ করেন না (দেখুন প্রাগুক্ত, ১/১ মাকতুব ১৩১, পৃষ্ঠা২১০)"

সর্বাবস্থায় ইবনু আরাবীর এই বাক্যটির কোন সুত্র বা উতস উল্লেখ করেন নায়। কিন্তু তিনি এর উপরে তার প্রসিদ্ধ সৃষ্টিতত্তের ভিত্তি স্থাপন করেন। খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের লোগোস তত্ত্বের(Theory of Logose) আদলে তিনি 'নূরে মুহাম্মাদী তত্ত্ব' প্রচার করেন। খৃষ্টানগন দাবীকরেন যে ঈশ্বর সর্বপ্রথম তার 'জাত' বা স্বত্ত্বা থেকে 'কালেমা' বা পুত্রকে সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে তিনি সকল সৃষ্টি করেন। ইবনু আরাবী বলেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মাদী সৃষ্টি করেন এবং তারথেকে সকল সৃষ্টিকে সৃষ্টিকরেন। ক্রমান্বয়ে কথাটি ছড়াতে থাকে। বিশেষত ৯/১০ম হিজরীতে লেখকগনের মধ্যে যাচাই ছাড়াই অন্যের কথার উদ্ধৃতির প্রবনতা বাড়তে থাকে।শ্রদ্ধাবশত বা ব্যস্ততাহেতু অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কারনে নির্বিচারে একজন লেখক অপরজন লেখকের নিকটথেকে গ্রহন করতে থাকেন। যে যা শুনেন বা পড়েন তাই লিখতে থাকেন, বিচার করার প্রবনতা কমতে থাকে। দশম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম আল্লামা আহমদ ইবনু মুহাম্মদ আল-কাসতালানী (৯২৩ হি) তার রচিত প্রসিদ্ধ সীরাত গ্রন্থ 'আল-মাওয়াহিব আল -লাদুন্নিয়া' গ্রন্থে এই হাদীসটি 'মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে' সংকলিত রয়েছে বলে উল্লক করেন। প্রকৃতপক্ষে হাদীসটি 'মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে' বা অন্যকোন হাদীসগ্রন্থে বা কোথাও সনদ সহ সংকলিত হয়নি। আল্লামা কাসতানী যে কোন কারনে ভুলটি করেছেন। কিন্তু এইভুলটি পরকর্তি সময়ে সাধারণভুলে পরিনত হয়। সকলেই লিখেছেন যে হাদীসটি 'মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকে' সংকলিত অথচ কেউই কষ্টকরে গ্রন্থটি খুঁজে দেখেন না। সারা বিশ্বে 'মুসান্নাফ', 'দালাইলুন নুবুওয়াহ' ও অন্যান্য গ্রন্থের অগণিত পান্ডুলিপি রয়েছে এছাড়া গ্রন্থগুলি মুদ্রিত হয়েছে । যে কেও একটু কষ্টকরে খুঁজে দেখলেই নিশ্চিত হতেপারবেন। কিন্তু মজার বাপার হল এই কষ্টটা কেও করতে রাজি না হয়ে গায়েরজোরে কোরআন হাদীসের দ্রার্থহীন বাণী অশিকারের মত দ্রষ্টতা দেখান যা কোন মুমেনের কাজ হতেপারে না পক্ষান্তরে ঈমাম সুয়ুতী ও অন্যান্য যে সকল মুহাদ্দিস এই কষ্টটুকু করেছেন তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে, এই হাদীসটি ভিত্তিহীন ও অস্তিত্বহীন কথা। (দেখুন সুয়ুতী, আল-হাবী ১/৩৮৪-৩৮৬)

গতকয়েক শত বছর যাবত এই ভিতাতিহীন কথাটি ব্যাপকভাবে মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। সকল সীরাত লেখক, ওয়ায়েজ, আলেমগণ এই বাক্যকে এবং এ সকল কথাকে হাদীসরূপে উল্লেখ করে চলেছেন কেউকেউ ঈমানের অংশ বানিয়ে নিয়েছেন যার ফলে অশংখ্যা মুমিনের ঈমানকে নষ্টকরে দিয়েছে। এই মিথ্যা ভিত্তিহীন কথাটি ইসলামের প্রথম ৫০০ বছরে্ কোনরূপ অস্থিত্ব খুঁজে পওয়া যায় না তা আমাদের সমাজে ঈমানের অংশে পরিনত হয়েছে। শুধু তাইনয় কেউকেউ এই কথারদ্বারা্ এই বুঝেছেন যে, আল্লাহর একটা সত্তা বা জাত হল নূর বা নূরানী বস্তু এবং সেই জাতের থেকে নবীকে তৈরী করেছেন এবং আল্লাহর নুরের এটা কাল্পনিক আকারও দাড়করাবার চেষ্টা করেছেন কি জঘন্য শিরক!।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই... সৃজনশীলপ্রয়াস

