নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Que sera, sera

আমি , আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected]

নতুন

ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে

নতুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে >> অন্নদামঙ্গলের কাব্যের লাইন...সম্পকে জানতে চাচ্ছি..

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:১৫

অন্নদামঙ্গলের কাব্যের মাঝি ঈশ্বরী কন্ঠে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে লাইটির সম্পকে্ একটু জানতে চাচ্ছি.....

http://ebanglalibrary.com/ এখানে অন্নদামঙ্গল কাব্যের সাচ দিলে পাওয়া যায়...

কাব্যের ০১. গণেশ বন্দনা
০২. শিব বন্দনা
০৩. সূর্য্য বন্দনা ............... ১৫. শিবের দক্ষালয়ে যাত্রা এই কয়টি পব` আছে...

এই কাব্যের ভাষা খুবই কঠিন... আমি পড়ে উপরের লাইনের কিছু খুজে পাইনাই...

যদি এই সম্পকে জানতে সাহাজ্য করতেন... খুবই উপকৃত হতাম...

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১

আরজু পনি বলেছেন:

সোর্স দিতে পারবো না তবে যতটুকু মনে আছে ততটুকু বলছি।

ভারতচন্দ্র -এর রচনা।

একবার মানুষের ছদ্মবেশি নিয়তি নদী পার হয়ে মাঝিকে বর চাইতে বললে মাঝি বলেছিল...আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে..."।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ আরজুপনি.... আপনার মতন আমিও এইটুকুই জানতাম....

নিচে মবীন ভাইয়ের লিংকে চমতকার ভাবে বিস্তারিত বন`না আছে...

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: এই পোস্টটা পড়ে দেখতে পারেন।

https://www.facebook.com/rayhana.luna/posts/10200663878598768

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই.... এইটুকুই খুজছিলাম... :)

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

নতুন বলেছেন: Click This Link

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল ও বাঙালীর চিরন্তন বৈশিষ্ট্য
------রায়হানা পারভীন লুনা।
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।। "
-বাঙালীর এই চিরন্তন বানীটি কাব্যে প্রথম ব্যবহার করেন মঙ্গল কাব্য ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (১৭১২ সাল - ১৭৬০সাল)। প্রায় তিন শত বছর। আগে রচিত তাঁর অন্নদামঙ্গল কাব্যে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বরী পাটুনী বা খেয়া ঘাটের মাঝি হলেন একজন সাধারণ বাঙালীর প্রতীক। যার একমাত্র কাজ হল খেয়া বা নৌকায় যাত্রী পারাপার করা। হঠাৎ একদিন অন্নপূর্ণা দেবী কুলবধুর ছদ্মবেশে নদীর কূলে এসে তাকে পার করে দিতে বললেন।নারীকন্ঠ শুনে মাঝি তাড়াতাড়ি ঘাটে নৌকা ভিড়ালেন ঠিকই, কিন্তু একা কুলবধু দেখে প্রশ্ন করলেন "একা দেখি কুলবধু কে বট আপুনি।।
পরিচয় না দিলে করিতে নারি পার।
ভয় করি কি জানি কে দেবে ফেরফার।। "
অর্থাৎ "আপনি দেখছি একা মেয়ে মানুষ,
পরিচয় না দিলে তো পার করে দিতে পারি না।
ভয় লাগে পরে যদি কোন প্যাঁচ (ফেরফার) পড়তে হয়।।"
উত্তরে দেবী বললেন "বিশেষণে সবিশেষ কহিবারে পারি।
জানহ স্বামীর নাম নাহি ধরে নারী।। "
শতশত বছর অতিক্রম করার পরে আমরা জানি এখনও অনেক বাঙালী নারী স্বামীর নাম মুখে উচ্চারণ করতে লজ্জা পান।যা হোক, একথা বিশ্বাস করে মাঝি বললেন,-
"পাটুনী বলিছে মাগো শুন নিবেদন।
সেঁউতী(নৌকার পানি সেঁচার পাত্র)উপরে রাখ ও রাঙ্গা চরণ।।"
এখানে বাঙালী নারীর রাঙ্গা পায়ের চিরন্তন রুপ সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।যুগে যুগে বহু কবি সাহিত্যিক আলতা পরা নারীর রাঙ্গা পায়ের সৌন্দর্য কে সাহিত্যে উপজীব্য করেছেন। যেমন কবি নজরুল তাঁর গানে লিখেছেন " লাল টুকটুকে বউ যায় লো লাল নটের ক্ষেতে লো লাল নটের ক্ষেতে।
তার আলতা পরা পায়ের ছোঁয়া......"
এর পর কাব্যের অতিপ্রাকৃত অংশেটুকুতে দেখি যে, কবি লিখেছেন -
"পাটুনীর বাক্যে মাতা হাসিয়া অন্তরে।
রাখিলা দুখানি পদ সেঁউতী উপরে।।
সেঁউতীতে পদ দেবী রাখিতে রাখিতে।
সেঁউতী হইল সোনা দেখিতে দেখিতে।।
সোনার সেঁউতী দেখি পাটুনীর ভয়।
এ ত মেয়ে মেয়ে নয় দেবতা নিশ্চয়।।
তীরে উত্তরিল (আসলো/ভিড়ল)তরী তারা উত্তরিলা।
পূর্বমুখে সুখে গজগমণে চলিলা।।
সেঁউতী লইয়া বক্ষে চলিলা পাটুনী।
পিছে দেখি তারে দেবী ফিরিয়া আপনি।।
সভয়ে পাটুনী কহে চক্ষে বহে জল।
দিয়াছ যে পরিচয় সে বুঝিনু ছল।।
হের দেখ সেঁউতীতে থুয়েছিলা পদ।
কাঠের সেঁউতী মোর হৈলা অষ্টপদ।।
ইহাতে বুঝিনু তুমি দেবতা নিশ্চয়।
দয়ায় দিয়াছ দেখা দেহ পরিচয়।।
তপ জপ জানি নাহি ধ্যান জ্ঞান আর।
তবে যে দিয়াছ দেখা দয়া সে তোমার।।
যে দয়া হৈতে মোর এ ভাগ্য উদয়।
সেই দয়া হৈতে মোরে দেহ পরিচয়।।
ছড়াইতে নারি দেবী কহিলা হসিয়া
কহিয়াছি সত্য কথা বুঝহ ভাবিয়া।।
আমি দেবী অন্নপূর্ণা প্রকাশ কাশীতে।
চৈত্রমাসে মোর পুজা শুল্ক অষ্টমীতে।।
কত দিন ছিনু হরিহড়ের নিবাসে।
ছাড়িলাম তার বাড়ী কন্দলের ত্রাসে।।
ভবানন্দ মজুন্দার নিবাসে রহিব।
ভর মাগ মনোনীত যাহা চাহ দিব।।"
এই অংশটুকু ভাবার্থ করলে দেখা যায় - মাঝীর কথা শুনে দেবী মনে মনে হাসলেন এবং সেঁউতীতে পা রাখলেন,সঙ্গে সঙ্গে সেঁউতী সোনায় পরিনত হল। সেই সোনার পাত্র দেখে মাঝি ভয় পেয়ে গেল আর ভাবলো এ তো কোন সাধারণ নারী নয়, নিশ্চয় কোন দেবী হবে।তীরে এসে যখন খেয়া ভিড়লো দেবী নেমে পূর্ব দিকে ধীরপদে এগিয়ে গেলেন।মাঝি সোনার পাত্রটি বুকে চেপে দেবীকে অনুসরণ করতে শুরু করলে, দেবী নিজেই পিছনে দেখে ফিরে আসেন মাঝির কাছে। মাঝি এবার সাহস করে দেবীকে বললো যে, দেবী নিশ্চয় তাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়াছে। মাঝি সোনার পাত্রটা দেবীকে দেখিয়ে বললো যে, "দখো, তোমার ছোঁয়ায় আমার কাঠের সেঁউতী সোনায় পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এতে আমি বুঝলাম তুমি দেবতা। আমি তপজপ জানিনা,তুমি দয়া করে আমায় যখন দেখা দিয়েছো, আমার সেই সৌভাগ্যের বদৌলতে তুমি তোমার সঠিক পরিচয় আমায় দাও।"তখন দেবী বাধ্য হয়ে নিজের বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে মাঝিকে যা খুশি দেবী র নিকট ভর চাইতে বললেন এবং এ ও বললেন যে মাঝি যা চাইবে দেবী তাকে তা ই দিবেন।
তার পর দেখা যায়, -
প্রণামীয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে।
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।।
তথাস্ত বলিয়া দেবী দিলা বরদান।
দুধে ভাতে রহিবেক তোমার সন্তান।।
এখানে এসে আমরা সন্তানের জন্য সর্বস্ব ত্যাগী বাঙালী পিতার চিরন্তন যে রুপটি আবিষ্কার করি তা হলো এক জন বাঙালী পিতার সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ রুপ বা বৈশিষ্ট্য।বাবা দেবীর বর নিয়ে নিজের জন্যকোটি টাকার স্বর্ণ মুদ্রা কামনা করেননি, চাননি নিজের জন্য কোন সুখ -সম্পদ। চিরন্তন বাঙালী পিতা নিজের জীবনের চাওয়া পাওয়া আর সুখ শান্তির চেয়ে যে সন্তানের সুখ শান্তি কামনা করেন তা সুন্দুর ভাবে ফুটে উঠেছে তিন শত বছর পরে এসে তাই আজো কামনা করি " আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে।"

- রায়হানা পারভীন লুনা।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

শায়মা বলেছেন: "পাটুনীর বাক্যে মাতা হাসিয়া অন্তরে।
রাখিলা দুখানি পদ সেঁউতী উপরে।।
সেঁউতীতে পদ দেবী রাখিতে রাখিতে।
সেঁউতী হইল সোনা দেখিতে দেখিতে।।
সোনার সেঁউতী দেখি পাটুনীর ভয়।
এ ত মেয়ে মেয়ে নয় দেবতা নিশ্চয়।।




এইখানটা অনেক মজার আর ভালো লাগার!

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

নতুন বলেছেন: এই কাব্য পড়তে গিয়ে আমার দাত নড়ে গেছে অনেক গুলি...

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই কাব্য পড়তে গিয়ে আমার দাত নড়ে গেছে অনেক গুলি...




হা হা হা হা হা ভাইয়া আর কোনোদিন এই সব পড়োনা শেষে সব দাঁত পড়েই যাবে। :P

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২১

নতুন বলেছেন: আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।


এই লাইটা মাথায় ঘুরছিলো অনেক দিন.... তাই এর পুরো কাহিনি জানার জন্যই মঙ্গলকাব্যটি পড়ে দেখার ইচ্ছা ছিলো...

যদি এই রকমের আরো লাইন উতপাত করে তবে আবার দাতের সমস্যা হতেই পারে...

সাবধান হতে হবে... :)

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

কিং ফাহিম বলেছেন: বস,আমাকে সকল পোষ্ট থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।আমি কি আর কখনই সকল পোষ্ট এ লিখতে পারব না?আর নির্বাচিত পোষ্টেও তো আমার লেখা পোষ্ট করছেন না।
কেউ আমাকে হেল্প করেন আমি নতুন।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

তানভী৯৬ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.