২২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম
নবী পাক সা বিদায় হজের ভাষণে বিশ্বের প্রায় ২ লক্ষ সাহাবা কেরামের
উদ্দেশ্য বলেন আমি তোমাদের জন্য ইসলাম কে পরিপূর্ণ করে গেলাম ।যারা আল্লাহর বানী কোরআন এবং তার রাছুলের বানী হাদিস কে
আঁকড়ে উত্তম আদর্শ ভাবে জীবন যাপন করবে তারাই মুক্তি প্রাপ্ত ।
আর সব ভাওতাবাজ ।
সাহাবা কেরাম প্রশ্ন করলেন কোন দল অনুসরন করব , নবীজী বলেন
আহলে ছুন্নত অয়াল দল বা নবীজীর ছুন্নতের অনুসারী ।
ইসলামে ফেত্না সৃষ্টি বা মিথ্যা ভ্রান্তি হত্তার চাইতে জগন্য , সুরা বাকারা । ইসলাম নিয়ে কোন দল বা রাজনীতি করা উচিৎ নয়
আল্লাহ আমাদের বুঝার হেদায়েত দিন ।

নতুন বন্ধু আর পোস্ট দেন না কেন ?
জানার আগ্রহ কে স্বাগত ও শান্তির চোখে দেখি
শুভকামনা

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নতুন বলেছেন: একটু ব্যস্ত ভাই... আপনার ভাবি এখন দুবাই এসেছে বেড়াতে... তাই দুইজন ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত... :)

আবার লিখবো... তবে প্রতিদিনই ব্লগ পড়ি

২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: @পরিবেশ বন্ধু! রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইলমে গইবের অধিকারী এই কথা বিশ্বাস করলে কোরআনের আয়াত অবিশ্বাস করাহয়। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে? দেখুন ৬৬ নং সুরা Surat At-Taĥrīm ০৩

وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَىٰ بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِ وَأَظْهَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُ وَأَعْرَضَ عَن بَعْضٍ ۖ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِ قَالَتْ مَنْ أَنبَأَكَ هَٰذَا ۖ قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيمُ الْخَبِيرُ

৬৬নং সুরা আত তাহরীম, আয়াত ০৩: যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।

এ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, আ্ল্লাহ যা নবীকে জানিয়েছেন তিনি তা জানতেন। গায়েবের জ্ঞান তার থাকলে আল্লাহকে জানানোর প্রয়োজন হতনা এবং তিনার স্ত্রী (রাঃ)ও তাকে এই প্রশ্ন করতনে না যে "কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল?" হতেপারে তিনার স্ত্রী (রাঃ) জানতনে না যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইলমে গইবের অধিকারী। এটা কি সম্বভ হতে পারে? যে তার স্ত্রী (রাঃ) যেটা জানতেন না সেটা আপনারা জেনে গেলেন অথবা তার স্ত্রী (রাঃ) ঈমান ছিলনা ( নাঊযুবিল্লাহ!) আর আপনাদের ঈমান আছে ?

আল্লাহপাকের কাছে সাহায্য চাই এই আলোচনার মাধ্যমে আল্লাহপাক আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুক, আমাদের ঈমানকে মজবুত করেদিক, রিসালাতের প্রতি ঈমান পূর্নকরেদিক।-আমিন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ রাসুল সা: কে সুপারম্যান বানাতে চায়... এইটা তারই চেস্টা মাত্র...

কিছু ভন্ডপীরেরাই এই প্রচারনায় মগ্ন... তাতে তাদের আয় ভাল হয়...

২৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: প্রিয় নতুন বন্ধু, আমরা বিশ্বাস করি আল্লাপাক রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যে শিক্ষাদিয়েছিলেন তাহা সর্বত্তম শিক্ষা। তিনি ছিলেন সকল নবীর স্রেষ্টনবী। সমস্ত দুনিয়ার সকল মাখলুকের নবী। সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কর্মে, গুনে, ভালবাসায়, প্রমে, দায়িত্তে, আদর্শে, এবাদতে, একাগ্রতায়, প্রার্থনায়,.., ইত্যাদী বিষয়ে সর্বপরি আল্লাহর আনুগত্বে ভালকজের আদেশে এবং মন্দকাজ বর্জনে, হক্কের প্রতিষ্ঠতা্য় সর্বকালের সর্বসেরা মহামানব আল্লাপাকের শেরা সৃষ্টি।সুপারম্যান ও বটে। তবে আল্লাপাক তাঁকে যে নামে সম্মোধন করেছেন সেই নামে তাঁকে সম্মোধন করা ভালো। আল্লাপাক তিনাকে আখেরাতে অসিলার মর্যাদা দান করেছেন। তিনাকে জাহেলি যুগেও আলআমিন বলাহত।

২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০০

সত্য সন্ধানী ১৩ বলেছেন: ছাগল কখনও হীরা আর কাঁচের পার্থক্য বোঝে না।

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: অতি স্মার্ট ও প্রগতিশীল ব্লগার লিসানী সাহেবও কিন্তু মাজার ভক্ত !
আর সেই ভক্তি থেকেই উনি মাজার-ওরশ বিরোধী কওমীদের পিছে লেগেছেন ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৮

নতুন বলেছেন: লিসানী ভাইয়ের এই বিষয়টা বুঝতে পারলাম না... B:-) B:-) B:-)

ভন্ডপীর/মাজারীদের কিভাবে উনি সমথ`ন করেন? তাদের ভন্ডামী তার চোখে পড়ে না?

২৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

রাতুলবিডি৫ বলেছেন: মাজারবাদী - মউদুদী - আহলে হাদীসদের 'বিশ্বাস' নিয়ে খুব সংক্ষেপে কিছু আলোচনা এই পোষ্টে আছে : view this link

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ... দেখতেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.